Additional information
Weight | 0.345 kg |
---|---|
Published Year |
$ 2.47 $ 4.12
রোজনামচা বা দিনলিপি কেন পড়ে মানুষ? কী দরকারে আসে এই দিনপঞ্জীপাঠ? স্যামুয়েল পেপিস (১৬৩৩-১৭০৩) কেন বিখ্যাত হয়ে গেলেন কেবলমাত্র ডায়েরি লিখে? কেননা তাঁর ডায়েরি তৎকালীন লন্ডনে (১৬৬৫) ছড়িয়ে পড়া মহামারী প্লেগ ও চারদিন (২রা-৬ই সেপ্টেম্বর, ১৬৬৬) ধরে চলা লন্ডন শহরকে পুড়িয়ে খাক করে দেওয়া বিধ্বংসী অগ্নিকা-ের অনুপুঙ্খ বিবরণ তাঁর ডায়েরিতে ধরেছেন পেপিস। যা আজ ইতিহাসের মর্যাদা পেয়েছে। কিংবা ধরুন, লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি’-র ‘নোটবুক’ বা পাবলো নেরুদার ‘মেমোয়্যার্স’ আমাদের কাছে আকর্ষণীয় কেন? না, যে যুগ আমরা পেরিয়ে এসেছি আর কোনোদিন যাওয়া যাবে না সেখানে, দিনপঞ্জী আমাদের নিয়ে যায় সে মুহূর্তক্ষণে! চিলেকোঠায় অথবা বহুদিন বন্ধ থাকা তোরঙ্গের গর্ভান্ধকার থেকে খুঁজে পাওয়া কোনো ডায়েরি এক অপরিসীম আনন্দে মন ভরায়, দেয় আবিষ্কারের আনন্দ-মূর্ছনা!
রবীন্দ্রনাথের ‘জীবনস্মৃতি’-র যে অংশে কবি নানান মানুষের স্নান করার দৃশ্যের বর্ণনা দিচ্ছেন, সে ছবি রচনার মধ্যে সেই পুরোনো কলকাতার যে স্কেচ উঠে আসে, তা আর কোনোদিন ফিরে আসবে না, অথচ কী আশ্চর্য চিত্রময় লিপ্যাঙ্কন। মনের ভেতর ছবি হয়ে বেঁচে আছে শতাব্দী পেরিয়ে। এও তো সেই রোজনামচাই! কবিগুরুর অজস্র চিঠিতে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য তাৎক্ষণিকতা, ‘হে ক্ষণিকের অতিথি’ হিসেবে নানান দৃশ্যকল্প, ছবি সে-ও সেই দিনপঞ্জীর কথাই মনে করায়। পুরোনো দিন, পুরোনো সম্পর্ক সবই ধরা থাকে প্রকৃত শিল্পীর কলমে। সে কারণেই একজন শক্তিমান লেখকের লেখা রোজনামচা বা দিনলিপি আমাদের সাগ্রহবস্তু। যে দিন চলে গেছে, যাকে ধরে রাখতে পারিনি, সে সন্ধানে ডুব দিতে পারি ইচ্ছে করলেই। মনে করতে পারি, ‘বন্ধু কী খবর বল, কতদিন দেখা হয়নি!’
