Additional information
Weight | 0.275 kg |
---|---|
Published Year |
$ 2.12 $ 3.53
ভূমিকা
অনেকগুলি গল্প কবিতা ও দু’একটি উপন্যাস লিখে ফেলার পর হঠাৎ মনে হলোÑ ছোটদের জন্য তো কিছু লেখা হয়নি! তখন মনে পড়লো আমার ছোটবেলায় গ্রামীণ আবহে শোনা গল্পগুলির কথা। যার ফলশ্রুতিতে এ বইটির সৃষ্টি। ‘সোনার নাও পবনের বৈঠা’ বইখানি যদি ছোটদের একটু আনন্দ দিতে পারে তবে নিজেও আনন্দিত হবো। এ গ্রন্থ সৃষ্টি হওয়ার মূলে যে গল্পগুলি তার জন্য যাঁদের কাছে আমি ঋণী তাঁদের নাম করতে গেলে প্রথমেই আমার মেজো’পা (মিলা’পা), কাজিন সেতন আপা ও বিন্দুবাসিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের বাংলার শিক্ষক বীথি আপার নাম করতে হয়। তাদের কাছে শোনা গল্পগুলি আমার মনন গঠনে সাহায্য করেছে।
এ বইয়ের পা-ুলিপি তৈরীতে যিনি সর্বোতভাবে সাহায্য করেছেন তিনি আমার প্রেরণাগুরু প্রয়াত সাংবাদিক জনাব ফরহাদ খাঁ। তাঁর ইচ্ছা ছিল পা-ুলিপিখানির সর্বশেষ ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধন, পরিমার্জন ও সম্পাদনা করবেন। কিন্তু ঘাতকের নিষ্ঠুরতায় তাঁকে অসময়ে চলে যেতে হলো বলে সে আশা পূর্ণ হলো না। তাই শেষ কাজটুকু আমার ছোট ছেলে অর্ণব হাসনাতকে দিয়ে করাতে হলো। আমার এ বইটি সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমার বড় ছেলে সুবর্ণ আহসান আমাকে সর্বপ্রকারে উদ্দীপনা জুগিয়েছে এবং সাহায্য সহযোগিতা করেছে। সাংবাদিক ফরহাদ খাঁর পর যে দুই ব্যক্তিত্বের নাম উল্লেখ করতে হয় তার একজন হলেন চাকরিক্ষেত্রে আমার একসময়ের বস জনাব শামসূয জাহান নূর ও অন্যজন সাংবাদিক ভাই ও বন্ধু কাজী সালাহ উদ্দীন আহমেদ। এ ছাড়া আমার লেখকবন্ধু মহিউদ্দীন আকবর এ বইয়ের গল্পগুলি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ছেপে ও বিভিন্নভাবে আমাকে উৎসাহ উদ্দীপনা জুগিয়েছেন।
উপরোল্লিখিত ব্যক্তিবর্গের প্রতি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। গল্পগ্রন্থটির ভুলত্রুটি ও ভালমন্দ পাঠক সুধীজন ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে মন্তব্য জানালে বাধিত হবো।
লেখক।
Weight | 0.275 kg |
---|---|
Published Year |
রাজীব নূর খান। জন্ম ১৯৮৫ সালে ঢাকায়। বর্তমানে ফটোসাংবাদিক। আড্ডা দেয়া ভীষণ পছন্দ। কাজের ফাঁকে মাঝে মধ্যে লেখার চেষ্ঠা করেন। মানুষের গভীর গোপন অনুভূতিগুলো ছবি ও লেখালেখির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলোর চেষ্টা করেন। এলামেলো জীবনে অভ্যস্ত হলেও আগোছালো কাজ সহ্য করতে পারেনা একেবারেই।ওর ভীতর রয়েছে আশ্চর্য এক সুন্দর শৈল্পিক সত্ত্বা; যাপিত জীবনের খুব তুচ্ছ বিষয়কেও নিজের রুচিবোধ আর সৃজণী ক্ষমতা দিয়ে পরম উপভোগ্য আর সুখপাঠ্য করে তোলেন।
টুকরো টুকরো সাদা মিথ্যা
ভাস্কর চৌধুরী মূলত গল্প ও উপন্যাস লেখক। কবি হিসেবেও তার সমান খ্যাতি। লেখার মূল বিষয়বস্তু বরেন্দ্র অঞ্চলের মাটি ও মানুষ। জন্ম- চাঁপাইনবাবগঞ্জ। শিক্ষাজীবন কেটেছে রাজশাহী শহরে। কর্মজীবনে চলে আসেন ঢাকায়। আশির দশক থেকে তার লেখা প্রকাশিত হতে থাকে। মাঝে দশ বছর দীর্ঘবিরতির পর আবার লেখালেখিতে ফিসে আসেন। রক্তপাতের ব্যাকরণ তার প্রথম গল্পগ্রন্থ। এ পর্যন্ত বিশটিরও অধিক বই লিখেছেন। এর মধ্যে উপন্যাস ধনসা মাতি ও তার জীবনবৃক্ষ, গল্পÑ কৃষ্ণপুরাণ, গন্তব্যহীন যাত্রা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
গল্পের বনসাই
