Additional information
Weight | 0.190 kg |
---|---|
Published Year |
$ 1.24 $ 1.65
Weight | 0.190 kg |
---|---|
Published Year |
অয়ন্ত ইমরুল। জন্ম: ১২ই এপ্রিল ১৯৮৭ইং, মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার আজিমনগর গ্রামে। পদ্মা নদীর ভয়াল গ্রাসে শৈশবেই ঠিকানার পরিবর্তন ঘটে বর্তমানে সাভার আশুলিয়ায় বসবাসরত। এটি লেখকের প্রথম প্রকাশিত বই।
ছায়াসমুদ্র
আলী রেজা। জন্ম: ১৯৫৭। মুক্তিযুদ্ধে আলোড়িত কবি, সত্তর দশকে মূলত ছোটকাগজে লেখালেখি শুরু করেন। সদ্য অবসরে যাওয়া একটি রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠানের বিপণন ব্যবস্থাপক। এটি কবির প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ।
আলী রেজা
সাঈদা মিমি। জন্ম: ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৮। বরিশালে। শৈশবের পুরোটাই এবং অর্ধেক কৈশোর কেটেছে পদ্মাপাড়ে, মানিকগঞ্জের ঘোনাপাড়া গ্রামে। লেখালেখির শুরু ছাত্রজীবনে। প্রথম প্রকাশিত হয় ইত্তেফাকে। ফ্রীল্যান্স সাংবাদিকতা, স্কুল মাস্টারিং, বায়িং হাউজের এডমিন, হাউজিং কোম্পানির এক্সিকিউটিভ ইত্যাদি বিচিত্র কর্মজীবন মেষে অতঃপর গৃহিণী। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘সব নিয়ে গেছে এক সময়ের লুটেরা বাতাস’ ‘ফারাও কুমারী’ ও ই-বুক ‘কীর্তনখোলা’।
একজন মৃতের ডাইরি
লেখক পরিচিতি :
মোহাম্মদ হোসাইন। জন্ম: ৩১শে অক্টোবর। বিএসসি ও এমএসসি’র শিক্ষা সমাপন শেষে এখন শিক্ষকতার পেশায় নিয়োজিত আছেন। লেখকের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ মোট ১১টি। ‘ভালোবাসা নির্বাসনে গেছে’ ‘মেঘগুলো পাখিগুলো’ ‘অরণ্যে যাবে অস্তিত্বে পাপ’ উল্লেখযোগ্য বইয়ের শিরোনাম।
অনুদিত রোদের রেহেল
অরণ্যক তপু। জন্ম: ১৯৯৪ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর, ঢাকার ঝিগাতলা। পৈত্রিক নিবাস বরিশালের পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি উপজেলায়। বর্তমানে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত। এটি লেখকের প্রথম প্রকাশিত বই।
ব্যথিত ভায়োলিন
মুর্শিদা জামান। জন্ম: ১৯৮৩ সনে বর্তমান বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি জেলায়। শৈশব ও বেড়ে ওঠা দক্ষিণের খুলনা শহরে। বাংলায় অনার্স সহ এমএ করেন ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখির সূত্রপাত। কবিতা লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ছোট কাগজ ও সাহিত্য বিষয়ক মাসিক পত্রিকাতে ছোটগল্প প্রকাশিত হয়েছে। প্রকৃতি ও পশু-পাখির প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও সখ্যতা রয়েছে। বর্তমানে তিনি লেখালেখি নিয়েই ব্যস্ত।
