Additional information
Weight | 0.200 kg |
---|---|
Published Year |
$ 1.41 $ 1.88
আলতো ঠোঁটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেয়া পাখিদের কলকাকলি, ঝরনার সুরেলা সংগীত, বৃষ্টির বেহালা বাজানো বা নূপুর নৃত্য, নদীর স্রোত বা ডায়মন্ডের মালা গাঁথা ঢেউ তাঁকে হাতছানি দিত, অহরহ। তখন ঘরে বসে থাকতে পারতেন না তিনি- ডাকে সাড়া দিতেন আগ্রহ চিত্তে, দিনে, রাতবিরেতে। এসবের সঙ্গ পান করতেন, বিমুগ্ধ নয়নে। একে অপরকে বুঝতেন। কথা বলতেন অফুরান।
চাঁদের বুড়ি তো নাতী সম্বোধন করে প্রায়ই টেনে নিয়ে যেতেন পড়ার টেবিল থেকে। আদরে-আপ্যায়নে ভরে দিতেন নৈঃশব্দের উঠোন, ঘরের ছাদ, পথঘাট কিংবা জলস্থলের বেশির ভাগ এলাকা। হাসি মাখা গল্প বাড়িয়ে দিতেন সুগোল বাটিতে। কখনো শহরের পাশ ঘেঁষে এঁকেবেঁকে যাওয়া ব্রহ্মপুত্রের কাছে টেনে নিয়ে যেতেন একাকী। আবার কখনো সদলবলে। ঢেউয়ে ঢেউয়ে নাচ তুলতেন। হেসে কুটিকুটি হতেন। এমন উপভোগে ভাগ বসাতে কার না মন চায়! জনৈক ভাবুক তো বটেই সাধারণ সৌন্দর্য-পিপাসুও পিপাসা নিবারণ করতে একশো ভাগ।
শহরের ব্যস্ততম জীবন, আর গ্রামের কিছুটা হালকা আমেজের মধ্যিখানেই তাঁর কেটে যাওয়া সময়ের সিংহভাগ। ফলে, তিনি এক হাতে গ্রহণ করছেন গ্রামীণ সারল্য, আর অন্য হাতে শহরে ব্যস্ততার সুলভ ও দুর্লভ দৃষ্টান্ত। তাঁর কবিতা পাঠে এ সবের মুখরিত ধ্বনি টের পায় পাঠক।
ইদানীং এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বিদেশ-বিভুঁয়ের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাও। তাই বলা যায়, বহুমাত্রিক স্বাদে তাঁর লেখার উপাদান।
Weight | 0.200 kg |
---|---|
Published Year |
সিদ্দিক প্রামানিক। জন্ম: ২১শে আগস্ট ১৯৭৯, কুস্টিয়ার কুমারখালী থানার চরভবানীপুরগ্রামে। বাংলা সাহিত্যে মাস্টার্স শেষ করে বর্তমানে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন এবং বাম প্রগতিশীল সংগঠনের সক্রিয় সংগঠক ও সংস্কৃতকর্মী। প্রথম বই ‘হাঙরের সমুদ্রে মননশীল মাছ’।
উন্মাদের কনসার্ট
কাজী রহমান। পরবাসী লেখক নিজের পছন্দ মতো বাঁচতে দু-যুগ আগে মার্কিন মুলুকে চলে আসেন স্ত্রী ও প্রথম শিশুকন্যা সাথে নিয়ে। বড় হয়েছেন পুরনো ঢাকার গেন্ডারিয়া’য়। জ্ঞান হবার পরপরই নিজেকে আবিষ্কার করেছেন ঘরের পাশের গ্রন্থাগারে, বিভিন্ন শিশু সংগঠন আর সমাজসেবামূলক সংগঠনের আলোছায়ায়। মুক্তিযুদ্ধের সময়কার দুরন্ত কিশোর স্বাধীনতার যুদ্ধ দেখেছেন কাছ থেকে আর আতঙ্কের দিন গুনেছেন সারাক্ষণ মুক্তিযোদ্ধা দু’ভাইয়ের ঘরে ফেরার অপেক্ষায়। গ্রাজুয়েশন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কর্মজীবন কেটেছে বিদেশী এয়ার লাইন্সের কর্মকর্তা হিসেবে।