এ-কারণেই ‘রোজনামচা’-র বহুল প্রচার আশা করি।
সিদ্ধার্থ দত্ত
৮.১০.১৮
Weight | 0.345 kg |
---|---|
Published Year |
১০০ অণুগল্প
সরদার ফারুক। জন্ম ১৯৬২ সালের ৯ নভম্বের, কপোতাক্ষ নদের তীরে খালিশপুরে। পৈত্রিক নিবাস বরিশালের কাশীপুর। পেশায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। ছাত্রজীবন থেকেই প্রগতিশীল ছাত্র-শ্রমিক-কৃষক আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন। বরিশালে ঘাট শ্রমিকদের ?আন্দোলন, ডেমরায় শ্রমিক কর্মচারি ঐক্য পরিষদের সংগ্রাম ও বাজিতপুরের জেলেদের লড়াইয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
নব্বইয়ের ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য তিনি সরকারী চাকরি ছেড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৮৯ সালে ডাকসু নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনও করেন।
ছাত্রজীবন থেকেই বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত লিখছেন। ১৯৮০ সালে বরিশালের অধুনালুপ্ত ‘সাপ্তাহিক লোকবাণী’ পত্রিকায় প্রথম লেখা প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে শামসুর রাহমান সম্পাদিত সাপ্তাহিক বিচিত্রা, দৈনিক দেশ, সংবাদসহ দেশ-বিদেশের নানা পত্র-পত্রিকা, সাহিত্য সাময়িকীতে তার লেখা কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
নোনা শহর
আবু সাঈদ আহমেদের জন্ম ১০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৫। অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যায়নের সময়েই জনপ্রিয় সাপ্তাহিক সন্দ্বীপে প্রতিবেদন লেখার মাধ্যমে লেখক জীবনে প্রবেশ। কলেজ জীবন হতে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে কবিতা ও প্রবন্ধ লিখেছেন। কিন্তু লেখাকে কখনোই গুরুত্বের সাথে নেন নাই। তিনিই বাংলা ব্লগের অন্যতম জনপ্রিয় ব্লগার ‘হরবোলা’। অনলাইনে নির্মোহ রাজনৈতিক প্রবন্ধ, তীক্ষ্ম স্যাটায়ার, কবিতা আর অণুগল্প তাকে এনে দিয়েছে ব্যাপক পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা। আমমানুষের পক্ষের একজন লেখক ও এক্টিভিস্ট হিসেবে একাধিকবার শারীরিক হামলার স্বীকার হয়েছেন, কিন্তু নীরব হন নাই।
লংকা কিন্তু জ্বলছে না
কামরুজ্জামান কাজল। অণুগল্প বর্গের লেখক-পাঠকদের কাছে একজন পরিচিত মানুষ। সুদর্শন, পরিশ্রমী আর অণুগল্প সাহিত্যের প্রতি একনিষ্ঠতার জন্যে সবার কাছে এক ধরনের সমীহ আদায় করে নিয়েছেন স্বল্প সময়ের মধ্যেই]। অণুগল্প লেখার পাশাপাশি অণুগল্পের প্রচার-প্রসার এবং প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সাংগঠনিক কর্মকা-েও সম্পৃক্ত আছেন।
অণুগল্প যারা লেখেন তারা জানেন, অণুগল্প লেখা যেমন একটি কঠিন কাজ, একইভাবে দীর্র্ঘদিন এর সাথে লেগে থাকা প্রায় দুঃসাধ্য একটি সাধনা। কামরুজ্জামান কাজল এই সাধনায় অত্যন্ত সফলভাবে টিকে আছেন। তারই প্রমাণ প্রথম অণুগল্পগ্রন্থ ‘দলছুটশালিকগণ’ থেকে তিনি যে যাত্রা শুরু করেছেন ‘আটপুকুরের ফুল’ হয়ে ২০১৯ সালের অণুগল্পগ্রন্থ ‘ভেতরে ভেতরে খেলা করে যারা’য় এসে থেমেছেন। থেমেছেনÑ তবে যাত্রা সম্পূর্ণ করেননি।
যাত্রা কেবল শুরু। আমি তা-ই বিশ্বাস করি।
এ-বইটি অন্যান্য বইয়ের মতো পাঠকপ্রিয় হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
Ñবিলাল হোসেন
ভেতরে ভেতরে খেলা করে যারা
ভূমিকা-
ভেতরটা খালি, গল্পের অভাব, যুতসই প্লট পাচ্ছি না- এমন অবস্থায় সচরাচর বাইরে বের হই। হাঁটতে থাকি। সামনের মোড়টা পার হলেই বিশাল হাইওয়ে। এই হাইওয়ে দিয়ে চাইলে যেকোনো জায়গায় যাওয়া যায়। আমারও ইচ্ছা, যাই।
একা একা বেশিক্ষণ হাঁটা যায় না। একটু আগাতেই, কয়েকগুচ্ছ আলো এসে ভিজিয়ে দেয় অন্ধকারের শরীর। আগ্রহ নিয়ে ঘাড়টা ঘোরাতেই দেখি দুটি যান্ত্রিক চোখ। গাড়িটা আমাকে পাশ কাটিয়ে চলে যায়।
এরই মধ্যে টের পাই আমার সাথে আরেকজন। সেও হাঁটছে। ল্যাম্পোষ্টের আলোর সাথে সাথে পাল্টে যাচ্ছে তার শরীর। বুঝতে পারি, তার কিছু বলার আছে। তবুও থামতে ইচ্ছা করে না। নিজের ছায়ার সাথে আমার কথা হয় না, বহুদিন!
