Additional information
Weight | 0.200 kg |
---|---|
Published Year |
$ 1.41 $ 1.88
বর্তমান শতাব্দীর দ্বিতীয় দশক চলছে। এ দশকে কিছু নবীন কবিদের দেখা মেলে। যাদের শব্দশিল্প, অনুভবভেদ্য চিন্তাশৈলী নিজস্ব কাব্যভাষার নির্মাণের অভিঘাতে শিল্পিত হয়ে উঠতে দেখি। নতুন শতাব্দীর এসব কবিগণও বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্য থেকে সরে আসেননি, বরং শিল্পের দায় স্বীকার এবং এর চাহিদার সঙ্গে মানবিক উৎকর্ষতা সন্নিবেশনে ছিলেন আত্মপ্রত্যয়ী। তাঁদেরই একজন কবি বঙ্গ রাখাল।
এই কবি সময়কে জীবনের অনুষঙ্গ মেনে চিত্তের মৌনতা ও দ্রোহকে কবিতার ক্যানভাসে তুলে আনেন, যা যাপিত জীবনের পরম্পরা ও সমূহ সত্যটিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণসহ উদ্ভাসিত করে। কবির মনোজলোকে কামনা-বাসনার জটিল আবর্তে তাকে পরিগ্রহ হতে দেখি। তখন কবিতা হয়ে ওঠে রূপবিশ্বের অমেয় আঁধারের শক্তিশালী এক রূপকল্প। তবে এ বিষয়টি কবি বঙ্গ রাখালের গদ্যফর্মে লিখিত কবিতার মধ্যে বেশি পরিলক্ষিত হয়।
বঙ্গ রাখালের কবিতাকেও কখনো কখনো উদ্দেশ্যহীনভাবে গন্তব্যমুখী হতে দেখা যায়। এই দ্বন্দ্ব মূলত কবির দৃষ্টিভঙ্গিগত এবং সামষ্টিক মূল্যবোধের ক্ষেত্রে স্পষ্ট। সাম্প্রতিক কবিদের কবিতার নিবিড় পাঠে এই সত্য নিদারুণভাবে উঠে আসে। তথাপি বঙ্গ রাখালের কবিতায় মা-মাটি-মানুষের গন্ধ যে নেই তা বলা যাবে না। বিশেষত এই কাব্য লণ্ঠনের গ্রাম-এর ‘পদ্মপুরাণ: অর্ধেক জীবন অর্ধেক ছেদন’ পর্বের কবিতাগুলোতে তা প্রত্যক্ষ হয়ে উঠেছে। বঙ্গ রাখালের কবিতায় পাঠক যেমন বিজ্ঞানচেতনার নিরাসক্তি খুঁজে পাবেন, তেমনি আবেগ ও মননশীলতার উজ্জীবনও উপলব্ধি করবেন।
-মামুন মুস্তাফা
Weight | 0.200 kg |
---|---|
Published Year |
লেখক পরিচিতি :
হামীম ফারুক। পুরো নাম: গোলাম ফারুক হামীম। জন্ম: ২৪শে অক্টোবর, ১৯৬৩, ঢাকা। প্রথম তারুণ্যে কাজ করেছেন ইংরেজি পত্রিকা নিউ নেশন-এ। সাংবাদিকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করে এখন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। মূলস্রোতের সাহিত্য পত্রিকাগুলোতে একটানা লিখেছেন ১৯৮৭ পর্যন্ত। মাঝখানে বিরতি দিয়ে পুনরায় আগমন প্রথম কবিতার বই ‘রোদ ও ক্রোধ, মাঝখানে সাঁকো’ দিয়ে। একটি ই-বুক আছে, ‘নক্ষত্রের চিরকূট’। এটি লেখকের তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ।
প্রকৃতি পুরাণ
লেখক পরিচিতি :
তানভীর আহমেদ হৃদয়। জন্ম: ৩ডিসেম্বর, ১৯৮৫ইং। মুন্সিগঞ্জ, বিক্রমপুর। প্রকাশিত গ্রন্থের তালিকায় আছে কবিতা, গল্প, উপন্যাস, ছড়া। এছাড়া সম্পাদিত গ্রন্থের তালিকায় আছে কবিতা ও গল্প। লেখকের লেখা প্রতিনিয়ত দেশে ও বিদেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে।
অচেনা রৌদ্রের রঙ