ফজিলা ইসলাম ফৌজি নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে ১৯৭২ সালের ৮ই মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতৃনিবাস মেহেরপুর জেলার কোলা গ্রামের বাবু পাড়ায়। পিতার নাম মোঃ হাফিজ উদ্দিন মাতার নাম মোছাঃ রাকিবা বেগম।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হিসাববিজ্ঞান বিভাগ (অনার্স মাস্টার্স) শেষ করে ১৯৯৯ সালে রাজশাহীর ইসলামিয়া কলেজে শিক্ষক হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে কলেজ পরিবর্তন করে বর্তমানে তিনি মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার গাংনী মহিলা ডিগ্রী কলেজে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হিসাবে নিয়োজিত আছেন।
একান্ত নিভৃতে লেখালেখি দিয়ে কাব্য চর্চা শুরু। কবিতা, ছোট গল্প লেখার পাশাপাশি তিনি উপন্যাস লেখার চেষ্টা করছেন। লেখকের লেখা কবিতার বই “ মা‘কে মনে পড়ে” (২০১৪ অমর একুশে বইমেলা) থেকে প্রকাশিত, গল্পগ্রন্থ “মানচিত্রে রক্তক্ষরণ” (২০১৬) অনুপ্রাণন প্রকাশনা। স্বামী মোঃ আমিরুল ইসলাম। দুই সন্তানের জননী ফজিলা ইসলাম ফৌজির প্রিয় শখ বই পড়া, গান শোনা ও ক্রিকেট খেলা দেখা।
একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে
মির্জা মুজাহিদ। পেশাগতভাবে বিজ্ঞাপন শিল্পের সাথে জড়িত। জন্মেছেন নড়াইল শহরে। এখন ঢাকায় থাকেন। চেষ্টা করে যাচ্ছেন নিয়মিত ‘কথা’র শিল্পী হতে।
বিপ্রতীপ
অপু শহীদ। ১ লা ফাল্গুন ১৯৭১ সাল। গর্ভের অন্ধকার থেকে পৃথিবীর অন্ধকারে বসবাসের শুরু। পুরোনো ঢাকার নারিন্দার- বেগমগঞ্জ লেনের গাড়ি না ঢোকা সরু গলির শেষ মাথার একতলা ঘরে জন্ম। চুন-সুরকির খসে পড়া দেয়াল ধরে ধরে বেড়ে ওঠা। স্কুলজীবন নারিন্দা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। পরবর্তিতে অনিচ্ছাসত্ত্বেও বন্ধুর অনুরোধে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন।
জীবন ধারণের জন্য দাসত্ব না মানায় কেবলই এক থেকে আরেক অনিশ্চিত জীবনে প্রবেশ। বিদ্যমান সমাজব্যবস্থার সাথে আজন্ম বিরোধ। এখনও স্বপ্ন দেখেন কপর্দকশূন্য ভবঘুরে হওয়ার।
আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে বাহাদুরশাহ পার্কের ছাউনিতে বসে লেখালেখির শুরু। এই সময় থেকেই থিয়েটারের সঙ্গে সম্পর্ক। অভিনয়-নির্দেশনা-নাট্য রচনায় সক্রিয় অস্তিত্ব। আক্ষরিক অর্থেই খাদ্যাভ্যাসে সর্বভূক। পঠন-পাঠনেও সর্বভূক। পাঠের মধ্য দিয়েই একা একা নির্জন গভীর পথের সন্ধান করেন। জীবনের গভীরে ডুব দিয়ে তুলে আনেন স্মৃতির কোলাজ। লেখার সময় ঘোরের মধ্যে থাকেন। অথবা ঘোরের মধ্যেই লেখেন। প্রায়শই লেখা হারিয়ে ফেলেন।
ধর্ম-অধর্ম প্রথা-বিদ্রোহ কিংবা ভবঘুরেশাস্ত্র কোনও কিছুর জন্যই আর অস্থিরতা নেই। নিগূঢ় ধ্যানমগ্ন হয়ে সময়কে প্রিজমে ফেলে বহুবর্ণ কাচের ভেতর দিয়ে দেখেন। সেখান থেকেই খুঁজে নেন গল্প-কবিতা-নাটক। কোনও তত্ত্বে-তথ্যে বাস্তবিকই কোনও আস্থা নেই আর। নেই ঈশ্বর থেকে ঈশ্বরী কোনও কিছুতেই বিশ্বাস। নেই অবিশ্বাসও। একে ঠিক সংশয়বাদ বলে কিনা তা নিয়েও আছে সংশয়।
নগর জীবনের সাজানো মূল্যবোধ দাঁতাল যন্ত্রণা ক্লান্তি-বিকার ধরা পড়ে তাঁর লেখায়।
সার্বজনীন নিরবতা চুক্তি