অদৃশ্য ছায়ার প্রজাপতি
লেখক পরিচিতি :
হামীম ফারুক। পুরো নাম: গোলাম ফারুক হামীম। জন্ম: ২৪শে অক্টোবর, ১৯৬৩, ঢাকা। প্রথম তারুণ্যে কাজ করেছেন ইংরেজি পত্রিকা নিউ নেশন-এ। সাংবাদিকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করে এখন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। মূলস্রোতের সাহিত্য পত্রিকাগুলোতে একটানা লিখেছেন ১৯৮৭ পর্যন্ত। মাঝখানে বিরতি দিয়ে পুনরায় আগমন প্রথম কবিতার বই ‘রোদ ও ক্রোধ, মাঝখানে সাঁকো’ দিয়ে। একটি ই-বুক আছে, ‘নক্ষত্রের চিরকূট’। এটি লেখকের তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ।
প্রকৃতি পুরাণ
রনক জামান। জন্ম:১৬ই ডেসেম্বর ১৯৯১, মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলায়। লেখালেখির হাতেখড়ি ছোটবেলাতেই কবিতার প্রতি মুগ্ধতা থেকেই তার প্রতি ভালোবাসা। এটাই কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ। এছাড়াও প্রকাশিত হয়েছে, যৌথ কবিতাগুচ্ছ ‘মায়ানগরীর বৃষ্টিকথন’, কবিতার ই-বুক ‘শরীর ছোঁয়া আঙুলগুলো’ এবং অনুবাদ উপন্যাস ‘ললিতা’।
ঘামগুলো সব শিশিরফোঁটা
ডালিয়া চৌধুরী। তোলারাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্স মাস্টার্স শেষ করেছেন। কবিতার প্রতি ভালোবাসা থেকে কবিতা লেখার সূত্রপাত। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ, ‘অনুভবে সুখ’ ‘মেঘময় নিকুঞ্জে রধুন‘ ও ‘জলজ কামনা’।
নীল গোধূলি
তুহিন দাস, কবি ও লিটলম্যাগ কর্মী। জন্ম: ১১ জানুয়ারি ১৯৮৫, জল ও কবিতার শহর বরিশালে। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখি শুরু করেন। প্রথম কবিতার শিরোনাম ‘সমাধিপৃষ্ঠা’। ২০০০ সালে ‘আরণ্যক’ সাহিত্যপত্র সম্পাদনা শুরু করেন। সম্পাদনার জন্যে ২০১১ সালে ‘চিহ্ন সন্মাননা’ পেয়েছেন। বর্তমানে ‘আরক’ পত্রিকা ও প্রকাশনায় কর্মরত আছেন। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ছয়, ‘বনসাই প্রকল্পের মানুষ’ ‘অসুখময় দিনরাত্রি’ ‘বিষাদনীলঘোড়া’ ‘কাজল বিক্রেতার স্বপ্ন’ ‘বাগান সিরিজ’ ও ‘দূরের পাড়া কাছের বাড়ি’।
কাঠের মুখ
দেবাশীষ ধর। জন্ম: ৫ই জানুয়ারি, ১৯৮৯। চট্টগ্রাম। কবিতার ছোটকাগজ ‘বাঙাল’ এর সম্পাদক। কবির এটি প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
ফসিলের কারুকাজ
