Additional information
Weight | 0.200 kg |
---|---|
Published Year |
$ 1.13 $ 1.88
Weight | 0.200 kg |
---|---|
Published Year |
মুর্শিদা জামান। জন্ম: ১৯৮৩ সনে বর্তমান বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি জেলায়। শৈশব ও বেড়ে ওঠা দক্ষিণের খুলনা শহরে। বাংলায় অনার্স সহ এমএ করেন ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখির সূত্রপাত। কবিতা লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ছোট কাগজ ও সাহিত্য বিষয়ক মাসিক পত্রিকাতে ছোটগল্প প্রকাশিত হয়েছে। প্রকৃতি ও পশু-পাখির প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও সখ্যতা রয়েছে। বর্তমানে তিনি লেখালেখি নিয়েই ব্যস্ত।
অদৃশ্য ছায়ার প্রজাপতি
হাসানআল আব্দুল্লাহ। জন্ম: ১৪ই এপ্রিল, ১৯৬৭। গোপালগঞ্জ জেলার গোপিনাথপুর গ্রামে। তিনি প্রবর্তন করেছেন নুতনধারার সনেট। তার মৌলিক কাব্যগ্রন্থর সংখ্যা দশ। বিশ্বের বিভিন্ন ভাষার কবিতার অনুবাদে প্রকাশ করেছেন বিশ্ব কবিতার কয়েকছত্র। অন্যান্য প্রকাশিত গ্রন্থ- সনেটগুচ্ছ ও অন্যান্য কবিতা, আঁধারের সমান বয়স, এক পশলা সময় প্রভৃতি। ২০০৭ ও ২০১৫ সালে নিউইয়র্কের কুইন্স শহরের পোয়েট লরিয়েট ফাইনালিস্টের সন্মান পেয়েছেন।
বৃত্তের কেন্দ্রেও কবিতার মুখ
লেখক পরিচিতি :
নিখিল নওশাদ। জন্মসন: ১৯৮৯ইং। বড়িয়া, ধুনট, বগুড়া, বাংলাদেশ। ‘বিরোধ, ‘নিওর’ ও ‘নীড়’ পত্রিকার সম্পাদনা পরিষদের সাথে যুক্ত। এটি লেখকের প্রথম প্রকাশিত বই। এছাড়া ছোটগল্প বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছেন।
এটি একটি চিৎকার
বাবুল হোসেইন। জন্ম: তেঘরিয়া, সৈয়দপুর, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ।
আত্মমুগ্ধ শিকল
রনক জামান। জন্ম:১৬ই ডেসেম্বর ১৯৯১, মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলায়। লেখালেখির হাতেখড়ি ছোটবেলাতেই কবিতার প্রতি মুগ্ধতা থেকেই তার প্রতি ভালোবাসা। এটাই কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ। এছাড়াও প্রকাশিত হয়েছে, যৌথ কবিতাগুচ্ছ ‘মায়ানগরীর বৃষ্টিকথন’, কবিতার ই-বুক ‘শরীর ছোঁয়া আঙুলগুলো’ এবং অনুবাদ উপন্যাস ‘ললিতা’।
ঘামগুলো সব শিশিরফোঁটা
মেঘ অদিতি। কবি ও গল্পকার হিসেবে ‘দু’বাংলাতে পরিচিত। জন্ম: ৪মে, জামালপুর। বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কর্মরত। প্রকাশিত গ্রন্থ: ‘জলডুমুরের ঘুম (কাব্য)’ ‘অস্পষ্ট আলোর ঘোড়া (গল্প)’ ‘অদৃশ্যতা হে অনিশ্চিতি (কাব্য)’ এবং ‘সময় শূন্যতার বায়োস্কোপ (মুক্তগদ্য)।
প্রবেশিধকার সংরক্ষিত
ডালিয়া চৌধুরী। তোলারাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্স মাস্টার্স শেষ করেছেন। কবিতার প্রতি ভালোবাসা থেকে কবিতা লেখার সূত্রপাত। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ, ‘অনুভবে সুখ’ ‘মেঘময় নিকুঞ্জে রধুন‘ ও ‘জলজ কামনা’।
নীল গোধূলি