দেবাশীষ ধর। জন্ম: ৫ই জানুয়ারি, ১৯৮৯। চট্টগ্রাম। কবিতার ছোটকাগজ ‘বাঙাল’ এর সম্পাদক। কবির এটি প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
ফসিলের কারুকাজ
আবু জাঈদ। জন্ম: ২২শে জুলাই ১৯৮৩, ঢাকা। পড়াশুনা অসমাপ্ত রেখে একসময় কবি বাউণ্ডুলে জীবনের এলোমেলো আলপথে নেমে যান বেঁচে থাকার প্রয়োজনে, তাই বলে কাব্যচর্চা থেমে থাকেনি। এক সন্তানের জনক। এটি লেখকের প্রথম প্রকাশিত বই।
মানচিত্রের ফাঁসি চাই
লেখক পরিচিতি :
মোহাম্মদ হোসাইন। জন্ম: ৩১শে অক্টোবর। বিএসসি ও এমএসসি’র শিক্ষা সমাপন শেষে এখন শিক্ষকতার পেশায় নিয়োজিত আছেন। লেখকের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ মোট ১১টি। ‘ভালোবাসা নির্বাসনে গেছে’ ‘মেঘগুলো পাখিগুলো’ ‘অরণ্যে যাবে অস্তিত্বে পাপ’ উল্লেখযোগ্য বইয়ের শিরোনাম।
অনুদিত রোদের রেহেল
ফারহানা খানম। জন্ম: ১৯শে এপ্রিল ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী এলাকায়। গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দীপে। ‘ভুগোল ও পরিবেশ’ বিষয়ে স্নাততোত্তর ডিগ্রী অর্জন করে ব্যাংকে চাকুরি শুরু করলেও বর্তমানে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত। নয় ভাই-বোনের মাঝে সবার ছোট বলেই আদরও পেয়েছেন বেশি। প্রথম প্রকাশিত বই, ‘ইছামতি’ (কলকাতা থেকে প্রকাশিত)।
তৃষ্ণার্ত বালুতট
আলতাফ হোসেন-এর জন্ম ২৭ অক্টোবর ১৯৪৯। পৈতৃক নিবাস কিশোরগঞ্জ। বাবার চাকরিসূত্রে শৈশব কৈশোর কেটেছে পাটনা, কলকাতা, চাটগাঁ, করাচি ও ঢাকায়। ১৯৬৪ থেকে পুরোপুরিভাবে ঢাকায় বসবাস। অনার্স ও এমএ করেছেন বাংলায়। আলিয়ঁস ফ্রঁসেস, ঢাকা থেকে দু-বছর ফরাসি ভাষা শিখে সনদ পেয়েছেন।
কফি জেগে থাকে
লেখক পরিচিতি :
সুলতানা শাহরিয়া পিউ। জন্ম: ২রা অক্টোবর। লেখালেখি, আবৃত্তি ও সঙ্গীতচর্চা তার শখ। অনুপ্রাণন সম্পাদনা পর্ষদ এর সদস্য, বর্তমানে দীপ্ত টেলিভিশনের স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসেবে কর্মরত আছেন। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: ‘মেঘের সাথে কথা’। অনুবাদ কাব্যগ্রন্থ: ‘নিমগ্ন জলধারা’। স্ক্রিপ্ট সঙ্কলন: ‘আমরা করব জয়’। গীতিকবিতার অনুবাদ: ‘অচিন’। গল্প সংকলন: ‘মেঘের দেশে ফিরে যাবার গল্প’।
আমার দিনগুলো রইলো অসম্পূর্ণ
রঞ্জনা বিশ্বাস। জন্ম: ১০ডিসেম্বর, ১৯৮১। গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের বাগবাড়ি গ্রামে খ্রিস্টিয়ান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ‘ভুলস্বপ্নে ডুবে থাক আদিবাসী মন’ ও ‘আমি তিনবেলা বৃষ্টিতে ভিজি’ কাব্যগ্রন্থ দু’টি কবির প্রকাশিত কাব্যফসল। এছাড়া কবি কবিতাচর্চার পাশাপাশি ফোকলোরচর্চাকেও ব্রত হিসাবে নিয়েছেন। নৃ-তাত্ত্বিক ও গবেষণাধর্মী কবির আরও বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে। কবি বাংলা একাডেমির ‘তরুণ লেখক প্রকল্প’ ও ‘লোকজ সংস্কৃতির বিকাশ’ প্রকল্পে কাজ করছেন। এছাড়া এখন ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বিভাগে কর্মরত আছেন।