মেঘ অদিতি। কবি ও গল্পকার হিসেবে ‘দু’বাংলাতে পরিচিত। জন্ম: ৪মে, জামালপুর। বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কর্মরত। প্রকাশিত গ্রন্থ: ‘জলডুমুরের ঘুম (কাব্য)’ ‘অস্পষ্ট আলোর ঘোড়া (গল্প)’ ‘অদৃশ্যতা হে অনিশ্চিতি (কাব্য)’ এবং ‘সময় শূন্যতার বায়োস্কোপ (মুক্তগদ্য)।
প্রবেশিধকার সংরক্ষিত
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে রচিত সাহিত্যকর্ম খুবই অপ্রতুল। অথচ আমরা আমাদেরকে বীরের জাতি বলে শ্লাঘা বোধ করতে কার্পণ্য করি না। কিন্তু হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে বিশাল পটভূমিতে আমাদের স্বাধিকারের লড়াই আমাদের সাহিত্যকর্মে বিস্ময়কর রকমে অনুপস্থিত।
বাংলাদেশের বিজয় অর্জনের পঞ্চাশ বছর পরে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিশাল পটভূমিতে রচিত হল, ”চন্দনা উড়ে গেছে” উপন্যাস। কালের ব্যবধান থাকা সত্বেও এ কাহিনীর বিস্ময়কর ঘটনাপ্রবাহ, গেরিলা যুদ্ধের বুদ্ধিদীপ্ত সাহসিকতা, সফলতা, তাদের বীরত্ব ও বিশাল ত্যাগের বলিষ্ঠ চিত্রায়ন পাঠককে এক মুগ্ধতার আবেশে মোহাবিষ্ট করে শেষ পাতা পর্যন্ত আঠার মত জুড়ে রাখবে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বড় অংশটি ছিল গণযোদ্ধার। এরা সংখ্যার দিক থেকে নিয়মিত বাহিনীর চেয়ে অনেক বড় ছিল। এই গণযোদ্ধারা কয়েক সপ্তাহের ট্রেনিং নিয়ে বাংলার গ্রাম-গঞ্জে, হাটে-বাজারে, শহরে-বন্দরে ছড়িয়ে পড়ে গেরিলা যুদ্ধের কৌশল অবলম্বন করে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আলবদরকে কোণঠাসা করে রাখে। মুক্তিবাহিনীর এ সব গণযোদ্ধা গেরিলাদের নিয়ে খুব একটা সাহিত্যকর্ম রচিত হয়নি। তাই আমাদের মহান গেরিলা যুদ্ধের অনেক কাহিনী এখনো অজানা। এ উপন্যাসের ঘটনা প্রবাহ এমন এক স্বকীয় বৈশিষ্ট্য ও অপার দক্ষতায় বিন্যাস করা হয়েছে, যা পাঠককে কব্জা করে রাখে।
এ উপন্যাসের বিশাল পটভূমিতে রয়েছে, শহর-বন্দর, গ্রাম-গঞ্জ থেকে প্রত্যন্ত হাট-বাজার, পাহাড়ী নৃ-গোষ্ঠীর জনপদ, তাদের জুমিয়া জীবন ও মাতৃভুমিকে হানাদারদের দখল মুক্ত করার বিস্ময়কর সম্প্রীতি নিয়ে গণযোদ্ধাদের প্রতিরোধ ও প্রতি-আক্রমণ, এক তেজোদীপ্ত বীরত্ব গাথার উপাখ্যান। এবং যুদ্ধ শেষে মানবিক উষ্ণতায় বীর বন্দনা।
এটি শুধু বলিষ্ঠ দক্ষতায় কারুকার্যময় এক কাহিনীই নয়, এটি সত্তর দশকের শুরুর দিকের এক এনালগ সমাজের বিশ্বাসযোগ্য সামাজিক দলিল, যার আজকের ডিজিটাল যুগে মহামূল্যবান গুরুত্ব রয়েছে। উপন্যাসটির পরতে পরতে আছে সত্তর দশকের আর্থসামাজিক, মানবিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার বর্ণনা, আছে বাংলাদেশের তরুণ-যুবাদের প্রতিরোধ যুদ্ধের কাহিনী, কিভাবে তারা খুবই স্বল্প প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রায় খালি