নাহিয়ান ফাহিম। জন্ম: ২৩শে মার্চ, ১৯৮৪। ময়মনসিংহ জেলা। ঢাকাতে বেড়ে ওঠা। মূলতঃ পাঠক, ফলতঃ লেখক। সাহিত্য পত্রিকা ‘জলমাঝি’র সম্পাদক। মার্কেংটিং বিভাগে স্নাতকোত্তর। পেশাগত জীবনে একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ভিনদুপুরের নোটবই’।
মধ্যবিত্ত কবিতা
সঞ্চয় সুমন। ঢাকাবাসী এক কবি। যে শুধু কল্পনার রঙে আঁকে শব্দ খেলার মাঠ। এই গ্রন্থটি কবির প্রথম কাব্যফসল।
গুপ্ত সমরে মুক্তির ঠিকানা
লেখক পরিচিতি :
শারমিন রাহমান। জন্ম: ১৬ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৩। দ্ইু সন্তানের জননী। বাংলাদেশের স্বনামধন্য স্কুলগুলোতে দীর্ঘ ১৫ বছর শিক্ষকতা শেষ করে বর্তমানে চট্টগ্রাম আর্ট সেন্টার ‘ধ্যান’ এর পরিচালক। বিশেষ আগ্রহ আছে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে। এটি কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
অপ্রাকৃত কবচ
সিদ্দিক প্রামানিক। জন্ম: ২১শে আগস্ট ১৯৭৯, কুস্টিয়ার কুমারখালী থানার চরভবানীপুরগ্রামে। বাংলা সাহিত্যে মাস্টার্স শেষ করে বর্তমানে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন এবং বাম প্রগতিশীল সংগঠনের সক্রিয় সংগঠক ও সংস্কৃতকর্মী। প্রথম বই ‘হাঙরের সমুদ্রে মননশীল মাছ’।
উন্মাদের কনসার্ট
লেখক পরিচিতি :
হামীম ফারুক। পুরো নাম: গোলাম ফারুক হামীম। জন্ম: ২৪শে অক্টোবর, ১৯৬৩, ঢাকা। প্রথম তারুণ্যে কাজ করেছেন ইংরেজি পত্রিকা নিউ নেশন-এ। সাংবাদিকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করে এখন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। মূলস্রোতের সাহিত্য পত্রিকাগুলোতে একটানা লিখেছেন ১৯৮৭ পর্যন্ত। মাঝখানে বিরতি দিয়ে পুনরায় আগমন প্রথম কবিতার বই ‘রোদ ও ক্রোধ, মাঝখানে সাঁকো’ দিয়ে। একটি ই-বুক আছে, ‘নক্ষত্রের চিরকূট’। এটি লেখকের তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ।
প্রকৃতি পুরাণ
লেখক পরিচিতি :
সাবরিনা সিরাজী তিতির। জন্ম: ২৬শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৫। বেড়ে ওঠা ফরিদপুরে। শিক্ষকতা করেছেন ফরিদপুরেই। বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। প্রকাশিত হয়েছে দু’টি কাব্যগ্রন্থ ‘মেঘ হয়ে যাই’ ও ‘আগুনজল’। একটি গল্পগ্রন্থ ‘রঙের ওপারে’।
সত্যি মুখোশ মিথ্যে মুখোশ
ভূমিকা
‘সীমান্তিনী’ আমার লেখা দীর্ঘ কবিতার মধ্যে অন্যতম। বারোটি কবিতা নিয়ে এই বইটি। কবিতায় প্রকাশ পেয়েছে প্রেমের পাশাপাশি পাহাড়ি সৌন্দর্য, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী গারো, হাজং প্রভৃতি আদিবাসীদের সংস্কৃতি, ইতিহাস-ঐতিহ্য ও তাদের জীবনধারা। পাহাড়ি নারীর সৌন্দর্য, বালুকণা, সমুদ্র, আঁকাবাঁকা-উঁচুনিচু পথের দৃশ্যও এই বইতে চিত্রিত হয়েছে। প্রতিটি কবিতার পাতা রাঙানো হয়েছে ভালোবাসার রঙে।
কিসিঞ্জার ভূঁইয়া
০১ সেপ্টেম্বর, ২০২০
সীমান্তিনী
আমি কী আর জন্মেছিলাম মানুষ হিশেবে?
