Books

Books

(Showing 37 – 48 products of 552 products)

Show:
Filter

যন্ত্র ও জন্তু – ইমরান খান

Highlights:

‘যন্ত্র ও জন্তু’ গল্প-সংকলনে সমকালীন গল্প যেমন আছে, তেমনি আছে ইতিহাস ভিত্তিক গল্প; কিছু গল্পে পাওয়া যাবে পরাবাস্তবতার স্বাদ, আবার কিছু গল্প দেবে অলঙ্করণহীন বর্ণনাভঙ্গি। প্রকৃতির সাথে মানুষের সম্পর্কের কথা বলবে কিছু গল্প, কয়েকটি কাহিনি উঁকি দেবে মানব প্রকৃতির রন্ধ্রে- যে প্রকৃতির মধ্যে আছে রাজনীতি, দর্শন, স্বার্থপরতা, অসহায়ত্ব, এবং সর্বোপরি আত্মোপলব্ধি। যেমন, ‘যন্ত্র ও জন্তু’ গল্পটি মহামারীর কারণে চাকরি হারানো একজন যুবকের সাথে বিলুপ্ত এক বন্যপ্রাণির প্রহেলিকাময় আত্মিক সম্পর্কের কথা বলে। ‘মসলিন পতাকা’ গল্পে দেখা মিলবে এক ভিন্নমাত্রার মুক্তিযোদ্ধার। তবে সব মিলে গল্পগুলো নিজেকে জানার। ভবিষ্যতের দিকে গলা বাড়িয়ে দেয়ার আগে অতীতের দিকে ঘাড় ঘোরানো জরুরি। নিজেকে সংজ্ঞায়িত করার আগে প্রয়োজন মহাজগতের সাথে নিজের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কটি উপলব্ধি করা। বিচ্ছিন্নভাবে নিজেকে ব্যাখ্যা করা যায় কি? তবে, অবিচ্ছিন্ন সম্পর্কটি উপলব্ধি করে ফেললে কিছু কিছু মানুষ সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এই সংকলনটি সেই ধরনের কিছু বিচ্ছিন্ন নারী-পুরুষের গল্প। মানুষ বহুমাত্রিক প্রাণি, তাই দশটি গল্প দশটি মাত্রা থেকে মানব জীবনের দিকে তাকিয়ে আছে।

Jontro O Jontu By Imran Khan

তুলসীমাটি – পিন্টু রহমান

Highlights:

প্রণয়গন্ধি হাওয়ায় মাটিগন্ধিপরাণ। পরাণের গহীণে আছে পরাণ; আর মাটির পরতে-পরতে লুকানো রয়েছে যাপিত জীবনের ফসিলসমূহ। ফসলের সম্ভারে পূর্ণতার ডালি সাজাতে কেউ কেউ অন্তরিক্ষচারী। চারদিকে ভাঙনের পদধ্বনী। রাতের স্বপ্ন দিনের আলোয় ভেঙে টুকরো হয়ে যায়। তবুও বিস্তর পথ হেঁটে জীবনের তরে পান্ডুলিপি করে আয়োজন। তুলসীপাতার ঐশী ঘ্রাণে বিমোহিত প্রাণিকুল। অথচ পালছেঁড়া নৌকো এবঙ হালভাঙা নাবিকের দুঃখ-যাতনা বোঝে না, কেউ বোঝে না।

Tulsimati By Pintu Rahman

আমি আর সরদার – সরদার ফারুক

Highlights:

সায়ংসন্ধ্যা শেষে তুলসীতলায় নামে

সারবন্দী নীরবতা, নিবিড় কুহক
মাটির ঘরের দীপে কাঁপা কাঁপা মুখ
স্পর্শের অপেক্ষা নিয়ে ফুটে আছে
অধীর প্রসূন
দূরের দিঘির দিক থেকে
সারারাত ভেজা হাওয়া আসে

Ami R Sardar - Sardar Faruque

ঝড়ের ব্যর্থতা প্রদীপে – জাফর সাদেক

Highlights:

যে আশ্রয় দেয়
তার মুখটাই প্রভাতের সূর্যোদয়
তার তো থাকে না কোনও মুখোশ
যেমন কাঞ্চনজঙ্ঘায় রক্তিম প্রশ্রয়ে
সূর্য জানে
পাইনসারির আশ্রমে থাকা কুয়াশামেঘ
পর্যটকের চোখে অভিমান
এতে সূর্য আর পাহাড়ের ভালোবাসা হয় আরও গাঢ়