তারাধুলো জল ও নস্টালজিয়া
লেখক পরিচিতি :
হান্নান হামিদ, লেখক নাম কালের লিখন। জন্ম: আগস্ট, ১৯৮৪। জামালপুর। ‘বিশ্বাস শুধুই নিঃশ্বাস’ লেখকের প্রথম বই।
বিশ্বাস শুধুই নিঃশ্বাস
লেখক পরিচিতি :
প্রজ্ঞা মৌসুমী। জন্ম: এক শরতে দাদুবাড়ি কুমিল্লায়, বেড়ে ওঠা সুনামগঞ্জে। ঊনিশ বছর থেকে পড়াশুনার জন্যে প্রবাস জীবন। এক এসাইনমেন্টের জন্যে প্রথম ইংরেজি কবিতা লিখার শুরু। প্রথম জীবনের কবিতাগুলো ইংরেজিতেই লেখা, কিন্তু মন আঁকুপাঁকু করে বাংলায় লিখতে; তারই ফলশ্রুতিতে আজকের প্রথম কবিতা ফসল ‘পৌরাণিক রোদ এবং অতিক্রান্ত কাঠগোলাপ’। লেখক কবিতা ও গল্প লিখে পেয়েছেন অনেক পুরস্কার তাই বাংলা সাহিত্যের অত্যুজ্জল আলোয় নিজেকে উদ্ভাসিত করার স্বপ্ন দেখেন অহর্নিশ।
পৌরাণিক রোদ এবং অতিক্রান্ত কাঠগোলাপ
আবু জাঈদ। জন্ম: ২২শে জুলাই ১৯৮৩, ঢাকা। পড়াশুনা অসমাপ্ত রেখে একসময় কবি বাউণ্ডুলে জীবনের এলোমেলো আলপথে নেমে যান বেঁচে থাকার প্রয়োজনে, তাই বলে কাব্যচর্চা থেমে থাকেনি। এক সন্তানের জনক। এটি লেখকের প্রথম প্রকাশিত বই।
মানচিত্রের ফাঁসি চাই
অয়ন্ত ইমরুল। জন্ম: ১২ই এপ্রিল ১৯৮৭ইং, মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার আজিমনগর গ্রামে। পদ্মা নদীর ভয়াল গ্রাসে শৈশবেই ঠিকানার পরিবর্তন ঘটে বর্তমানে সাভার আশুলিয়ায় বসবাসরত। এটি লেখকের প্রথম প্রকাশিত বই।
ছায়াসমুদ্র
মেঘ অদিতি। কবি ও গল্পকার হিসেবে ‘দু’বাংলাতে পরিচিত। জন্ম: ৪মে, জামালপুর। বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কর্মরত। প্রকাশিত গ্রন্থ: ‘জলডুমুরের ঘুম (কাব্য)’ ‘অস্পষ্ট আলোর ঘোড়া (গল্প)’ ‘অদৃশ্যতা হে অনিশ্চিতি (কাব্য)’ এবং ‘সময় শূন্যতার বায়োস্কোপ (মুক্তগদ্য)।
প্রবেশিধকার সংরক্ষিত
কিছু একটা বলাটাই যখন বাধ্যবাধকতাÑবাহুল্য এবং আপেক্ষিক বাতুলতা বাদ রাইখা মাহবুব লীলেন থাইকা ধার কইরা বলতে হয়Ñ ‘আনফিট মিসফিট হইয়া হামাগুড়ি দিয়া হাঁটি, আর রাত্তিরে ক্যালেন্ডারের পাতায় দাগ টাইনা চিক্কুর দিয়া কইÑ যাহ শালা বাঁইচা গেলাম আরও একটা দিন।’
এইটা বড়োবেশি জৈবিক বাঁচা
মানবিক বাঁচনের স্বপ্নও দেখি না বহুদিন
বড়ো তরাসে আছি
বড়ো বেশি চাইপা আছি, নিজের গলা নিজে।
দ্বান্দ্বিক দ্বন্দ্ব বিষয়ক আজাইরা প্রলাপ
রঞ্জনা বিশ্বাস। জন্ম: ১০ডিসেম্বর, ১৯৮১। গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের বাগবাড়ি গ্রামে খ্রিস্টিয়ান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ‘ভুলস্বপ্নে ডুবে থাক আদিবাসী মন’ ও ‘আমি তিনবেলা বৃষ্টিতে ভিজি’ কাব্যগ্রন্থ দু’টি কবির প্রকাশিত কাব্যফসল। এছাড়া কবি কবিতাচর্চার পাশাপাশি ফোকলোরচর্চাকেও ব্রত হিসাবে নিয়েছেন। নৃ-তাত্ত্বিক ও গবেষণাধর্মী কবির আরও বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে। কবি বাংলা একাডেমির ‘তরুণ লেখক প্রকল্প’ ও ‘লোকজ সংস্কৃতির বিকাশ’ প্রকল্পে কাজ করছেন। এছাড়া এখন ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বিভাগে কর্মরত আছেন।