জন্মেছিল আবু তাহের, এই লোকটা কে?
মুখ চিনি না তবু মুখের আদল ধরে হাঁটি
শরীর খুলে বাইরে এসে ছায়ায় পরিপাটি।
আমি হয়তো ছায়ার মানুষ, শরীর আরেকজন
তার শরীরেই আড়াল হয়ে বাঁচার আয়োজন।
কার সে জীবন আমার কাঁধে, আমি-ই যে হায় কার
একই সাথে খাচ্ছি-দাচ্ছি ঘুমোচ্ছি আবার।
আমার যে, সে কোথায় থাকে? কোথায় বাড়িঘর?
তার সাথে কী বদলেছে এই আমার টিনের ঘর?
গোধূলির জাদুকর
আত্মক্ষয়ের এক সমীক্ষণ এই ম্যানিকুইন। বিজ্ঞানমনষ্ক, শিল্পচর্চায় নিবেদিত এই উপন্যাসের কথক নিজ শিল্পসামগ্রী নিয়ে বাজারে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতে অনাগ্রহী। এটা তার হীনমন্যতার স্মারক। কিন্তু চর্চা তার অবিরত।
যে নারীকে সে ভালোবাসতো, তার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে পাঁচ বছর কিন্তু তাকে ভুলতে পারে না। তার পছন্দের একটি নীল শাড়ি সে কিনে ফেলে এই আশায় যে যদি কোনদিন ফিরে আাসে।
আসেনি।
তার অন্য কোন নারীর সঙ্গে সম্পর্কও হয়নি। সে কল্পনায় বিজ্ঞানী এরভিন শ্রয়েডিঙ্গারের সংগে কথা বলে, হাজির করে নচিকেতা, পুলক এবং মানবেন্দ্রকে তার একাকী নিবাস চিলেকোঠায় এক চন্দ্রালোকিত রাতে যখন সে দেখে সেখানে ফুটেছে চন্দ্রমল্লিকা।
গান এবং লেখা তার সাধনার বিষয়। এদিকে তার স্বরযন্ত্রে সমস্যা দেখা দেয়। পরীক্ষা করে দেখা যায় সেখানে কর্কটরোগ দানা বেঁধেছে। তার জগত বদলে যায়। আলমারি থেকে নীল শাড়িটি বের করে সে বাজার থেকে কিনে আনা ম্যানিকুইনে পড়াতে থাকে। সে ভাবে ম্যানিকুইনের অপ্রাণ নারীটিই তার ফিরে আসা ভালোবাসার নারী…
Maniqueen - Ahsan Habib
তমসা অরণ্য নামের ভেতরে যেন খুব ক্রূর, বিকারগ্রস্ত, নিকষকালো অন্ধকার এক বনাঞ্চলের বাস। সেখানে বেঁচে থাকার জন্য প্রতিটা প্রাণী প্রতিনিয়ত কামড়াকামড়ি করছে আর অন্ধকার বনাঞ্চল নিজে সেই কামড়াকামড়ি উপভোগ করছে। আমাদের সমাজও এ দশার ব্যতিক্রম নয়; এখানে ব্যক্তি নানান সমস্যায় জেরবার আর সমাজ সেই টানাপোড়েন দেখে যাচ্ছে নির্বিকারে। অবশ্য লেখক এ বইয়ে তাঁর গল্পগুলোয় সমাজ ও ব্যক্তিকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়ে এক ধরনের চিৎকার কিংবা ধিক্কার, বদল কিংবা কোন্দল তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছেন।