যে গড়ে সেও তো ওই পাহাড়চূড়ার মতো
ক্ষতবিক্ষত ও আহত
তবুও নত হয়ে উন্নত

Jhorer Barthota Prodepe - Jafar Sadeque

সেলাই – টিপু সুলতান

Highlights:

মুখ থেকে শেষ কথাটি কেড়ে নিয়ে যে পাখি রেলিঙের ডানায় আজও বসে রয়েছে। তার যাপনযোগ্য স্পর্শ আর আলগোছ চোখ-
সেসব আমার পুরানো দিনের অবশিষ্ট পরমায়ু ও কবিতা।

টিপু সুলতান
কেশবপুর। যশোর

Selai By Tipy Sultan

সাংবাদিকের কলম – মিলু শামস

Highlights:

মিলু শামসের নির্ভার গদ্যভাষার সঙ্গে পাঠককে নতুন করে পরিচয় করানোর কিছু নেই। বিষয়ের যুক্তিগ্রাহ্য বিশ্লেষনের সঙ্গে প্রকাশ ভঙ্গির সাবলীলতাকে তিনি এমনভাবে মিশিয়ে দেন যা পাঠককে এক নিশ্বাসে শেষ লাইন পর্যন্ত পড়ে যেতে বাধ্য করে। জীবন ও জগতকে দেখার তাঁর নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির কারণে প্রতিটি লেখা হয়ে ওঠে স্বতন্ত্র। প্রখর ব্যক্তিত্বময় দৃঢ় একটি স্বর অণুরনিত হয় পাঠক মননে।
দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশিত তাঁর নিয়মিত কলামের নির্বাচিত কিছু কলাম নিয়ে সাজানো হয়েছে এই বইয়ের লেখাগুলো।

Sangbadiker Kalam By Milu Shams

বাংলাদেশে বিশ্বাসঘাতকতা ও হত্যার রাজনীতি – মাহবুবুল আলম

Highlights:

১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ এই সময়কালের মধ্যে সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে ইতিহাসে বিশ্বাসঘাতকতা ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জেল হত্যাকাণ্ড, মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ, কর্নেল তাহের, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, মেজর জেনারেল মঞ্জুর, এবং সেনাবাহিনীর অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জেল হত্যাকাণ্ডের বিচার হলেও আজ পর্যন্ত অন্যান্য হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি। সামরিক আদালতে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হত্যার জন্য প্রহসনের বিচারে সামরিক বাহিনীর অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়। যাকে আইনের দৃষ্টিতে কিছুতেই বিচার বলা যাবে না।
১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ সকল রাজনৈতিক হত্যাকা নিয়ে একই মলাটে তেমন কোন গ্রন্থ রচিত হয়েছে বলে জানা নেই। স্বাধীনতা লাভের মাত্র ছয় বছরে যত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে সে’সব হত্যাকাণ্ড নিয়ে মাহবুবুল আলম-এর লেখা বই “বাংলাদেশে বিশ্বাসঘাতকতা ও হত্যার রাজনীতি ১৯৭৫-১৯৮১”। গবেষণামূলক এই গ্রন্থটি উৎসুক পাঠক, গবেষক ও ইতিহাসের ছাত্রদের কাজে আসবে বলে আমাদের একান্ত বিশ্বাস। তাই আমাদের প্রকাশনী থেকে গ্রন্থটি প্রকাশে উদ্যোগী হয়েছি। গ্রন্থটি পাঠকপ্রিয় হলে লেখকের পাশাপাশি আমরাও আনন্দিত হবো।

Bangladeshey Biswasghatokata O Hattar Rajniniti By Mahbubul Alam

মৌসুমি বৃষ্টির গল্প – অমল সাহা

Highlights:

গ্রন্থিত গল্পগুলি বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা সহ মাসিক গল্প বিষয়ক সাহিত্য পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। গত ছত্রিশ বছরে মোট ২২টি গল্প লেখা হয়েছিল। সেখান থেকে বিভিন্ন স্বাদের ১০টি নির্বাচিত গল্প এ বইটিতে গ্রন্থিত হয়েছে। আশা করা যায়, যারা গল্প পড়তে ভালবাসেন সেসব পাঠকদের কাছে গল্পগুলি সুখপাঠ্য হবে। জীবন থেকে নেয়া এবং দু’ একটি গল্পের পটভ‚মি কালপঞ্জিতে একটু দূর বোধ হলেও পাঠক সেই অতীতের নিঃস্তরঙ্গ সময়টাকে অনুধাবন করতে পারবেন। মানুষের অন্তলীন জয় পরাজয়ের বিবরণ পাঠ করে আনন্দ-বেদনায় আপ্লুত হবেন তা নিশ্চিত করে বলা যায়।

Mousumi Brishtir Golpo By Amal Saha

সঙ-সারের গল্প-১ – রীতা রায় মিঠু

Highlights:

লেখকের কথা-
ছোটোবেলা থেকেই আমি চারপাশের মানুষের সকাল থেকে সন্ধ্যার জীবন যাপন দেখতে ভালোবাসি। কাছে থেকেও দেখি, দূর থেকেও দেখি। আমি শুধু দেখি, আর ভালো-মন্দ সব দৃশ্য মস্তিষ্কের কোষে জমা রাখি।
আমার জন্ম নারায়ণগঞ্জ শহরে, ছোটো থেকে তরুণী হয়ে ওঠাও নারায়ণগঞ্জ শহরে।
নারায়ণগঞ্জ শহরের যে এলাকায় বড়ো হয়েছি, সেখানে হিন্দু মুসলমান বন্ধুর মতো, আত্মীয়ের মতো থেকেছি। হিন্দু মুসলমানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিলো না, রেষারেষি ছিলো না, প্রতিযোগিতা ছিলো না। সকলের রান্নাঘরের হাঁড়ি পাতিল সকলের চেনা। ফলে সকলের জীবন যাপন প্রণালীটা খুব কাছ থেকে দেখতে পেয়েছি।
এরপর আমার বিয়ে হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ শহর ছাড়িয়ে স্বামীর সাথে ঢাকা, সাভার,  কিশোরগঞ্জ, সিলেট চিটাগাং সুনামগঞ্জ রাজশাহী পাবনা, বগুড়া যেখানেই গিয়েছি, সবখানেই আমি শুধু মানুষ দেখেছি, মানুষের নানা রঙের জীবন দেখেছি।
এরপর বাংলাদেশ ছাড়িয়ে নেপাল, ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত বেড়িয়েছি, অস্ট্রেলিয়া তিন বছর থেকেছি, সবশেষে আমেরিকা এসে স্থিতু হয়েছি।
জীবনের এই দীর্ঘ সফরে কত রকম মানুষ দেখেছি, মানুষের জীবনের গল্প শুনেছি, কত রকমের গল্প স্মৃতি ভাণ্ডারে জমা হয়েছে। গল্পগুলো চোখের সামনে সাজালে দেখতে পাই, সকলের জীবনের গল্পগুলো প্রায় একইরকম।
সকলেই প্রতি সকালে ঘুম থেকে ওঠে, সারাদিন কিছু আনন্দ কিছু সুখ, কিছু আড্ডা, হাড়ভাঙা পরিশ্রম, রান্নাঘর হাট বাজার অফিস হাসপাতাল কোর্ট কাচারি, ভ্রমণ, ঝগড়া হিংসে বিদ্বেষ রেষারেষি, ভালোবাসা, প্রেম, বিরহ কান্না শেষে ক্লান্ত দেহ মন নিয়ে রাতে নিদ্রা যায়।
জীবন যদি হয় সাধারণ গণিতের সহজপাঠ, যোগ বিয়োগে মাঝে মাঝে হিসেবে ভুল হয়, কখনওবা সমীকরণ মিলে যায়।
আর জীবনটা যদি হয় রঙ্গমঞ্চ অথবা যাত্রা মঞ্চ, আমরা প্রত্যেকে সেই মঞ্চে একেকজন দক্ষ অথবা কম দক্ষ অভিনেতা অভিনেত্রী, অথবা মুখে রঙ মাখা সঙ।
এই সকল দক্ষ-অদক্ষ অভিনেতা অভিনেত্রী, রঙ মাখা সঙদের জীবনের গল্প দিয়ে সাজিয়েছি আমার বই ‘সঙ-সারের গল্প’ প্রথম পর্ব।
সঙ-সারের গল্প বিশেষ কোনো একজনের গল্প নয়। সঙ-সারের প্রতিটি গল্পই হয় আমার গল্প,  নয়তো আপনার গল্প, অথবা পাঁচ মিশেলি জীবনের পাঁচ মিশেলী গল্প।