মোঃ জিয়াউল হক; জন্ম : ১৯৮১ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি, গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার গোবিন্দী গ্রামে। পিতা- মোঃ নাছির উদ্দীন, মাতা- মোছাঃ জাহানারা বেগম। পড়াশোনা : এম.এ (রাষ্ট্রবিজ্ঞান)। পেশা : দীর্ঘ এক যুগ ‘গ্রাফিক ডিজাইনার’ ও ‘পেইন্টার’ হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করার পর, বর্তমান পেশা শিক্ষকতা।লেখালেখির হাতে খড়ি হয় ১৯৯৫ সালে। লেখালেখির শুরুটা মফস্বল এলাকার নাট্যপ্রেমী ছেলেদের জন্য মঞ্চ নাটকের কাহিনি রচনার মধ্য দিয়ে স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় কবিতা ও ছড়া লেখার চেষ্টা, বহুদিন। সেই চেষ্টা থেকেই ২০০০ সালে প্রকাশিত ‘দৈনিক ঘাঘট’ পত্রিকায় ‘আঁড় চোখে দেখা’ শিরোনামে বিদ্রুপাত্মক ছড়া নিয়মিত লেখালেখি। এই সময় সাহিত্যপ্রেমী বন্ধুদের সাথে নিয়ে ‘অগ্নিরথ’ নামক একটি অনিয়মিত মাসিক সাহিত্য ম্যাগাজিন সম্পাদনা ও প্রকাশনা কাজেও যুক্ত। কিন্তু ইতিমধ্যে রুটিরুজির জীবনযুদ্ধ শুরু হলে কবিতা-ছড়া বিলিন হয়ে যায় জীবন থেকে।
অন্তর্দাহ
ইয়াকুব খান শিশির যতটা না অণুগল্পকার তারচেয়েও বেশি একজন অণুগল্পসমঝদার; বিজ্ঞ আলোচক। অণুগল্পকে অণুগল্প হিসেবে বুঝতে পারার মধ্যেও এক ধরণের মেধার প্রয়োজন হয়। প্রয়োজন হয় অণুগল্পসংশ্লিষ্ট জ্ঞান বা বোধ। এই জ্ঞান বা অণুগল্পবোধটির অভাব থাকলে অণুগল্পের মূল মূরতি দেখা পাওয়া সম্ভব হয় না। ইয়াকুব খান শিশির এমনি একজন পাঠক যার ভেতরে অণুগল্পবোধটি সবসময় জাগ্রত থেকেছে। অণুগল্পের ভেতর-বাহিরের জ্ঞান অর্জন করেছেন। সেই জ্ঞান দিয়ে তিনি ইতোমধ্যে অণুগল্পের প্রচার প্রসার এবং বাংলা সাহিত্যের একটি নবতর শাখা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট অবদান রেখেছেন।
রাজহাঁস ও অন্যান্য অণুগল্পের সফলতা কামনা করছি।
-বিলাল হোসেন
রাজহাঁস ও অন্যান্য অণুগল্প
১৯৬২ সালের ৫ ডিসেম্বর, ময়মনসিংহে কবি আশুতোষ পাল ও শিউলি পালের সংসারে জন্ম।
লেখাপড়া- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষিবিজ্ঞানে স্নাতক এবং সুইডেন থেকে পরিবেশ বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা।
পেশা- এনজিও কর্মী দিয়ে শুরু এবং বর্তমানে সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত।
প্রকাশিত অন্যান্য বই- রাতপঞ্জি (২০০৩),পুননির্বাচিত আমি- ২০১১।
Asochorachor
শামীম সাঈদ, কবি ও গল্পকার। জন্মÑ ১০ জানুয়ারি ১৯৭৯। কলসনগর, লালপুর নাটোর। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থÑ এই কথা বৃষ্টিবাচক, এভাবে খুলবে না আঁচলের খুঁট, সদা ভাগতেছে ভববান।
কুঁড়িকাল ও যুগযাপনের গল্প
আবু সাঈদ আহমেদের জন্ম ১০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৫। অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যায়নের সময়েই জনপ্রিয় সাপ্তাহিক সন্দ্বীপে প্রতিবেদন লেখার মাধ্যমে লেখক জীবনে প্রবেশ। কলেজ জীবন হতে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে কবিতা ও প্রবন্ধ লিখেছেন। কিন্তু লেখাকে কখনোই গুরুত্বের সাথে নেন নাই। তিনিই বাংলা ব্লগের অন্যতম জনপ্রিয় ব্লগার ‘হরবোলা’। অনলাইনে নির্মোহ রাজনৈতিক প্রবন্ধ, তীক্ষ্ম স্যাটায়ার, কবিতা আর অণুগল্প তাকে এনে দিয়েছে ব্যাপক পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা। আমমানুষের পক্ষের একজন লেখক ও এক্টিভিস্ট হিসেবে একাধিকবার শারীরিক হামলার স্বীকার হয়েছেন, কিন্তু নীরব হন নাই।
লংকা কিন্তু জ্বলছে না