বেদনার পাথর ও প্রান্তিক দীর্ঘশ্বাস
ডালিয়া চৌধুরী। তোলারাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্স মাস্টার্স শেষ করেছেন। কবিতার প্রতি ভালোবাসা থেকে কবিতা লেখার সূত্রপাত। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ, ‘অনুভবে সুখ’ ‘মেঘময় নিকুঞ্জে রধুন‘ ও ‘জলজ কামনা’।
নীল গোধূলি
আলী রেজা। জন্ম: ১৯৫৭। মুক্তিযুদ্ধে আলোড়িত কবি, সত্তর দশকে মূলত ছোটকাগজে লেখালেখি শুরু করেন। সদ্য অবসরে যাওয়া একটি রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠানের বিপণন ব্যবস্থাপক। এটি কবির প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ।
আলী রেজা
কিছু একটা বলাটাই যখন বাধ্যবাধকতাÑবাহুল্য এবং আপেক্ষিক বাতুলতা বাদ রাইখা মাহবুব লীলেন থাইকা ধার কইরা বলতে হয়Ñ ‘আনফিট মিসফিট হইয়া হামাগুড়ি দিয়া হাঁটি, আর রাত্তিরে ক্যালেন্ডারের পাতায় দাগ টাইনা চিক্কুর দিয়া কইÑ যাহ শালা বাঁইচা গেলাম আরও একটা দিন।’
এইটা বড়োবেশি জৈবিক বাঁচা
মানবিক বাঁচনের স্বপ্নও দেখি না বহুদিন
বড়ো তরাসে আছি
বড়ো বেশি চাইপা আছি, নিজের গলা নিজে।
দ্বান্দ্বিক দ্বন্দ্ব বিষয়ক আজাইরা প্রলাপ
আব্দুল্লাহ জামিল পেশায় একজন হৃদরোগ চিকিৎসক। ১৯৬১ সালের ২৬ জুলাই নরসিংদী জেলার রায়পুরার নোয়াবাদ গ্রামে মাতুলালয়ে জন্ম গ্রহন করেন শ্রাবন মাসের এক তুমুল বর্ষার দিনে। ছোটবেলায় গ্রামে কাটিয়েছেন কিছুদিন যার স্মৃতি আজো তাঁর কবিতায় দেখা যায়। তিনি SSC (১৯৭৯) ও HSC (১৯৮১) পাস করেন ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ থেকে। ১৯৮৮ সালে শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়, বরিশাল থেকে গইইঝ পাস করেন। তারপর FCPS (Internal Medicine) ও MD (Cardiology) ডিগ্রী অর্জন করেন যথাক্রমে ১৯৯৭ ও ২০০১ সালে। বর্তমানে Consultant –Interventional Cardiology হিসেবে একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত আছেন।
ছাত্র জীবন থেকে লেখালেখি শুরু। পেশাগত প্রতিষ্ঠা অর্জন করতে গিয়ে লেখালেখি থেকে বহু বছর দূরে ছিলেন। গত চার বছরের কিছু বেশি সময় ধরে নিয়মিত লেখালেখি করেছেন। এটা উনার সপ্তম কাব্যগ্রন্থ।
প্রকাশিত অন্যান্য গ্রন্থ:
কাব্যনাট্য:
পুনরাবৃত্তি (ই-বই, অক্টবর, ২০১২)
কাব্যগ্রন্থ:
অরণ্যে যাবো গৌরী (একুশে বইমেলা, ২০১৩)
স্বপ্নের ফানুশ পুড়ে (একুশে বইমেলা, ২০১৪)
চলো অসম্ভবে যাই (একুশে বইমেলা, ২০১৫)
কোলাজ কার্টুন (একুশে বইমেলা, ২০১৫)
আড়মোড়া ভাঙে ঘুমন্ত শহর (একুশে বইমেলা, ২০১৬)
অতল মন (জুন, ২০১৬)
…………………………..