 

Song-Sarer Golpo - Rita Roy Mithu

মুখোশ – সিরাজউদ্দিন আহমেদ

Highlights:

‘ এ তোদের কেমন কথা সই। আমার যক্ষ রামগিরি পর্বতে নির্বাসনে, আর আমি প্রাসাদে সোনার পালঙ্কে রূপচর্চা সাজসজ্জার আনন্দে মত্ত থাকবো ?

সে সাধারণ, অতি সাধারণ এক যক্ষ। যক্ষ প্রাসাদ নির্মাণের এক কর্মকার মাত্র। তুমি রাজেন্দ্র রাজনন্দিনী। আমাদের সকলের চোখের মনি। অচিরে তোমার হৃদয় জয় করতে রাজপুত্র যুবরাজগণ স্বয়ংবর সভায় হাজির হবেন।

তোদের চোখে সে সাধারণ। আমার চোখে সে অসাধারণ। সে রাজপুত্র অধিক রাজপুত্র। যুবরাজ অধিক যুবরাজ। সে আমার প্রাণেশ্বর। কীরুপে তাঁকে বিস্মৃত হই, বল সখি ?

চাপা স্বরে সখি বলল, রাজকন্যা, কী সর্বনাশা কথা বলছো তুমি !  যদি রাজার কর্ণকুহরে এ সংবাদ পৌঁছায় তোমার কঠিন দন্ড হবে।

দন্ড আমার প্রাপ্য। আমার জন্য যক্ষ আজ নির্বাসনে। কী অপরাধ যক্ষের ? পাথর কেটে সে আমাকে নির্মাণ করতে চেয়েছে। তাঁর চোখে দেখেছি অমরত্বের স্বপ্ন। রাজা আসে রাজা যায়। সব একদিন ভেসে মুছে যায়। অমর হয়ে থাকবে যক্ষের নির্মাণ, যক্ষ যাঁকে নির্মাণ করেছে তাঁর স্বপ্ন থেকে সেই আমি। আমি কোন রাজকন্যা নই, সাধারণ এক প্রেমিকা মাত্র। আমাকে নিয়ে  ভবিষ্যত রচনা হবে নশ্বর প্রেমের অবিনশ্বর কীর্তি। হাজার বছর পরও প্রেমিক-প্রেমিকার  অন্তরে হবে আমাদের বসবাস ( দেবতা ও মানুষ) । ‘

Mukhosh By Sirajuddin Ahmed

মৌসন্ধ্যা – অমিত কুমার কুণ্ডু

Highlights:

মৌসন্ধ্যা। বিস্তৃত পটভূমির এক উপন্যাস। এর কাহিনিতে নারী-পুরুষের চিরন্তন প্রেম যেমন এসেছে, তেমনি এসেছে কাছে আসার গল্প। প্রেম ছাড়া জীবন যেমন অসম্পূর্ণ, তেমনি প্রতিশ্রুতি ছাড়া প্রেম প্রতারণার নামান্তর। বিশ্বাস, ভালোবাসা, ত্যাগ ও মূল্যবোধের গল্প মৌসন্ধ্যা। প্রেম, কাম, যৌনতা, প্রতারণা, লালসা, সামাজিক অসংগতি আর রোমান্টিক থ্রিলারের গল্প মৌসন্ধ্যা। এই উপন্যাস সমকালকে ধারণ করে হয়ে উঠেছে চিরকালীন। নিতি, রাধা, রিমি, রাখি, মিলি, শোভা’র মতো মেয়েদের জীবনের গল্প, যৌবনের গল্প, মান ও অভিমানের গল্প চিত্রিত হয়েছে এখানে। মলাটবদ্ধ হয়েছে প্রেম ও অপ্রেমের সংঘাত!
প্রকৃতিতে যখন সন্ধ্যা নামে, তখন দিনের আলো নিভে গিয়ে গ্রাস করে রাতের আঁধার। সন্ধ্যা যেন সন্ধিক্ষণ। আলো-আঁধারের মিলন হয় সন্ধ্যায়। পরস্পর বিপরীত দুটি অস্তিত্বের সন্ধিক্ষণ সন্ধ্যা। জীবনের সন্ধিক্ষণে মৌ লোভী পতঙ্গের মতো পুরুষ এখানে আবদ্ধ হয়েছে কামের ফাঁদে, প্রেমের প্রতারণায়। আবার সেখান থেকেই পুরুষ দিয়েছে শাশ্বত প্রেম, নিটল নির্ভরতা। জ্ঞান ও অজ্ঞানের, সত্য ও মিথ্যার, বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের মিলন হয়েছে মৌসন্ধ্যার আলো-আঁধারে। মানুষের জীবনের পূর্ণাঙ্গ রূপ চিত্রিত হয়েছে এই উপন্যাসের সাগর সৈকতে।