বেদনার পাথর ও প্রান্তিক দীর্ঘশ্বাস
লেখক পরিচিতি :
হামীম ফারুক। পুরো নাম: গোলাম ফারুক হামীম। জন্ম: ২৪শে অক্টোবর, ১৯৬৩, ঢাকা। প্রথম তারুণ্যে কাজ করেছেন ইংরেজি পত্রিকা নিউ নেশন-এ। সাংবাদিকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করে এখন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। মূলস্রোতের সাহিত্য পত্রিকাগুলোতে একটানা লিখেছেন ১৯৮৭ পর্যন্ত। মাঝখানে বিরতি দিয়ে পুনরায় আগমন প্রথম কবিতার বই ‘রোদ ও ক্রোধ, মাঝখানে সাঁকো’ দিয়ে। একটি ই-বুক আছে, ‘নক্ষত্রের চিরকূট’। এটি লেখকের তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ।
প্রকৃতি পুরাণ
সৈয়দ সাইফুর রহমান সাকিব। জন্ম: ১৯৭৮ সালে বরিশাল জেলা সদরে করিমকুটির নামক স্থানে। তার লেখার বিষয় মূলতঃ কবিতা। সময় নাট্যদলের সাথে একযুগ পার করেছেন। গানও লিখতেন কিন্তু বন্ধুবরের প্রয়ানে, অভিমানে আর সেপথ মারাননি। বর্তমানে অর্থ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত থাকলেও নিজেকে একজন কবিতার শতরঞ্জি মোড়ানো শ্রমিক বলেই মনে করেন। এটি কবির প্রথম বই।
রূপোর দ্যুতি
তুহিন দাস, কবি ও লিটলম্যাগ কর্মী। জন্ম: ১১ জানুয়ারি ১৯৮৫, জল ও কবিতার শহর বরিশালে। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখি শুরু করেন। প্রথম কবিতার শিরোনাম ‘সমাধিপৃষ্ঠা’। ২০০০ সালে ‘আরণ্যক’ সাহিত্যপত্র সম্পাদনা শুরু করেন। সম্পাদনার জন্যে ২০১১ সালে ‘চিহ্ন সন্মাননা’ পেয়েছেন। বর্তমানে ‘আরক’ পত্রিকা ও প্রকাশনায় কর্মরত আছেন। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ছয়, ‘বনসাই প্রকল্পের মানুষ’ ‘অসুখময় দিনরাত্রি’ ‘বিষাদনীলঘোড়া’ ‘কাজল বিক্রেতার স্বপ্ন’ ‘বাগান সিরিজ’ ও ‘দূরের পাড়া কাছের বাড়ি’।
কাঠের মুখ
ক্ষমা মাহমুদ মানুষের জীবনের কাহিনী শিল্পে বুনন করেন। বুনতে বুনতে সেই কাহিনীর কথা গল্পে বয়ান করেন।এভাবেই তার অন্তর্গতবোধ এবং জীবনাভিজ্ঞতা গোটা এক একটা জীবন হয়ে কাহিনীর শরীরে লেপ্টে গল্প হয়ে ওঠে। শিল্প সৃজনে এখানেই তিনি একান্ত নিজস্ব। নিজের পৃথিবীতে দাঁড়িয়ে ব্যক্তি ক্ষমা তখনই শিল্পী হয়ে ওঠেন, যখন তীব্র অনুভূতি, অনুসন্ধিৎসু মন নিয়ে খোলা চোখে দেখা পৃথিবীটা শিল্প হয়ে মন ও মননের জগতে ঠাঁই করে নেয়। তার শিল্প ভুবনে ভীড় করা মানুষগুলোর মধ্যে