সোলায়মান সুমনÑ জন্ম ১মে ১৯৭৯, চাঁপাই নবাবগঞ্জ। তরুণ বয়সে লেখালেখি শুরু। বর্তমানে ঢাকায় বসবাস। পেশায় শিক্ষক। ত্রৈমাসিক অনুপ্রাণন প্রকাশনের সাথে যুক্ত। অন্যান্য প্রকাশিত গ্রন্থ: মুই তোরে কোচ পাং (২০০৯), সম্পাদনাÑ পঞ্চায়ুথ। সম্পাদিত পত্রিকাÑ রুদ্র, গল্প।
বাংলা সাহিত্যের সেরা গল্প
জুলিয়ান সিদ্দিকী। জন্মÑ ১৯৬৮, পাকশী, পাবনা। বর্তমান আবাসস্থলÑ সৌদি আরব, পেশাÑ চাকুরী। গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ লেখেন। প্রকাশিত অন্যান্য গ্রন্থÑ উত্তাপ কিংবা উষ্ণতা, কম্পেন্ডার, ছায়াম্লান দিন, ভালবাসার যাতনা যত প্রভৃতি। বাংলা লাইভ ডট কম সেরা গল্প পুরস্কার পেয়েছেন।
বিশ্বাসের দহন ও অন্যান্য গল্প
বাতাসের সাথে বচসা
নদীর কিনারে বসে যেন কান্না শুনি
নাকি নদী তার দুঃখ বাজায় অন্তরে
কুলকুল শব্দে বয়ে যায় সেই কান্না
অনুযোগ অভিযোগে তুলছে অনুরণন মনে
ফুলে ফুলে প্রজাপতি পরাগায়নের ক্লান্তি নিয়ে
বিশ্রামের আয়োজন মরু বালুকায়
বাতাসের সাথে সব বচসা কথন
জ্বালায় ক্রোধের এবং প্রতিশোধের অনল
০৬.০৫.২০১৮
বাতাসের সাথে বচসা
‘সব মেঘে বৃষ্টি হয় না’ একটি আত্মজৈবনিক উপন্যাস। এটি কথাসাহিত্যিক বাসার তাসাউফের একাধারে জীবনচরিত ও নব্বইয়ের দশকের সোনালি সময়ের স্মৃতিচারণ। পরিমার্জিত ও প্রাঞ্জল ভাষায় তিনি পুরনো সেই সব দিনের কথা ও সেই সব সময়ের মানুষের জীবন-যাপন এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থার বর্ণনা করেছেন।
বাসার তাসাউফের জন্ম ও বেড়ে ওঠা অনন্তপুর নামের সবুজ বৃক্ষের ছায়া ছায়া মায়াময় নিভৃত এক গ্রামে। জন্মস্থান ও শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত সেই গ্রামের মানুষ, গাছপালা, পশু-পাখি, নদ-নদী তাকে লেখালেখিতে অনুপ্রাণিত করেছে। বিশেষ করে তার কিষান পিতা তার জীবনজুড়ে এতটাই মিশে আছেন যে, এই উপন্যাসের সব পাতা ভরেও তিনি উপস্থিত আছেন। পিতা ছিলেন তার বেঁচে থাকার, স্বপ্ন দেখার একমাত্র উপাদান। কিন্তু আকস্মিকভাবে সড়ক দুর্ঘটনায় পিতার মৃত্যুতে তিনি ভীষণ মুষড়ে পড়েন। তাই নিজের জবানে বলা নিজের জীবনকাহিনি লেখা শুরু করেছেন পিতার মৃত্যুর বর্ণনা দিয়ে। এরপর মানবজীবনের নানা চড়াই-উৎরাইয়ের কথা, বিশেষ করেÑ দরিদ্র কিষান পিতার পাতায় ছাওয়া লতায় ঘেরা ছোট কুটিরে জন্ম নিয়ে তিনি যে অপূর্ণতার হাহাকারে জীবন ভর দীর্ঘ দীর্ঘশ্বাস ফেলেছেন তা এমন ভাবে বর্ণনা করেছেন মনে হয়, যেন সেই দীর্ঘশ^াসের উষ্ণ আঁচ এসে আমাদের হৃদয়ও উত্তপ্ত করে তোলে। তার মায়ের দিনের পর দিন না খেয়ে থাকার বর্ণনা হৃদয়ের গহিনে এমনভাবে আঘাত করে যে, রূপকথার গল্পকেও হার মানায়। বৃষ্টির জল আর পোকামাকড় খসে পড়া ছনের ছাউনির তলে একডজন মানুষের বসবাস আর খেয়ে না খেয়ে বেঁচে থাকার কথাগুলো এমনভাবে বর্ণনা করেছেন যা পাঠকের চোখে জল এনে দেয়।
বাসার তাসাউফ বইয়ের ভূমিকা অংশে উল্লেখ করেছেন, ‘আমি একজন অসফল মানুষ। আমার আব্বা একজন দরিদ্র কিষান ছিলেন। ফলে অনেক নিগূঢ়তা ও নিষ্ঠুরতা অতিক্রম করে জীবন চলার পথে আমাকে চলতে হয়েছে, পার হতে হয়েছে অসর্পিল ও কণ্টকাকীর্ণ অনেক পথ। কিন্তু গন্তব্য আজো রয়ে গেছে অচিনপুরে। সব পথেরই নির্র্দিষ্ট একটা সীমানা থাকে। কিন্তু আমার জীবন চলার পথের যেন কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। আমি চলেছি তো চলেছি, না পেরিয়েছি সীমানা, না পেয়েছি গন্তব্য। জীবন চলার পথ অতিক্রম করে গন্তব্য পৌঁছাতে পারলে মানুষ অমরত্ব লাভ করে। অমরত্বে আমার লোভ ছিল না কোনোদিন। তাই হয়তো জীবনপথের দুর্গম সীমানা আমি আজো পার হতে পারিনি…।’