Mousandha By Amit Kumar Kundu

কার কাছে যাবো – বাসার তাসাউফ

Highlights:

এ উপন্যাসের কাহিনি মূলত একজন নারীর শৈশব, কৈশোর, যৌবন ও বার্ধক্যকালে ঘটে যাওয়া নানান ঘটনা নিয়ে লেখা। খুব বেশি কল্পনাশ্রিত নয়, নেই মেদবহুল বর্ণনাও। সাধারণ ঘটনাকে ঘনঘটা করে, অবিশ্বাস করে সাজিয়ে পাঠককে ধোকা দেওয়া হয়নি। বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রিত এক নারীর নিঃসঙ্গতা ও অসহায়ত্বের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরা হয়েছে গদ্যের ভাষায়। ইতোমধ্যে কবি-সাহিত্যিকেরা এ বিষয়ে অনেক গল্প, উপন্যাস, কবিতা, গান লিখেছেন। নচিকেতার গানের পর বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে আর কোনও গান, কবিতা, গল্প-উপন্যাস মানুষকে তেমন আকৃষ্ট করতে ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে এ উপন্যাসের কাহিনি একটু ভিন্নরকম। কেউ কখনও যা বলেনি বাসার তাসাউফ তা-ই বলেন। এ উপন্যাসেও ব্যতিক্রম হয়নি। বৃদ্ধাশ্রমের আশ্রিত এক নারীর প্রতিদিনের জীবনযাপনের গল্প যে-ভাবে উপস্থাপন করেছেন তা পড়ে যে কেউ চমকে উঠবে, কেউ কেউ দীর্ঘশ্বাস ফেলবে আর কারও কারও চোখের পাতা ভিজে উঠবে জলে। বিশ্বাস না হয় বইটি পাঠ শেষে আমার কথার সত্যতা যাচাই করে নিন। আপনার চোখের জল বাঁধভাঙা স্রোত হয়ে ছুটবে যখন পড়বেন ‘…জীবনভর এত এত যন্ত্রণা সহ্য করে বড় করেছি যে ছেলেমেয়েকে জীবনের শেষবেলায় এসে তারাই বৃদ্ধাশ্রমের রাস্তা চেনায়- এ দুঃখ কার কাছে কইব আর কী করে সইব…?’
আমরা জানি, একজন নারীর শৈশব-কৈশোর কাটে মায়ের আশ্রয়ে, যৌবন কাটে স্বামীর আশ্রয়ে আর বার্ধক্যে এসে আশ্রয় খোঁজে সন্তানের কাছে। কিন্তু সন্তান যখন আশ্রয় না দিয়ে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেয় তখন তার মতো অভাগী আর কেউ থাকে না। এ উপন্যাসে প্রধান চরিত্র রায়জন নেছা জীবনের শেষপ্রান্তে এসে মা-বাবা, স্বামীকে হারিয়ে একমাত্র ছেলের কাছেও আশ্রয় না পেয়ে চরম অসহায় কণ্ঠে বলে, ‘এখন আমি কোথায় যাবো, কার কাছে যাবো?’

Kar Kache Jabo by Basar Tasauf

1 2 3 4 5 6 45 46
Scroll To Top
Close
Close
Shop
Filters
Sale
0 Wishlist
0 Cart
Close

My Cart

Shopping cart is empty!

Continue Shopping