বারবার কথা কয়ে ওঠে প্রধাণত নারী । শিল্পী ক্ষমা নারীর কথাই ভাবেন বেশি; দেখেন-দেখাতে চান নর নারীর পারস্পরিক যোগ-বিয়োগের নির্মাণ-বিনির্মাণের জগত। সবশেষে,ভাবেন, নারী কী তবে জাগতিক, মনোদৈহিক শেকলে সম্মোহিত এক সত্ত্বা-ই শুধু? যে কেবল জীবনের চারপাশে ঘুরে বেড়ায় জীবনের স্বাদ-সাধ স্পর্শ করার কী এক বাসনায়! সেই আকাঙক্ষার বিচিত্র জীবনকথার সারৎসার নিয়েই তার সৃষ্টিকথা ‘সমুদ্রের কাছে দুঃখ জমা রাখি!’ যে সঞ্চিত বেদনায় শেষপর্যন্ত ব্যক্তির সকল প্রত্যাশা-প্রয়াস ছাপিয়ে সত্য হয়ে সামনে দাঁড়ায়, হলুদ খামে অন্তরীণ অপার এক জীবনবোধ! সে মৃদু হেসে বলে, হে মহাজীবন, আমিই সত্য!
সমুদ্রের কাছে দুঃখ জমা রাখি - Samudrer Kache Dukkho Joma Rakhi
মেঘনা তোমার নাম দিল কে
কোনখানে তার বাড়ি–
মুখে কি তার ভরা ছিল
লম্বা লম্বা দাঁড়ি?
মেঘনা তুমি কার বিরহে
কলকলিয়ে কাঁদো–
কখনও কি পড়েছিলে
মলমপার্টির ফাঁদো?
মেঘনা তুমি লুট করে সব
কাকে নিয়ে দাও–
তোমারও কি সঙ্গী থাকে
অতল জলের গাঁও?
মেঘনা তুমি কোনোকালেই
চুপ হবে না আর–
সারা জীবন বইবে কাঁধে
রঙিন দুঃখের ভার?
অতল জলের গাঁও
জীবনের গল্প
কিছু একটা বলাটাই যখন বাধ্যবাধকতাÑবাহুল্য এবং আপেক্ষিক বাতুলতা বাদ রাইখা মাহবুব লীলেন থাইকা ধার কইরা বলতে হয়Ñ ‘আনফিট মিসফিট হইয়া হামাগুড়ি দিয়া হাঁটি, আর রাত্তিরে ক্যালেন্ডারের পাতায় দাগ টাইনা চিক্কুর দিয়া কইÑ যাহ শালা বাঁইচা গেলাম আরও একটা দিন।’
এইটা বড়োবেশি জৈবিক বাঁচা
মানবিক বাঁচনের স্বপ্নও দেখি না বহুদিন
বড়ো তরাসে আছি
বড়ো বেশি চাইপা আছি, নিজের গলা নিজে।
দ্বান্দ্বিক দ্বন্দ্ব বিষয়ক আজাইরা প্রলাপ
লেখক পরিচিতি :
সরদার ফারুক। জন্ম: ৯ই নভেম্বর, ১৯৬২। কপোতাক্ষ নদের তীর খালিশপুরে, পৈত্রিক নিবাস বরিশালের খালিশপুর। পেশায় বিশষজ্ঞ চিকিৎসক। ছাত্রজীবন থেকেই প্রগতিশীল ছাত্র-শ্রমিক-কৃষক আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন। বরিশালে ঘাট শ্রমিকদের আন্দোলন, ডেমরায় শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সংগ্রাম ও বাজিতপুরের জেলেদের লড়াইয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কবির প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘অন্যদের তর্কে ঢুকে পড়ি’ সহ মোট ৭টি।
অন্যদের তর্কে ঢুকে পড়ি
লেখক পরিচিতি :
আশরাফ জুয়েল। জন্ম: ৩০শে সেপ্টেম্বর ১৯৭৭, চাপাইনবাবগঞ্জ, বাংলাদেশ। বাবার চাকরির সুত্রে শৈশব কেটেছে যাযাবরের মতো। জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ, বগুড়া থেকে এমবিবিএস পাশের পর ঢাকাতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পোস্ট গ্রজুয়েশন করে বর্তমানে চিকিৎসা পেশায় কর্মরত। ‘মস্তিষ্ক নাকি হৃদয়’। মূলত এই প্রশ্নের উত্তর খুজতেই লেখালেখিতে পুনর্জন্ম।