জীবনের বকেয়া বিল
লেখক পরিচিতি :
কুহক মাহমুদ। জন্ম: ৬ই সেপ্টেম্বর, ঢাকা। পুরানো ঢাকায় স্থায়ী বসবাস আর বেড়ে ওঠা যৌথ পরিবারে। কবি কবিতাকে ভালোবেসে কখন যে সংসারের মায়া ত্যাগ করেছেন তা নিজেও জানেন না। কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ: ‘গোধূলির প্রস্থানে জ্বালাও পূর্ণিমা’।
নামানুষ
১৯৬২ সালের ৫ ডিসেম্বর, ময়মনসিংহে কবি আশুতোষ পাল ও শিউলি পালের সংসারে জন্ম।
লেখাপড়া- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষিবিজ্ঞানে স্নাতক এবং সুইডেন থেকে পরিবেশ বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা।
পেশা- এনজিও কর্মী দিয়ে শুরু এবং বর্তমানে সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত।
প্রকাশিত অন্যান্য বই- রাতপঞ্জি (২০০৩),পুননির্বাচিত আমি- ২০১১।
Asochorachor
এইসব গদ্যের জন্ম পৃথিবীর পশ্চিম গোলার্ধে। যেখানে পূবের বাতাস উড়ে যেতে যেতে পারি দেয় দু দুটি মাহাসাগর- আটলান্টিক ও প্যাসিফিক। সেখানে বসে ফেরদৌস নাহার কবিতার পাশাপাশি লিখছেন গদ্য। সেসব থেকে নির্বাচিত আটটি লেখা নিয়ে পশ্চিমে হেলান দেয়া গদ্য । গদ্যগুলো তিনটি পর্বে: চিত্রকলায়, চলচ্চিত্রে, কবিতায়।
পশ্চিমে হেলান দেয়া গদ্য
লেখক পরিচিতি :
মনির ইউসুফ। জন্ম: অসম্ভ্রান্ত কৃষি ও জেলে পরিবারে। ঈদগাহ, ইসলামাবাদ, কক্সবাজার। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির প্রতি তীব্র আকর্ষণ। সময় যাপন কবিতার ঘোরে।
প্রতিকবিতা ও অবাধ্য গোলাপ
সত্যি কথা বলতে গেলে রূঢ় এবং অসঙ্গত শোনাবে। তারপরও সত্য কখনো মূল্য হারায়না, সেই বিশ্বাসেই বলছি- যে অনুর্বর সামাজিক বলয়ে জন্ম থেকে বেড়ে ওঠা, সাহিত্য সৃষ্টির মত মহান ব্রত সেখানে স্বপ্নেরও অগোচর। তবু সেই স্বপ্ন আমায় দুঃসাহসী করে তুলল। সাধারণের উপহাস তুচ্ছ জ্ঞান করে দুঃস্বপ্নের হাতছানি ভরা পথে চলতে গিয়ে কখন যেন এই দুর্গম পথের পথিক হয়ে উঠি। পথ ভালবেসে চলায় ছন্দ আসে। অন্তরের গভীরে নিভৃত এক সংকল্প জাগে- “সৃষ্টিশীলতায় নিমগ্ন হয়ে থাকাই আমার সাধনা। এর মধ্যে দিয়েই আমি জগৎ, জীবন এবং পরমেশ্বরের আনন্দ উপলব্ধি করার চেষ্টা করব।’’ একনিষ্ঠা ধরে রাখতে পারিনি- হয়তো দৃঢ় মনোবলের অভাবে কিন্তু পথভ্রষ্ট হবার ভয়কে জয় করেছি। জীবনে এর চেয়ে উৎকৃষ্ট কোন কাজের সন্ধান জানা নেই। তাই সাহিত্য সাধনাই আমার একমাত্র সুন্দরের উপাসনা। তার ধারাবাহিকতায় “রবীন্দ্রনাথের বাবা স্বপ্ন দেখেছিলেন’’ ষষ্ঠ গল্প সঙ্কলন হিসেবে গ্রন্থিত হয়ে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। লেখক মাত্রই পাঠক প্রিয়তার প্রত্যাশা করেন। আত্মপ্রকাশের ক্ষেত্রে শঙ্কিত এ দূরাশা রইলই আগামীকালের জন্য।