হাতে গেরিলা পদ্ধতিতে পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের দোসর জামাত, রাজাকার, আলবদর বাহিনীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাদেরকে রুখে দিয়েছিল। কীভাবে তাদের বাংলার কাদা-মাটিতে পর্যুদস্ত করেছিল, সেইসব ঘটনার রোমহর্ষক অনুপুঙ্খ বর্ণনা। আছে গেরিলাদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব , দুঃখ-কষ্ট, আপোষহীন লড়াই, আত্ম-বলিদান, বীরত্ব এবং. গৌরব গাথা।
বিজয়ের পঞ্চাশ পরেও বাঙালীর বিজয় গাঁথার এই অনন্য আখ্যান পাঠককে মুগ্ধতার আবেশে বিমোহিত করে রাখবে, তাদের পূর্বসূরির মহান বীরত্বের কাহিনী তাদেরকে ও তাদের পরবর্তী প্রজন্মকে ধারাবাহিকভাবে উজ্জীবিত করবে। নিঃসন্দেহে এ উপন্যাস এক উচ্চমার্গীয় সাহিত্যমূল্য ধারণ করে।
স্বাধিকার, অধিকার, ভালবাসা, গন্ধক, রক্ত, এবং নাইট্রিক এসিডের সংমিশ্রণে এ এক মুক্তির পথ যাত্রা।
Chandana Ure Gache - Ali Reza
কবিতা নিয়ে আসলেই কি ভাবা যায় ! কী ভাবা যায় ! ধরুন, আপনি একটি গাছের নীচে বসে আছেন। সামনেই একটি বড় পথ। সেই পথ দিয়ে মানুষজন যাতায়ত করছে। আপনি বসে বসে দেখছেন। এই যে মানুষেরা গেল আসলো, তারা একেকটা পরিচ্ছেদ। একেকটা গোপন কুটুরি! এই কুটুরি আপনি খুলতে পারছেন না। আপনি তাদের চেনেন না। জানেন না। তাদের গন্তব্য কোথায়- তাও অজানা আপনার!
কবিতা সেরকমই। আপনার সামনে দিয়েই বয়ে যায়। আপনি দেখেন। ছুঁতে পারেন না। এক রহস্যঘোর আপনাকে পরিভ্রমণ করে।
কবিতার কোনো ব্যাখ্যা দেয়া যায় না। ব্যাখ্যা চাওয়াও যায় না। একটা করাত আমাকে কাটছে। আমি দ্বিখণ্ডিত- বহুখণ্ডিত হচ্ছি। এই বহুখণ্ডের ভেতরে সে আলোর ফোয়ারা আমাকে কাছে ডাকে, এগিয়ে নেয়— সেটাই পংক্তিঘোর। কবিতায় ঘোর না থাকলে তা ফ্যাকাশে লাগে। অনেকটা ঘ্রাণহীন পাপড়ির মতো।
আমার ‘নির্বাচিত প্রেমের কবিতা’ প্রকাশ করছে বাংলাদেশের খ্যাতিমান প্রকাশনী সংস্থা ‘অনুপ্রাণন প্রকাশন’। এর সত্ত্বাধিকারী শ্রদ্ধেয় আবু এম ইউসুফ ও তাঁর টিমকে বিনীত ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
সুপ্রিয় পাঠক-পাঠিকা, সবাইকে প্রীতি।
ফকির ইলিয়াস
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
নিউইয়র্ক
Nirbachito Premer Kabita by Faqir Eliyas
কামরুজ্জামান কাজল বয়সে অনেক নবীন হওয়া সত্ত্বেও [জন্ম ২৫ মার্চ ১৯৯১] এবং অণুগল্প চর্চায় খুব বেশিদিন অতিবাহিত না করলেও ‘দলছুট শালিকগণ’ নামে যে বইটি প্রকাশিত হল;-এর বৈচিত্র্যপুর্ণ বিষয়বস্তু এবং অণুগল্প সম্পর্কিত ধারণার সাথে লেখকের যে নিবিড় ঐক্য স্থাপিত হয়েছে- বইটির পাঠশেষে এই কথাটাই মনে করবেন বিজ্ঞপাঠকগণ।