জীবন, মানুষ ও সমাজকে দেখার ব্যাপারে লেখকের নিজস্ব দর্শনের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে গল্পগুলোয়। দক্ষ শিল্পীর হাতের সামান্য কাজও যেমন ফেলনা হয় না, তেমনি পরিশ্রমী ও নিবেদিত লেখকের লেখা বরাবরই পাঠককে সমৃদ্ধ করে। তাই একজন কবি যখন গল্পের জাদু ছড়িয়ে দেন, আমরা পাঠকেরা সেই জাদু দেখে মুগ্ধ হই। শেষ পৃষ্ঠায় পৌঁছুতে পৌঁছুতে জাদু লেগে থাকে আমাদের চোখে, আঙ্গুলে। যেহেতু তমসা অরণ্যের লেখার নিজস্ব একটা ধরণ আছে, আশা করা যায় তিনি সেখানে টাইপড না হয়ে বহুমাত্রিক সৃজনশীলতার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হবেন। এখন দেখার বিষয়- এ বইয়ে লেখকের চিন্তার গভীরতা, দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতা এবং প্রাসঙ্গিক মেটাফোর পাঠককে কতটা নাড়া দিতে পারে।
Nai Santaner Janani - Tomosha Aronny
নাহিয়ান ফাহিম। জন্ম: ২৩শে মার্চ, ১৯৮৪। ময়মনসিংহ জেলা। ঢাকাতে বেড়ে ওঠা। মূলতঃ পাঠক, ফলতঃ লেখক। সাহিত্য পত্রিকা ‘জলমাঝি’র সম্পাদক। মার্কেংটিং বিভাগে স্নাতকোত্তর। পেশাগত জীবনে একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ভিনদুপুরের নোটবই’।
মধ্যবিত্ত কবিতা
আমাদের অণুগল্প দুনিয়ায় একজন অসামান্য অণুগল্পকার আছেন। তার অণুগল্পের অনেকগুলি বৈশিষ্ট্যের মধ্যে একটি হল- বিষয় নির্বাচন। এই অণুগল্পকার মনে করেন অণুগল্প অণুগল্প হয়ে উঠল কি না সেটা প্রাথমিকভাবে নির্ভর করে গল্পটির বিষয়বস্তু কি- সেটার ওপর। তারপর অন্যান্য উপাদানের সমন্বয়ে গড়ে উঠবে। এইসব ভাবনা থেকেই হয়ত তার গল্পের মধ্যে বিচিত্র বিষয় এসে ধরা দেয় ভিন্নরূপে।
যার সম্পর্কে কথা বলছি তিনি- শাহেদ সেলিম। শাহেদ সেলিম অণুগল্পভাবুক।
অনেক বিষয় নিয়ে তার অণুগল্পচর্চা, কিন্তু একটি বিশেষ বিষয়ে তার দক্ষতা অপ্রতিরোধ্য।
সায়েন্স ফিকশন অণুগল্প হিসেবে শাহেদ সেলিম এর তুলনা নেই। নজরকাড়া উন্নতমানের সায়েন্স ফিকশন লিখেছেন। তার ভেতরে একজন সায়েন্স ফিকশন লেখক বাস করে। ‘বিজ্ঞান এবং কল্পনা’ -এই দুইয়ের যথাযথ সংকরায়নে তৈরি হয় যে বিজ্ঞান কল্পকাহিনী, শাহেদ সেদিক থেকে পরিপূর্ণ। সে ইচ্ছে করলেই লিখতে পারে সায়েন্স ফিকশন অণুগল্প -এ বিশ্বাস আমার ছিল অনেক আগে থেকেই।
বর্তমান গ্রন্থটি সায়ন্স ফিকশন ছাড়াও অন্যান্য অণুগল্পের মিশেলে অসামান্য একটি প্রকাশনা।
-বিলাল হোসেন
হারাধনের ঝোলা
মহাকালের বুক চিড়ে বেরিয়ে আসা
এক কণ্ঠস্বর আমি
আমি নরের কন্ঠ
নারীর কন্ঠ,
শিশুর কন্ঠ
বৃদ্ধের কন্ঠ,
আমার কোন লিঙ্গ নেই
কোন শরীর নেই
আছে শুধু এক
দুর্বিনীত কন্ঠস্বর
যা মানুষের কথা বলে অবিরত।
আমার ক্ষয় আছে
মৃত্যু আছে
কিন্তু বিনাশ নেই।
এক অবিনাশী কন্ঠস্বর আমি।
Mohakaler Rudro Dhoni by Nusrat Sultana