পরিশেষে একথাটুকু না বললে বোধকরি সত্যের অপলাপ হবে- এই বন্ধুর পথ একেবারেই সঙ্গীবিহীন ছিল না। বন্ধু হয়ে, প্রেরণা হয়ে কেউ কেউ এসেছে মনের কাছে। ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের ছোট করার স্পর্ধা আমার নেই। প্রতিনিয়ত পরামর্শ দিয়ে কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করেছেন শ্রদ্ধাষ্পদ ড. অশোক মিস্ত্রী। প্রকাশনার কাজে সহধর্মীনী শ্রীমতি জয়া বিশ্বাস-এর সহযোগিতা না থাকলে বই প্রকাশ দুরূহ হত। ভুল-ভ্রান্তি যথা সম্ভব পরিহারের চেষ্টা সত্ত্বেও অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি-বিচ্যুতির জন্য ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি কামনা করছি।
রবীন্দ্রনাথের বাবা স্বপ্ন দেখেছিলেন
বিশিষ্ট ছড়াকার, উপন্যাসিক, গবেষক, সম্পাদক প্রবীর বিকাশ সরকার এর জন্ম ১৯৫৯ সালে, বাংলাদেশের সিলেট জেলার সুনামগঞ্জে। ১৯৭৬ সালে চাঁদের হাট সংগঠনের সাহিত্য সম্পাদক থাকাকালীন সাহিত্যচর্চার সূচনা। ১৯৮৪ সালে জাপান গমন। তার আরো ১১টি প্রকাশিত গ্রন্থ রয়েছে।
জানা অজানা জাপান (তৃতীয় খণ্ড)
ফিনিক্স পাখির ডানা
মায়ের জঠরে রক্তের নদীতে
সাঁতরে সাঁতরে
জন্মাতে চাইনি রক্তপাতে
অস্থির এই পৃথিবীতে
জন্মাতে চাইনি বলে
মা’র সাথে তর্কবিতর্কে-
অপেক্ষা করেছি নয় মাস
মা একদিন পৃথিবীর সব ব্যাথা
গোপনে শুষে বললো
বাছা, ন’মাস তো শেষ,
এবার জন্ম হও
আজ ১৬ ডিসেম্বর
একা এক দারুগাছ
ফেরদৌস নাহার, কবিতা ও গদ্য শ্রমিক। জন্ম, বেড়ে ওঠা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর। বর্তমানে কানাডায় বসবাস। কবিতার পাশাপাশি আঁকছেন ছবি, লিখছেন গদ্য ও গান। জনপ্রিয় ব্যান্ডদল ‘মাইলস’-এর সংগীত রচয়িতা। প্রিয় বিষয়Ñ মানুষ এবং প্রকৃতি। আকাশের ঠিকানা:
ferdousnahar@gmail.com
প্রকাশিত হয়েছে ১৩টি কবিতা ও ৩টি প্রবন্ধের বইÑ
কবিতা: ছিঁড়ে যাই বিংশতি বন্ধন (চর্যাপদ ১৯৮৬) সময় ভেঙ্গেছে সংশয় (নিখিল ১৯৮৭)
উলঙ্গ সেনাপতি অক্টোপাস প্রেম (নসাস ১৯৮৮) দেহঘর রক্তপাখি (চর্যাপদ ১৯৯৩)
রূপান্তরের ঘোড়া