বলাবাহুল্য, একজন লেখক নিজের জীবনের গল্প নিজের জবানে বলার পর এর যে নিগূঢ় তাৎপর্য পাওয়া যায়, কাল্পনিক গল্পে তা পাওয়া যায় না। বাসার তাসাউফের এই বইয়ের গল্পে রূপকথার বয়ান নেই, আছে দরিদ্র এক কিষান পিতার ঘাম-জল সিঞ্চনের গল্প। নিতান্তই একজন ব্যর্থ মানুষের অপূর্ণতার গল্প। ব্যর্থতায় নিমজ্জিত হয়েও বাঁক বদল করে নতুন আলোয় উদ্ভাসিত হওয়ার গল্প।
যে মেঘে বৃষ্টি য় না
আলী রেজা। জন্ম: ১৯৫৭। মুক্তিযুদ্ধে আলোড়িত কবি, সত্তর দশকে মূলত ছোটকাগজে লেখালেখি শুরু করেন। সদ্য অবসরে যাওয়া একটি রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠানের বিপণন ব্যবস্থাপক। এটি কবির প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ।
আলী রেজা
যে জীবন মানুষের সে জীবনও কখনো পশুর মতো ধুঁকে ধুঁকে বাঁচে যখন মানুষই মানুষের উপর জেঁকে বসে। চিন্তা শুভবুদ্ধি আর বিবেকের ধার কমে গেলে মানুষ অমানুষ হয়ে উঠে। তাছাড়া, পুরুষতন্ত্র, সামন্ততান্ত্রিক মনোভঙ্গী বোধশক্তি যখন তার আত্মশক্তির উদ্বোধনের নাগাল পায় না তখন তা মারাত্মক আকারে নেমে আসে আসেপাশের সব মানুষের উপর এমনকি স্ত্রী-সন্তানের উপর। মানুষ যখন হয়ে উঠে পরজীবী তখন তা গোপনে নিঃশেষ করে তার প্রাণ-শক্তি-সাধ-আহ্লাদ। ধ্বংস হয় স্বাভাবিক জীবনাচরণ। কখনো কখনো তার মরণও ডেকে আনে। চারপাশের মানুষের সাথে সম্পর্কগুলা যখন হয়ে উঠে পুরাপুরি জৈবিক। আসলে জৈবিক অর্থ কি! জীবন সম্পর্কিত যা কিছু তাই তো জৈবিক হবার কথা। তাই না! তবু, অকর্মণ্যতা-বিচারবুদ্ধিহীনতা-প্রজ্ঞাহীন জীবনদর্শন-জিদ-লোভ এসবই মানুষকে ঠেলে দেয় স্বার্থপরতার দিকে। দিকে-দিকে ঘরে-ঘরে দেশে-দেশে জাতিতে-জাতিতে ধর্মে-ধর্মে নেমে আসে তখন মাটি নিয়ে কাড়াকাড়ি, সম্পদের উপর আগ্রাসন। চলে সাম্রাজ্যবাদ, চলে ঠকবাজি, কেড়ে নেওয়া, কেড়ে খাওয়া, চাপিয়ে দেয়া, ভোগ করা, জ্বালিয়ে দেওয়া, পুড়িয়ে দেওয়া, হত্যা, লুঠ, যুদ্ধ, ধর্ষণ। তার সবেচেয়ে বড় আঘাতটা গিয়ে পড়ে নারীর উপর। মনস্বিতা সেই, জ্বলন্ত-সত্যের মতো মিথ্যা হয়ে জ্বলে আছে সবটা উপন্যাসে। যে নির্যাতিত স্বামীর দ্বারা। যে ঠকে যায় প্রেমিকের লোভের কাছে। একজন মুসলমান নারী বলে একজন জাতভেদ প্রথায় বিশ্বাসী সনাতন প্রেমিক পুরুষের কাছে যেথানে আত্মার পবিত্র দান অর্থহীন হয়ে পড়ে। যে পুয়ালচাপা পড়ে আছে এই সামাজিক প্রথায়। যে নির্যাতিত তার পরিণত মেধাশক্তির উদ্বোধনের কারণে। যার মন মরে পড়ে আছে কেবল একটা দেহ নিয়ে এই সংসারে। যে আয় করতে পারে, যে নিজের ভালোলাগা ভালোবাসার চেয়ে অনেক উঁচুতে ধরে রাখতে চায় পারিবারিক মূল্যবোধ, যে পায়ের নিচে পড়ে থেকেও ভাবে পায়ে পিষেফেলা মানুষটির একাকীত্ব নিঃসঙ্গতা আর অসহায়ত্বের কথা। তাতে কি শেষ রক্ষা হয়! হয় না। অন্যদিকে জীবনের প্রত্তুষে যে পুরুষ ছিল প্রেমিক সে হয়ে উঠে অবিশ্বাসী-রাজনীতিবিদ-যোদ্ধা। যে সংসারী যে পিতা যে স্বামী নীরবে মুখ বুজে সয়ে যায় জীবন জীবন ধরে বাড়ির আর সবার চাওয়া পাওয়ার খড়গ অনেকের মধ্যে থেকেই সে একা। যাপন করে বিরহী জীবন। দেশান্তরী হয়। আবার ফিরে আসে দেশে। ফিরে আসে যুদ্ধে ফিরে আসে ঘরে ফিরে আসে জলপাইগুড়ি-তরাই-নকশালবাড়ি ছেড়ে সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে। ছোটভাই আর তার ছেলের পেতে রাখা মৃত্যুফাঁদের মাঝখানে ঝুলে থাকে