‘আপাদমস্তক তোমাকে অনুধাবন করি/নবান্নের ধানের গোলা থেকে বেরিয়ে আসা/ভাপের মতন সে অনুভব/এ আমার অনুভ‚তিকাল’, এই অনুধাবনই নূরুন্নাহার মুন্নির বড় শক্তি। মুন্নি তার কবিতায় সবশুদ্ধ একটি ছবি আঁকতে আগ্রহী, যা কখনো কখনো আসল নাও হতে পারে। কিন্তু দৃশ্যমান সেই ছবিÑ তা যেই তার কবিতা পড়ুক, অনুভব করবেন। তার কবিতায় আরও নজরে আসে শব্দের ব্যবহার। কি নিখুঁতভাবে দেশি-বিদেশি, পরিচিত-অপরিচিত, ব্যবহৃত-অব্যবহৃত শব্দকে সেঁটে দেওয়া যায়, কেমন আশ্চর্যভাবে গেঁথে দেওয়া যায়-তা তিনি দেখান প্রায় প্রতিটি রচনায়।
সমসাময়িকদের সঙ্গে তার তফাৎ বোঝার জন্য অন্য আরেকটি দিকে আলো ফেলা যায়, মুন্নি খুব সাধারণ ঘটনাকেও কবিতার বিষয় করে তোলেন। তার কবিতায় আবেগ আছে, কল্পনা আছে, আছে আলোছায়ার খেলা। কিন্তু প্রকৃত ভাবটিকে প্রকাশের ক্ষেত্রে তা লক্ষ্যচুত হয় না। পাঠককে অল্পবিস্তর সূত্র ধরিয়ে দিয়ে মুন্নি বোকা বানাতে চান না বলেই তার লেখার ভেতরে বেঁচে থাকার তুমুল উত্তেজনা অনুভূত হয়। তার কবিতা ছিন্নভিন্ন, বিপর্যস্ততার ভেতর থেকে প্রাণের সন্ধান করে, সুন্দরের সন্ধান করে, দরদভর্তি কণ্ঠে মানুষের আর্তিকে তুলে ধরে। ‘কেউ থাকে অন্ধকারে’ দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থের ভেতর দিয়ে নির্মম, নিষ্ঠুর সময়ের দিকে নুরুন্নাহার মুন্নির যে যাত্রা, তা কেবল অন্তর্র্দৃষ্টিসম্পন্নের পক্ষেই সম্ভব।
মামুন রশীদ
কবি, সাংবাদিক
১৫ জানুয়ারি, ২০২৪
Kew Thake Andhokare - Nurunnahar Munni
কবিতা জীবনের কথা বলে, জীবন বদলানোর কথা বলে। জীবনের নানাবিধ ঘটনাবলী একজন কবির মনে যে উদ্দীপনা জোগায় কবিতা তার সকল বাহির-রূপ প্রকাশে। কবি সামাজিক মানুষ, সমাজের অভিজ্ঞতাই কবির চেতনাকে আলোড়িত করে। তাই কবিতা কতো রকম, এবং সবটাই কবির চেতনা নির্ভর। কবি দ্বীপ সরকার এর কবিতায় আধুনিকতা অভিজ্ঞতার জাগরণে যে পঙক্তিমালা আমাদের কাব্যপ্রেমীদের কাছে উপস্থিত তাতে হয়তো নির্মাণ দূর্বলতা রয়েছে, কিন্তু আমার স্থির বিশ্বাস কবি এই শুরুর পর্যায় থেকে লাগাতার কাব্যপ্রীতির মধ্যদিয়ে একদিন কাব্যরাজ্যের সকল মনিকাঞ্চন কুড়িয়ে নিতে পারবেন তার কবিতায়। যেমন তিনি বলেছেন ‘আমার প্রকাশ্য এবং গোপন/কথাদের মর্মার্থ একটাই ‘মানুষ হও/ধর্ম একটা পতাকামাত্র;/মানুষ মানেই সকল ধর্মের মধুফুল’ (….ভারতবর্ষ থেকে হেঁটে হেঁটে তাঁবেদার ঘোড়া)। কিংবা যখন বলেন ‘এখনও এই উঠোনে কথারা নাচলে/ কিছু সুপ্ত কথা ঝুনুর ঝুনুর বাজে’ (…প্রাক্তন কথারোদ)। এমনি ভাষ্যগুলো আধুনিক মনোবৃত্তিকে ধারণ করে হয়ে ওঠে মুখরিত শব্দবলীর এক অন্তরধ্বনি যা খানিকটা চমকে দেয় আমাদের।