সামনে থাকা অনেক কিছুই ইশারা করে! রাতের নিষিদ্ধ সেই সব ডাক, না শুনে পারি না। বৃদ্ধ পাইকর গাছ, একটা চিঠির লাল বাক্স, পাশে ড্রেন, সেখানে জোড় হারানো একপাটি স্যান্ডেল উল্টে পড়ে আছে। আমি ওদের কাছে যাই। নেড়ে চেড়ে পরখ করি, ভেতরে গল্প আছে কী না।
আটপুকুরের ফুল
বিলাল হোসেন। জন্ম ১লা জানুয়ারি ১৯৭৪। মাদারিপুর জেলার রাজারচর কাজীকান্দি গ্রামে। প্রথম প্রকাশিত বই বিরুপা’র শুঁড়িবাড়ি, সেরা ১০০ অণুগল্প। গল্প সংকলনÑ পঞ্চাশ। অণুগল্পের বিষয়-বৈচিত্র্যের অনুসন্ধান। ‘কালজয়ী পঙক্তিমালা’ নামক অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক।
মহাপ্রভু ও অন্যান্য অণুগল্প
কামরুজ্জামান কাজল বয়সে অনেক নবীন হওয়া সত্ত্বেও [জন্ম ২৫ মার্চ ১৯৯১] এবং অণুগল্প চর্চায় খুব বেশিদিন অতিবাহিত না করলেও ‘দলছুট শালিকগণ’ নামে যে বইটি প্রকাশিত হল;-এর বৈচিত্র্যপুর্ণ বিষয়বস্তু এবং অণুগল্প সম্পর্কিত ধারণার সাথে লেখকের যে নিবিড় ঐক্য স্থাপিত হয়েছে- বইটির পাঠশেষে এই কথাটাই মনে করবেন বিজ্ঞপাঠকগণ।
পাবনার ঈশ্বরদী থেকে আসা এই যুবকের ইতিপুর্বে ‘ শ্যাম পাহাড়ের আড়ালে’ নামে একটি কাব্যগ্রন্থও প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৬’র একুশে বইমেলায়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এগ্রিকালচারে স্নাতক শেষ করে লেখক বর্তমানে শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্তিকা বিজ্ঞানে মাস্টার্স করছেন।
‘দলছুট শালিকগণ’ কামরুজ্জামান কাজলের প্রথম অণুগল্পগ্রন্থ। অণুগল্পের ভিত্তি, বিকাশ এবং প্রচারে এই বইটি একটি মাইলফলক হিসেবে ভবিষ্যতে উচ্চারিত হবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।
দলছুট শালিকগন
বিলাল হোসেন
জন্ম: ১ জানুয়ারি, ১৯৭৪।
জন্মস্থান- মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার রাজারচর কাজিকান্দি গ্রামে।
প্রকাশিত বই-
১. কাব্যগ্রন্থ- বিরুপা’র শূঁড়িবাড়ি(২০১৪)
২. অণুগল্প সংকলন- পঞ্চাশ(২০১৫)
৩. মহাপ্রভু ও অন্যান্য অণুগল্প(২০১৬)
৪. কাব্যগ্রন্থ- একজ্বলাপঙক্তি(২০১৬)
স¤পাদিত বইসমূহ-
সেরা ১০০ অণুগল্প(২০১৫) (প্রিন্ট ভার্সন)
ই-বুক স¤পাদনা-
অণুগল্প সংগ্রহ-১,২,৩,৪; গোয়েন্দা অণুগল্প সমগ্র, ভূত অণুগল্প সমগ্র, রূপকথা অণুগল্প সমগ্র, নীতি অণুগল্প সমগ্র, চিয়ার্স চিয়ার্স চিয়ার্স, দুনিয়ার মাতাল এক হও, মাতালে মাতালে চেনে, মধুগন্ধেভরা, যুগলবন্দী (সুবর্না রায়), অণুগল্পের বিষয় বৈচিত্র্যের সন্ধানে, তাহাদের গল্প, অণুগল্পের অস্তিত্ব আছে, অণুগল্পের শিরদাঁড়া, অণুগল্পের রোজনামচা।