স্ত্রী-পুত্রসহ তার জীবন। জন্মের পর যে বিশ্বাসে গড়ে উঠেছিল তার নিজের পারিবারিক আইন ফিরে আসে তারই মাঝে। অশান্ত-অস্থির, প্রত্যাশার সাথে পাওয়ার অমিল-বেমিল সব গিয়ে উপনীত হয় একটি জায়গায় যাতে সুখ যাতে শান্তি যাতে আত্মার অমলিন স্পর্শ পাওয়া যায়। তাই মনস্বিতা নামের মরে যাওয়া মেয়েটির পূণর্জন্ম হয় তমালকৃষ্ণের কন্যা-বিয়োগ ব্যথাতুর মনে। মনস্বিতা জৈবিক সম্পর্কগুলার মধ্যে পড়ে যায়। তবু মরিয়া সে, মাতৃত্বের হাহাকার তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায় তাকে যা একই সাথে জৈবিক ও আধ্যাতিক।
ধর্মীয় বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের টানাহ্যাচড়া, জাতভেদে আত্মম্ভর মানুষমন, মানব মানবীর জটিল জৈবিক সম্পর্ক, নকশালবাড়ি আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের অজস্র সত্যের মতো কাহিনী ও চরিত্র জড়িয়ে ভরিয়ে দুই খন্ডে গড়ে উঠেছে ‘সম্পর্কটা শুধুই জৈবিক’ উপন্যাসের বিশাল আখ্যান। যার এক একটি চরিত্র ধারণ করেছে নানা সত্য ঘটনা কিন্তু চরিত্রগুলার বেশির ভাগই লেখকের মনোবেদনায় কিবা মনোহরণে নির্মিত।
Somporkota Shudhui Joibik
কবি ফিরোজ আহমেদ এর জন্ম ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দের ১ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ জেলার টুংগীপাড়া থানার অন্তর্গত গিমাডাংগা গ্রামে। পিতা শেখ আব্দুর সাত্তার ও মা সুফিয়া বেগমের পাঁচ সন্তানের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহনের পর তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং একটি পুত্র সন্তানের জনক। ছোটবেলা থেকেই তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন। প্রাথমিক পথ চলার পর ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ” গহীনে শূন্যতা” প্রকাশিত হয় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান শোভা প্রকাশ থেকে। তারপর নিয়মিত তার কবিতা প্রকাশ হতে থাকে নানা প্রকাশ মাধ্যমে। সাহিত্যের ছোট কাগজগুলোতে তার কবিতা নিয়মিত প্রকাশ পাচ্ছে। “ঘাসফুল” নামক সাহিত্য সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। বর্তমানে তিনি বহুল প্রচারিত সাপ্তাহিক পত্রিকা “স্বদেশ খবর” এর সাহিত্য সম্পাদচকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি দুই বাংলার মুখপত্র ” পূর্বপশ্চিম” পত্রিকার উপসম্পাদক হিসেবেও কাজ করে যাচ্ছেন।
কবির প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থসমূহঃ
১। গহীনে শূন্যতাÑ একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৩ Ñশোভা প্রকাশ।
২। দ্বীপের সবুজÑ একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫ Ñঘাসফুল প্রকাশনী।
৩। জলবাড়িÑ একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫ Ñঘাসফুল প্রকাশনী।
৪। নির্বাসনের আগেÑ একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৬ Ñশোভা প্রকাশ।
৫। নিষিদ্ধ সুন্দরÑ একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৬ Ñকালজয়ী প্রকাশ।
প্রকাশিতব্য গ্রন্থসমূহঃ
১। জীবনের পদাবলি
২। মধুমতির তীরে
৩। উত্তরাধুনিক ছায়াবাড়ি
জল ও মাটির গল্প
পশ্চিমের মেঘ ও রৌদ্র-