রবিউল ইসলাম। হাস্যরসের প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগ। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রসিক আর আড্ডাপ্রিয়। হাস্যরসিক বন্ধুপ্রিয় এ মানুষটির জন্ম ১৯৭৭ সালেÑ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাধীন গোমস্তাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী শিবরামপুর গ্রামে। লেখাপড়া করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে। বিভিন্ন গবেষণা পত্রিকা, ম্যাগাজিন ও সাহিত্য পত্রিকায় তাঁর অনেক প্রবন্ধ, কবিতা ও গল্প প্রকাশিত হয়েছে। ইতোপূর্বে লেখকের ‘কই মাছটি এখনো নড়ছে’ (২০১৯) এবং ‘বিরুদ্ধ বাতাসে বালক’ (২০২০) শিরোনামে দুটি রম্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। যাপিত জীবনের বাস্তবতা থেকে উৎসারিত তাঁর রম্যগল্পগুলো। গল্পগুলোতে ভারত সীমান্তের কোল ঘেঁষে বিরাজমান শিবরামপুর গ্রামের প্রকৃতি ও মানুষের সহজাত ঘটনা বর্ণিত হলেও এটি মূলত আবহমান গ্রামবাংলার রসময় চিত্র ।
রবিউল ইসলাম ২৬তম বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। তিনি ২০০৬ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার আদিনা ফজলুল হক সরকারি কলেজে প্রভাষক বাংলা পদে যোগদানের মাধ্যমে চাকুরিজীবন শুরু করেন। ইতোপূর্বে তিনি সহকারী অধ্যাপক, বাংলা পদে চাকুরি করেছেনÑ রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী, বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজ, বদলগাছী, নওগাঁ ও ঠাকুরগাঁও সরকারি মহিলা কলেজে। বর্তমানে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে পি-এইচ.ডি গবেষণারত।
বাংলা সাহিত্যের বিচিত্র বিষয়ের তিনি একজন অনুসন্ধিৎসু পাঠক। লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত আছেন ছাত্রজীবন থেকেই।
‘চেরাগ আলীর ফুটবল কাল’ লেখকের প্রথম শিশুতোষ গ্রন্থ। এ গ্রন্থে তিনটি গল্প রয়েছে। গল্পগুলো শিশুদের উপযোগী করে লেখা হলেও যে কোনো বয়সের পাঠক এর গল্পরস থেকে বঞ্চিত হবেন না। গল্পগুলোতে লেখকের শৈশবকালীন স্মৃতিময় দিনগুলোর কথা শিশুমনের উপযোগী করে ব্যক্ত করা হয়েছে। কাহিনি বর্ণনায় হালকা রসের আশ্রয় নেয়া হয়েছে Ñ যা শিশুমনে অফুরান আনন্দ জোগাবে।
এ গ্রন্থে লেখকের শৈশব কৈশোরের দুরন্ত ও ঘটনাবহুল দিনগুলোর ছবি জীবন্ত হয়ে উঠেছে।
চেরাগ আলীর ফুটবল কাল