বাংলা ভাষার সেরা অণুগল্প
গ্রামের পাশে যে বিশাল বাদাম ক্ষেত আর ক্ষেতের পাশে যে ছোট নদী, সে নদীতে মাঝারি সব ঢেউ ওপার থেকে এপাড়ে আসে খড়কুটো মুখে নিয়ে। আর কত কিছু ভেসে আসে আর চলেও যায়—সারা দিনভর ছোটনেরা সেইসব দেখে পাড়ে বসে বসে।
ছোটনেরা মানে হলো—হাবিবুল, রতন, মোবারক, শেফালি বকুল এরা। কালিয়াখোল গ্রামের ছোটরা। তারা প্রতিদিন নদীতে আসে আর কাঁচা বাদাম খেতে খেতে লক্ষ করে নদীটাকে। নদীর ভেতরে কত কিছু। কাদাখোঁচা একটি দুটি। বালিয়া হাঁসের সাদা পাখনা উড়তে থাকে। আর ওপারের মেঘ যখন উড়তে উড়তে এপারে আসে তখন জলিল কাকার সময় হয় জোয়ালের গাই দুটাকে গোসল দেয়ার। গাই দুটার গোসল দেখতে দেখতে আর বাদাম খেতে খেতে দলের মধ্যে মোবারক নামে যে আছে, সে একটা প্রস্তাব দিল। প্রস্তাব দেয়ার আগে বিজ্ঞ বিজ্ঞ ভাব নিয়ে কয়েকটা জানাশোনা তথ্যও দিল। যেমন—এই নদীতে কিছুই ডোবে না।
বাকিরা মাথা নাড়ে—হুম।
গরু ডোবে না, খড় ডোবে না। নাও-লঞ্চ কিছুই ডোবে না। ভেলা ডোবে না।
সবাই মাথা নাড়ে। কাঁচা বাদাম খায়।
—চল আজকে একটা খেলা খেলি। মিনুরে ডুবাই দেই। দেখি ডোবে কি না?
ছোটনরা একজন আরেকজনের দিকে তাকায়। প্রস্তাবে জোর সমর্থন দেয় নুরু। প্রস্তাব সমর্থন নিয়ে নুরু কারো দিকে তাকায় না। নদীর পেটে জলের প্রবাহ দেখতে দেখতে তারা স্কুলঘর দেখে। দূরের আকাশছোঁয়া মিনার মসজিদ দেখে।
—মিনুও ডুবত না। এই নদীতে কিছুই ডোবে না–বলে সাহস দেয় নুরু। ততক্ষণে মিনুকে নিয়ে এসেছে মোবারক।
মিনু জল দেখে ভয় পায়। বলে—মিঁউ!
বিশাল নদী। বিশাল চর। মিনু ভয় পায়। ডাকাডাকি শুরু করে দেয়—মিঁউ মিঁউ।
মিনুকে কোলে নেয় হাবিবুল। হাবিবুল থেকে নেয় রতন। রতন থেকে নেয় শেফালি। শেফালি থেকে নেয় রাজন। রাজন থেকে নেয়া নুরু। নুরু থেকে কেউ নেয় না। কারণ নুরু কাউকে দেয় না। সে মিনুকে ছুড়ে দেয় নদীতে।
সবাই হাসে। মিনু সাঁতার কাটে। ঠিকমতো পারে না। নদীতে ঢেউ। তলিয়ে যায়। ছোট্ট মাথা। ডোবে ভাসে। সবাই হাসে–খুশিতে হাততালি দেয়।
দুই ঢেউয়ের চাপে পড়ে মিনু ডাকে—মিঁউ মিঁউ।
প্রাণপণ চেষ্টা করে মিনু কচি পা দিয়ে পাড়ে আসতে পারে না। দূরে সরে যায়। আবার আসে। পাড়ের কাছে আসেও। কিন্তু নুরুরা ঢিল ছোড়ে। হি হি করে হাসে। হাত তালি দেয়।
মিঁউ মিঁউ করতে করতে নদীর ভেতরে চলে যায় মিনু। ঢেউয়ের ভাঁজের ভেতরে চলে যায়। ডুবে যায়। পাড়ে বসে রাজন শিস দেয়।
…………