দীঘদিন জীবনযাপন পশ্চিমে। কত সব লেখা, বই, পড়া, কতসব সিনেমা, থিয়েটার নাটক দেখা, কতসব টেলিভিশনের রাতজাগা প্রোগ্রামে নিদ্রাহীন। এইসব দেখতে দেখতে পড়তে পড়তে কতসব লেখালিখির মানুষের কথা জানা। জেনে চুপ করে বসে থাকবেন তাই কি হয়। সেসব নিয়ে লেখালেখি। সিলভিয়া প্লাথ, ডিলোন টমাস, ডিকেন্স, মার্ক ডি সাদ, জেফানাইয়া, ভ্যান গফ, গঁগা আরো কত কে। মনে কত প্রশ্ন। – কেন কান কাটলেন ভ্যান গফ, কেন তাহিতিতে পালানের গাঁগা, কেন ডিকেন্সকে দেখা দিলেন না প্রথম প্রেম বৃদ্ধা মারিয়া বিডনেল, কেন জন ফাাওলস নোবেল পেলেন না, কেন বিয়ট্রিক্স পটার সারাজীবন নরম্যান ওয়েনের আংটি পরে রইলেন, স্বামী তাঁকে সে আংটি খুলতে দিলেন না? কেন কেটলিন ম্যাকনামারা সুখ খুঁজে পেলেন একজন সাধারণ মানুষে ডিলোন টমাসে নয়। ভিভিয়েন হে উড কেন কাটালেন জীবনের অনেকগুলে বছর পাগলা গারদে একা? এমনি সব অসংখ্য প্রশ্ন আর উত্তর খোঁজা। যে দেশে জলভরা মেঘ আর হঠাৎ নামা ঝুপ ঝুপ বৃষ্টি। সেগুলো ছাপা হলো নানা জায়গায়। দেশের ও বিদেশের পত্রপত্রিকায়। সেগুলো কুড়িয়ে দেখলেন পরিমান একমুঠো। সেগুলো মালার মত গেঁথে রচনা করলেন একটি বই। সুহ্রদ উদয় শংকর দূর্জয় সেগুলো পাঠিয়ে দিল ঢাকার অনুপ্রাণন প্রকাশনীতে। যেখান থেকে ওর দুটো বই প্রকাশিত হয়েছে। আমার সেইসব লেখা এবার দুই মলাটে বন্দী হবে। একটি বই হবে। ভাবতেও আনন্দ।
চলুন পাঠক লন্ডনের বৃষ্টিভেজা ঘাসোর মাঠে একবার। দেখা যাক কি আছে সেখানে। এলিয়টের ভাষায় বলি- লেটস গো দেয়ার দেন ইউ এ্যান্ড আই।
পশ্চিমের মেঘ ও রৌদ্র
লেখক পরিচিতি :
কবির য়াহমদ। জন্ম: ৩০শে ডিসেম্বর। চন্দরপুর, আলীনগর, বিয়ানীবাজার, সিলেট। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: ‘রাত আর ঘুমের কৃষ্ণপাঠ’ ‘আমাদের ঈশ্বরের এ্যাপয়েনমেন্ট দরকার’ ও ‘নিরবচ্ছিন্ন পাখিসমূহ’। গদ্য: ‘জাগরণের পূর্বাপর’। এটি লেখকের চতুর্থ কাব্যগ্রন্থ।
আগুনজলে ভূকম্প
ভূমিকা-
কবিতার ভিতর দিয়ে বহুবিধ বহুকালের অমীমাংসিত জটিল সমীকরণের সমাধান খুঁজে চলা কবির নাম সালাহউদ্দিন সালমান, কবি যেন কলমের ডানায় আর খাতার বাতিঘরে লুকিয়ে রাখে বেঁচে থাকার মৌলতম রসদ, তার কবিতায় পাঠক খুঁজে পায় অনন্য স্থির নির্ভেজাল ধনাত্মক-ঋণাত্মক ডান বাম, ভালো মন্দ সুখ দুঃখ, অনুভূতি চিন্তা ভাবনা বোধের শৈল্পিক নিরপেক্ষতা। মানুষের সাধ্যাতীতের বিপরীতে কবি তার কবিতায় ফুটিয়ে তুলে নরম জীবনের কারুকাজ, কবি তার কবিতায় দ্রোহের রক্ত নিয়ে আলো খুঁজে অসম্ভব অনিশ্চয়তার নিঃসীম অন্ধকারে, তার একেকটি কবিতা মূর্তিমান জীবনের একেকটি দীর্ঘশ্বাস, সমাজ সংস্করণে এই জীবনমুখী কবির কবিতা যেন প্রয়োজনীয় বিদ্রোহের প্রতীক। কবির প্রেমময় কবিতাগুলো যেনও প্রেমিক প্রেমিকার বুকপকেটে ভরে রাখা কখনো কালো মেঘের আহাজারী, কখনো শূন্যতার নিঠুর মহামারী, আবার কখনো কখনো চালচুলোহীন স্বপ্নাতুর লালিত সঞ্চয়ের সমুদ্রখচিত বিশাল আকাশ। কবির একটি কবিতা পড়েছিলাম পোড়ামাটি নামক- শুইয়ে থাকা নীরব জ্যোৎস্না কে ছুঁতেই /নিজের ছায়া ছুটে চলে অন্ধকারের দিকে/ মেঘঘন আকাশের ফিকে বিছানায়/অগণিত জোনাকিদের সদ্য ঘুম মুখে/আঙুল রাখতেই খলবলিয়ে উঠে নিস্তরঙ্গ নদী/ ভাঙি দ্রোহ আর আকাক্সক্ষার জড়ানো ইমারত/ অনিবার্য পিপাসা ফুরায় অন্তর্গত অভিবাসী জলে/ অবাধ্য হাতের অকুতোভয় আঙুলগুলো বোটা ছুঁতেই/ অঝোর আষাঢ় আসে থই থই লুণ্ঠিত হয় ঘরবাড়ি/ ঘাম শুকায় ঘামে কাঁচা দেহ হয় পোড়ামাটি/ -সশরীরে দেখে মনেই হবে না সালাহউদ্দিন সালমান এমন অসংখ্য কবিতার কবি, কবির নিজের একটি উক্তি আছে কবিতাকে নিয়ে কবি প্রায় বলেন-কবিতা সত্য সুন্দর স্বপ্নিল জীবনের সাথে চলে আমরা কবিতার সাথে চলি। বিশ্বব্যাপী কবিতার মিছিলে কবি সালাহউদ্দিন সালমান এর উজ্জ্বল পদচারণ তারই দৃপ্ত প্রমাণ।