পাবনার ঈশ্বরদী থেকে আসা এই যুবকের ইতিপুর্বে ‘ শ্যাম পাহাড়ের আড়ালে’ নামে একটি কাব্যগ্রন্থও প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৬’র একুশে বইমেলায়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এগ্রিকালচারে স্নাতক শেষ করে লেখক বর্তমানে শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্তিকা বিজ্ঞানে মাস্টার্স করছেন।
‘দলছুট শালিকগণ’ কামরুজ্জামান কাজলের প্রথম অণুগল্পগ্রন্থ। অণুগল্পের ভিত্তি, বিকাশ এবং প্রচারে এই বইটি একটি মাইলফলক হিসেবে ভবিষ্যতে উচ্চারিত হবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।
দলছুট শালিকগন
পরগাছাদের জীবন কৌশল
সমাজের উচ্চবিত্ত শ্রেণির বিত্তশালী নারী সাবরিনা যে কিনা নিজেও এক সময় পতিতাবৃত্তি করে বিপুল ধনসম্পদের মালিক হয়েছে এবং নিজের বিলাশবহুল ফ্ল্যাটে নানা কৌশলে-প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে দালালদের মাধ্যমে সুন্দরী তরণীদের নিজের ফ্ল্যাটে রেখে প্রভাবশালীদের মনোরঞ্জন করে। তারই ফাঁদে পড়ে হতদরিদ্র পরিবারের কিশোরী পুষ্প আপন ভগ্নিপতির প্রলোভনে ঢাকায় এসে সাবরিনার বাসাবন্দি হয়ে যৌনকর্মী হতে বাধ্য হয়। পুষ্প ও সাবরিনাকে কেন্দ্র করে এই উপন্যাসে বর্ণচোরাদের চরিত্র উন্মোচিত করে উপন্যাসটি নির্মিত। এক সময় পুষ্প গ্যাং রেপড হলে প্রতিহিংসার আগুনে সে দগ্ধ হয়ে নওয়াব আলীর ওপর প্রতিশোধ নিতে চায়। পুষ্পর জীবন হয়ে ওঠে আরও দুর্বিষহ। এরপরও একটু ভরসা ও স্বপ্নের স্থান: পুষ্পর যৌনবৃত্তির কথা জেনেও সাবরিনার ফ্ল্যাটের দারোয়ান যে কিনা অত্যন্ত পড়ুয়া আবদুল কাদের তাকে ভালোবাসে। এতটুকুন মিষ্টি প্রেম কারারুদ্ধ জীবনে পুষ্পর জন্য যেন নিশ্বাস নেওয়ার সতেজ অম্লজান…
ফাঁদ
ঢাকা-শহর থেকে কিছুটা দূরে ধামরাইয়ে নিজের বিলাসবহুল বাড়িতে খুন হলেন একজন প্রবীণ ও সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক। শুরুতেই একটি স্বার্থান্বেষীমহল ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র করতে থাকে। এজন্য তারা অধ্যাপকসাহেবের খুনের দায়ে গ্রেফতার করে তাঁর আপন-ভাগ্নে আজাদ কালামকে। কিন্তু এটা মেনে নিতে পারে না আজাদ কালামের আপন ছোটভাই আজাদ রায়হান। সে ভাইকে বাঁচাতে ই-মেইলে অনুরোধবার্তা পাঠায় তুখোড় গোয়েন্দা লালভাইয়ের কাছে। আজাদ রায়হানের অনুরোধক্রমে কেসটা হাতে নেন গোয়েন্দা লালভাই।