বাংলা সাহিত্যে অনেক কবিতা আছে যার ভেতরে গল্প আছে, কাহিনি আছে। আবার অনেক কবিতা এমন কিছু অনুভূতি বা ভাবে ডুবিয়ে দেয় যা থেকে গল্প বা কথাসাহিত্য নির্মাণ করা যেতে পারে। এমনকি কিছু কবিতা আছে যার ভেতরে এমন কিছু চরিত্র আছে, যে চরিত্রগুলোকে কেন্দ্র করে গল্প দাঁড় করানো যায়। যেমন, এক বনলতা সেনকে নিয়ে বাংলা সাহিত্যে বেশ কিছু গল্প-উপন্যাস লেখা হয়েছে। কবিতাকে অবলম্বন করে গড়ে ওঠা বেশ কিছু গল্প এক মলাটে আনার প্রয়াসেই এ সংকলনের পরিকল্পনা।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে—কেন এমন সংকলন? কেন কবিতাকে গল্পে রূপান্তরের প্রয়াস? গল্প লেখার বিষয় বা প্লট কি এতই অপ্রতুল হয়ে পড়ল যে কবিতার আশ্রয় নিতে হবে, কবিতাকে অবলম্বন করতে হবে? কবিতা কবিতার মতো থাক কবিতার জগতে, গল্প গড়ে তুলুক গল্পের জগৎ। দুটো জগতকে এক জগতে একাকার করার যৌক্তিকতা কী? প্রশ্নগুলো আকাশ-বাতাস থেকে আসে নি, আমাদের ভেতর থেকেই এসেছে। আসলে আমার কাছে যে উত্তর আছে তাকে শক্ত কোনো যৌক্তিক উত্তর দাবি করছি না। আর প্রয়োজনীয়তার প্রসঙ্গে যাবই না। এতটুকু বলতে পারি—ভাবনাটা যখন মাথায় এসেছিল তখন একটা বিষয় আমাকে প্রভাবিত করেছিল, তা হলো ‘বন্ধন’। কবিতাকে গল্পে রূপান্তর—কবিতা আর গল্পের মাঝে কি একটা বন্ধন তৈরি করছে না? সাহিত্যের অন্যতম দুটি শাখা হিসেবে কবিতা এবং গল্পের মাঝে গড়ে ওঠা এমন বন্ধন সাহিত্যের কোনো ক্ষতি অন্তত করবে না—এ কথা জোর দিয়েই বলা যায়। জোর দিয়ে এ-ও বলা যায়, কবিতার বীজে গড়ে ওঠা গল্প বরং কিছুটা হলেও সমৃদ্ধ করবে কথাসাহিত্যকে—এ সংকলনে লিপিবদ্ধ গল্পগুলো সে স্বাক্ষরই বহন করছে।
এ সংকলনের পাঠকদের জন্য আগাম শুভকামনা।
গল্পরূপে প্রিয় কবিতা
ইয়াকুব খান শিশির যতটা না অণুগল্পকার তারচেয়েও বেশি একজন অণুগল্পসমঝদার; বিজ্ঞ আলোচক। অণুগল্পকে অণুগল্প হিসেবে বুঝতে পারার মধ্যেও এক ধরণের মেধার প্রয়োজন হয়। প্রয়োজন হয় অণুগল্পসংশ্লিষ্ট জ্ঞান বা বোধ। এই জ্ঞান বা অণুগল্পবোধটির অভাব থাকলে অণুগল্পের মূল মূরতি দেখা পাওয়া সম্ভব হয় না। ইয়াকুব খান শিশির এমনি একজন পাঠক যার ভেতরে অণুগল্পবোধটি সবসময় জাগ্রত থেকেছে। অণুগল্পের ভেতর-বাহিরের জ্ঞান অর্জন করেছেন। সেই জ্ঞান দিয়ে তিনি ইতোমধ্যে অণুগল্পের প্রচার প্রসার এবং বাংলা সাহিত্যের একটি নবতর শাখা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট অবদান রেখেছেন।
রাজহাঁস ও অন্যান্য অণুগল্পের সফলতা কামনা করছি।
-বিলাল হোসেন
রাজহাঁস ও অন্যান্য অণুগল্প
Get access to your Orders, Wishlist and Recommendations.
There are no reviews yet.