কবিতার রাজ্যে কবি দ্বীপ সরকার এখনও প্রস্তুতি পর্বে, তারপরও কবিতার প্রারম্ভিক ভাষ্য থেকে বেরিয়ে আসা উপ-ভাষ্যগুলোর উপস্থাপন তার কবিতা মনোবৃত্তিরই স্ফূর্ততা। গতি বিজ্ঞানের এই সময়ে কবিতার যে স্বাস্থ্যশ্রী রূপ বদল ঘটেছে কবি দ্বীপ সরকার তাকে খানিকটা হলেও ধারণ করেন এবং বহুল চর্চার মধ্যদিয়ে একদিন তিনি আরো বেশি সক্রিয় পঙক্তিমালা নির্মাণের উপকরণ পেয়ে যাবেন সমৃদ্ধ বাংলা কাব্য ভূমিতে।
আমি তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ভিন্ন ভাষার গোলাপজল’ প্রকাশনা মুহূর্তে সকল সফলতা কামনা করি।
মতিন বৈরাগী
কবি, প্রাবন্ধিক ও সমালোচক
ভিন্ন ভাষার গোলাপজল
“সৃজনশীলতা, কল্পনাশক্তি, বিজ্ঞানী আইনস্টাইন, পিংক ফ্লয়েড, এনাদার ব্রিক ইন দ্যা ওয়াল, এনাদার ফাকিং ব্রিক ইন দ্যা ওয়াল! দরোজা ভাঙো, শেকল ছেঁড়ো, দেয়াল ভাঙো, এই এডুকেশন সিস্টেম তোমাকে বিকলাঙ্গ করে দিয়েছে। তোমরা এর নেপথ্য কারিগর হে চতুষ্পদ এবং আলখাল্লা। তোমাদের কারণে আজ তাতিন কলা অনুষদে পড়ে শর্টকার্টে রকেট সায়েন্স শেখার মওকা খোঁজে। আজ একটা হেস্তনেস্ত হবে’
চমৎকার শোনা গেলো এখন দেখা যাক প্রতিপক্ষ কী উত্তর দেয়,
“দুধ দিয়ে আনারস খাওয়ার কারণে শত শত শিশু মারা যাচ্ছে।
সাবধান!
ব্রিজে শত শত শিশুর কাটা মাথা আর রক্তপি- পড়ে আছে
সাবধান!
এইখানে পাপ, ঐখানে পাপ, এইটা করলে গুনা, বুঝলা আমার সুনা?
সাবধান!
অবশ্য এর প্রতিবিধান আছে। তাবিজ কবজ এবং দুয়া-দুরূদ। আপনারা আলোর পথে আসুন। আপনাদের চোখে শক্তিশালী টর্চলাইট মারা হবে। এ দে দিনি ঐডে হেনে”।
আমরা দেখতে পাচ্ছি আলখাল্লা পরিহিত প্রাণীটির হাতে একটি শক্তিশালী টর্চলাইট। তিনি আলো ফেলছেন দুই এলিয়েনের চোখে। চমৎকার একটি আক্রমণ। প্রতিপক্ষকে বেশ মুষড়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে। এদিকে চতুষ্পদ প্রাণীটি সন্তুষ্ট হয়ে ডাকছে তার নিজের মোটা সুরে। খেলার এ পর্যায়ে পানি পানের বিরতি।
ছহি রকেট সায়েন্স শিক্ষা