শুরুতেই লালভাই কেসটার মূলঘটনা-অনুসন্ধানে মনোনিবেশ করেন। তিনি এই খুনের মোটিভ ও প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করার জন্য একেবারে উঠেপড়ে লাগলেন। কিন্তু এতে প্রবলভাবে বাদ সাধে স্থানীয় থানার ওসি গোলাম মওলা। সে লালভাই ও তার সহকারীদের একরাতের মধ্যে ক্রসফায়ারে হত্যা করার হুমকিধমকি দিয়ে কেসটার তদন্ত-কাজ থেকে তাদের দূরে সরিয়ে দিতে চায়! শেষ পর্যন্ত কি লালভাই পারবেন এই কেসটার মূলরহস্য-উদ্ধার করতে?…আর মাত্র আড়াই দিনের মধ্যে লালভাই কেসটার এমন একটি সত্যউদ্ধার করলেন যাতে আরও বেশি হিং¯্র হয়ে উঠলো ওসি গোলাম মওলা! শেষ পর্যন্ত কী হয়েছিল—জানতে হলে পড়–ন ‘গোয়েন্দা লালভাই’ সিরিজের অনবদ্য প্রথম বই।
গোয়েন্দা লালভাই
অয়ন্ত ইমরুল।
জন্ম ১২ ই এপ্রিল ১৯৮৭ ইং মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার অন্তর্গত আজিম নগর গ্রামে।পিতা— শাজাহান মিয়া ছিলেন একজন ব্যাবসায়ী।২০০১ সালের মার্চ মাসে তিনি হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
মা— বিউটি বেগম একজন গৃহিণী। ডিগ্রী পরিক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার ফলে পুনরায় আর পরিক্ষা দেয়া হয়নি।বর্তমানে চাকুরীজীবি।দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা এবং সমকাল পত্রিকা লেখা ছাপালেও বর্তমানে কোন প্রিন্ট মিডিয়ায় লেখা দিচ্ছি না।তবে
অনলাইন ভিত্তিক ওয়েবজিন—অংশুমালী,কালিমাটি,অপরজন পত্রিকা,ওয়াকিং ডিস্ট্যান্স সহ আরো দু একটা পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখী করছি।প্রকাশিত বই চারটি—
“ছায়া সমুদ্র” অনুপ্রাণন প্রকাশন—২০১৬
“বুদ্ধের ভায়োলিন “তিউড়ি প্রকাশন—২০১৮
” সাদা ধূলির দূরত্বে “ইতিকথা পাবলিকেশন—কলকাতা থেকে ২০২০
এবং ” স্বৈর হাওয়ার হরিণী”পরিবার পাবলিকেশন ২০২০ ঢাকা বইমেলা।
কিসমত আলী অথবা শূন্য
কবিতাই তাঁর একমাত্র সাধনা। পরম আশ্রয়। আড়াল, প্রতীক, নিহিত শূন্যতা, প্রেম, দ্রোহ তার কবিতার মূল উপজীব্য বিষয়। অন্তর্জাত বেদনাকে রঙের মিশেলে, শব্দের গাঁথুনিতে তুলে আনেন অপরিসীম দক্ষতায়। তিনি কবি মোহাম্মদ হোসাইন। জন্ম সুনামগঞ্জ জেলায় ০১ অক্টোবর ১৯৬৫। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন শাস্ত্রে স্নাতকোত্তর (১৯৮৯)। তিনি স্ত্রী ও তিন কন্যা নিয়ে সিলেটে বাসবাস করছেন। দীর্ঘ ৪৩ বছর যাবৎ কবিতার ধ্যান ও জ্ঞানে অতিবাহিত করছেন। তিনি একজন আপাদমস্তক কবি।