যুদ্ধ ছাড়া শুদ্ধতা অসম্ভব
চেনা কোনো সংকেত নেই
১৯০৬ সাল থেকে রচিত মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণাদায়ী ক্ষুরধার গানগুলো নিয়ে কাজ করার তীব্র অনুভবে তাড়িত হই। গান নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখা না-করার অভাব থেকে এ গবেষণার জন্ম। সুযোগ আসে ২০০৯ সালে। তা অবশ্য কিছু দূর এগোনোর পর শেষও হয়ে যায়। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে আবার কাজটি শুরু হয় সরকারি অর্থায়নে। তখন নতুন করে সাজাই ফেলোশিপ গবেষণার সূচিপত্র।
আগে চেয়েছিলাম সময়ক্রমে গবেষণা কাজটা করতে; পরে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রেরণা-সৃষ্টিতে দেশাত্মবোধক গানের ভূমিকা (১৯৪৭-৭১)’ গবেষণার অধ্যায় বিভাজন করি—
ভূমিকা, দেশাত্মবোধক গানের পটভূমি, ১৯৪৭-৫২ সনের ভাষা আন্দোলন পর্বের গান, ১৯৬৯-৭০ সনের গণ-অভ্যুত্থান পর্বের গান এবং ১৯৭১ সনে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ পর্বের গান।
তবে শেষের পর্বটিতে তিনটি সেমি-পর্ব যুক্ত হয়—প্রেরণামূলক বঙ্গবন্ধুর গান, সংগ্রামে-সংগীতে নারীর অবদান এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান।
গ্রন্থটিতে ভাষা সৈনিক আবদুল মতিন এবং নজরুল স্বরলিপিকার সুধীন দাস এবং বিশিষ্ট গণ সংগীতশিল্পী শুভেন্দু মাইতি (যিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অর্থ সংগ্রাহক ছিলেন)—তিন বিশিষ্ট জনের সাক্ষাৎকার সংযোজিত হয়েছে। প্রায় ৯০০টি দেশপ্রেরণামূলক গানের তালিকা দেয়া হয়েছে।
গবেষণার দীর্ঘ পথে অনেক বাঁধার সম্মুখীন হই। তবে ধৈর্য ধারণ করে সবটা সহ্য করেছি; গবেষণা কর্মের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে। পরম করুণাময়ের অপার কৃপায় কাজটি শেষ করতে পেরেছি। তিনি সর্বোতভাবে সাহায্য করেছেন; সে প্রমাণ প্রতি মুহূর্তেই পেয়েছি। বাকিটা বিবেচনার ভার সম্মানিত পাঠকদের।
ফেলোশিপ গবেষণাটির প্রকল্প পরিচালক হিসেবে সার্বিক দায়িত্বে ছিলাম আমি।
যাদের আন্তরিকতা, সহযোগিতা পেয়েছি, তারা হলেন—
শ্রী গোবিন্দলাল দাস, শ্রী করুণাময় অধিকারী, জনাব ড. মূহ: আব্দুর রহীম খান, লিপিকা ভদ্র, সঞ্জয় কুমার বণিক, মল্লিকা দাস, ড. সাইম রানা, ড. সেলুবাসিত, ড. মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন (গিয়াস শামীম), ড. রঘুনাথ ভট্টাচার্য, আবদুল মতিন, সুধীন দাস, শুভেন্দু মাইতি, মোবারক হোসেন খান, সেলিম রেজা প্রমুখ সুহৃদগণ। সবাইকে কৃতজ্ঞ-চিত্তে স¥রণ করছি।