কবি ও প্রাবন্ধিক স্বপঞ্জয় চৌধুরীর দ্বিতীয় প্রবন্ধের বই “শিল্প সাহিত্যের নিবিড় অনুসন্ধান ও পাঠ বিশ্লেষণ: নিভৃত ভাবনার জলযান” মূলত তাঁর দীর্ঘদিনের পাঠাভ্যাস ও চিন্তার প্রকৃষ্ট ফসল। এ গ্রন্থে তিনি মোট ২৪ টি নিবন্ধ সংযোজন করেছেন। যাতে তিনি আলোকপাত করার চেষ্টা করেছেন কবিতা, সাহিত্য, দর্শন, ও চলচ্চিত্রসহ শিল্পকলার বিভিন্ন মাধ্যমের দিকে। কবিতা ও কথাসাহিত্যের নন্দনতাত্তি¡ক ভেতরবাড়ির আনাচকানাচ পর্যবেক্ষণ করে তা তুলে ধরার পাশাপাশি তিনি চলচ্চিত্র ও লিটলম্যাগ নিয়েও প্রয়াস চালিয়েছেন তাঁর নিবন্ধের বইটিতে। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কবি সাহিত্যিকদের বিভিন্ন লেখাকে তিনি পাঠ পরবর্তী বিশ্লেষণের মাধ্যমে এক ভিন্ন শিল্পরূপে দাঁড় করিয়েছেন যা সত্যিই প্রশংসনীয়। গদ্যসাহিত্যের বিকাশমান ধারায় তাঁর এ গ্রন্থটি সিরিয়াস ও মনোযোগী পাঠকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ স্থান পাবে বলে আশাকরি।
– আহমেদ শিপলু।
কবি ও নন্দনতাত্ত্বিক, সম্পাদক – ‘মগ্নপাঠ’
Shilpo sahityer Nibir Anusondhan O Path Bislation - Nibir Vabonar Jalzan - Swapanjoy Chowdhury
সচৈতন্যের শূন্যবাদ অস্তিত্বাশ্রয়ী যে ভাবনা রয়েছে গহনে প্রবিষ্ট তাকে উজ্জ্বল চেতনার রূপ দেবো ভাষার হাত ধরে— সর্বতোমান্য আবেগে কাব্যকে লক্ষ্যভেদী করার সে সাধনা আমার অর্জিত হয়নি। ভাবনাকে আবেগতাড়িত ও আবেগকে ভাবনাতাড়িত করার ধীমতি উপপাদ্য সুদূরের কুয়াশায় ধূসরিত হৃদয়ের মন্থনদণ্ড উজ্জ্বলতা হারায় মানসিক পরিশ্রমে। সুশিক্ষিত কাব্যকে ঘিরে জ্বালাতে চাই তবু বিদগ্ধ দীপাবলী। সকল ব্যথিত বাঁধনের যে মহাছন্দ অসীম শূন্যের অলঙ্ঘ্য নিয়মপথে তরঙ্গিত হয়, সে উন্মত্ত রাগিনী নিয়ত ছুটে চলছে যে অমোঘ আলোর পথে, সে পথে তপতীর ছায়ার মত থেকে যেতে চাই কবিতার বুকে নিভৃতনিলয় সুখে। আমার চিন্ময় প্রকৃতির গভীরে অনুরণিত হয় যে কম্পিত সুর, সে সুরের বন্ধনহীন বারতা সুহৃদের সাথে ভাগ করে নিতে চাই “যে সুর বাজে গহীনপুরে” কবিতাগ্রন্থের মধ্য দিয়ে।
অবিরাম এই যে ছুটে চলি মাঠে-পথে, হাওয়ায়-শূন্যে, জলে-ডাঙায়, উপরে-নিচে, আকাশে-দিগন্তে—এই পরিক্রমায় সারা পথজুড়ে আমাকে যারা জড়িয়ে আছে অনুভাবুক হয়ে—রতন কুমার ঢালী- আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন, চন্দ্রাত্মজ ঢালী—যার গভীরে আমি ডুবে যেতে চাই, রিখিয়া ঢালী—যার ভালবাসা আমার জীবনকে অর্থবহ করেছে, সন্তোষ কুমার শীল—যে আমাকে কাব্য জগতে আহ্বান জানিয়েছে, এছাড়া ড. অশোক মিস্ত্রী, নির্জন মজুমদারসহ আমার সকল প্রিয়জন যারা আমাকে কাছে বা দূরে থেকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন—তাদের সকলের প্রতি রইল আমার গভীর কৃতজ্ঞতা।
যে সুর বাজে গহীনপুরে
Get access to your Orders, Wishlist and Recommendations.
There are no reviews yet.