কখনো মেঘগুলো-পাখিগুলো নিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন, কখনো বা বৃষ্টির গান মায়াবাস্তবতা নিয়ে দাঁড়িয়ে দেখছেন চারপাশ। প্রগতির চাকায় ভর করে, রূপ প্রকৃতির বিনম্র চিঠি বিলি করছেন কবিতার মুসাফির হয়ে। জলের গ্রাফিতি কিংবা রক্তাক্ত পেরেকের গান তাঁকে সারাক্ষণ নিমগ্ন রাখে। ছবি ও চেনাগন্ধের মেটাফর তাঁকে অন্যলোকে নিয়ে যায়। তখন তিনি তুমুল বাজিয়ে চলেন অন্ধকার। কবি মোহাম্মদ হোসাইন নির্বিবাদী, দেশপ্রেমে উদ্বেলিত একজন কবি। তিনি নিরহংকার ও আধুনিক মননের একজন উদার মানুষ। এ পর্যন্ত তাঁর ২০টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
Ochena Kalkut By Mohammed Hossain
খোঁচা
খোঁচা খুব ঔষধী
খোঁচা খুব বেয়াড়া,
খেলে খায় খুশিতে
কারো লাল চেহারা।
খোঁচা খায় বঁধুয়া
কলতান হাসিতে,
খোঁচা চায় প্রেমিকা
চায় ভালোবাসিতে।
খোঁচা দাও বাবুকে
সারাক্ষণ জ্বালাতো,
হবে ভাব ত্বরিতে
আগে দূর পালাতো।
খোঁচা দাও সুযোগে
খোঁচা দাও বুঝিয়া
খোঁচা দাও সমাজে
খোঁচা দাও খুঁজিয়া।
খোঁচা দাও জাগাতে
যারা ঘুম জাগে না,
বসে দাও চেয়ারে
যাঁরা পদ মাগে না।
খোঁচা
লেখক পরিচিতি :
সরসিজ আলীম। জন্ম: ৩রা ভাদ্র ১৩৭৪, ১৭ই আগস্ট ১৯৬৭। ঢাকায় বসবাস। পেশা হিসেবে লেখালেখি প্রথম আগ্রহ। সম্পাদনা করছেন ‘ভনে’Ñ একটি গ্রন্থচিন্তার কাগজ। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থগুলো- ‘পাতাটি যতই মেজাজ দেখাক’ ‘একঝাঁক পাখি ডাকাডাকি’ ‘বাঙালি আর বাউল পরান থৈথৈ জল’ ‘ঝমঝমানো’ ও ‘ঘোড়দৌড়’।
কুমীরের ডিমবসতি
‘গোপনে যে আগুনে পুড়ি
সেখানে ক্যাথেড্রাল তুমি’
অথবা
‘তিন জোড়া ক্লান্ত পা, নিয়েছে বিশ্রাম।
তবু উলটে থাকে চোরা সেলাই
খুলে দেয় নগর বন্দর গ্রাম।’
প্রিয় অমলতাস, কবি মুর্শিদা জামানের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ। অমলতাস, সোনালু ফুলের সংস্কৃত নাম, ইংরেজিতে যা গোল্ডেন শাওয়ার। নামের সাথে সাথে কবিতাগুলোও নানা বৈচিত্রবার্তা ও মন-মিশ্রণের সংযোগ ঘটিয়েছে। ভাবনার জগতকে ভিন্নমাত্রার ভাব যোগান দিয়ে, নতুন ভঙ্গিতে পরিচিত করে তুলেছে চিরন্তন চেনা দৃশ্য। তাই, কবিতাগুলো পড়তে গেলে নতুন পোশাকের ভাঁজ-ভাঙা শব্দ শুনতে পাই। যে-শব্দ অনেক পরিচিত হয়েও পরিচিত নয়। নিরুত্তাপ উত্তাপের ডানা মেলার গন্ধ, ভালোবাসার পরিধিতে হৃদযোগের তপ্ত-যাত্রা, সব মিলিয়ে নাগরিক ঊর্ধ্বশ্বাসের অবিমিশ্র ঘণ্টাধ্বনি শুনতে পেলাম মুর্শিদা জামানের ‘প্রিয় অমলতাস’-এর কবিতায়।
আশা করি নতুন হাতে, নতুন করে কবিতার স্বাদ, পাঠককে মশগুল করবে নিঃসন্দেহে। বইটির সাফল্য ও পাঠক প্রিয়তা কামনা করছি।
ফেরদৌস নাহার
(কবি ও প্রাবন্ধিক)
Priyo Amoltas by Murshida Zaman
হুমায়ুন কবির।