সময়ে-অসময়ে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় যাদের, তারা হলেন আমার পূজনীয় শিক্ষক—ড. সাঈদ-উর রহমান এবং অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক।
গবেষণা কাজটির মূল্যায়ন করেছেন আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক। তার আশীর্বাদকে ভক্তি জানাই।
‘মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রাম’-এ প্রেরণাদায়ী গানগুলোর যাদুমন্ত্রে যুদ্ধ জয়ের নেশায় বীর বাঙালি দুর্বার গতিতে ছিনিয়ে এনেছে স্বাধীনতা।
সেই গানগুলোর পটভূমি এবং গানগুলো সম্পর্কে সকলে জানতে পারবেন যার সহযোগিতা, সহমর্মিতায় তিনি—অনুপ্রাণন প্রকাশনের সত্ত্বাধিকারী আবু এম ইউসুফ ভাই। এই ফেলোশিপ গবেষণা ও সমীক্ষা ধর্মীগ্রন্থটি অনুমোদন ও প্রকাশের উদ্যোগ নেবার জন্য তার প্রতি অপরিসীম আন্তরিকতা প্রকাশ করছি। ২০২০ সালের বইমেলার বই-প্রকাশনার সীমাহীন ব্যস্ত সময়ের মধ্যেও গ্রন্থটির নামকরণ করে তিনি কৃতজ্ঞাপাশেবদ্ধ করেছেন।
ড. শিল্পী ভদ্র
ঢাকা।
মুক্তি-সংগ্রামের গান
হাসানআল আব্দুল্লাহ। জন্ম: ১৪ই এপ্রিল, ১৯৬৭। গোপালগঞ্জ জেলার গোপিনাথপুর গ্রামে। তিনি প্রবর্তন করেছেন নুতনধারার সনেট। তার মৌলিক কাব্যগ্রন্থর সংখ্যা দশ। বিশ্বের বিভিন্ন ভাষার কবিতার অনুবাদে প্রকাশ করেছেন বিশ্ব কবিতার কয়েকছত্র। অন্যান্য প্রকাশিত গ্রন্থ- সনেটগুচ্ছ ও অন্যান্য কবিতা, আঁধারের সমান বয়স, এক পশলা সময় প্রভৃতি। ২০০৭ ও ২০১৫ সালে নিউইয়র্কের কুইন্স শহরের পোয়েট লরিয়েট ফাইনালিস্টের সন্মান পেয়েছেন।
বৃত্তের কেন্দ্রেও কবিতার মুখ
কবিতার পথ কণ্টকময়। চিরকাল কবির আরাধ্য, তবু কবিতা অধরা থেকে যায়। এটা সত্য, কবির ঔরসে কবিতার জন্ম। কিন্তু যখন কবি থাকেন না, তখন কবিতাই বহন করে কবির অলৌকিক স্বর।
এক যুগ ধরে কবিতা-পথের যাত্রী মুহাম্মদ ফরিদ হাসান। তার লেখাগুলো প্রধানত প্রেম, সৌন্দর্য চেতনা, দর্শন যাপনের অভিঘাতকে কেন্দ্র করে। সরল বাক্যবন্ধে কবিতায় তার উচ্চারণ চিরকালীন।
মিথ্যুক আবশ্যক তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ। প্রিয় পাঠককে কবির শিল্পজগতে আমন্ত্রণ।
মিথ্যুক আবশ্যক - Mitthuk Abosshok
‘মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা এবং স্বাধীন দেশ দেখে গেলেন ইমনের মা। কিন্তু স্বাধীন দেশে নিজের বাসায় আর জীবিতাবস্থায় ফিরতে পারলেন না। শেষ নিশ্বাস ত্যাগের পর মায়ের মরদেহটা ইমন সেই কম্বলটি দিয়ে ঢেকে দেয়, যে কম্বলটি সে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পেয়েছিল। এছাড়া কি-ই বা ছিল তার?
মাকে নেয়া হয় শ্মশানে। স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র ক’দিনের ব্যবধানে মাকে হারালো ইমন!