পকেট সেলাই করি ছেঁড়া জামার
ভূমিকা-
ঘুরে বেড়ানোর স্বভাবটা ছোটবেলা থেকেই ছিলো। এ অভ্যাসটা বাবা‘ই করিয়েছেন। মায়েরও মনে হয় প্রছন্ন প্রশ্রয় ছিলো। যখন যেখানে সুযোগ পেয়েছি ঘুরে দেখার চেষ্টা করেছি। এরপর পেশাটাও বেছে নিয়েছি ঘুরে বেড়ানোর। এ ঘুরে বেড়ানোর মাধ্যমে মানুষকে নানাভাবে জানার সুযোগ হয়েছে। ভিড়ের মধ্যে দুরে বসে মানুষ দেখতে আমার বেশ লাগে। প্রতিদিনের নতুন অভিজ্ঞতা থেকে আজো প্রকৃতি, পরিবেশ, সমাজ, সংসার থেকে জানার চেষ্টা করছি। মানুষের মনসতত্ত্ব আমাকে বেশ ভাবায়। একজন মানুষের বহুরকম ভাবনা। সে থেকে যদি কিছু অর্জন করে থাকি তা কলমের ভাষায় বলবার এক ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।
অন্যজীবন
কবিতার পোস্টকার্ড
সাতটি গল্প দিয়ে সাজানো গল্পগ্রন্থ ‘পাপ’। চারপাশের
মানষের মুখ, মুখোশ আর বয়ে চলা জীবনের কথকতা ‘পাপ’।
ভালোবাসা, প্রেম, বিশ্বাসঘাতকতা, ঈর্ষা, অপরাধ আর বহমান
জীবনের গল্প।
কখনো নারীর চিরাচরিত বন্দী-জীবন এবং বন্ধনহীনতার গল্প।
কখনো প্রতিবাদী, কখনো নিয়তির কাছে পরাজিত আমাদের
খব চেনা চরিত্রগুলো জীবন ছেনে যত্নে তুলে আনা হয়েছে
‘পাপ’ গল্পগ্রন্থে। পাঠকের ভাবনায় খব ছোট্ট করে হলেও
আলোড়ন তলবে ‘পাপ’।
পাপ
অয়ন্ত ইমরুল।
জন্ম ১২ ই এপ্রিল ১৯৮৭ ইং মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার অন্তর্গত আজিম নগর গ্রামে।পিতা— শাজাহান মিয়া ছিলেন একজন ব্যাবসায়ী।২০০১ সালের মার্চ মাসে তিনি হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
মা— বিউটি বেগম একজন গৃহিণী। ডিগ্রী পরিক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার ফলে পুনরায় আর পরিক্ষা দেয়া হয়নি।বর্তমানে চাকুরীজীবি।দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা এবং সমকাল পত্রিকা লেখা ছাপালেও বর্তমানে কোন প্রিন্ট মিডিয়ায় লেখা দিচ্ছি না।তবে
অনলাইন ভিত্তিক ওয়েবজিন—অংশুমালী,কালিমাটি,অপরজন পত্রিকা,ওয়াকিং ডিস্ট্যান্স সহ আরো দু একটা পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখী করছি।প্রকাশিত বই চারটি—
“ছায়া সমুদ্র” অনুপ্রাণন প্রকাশন—২০১৬
“বুদ্ধের ভায়োলিন “তিউড়ি প্রকাশন—২০১৮
” সাদা ধূলির দূরত্বে “ইতিকথা পাবলিকেশন—কলকাতা থেকে ২০২০
এবং ” স্বৈর হাওয়ার হরিণী”পরিবার পাবলিকেশন ২০২০ ঢাকা বইমেলা।
কিসমত আলী অথবা শূন্য
আলতাফ হোসেন-এর জন্ম ২৭ অক্টোবর ১৯৪৯। পৈতৃক নিবাস কিশোরগঞ্জ। বাবার চাকরিসূত্রে শৈশব কৈশোর কেটেছে পাটনা, কলকাতা, চাটগাঁ, করাচি ও ঢাকায়। ১৯৬৪ থেকে পুরোপুরিভাবে ঢাকায় বসবাস। অনার্স ও এমএ করেছেন বাংলায়। আলিয়ঁস ফ্রঁসেস, ঢাকা থেকে দু-বছর ফরাসি ভাষা শিখে সনদ পেয়েছেন।
কফি জেগে থাকে
কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর (১৯৬৩-২০১৫)। চিকিৎসা বিজ্ঞানে একাডেমিক পড়াশুনা করেন চট্টগ্রামে। লেখালেখি ছিল তার কাছে অফুরন্ত সর্ব আনন্দ ব্যাকুল এক জীবনপ্রবাহের নাম। কথাসাহিত্যের ছোটকাগজ ‘কথা’র সম্পাদক ছিলেন। তার অন্যান্য প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে স্বপ্নবাজি, পদ্মাপাড়ের দ্রৌপদী, গল্পের গল্প ইত্যাদি।
হৃদমাজার
Get access to your Orders, Wishlist and Recommendations.
There are no reviews yet.