জন্ম ১৯৫৯ সালে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার দেউটি গ্রামে। বাবা জালাল আহমেদ ও মা জফুরা বেগম। লেখালেখির শুরু ছাত্রাবস্থায়। মাঝে দীর্ঘ বিরতি। আবারও ফিরে এসেছেন লেখালেখিতে। কবিতা, উপন্যাস, গল্পগ্রন্হসহ তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা আটটি। ইতোপূর্বে প্রকাশিত তার উপন্যাস ‘ কানফুল, আনছার আলীর গৃহত্যাগ এবং কবিতা অন্তহীন দীর্ঘশ্বাস পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। সাহিত্যকর্মে অবদানের জন্য জিগীষা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ তাকে জিগীষা সাহিত্য সম্মাননা -২০১৯ প্রদান করেছে।
সাবেক সরকারি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বর্তমানে দৈনিক বাংলার সাহিত্য সম্পাদক। তিনি সালমা ফৌজিয়া সুমি, ডা. শারমিন ফৌজিয়া ও সাইফুল কবির সোয়েবের বাবা। স্ত্রী নাজমুন নাহার লক্ষ্মী গৃহিণী।
প্রকাশিত বই সমুহঃ-
কবিতা-
আমি তাকে ফিরছি খুঁজে
অন্তহীন দীর্ঘশ্বাস
উপন্যাস-
দায়
কানফুল
মেঘনাপারের শেফালী
আনছার আলীর গৃহত্যাগ
গল্পগ্রন্থ-
শাহজাদী উপাখ্যান
আমিও ডিকশনারি দেখেছি কিন্তু পাইনি।
জ্বিনকন্যা নার্গিসের প্রেম
শৌখিন ফটোগ্রাফার শুভ্র। তার পৃথিবী মমতাহীন শূন্যতায় ভরা। একে একে কাছের মানুষদের প্রস্থান তার জীবনকে ক্যামেরার ক্লিকের সাথে বন্দি করে ফেলে। এক সময় তার নিঃসঙ্গ জীবনে আসে দুঃখ ভাগ করে নেওয়ায় আগ্রহী মানুষেরা। হয়তো তারা একই মানুষ। ভিন্ন তাদের নাম। তারা সেতু-ঋতু-রূপা অথবা স্বাতী। যারা শুভ্রর মনস্তাত্ত্বিক ভাবনা-যৌন বিশ্বাস-উড়ন্ত নেশা ও বিপন্ন ক্ষতের সাথে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় জড়িয়ে যায়। অথবা তারা কেউ না। শুধু শুভ্র। শুধু নিঃসঙ্গ একজন মানুষ। নিজস্বতায় নিমগ্ন। যে ক্রমশ ঢুকে যায় অচেনা এক জগতে! নিষিদ্ধ ভাষা ও চিঠির ভাঁজে…
গুহা
কবিতায় ভালোবাসার রূপ দিতে ভালো লাগে। ল্যাণ্ডস্কেপের কবিতাগুলি নানাভাবে বিভাজিত। তাই সকল সৌন্দর্য প্রায় একত্রে সন্নিবেশিত হয়েছে। অবৈতনিক আশ্রয়ের ভিতর গ্রন্থিত হয়েছে রুলটানা কাগজে আঁকা কিছু অবাস্তব বারুদ। যদি স্ফুলিঙ্গ ছাড়া জ্বলে ওঠে, ভালো। তোমার প্রজাপতি, আমার বাগান। তা হোক, সমুদ্রলিপি এখানেই রচিত হলো এবং আরো কিছু রয়ে গেলো পরবর্তীকালের জন্য। রয়ে গেলো একটি চন্দ্রগ্রস্ত মুখ। ঘোরগ্রস্ত চোখ, বাংলা ভাষা-ভাষী তো বটেই পৃথিবীর অন্যান্য ভাষা-ভাষীদেরও যদি পছন্দ হয়। কারণ গ্রন্থের সবগুলি কবিতা স্নিগ্ধ কিংবা সুখপাঠ্য হবে এমন নয়। মানুষের জীবনেরও সবগুলো অধ্যায় সুন্দর হয় না।
রাই সরিষার কাল
Get access to your Orders, Wishlist and Recommendations.
There are no reviews yet.