এ পর্যায়ে এসে ইমন চৌধুরী বলে, মায়ের কথা এখনো খুব মনে পড়ে। মা! পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ, সুন্দর এবং পবিত্র একটি শব্দ। যা কিনা মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা এবং এই দেশ মাতৃকার মতই যথাক্রমে বিশাল, মহান এবং সুন্দর। একাত্তরে মাকে হারিয়েছি সত্য, তবে পেয়েছি স্বাধীনতা এবং মানচিত্র।
আমার মায়ের স্মৃতির সাথে জড়িয়ে যায় এদেশের জন্মকথাও। মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা এবং এদেশটাই এখন আমার মা।’
ময়মনসিংহ অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অবলম্বনে রচিত কিশোর উপন্যাসটি নিছক কোনো ডকু-ফিকশন নয়। আশার করা যায়, এটি এমন একটি ফিকশন হয়ে উঠেছে, যা কিশোর উপযোগী পাঠকসহ সব শ্রেণীর পাঠকের উপন্যাস পাঠের আনন্দ দেবে। পাশাপাশি ময়মনসিংহ অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কেও ধারণা দেবে।
স্বাধীনতার জন্য
‘পুরো সিরিজটির মধ্যে টের পাই, তুমি শক্তিমত্তা নিয়ে ধেয়ে আসছ।’ বেশ কিছুদিন হয় মারুফ আহমেদ নয়ন ‘ডেকে নিও গোপনে’ পাণ্ডুলিপিটি মেইল করে পড়তে দিলে পাঠপ্রতিক্রিয়ায় উপর-উদ্ধৃত বাক্যটি লিখেছিলাম। আজ সেই পাণ্ডুলিপির পুণঃপাঠে ওই বাক্যটিকে রেখেই কথা বলতে হচ্ছে। নয়ন বয়সে নবীন, তুলনায় ওঁর কবিতা অনেক ম্যাচিউর। অবাক হতে হয়, পাণ্ডুলিপির কবিতাগুলো সদ্য বয়সন্ধিকাল পেরিয়ে আসা একজন কবির লেখা। সে ক্ষেত্রে পোলিশ কবি রেনিয়া স্পাইগেলের কথা মনে পড়ে। যদিও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হলোকস্টের শিকার হয়ে রেনিয়া’র কিশোর বয়সেই দুঃখজনক মৃত্যু হয়েছিল, তা বাদে কবিতার বোধ ও চেতনার দিক থেকে নয়ন যেন রেনিয়ার উত্তরাধিকার। মারুফ আহমেদ নয়নের কবিতায় আবহমান বাংলা কবিতার আবেগ আছে, তবে তা বাড়াবাড়ি পর্যায়ের মনে হয় না। আবেগের লাগাম টেনে ধরে তার যথার্থ ব্যবহারের সক্ষমতা আছে নয়নের। ওঁর কবিতায় চিত্রকল্প ও কল্পচিত্রের ব্যবহারগুলো মুগ্ধ করে। ওঁর ভাষা বয়ন সুন্দর-স্বচ্ছ। কবিতায় অনুকরণ অনুসরণ নিয়ে আজ কথা উঠছে। কারও কবিতার ভাষা বা শৈলী পাঠক সমাজে সামান্য মান্যতা পেলে তাকেই মুদ্রার মতো ভাঙিয়ে লিখছেন অনুজ ও সমসাময়িকরা। সে ক্ষেত্রে মারুফ আহমেদ নয়ন নিজেকে অপর দূরত্বে রাখেন। শিল্পের জন্য কবিতার জন্য যা স্বাস্থ্যকর। আবহমান বাংলা কবিতার মুকুটে মারুফ আহমেদ নয়ন একটি নতুন পালকের সংযুক্তি হিসেবে স্মরণীয় হোক।
মাসুদার রহমান
সোনাপাড়া
১৬/১১/২০২১
ডেকে নিও গোপনে
সুন্দরীদের উপর একক কোনো মালিকানা থাকে না- কোনো একক যুবকের…
একজন তরুণ ও একজন নারীর সম্পর্কহীন- সম্পর্কে’র, নামটা কী?
নারী’র, কান্না’র, নামটা কী? এ কান্না’র নাম উদ্ধারের দায়় কারো না কারো’র, উপর বর্তায়়। এটা কারো না কারো’র জানার/ জানাবার প্রয়োজন আছে। এজন্যই আমার কবিতা লেখা দিদি…
শরীফ শামিলের এ গল্প গ্রন্থ’র অধিকাংশ গল্প ভালোবাসার তবে অন্যান্য গল্পগুলোও বেশ ভালো। সবশ্রেণির পাঠকদের কাছে গ্রহনযোগ্যতা পাবে।
আবু এম ইউসুফ
প্রকাশক
ভালোবাসার গল্প
Get access to your Orders, Wishlist and Recommendations.
There are no reviews yet.