রাতের বেলায় বিছানায় শুয়ে শুয়ে পুরো ব্যাপারটা আবার দেখে ছোটন। মিনু ডুবে যাচ্ছে। ভেসে উঠছে। চিৎকার করে ওঠে ছোটন। ঘামে নেয়ে ওঠে সে। কিন্তু তার ঘুম ভাঙে না। ঘুমের মধ্যেই ছোটন বোঝে ঘুম না ভাঙলে সে নদী থেকে আর মিনুকে উঠাতে পারবে না।
সকালবেলা তাড়াতাড়ি মিনু যে কাজটি করে তা হলো ছোটনের বাবা-মাকে নিয়ে নদীর পাড় চলে এলো। তারা দেখল—নদীর ভেতরে একটা লাল জামা ভাসছে ছোটনের।
২৪১৯
কালিয়াখোল গ্রামের ছোটরা
হাতেগোনা যে-ক’জন লেখক অণুগল্পের ভিত্তি গাড়তে কিংবা প্রচার প্রসার করার মাধ্যমে প্রথম দশকেই একটি বিশিষ্ট স্থান দখল করে আছেন কিংবা বলা যায়, অণুগল্পের বিভিন্ন ধরন এবং ধারণায় সাহিত্যের এ-মাধ্যমটি বর্তমানে বহুচর্চার ফল্গুধারায় দুইবাংলার পার ছাপিয়ে গেছে বটে, আশার কথা হচ্ছে, কামরুজ্জামান কাজল বিশুদ্ধ অণুগল্পের ধারক-বাহক হয়েই পাঠকমহলে দৃষ্টি আকর্ষণ করাতে সক্ষম হয়েছেন। পূর্ববর্তী ৩টি গ্রন্থে আমরা তা-ই দেখেছি। আর এখানেই প্রকৃত অণুগল্প আর কাজল সমার্থক হয়ে উঠেছেন।
‘জোড়া নারিকেল বাড়ি’ লেখকের চতুর্থ অণুগল্পের বই। বইটির সাফল্য কামনা করি।
-বিলাল হোসেন
জোড়া নারিকেল বাড়ি
ইয়াকুব খান শিশির যতটা না অণুগল্পকার তারচেয়েও বেশি একজন অণুগল্পসমঝদার; বিজ্ঞ আলোচক। অণুগল্পকে অণুগল্প হিসেবে বুঝতে পারার মধ্যেও এক ধরণের মেধার প্রয়োজন হয়। প্রয়োজন হয় অণুগল্পসংশ্লিষ্ট জ্ঞান বা বোধ। এই জ্ঞান বা অণুগল্পবোধটির অভাব থাকলে অণুগল্পের মূল মূরতি দেখা পাওয়া সম্ভব হয় না। ইয়াকুব খান শিশির এমনি একজন পাঠক যার ভেতরে অণুগল্পবোধটি সবসময় জাগ্রত থেকেছে। অণুগল্পের ভেতর-বাহিরের জ্ঞান অর্জন করেছেন। সেই জ্ঞান দিয়ে তিনি ইতোমধ্যে অণুগল্পের প্রচার প্রসার এবং বাংলা সাহিত্যের একটি নবতর শাখা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট অবদান রেখেছেন।
রাজহাঁস ও অন্যান্য অণুগল্পের সফলতা কামনা করছি।
-বিলাল হোসেন
রাজহাঁস ও অন্যান্য অণুগল্প
সাঈদা মিমি। জন্ম ২৯ ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৮। বরিশালে। পেশাগত দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের সাহিত্য সম্পাদক। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা পাঁচটি। শ্রাবন প্রকাশনী থেকে ২০০৮ এ প্রকাশিত হয় প্রথম কবিতার বই ‘সব নিয়ে গ্যাছে এক সময়ের লুটেরা বাতাস।’ দীর্ঘ বিরতির পর আগুনমুখা থেকে ‘ফারাও কুমারী’ Ñ২০১৪ সালে। বাংলার ই-বুক থেকে ই-বই ‘কীর্তনখোলা।’ -২০১৫ সালে। ২০১৬ তে অনুপ্রাণন থেকে কাব্যগ্রন্থ ‘একজন মৃতের ডায়েরী’ এবং কালজয়ী প্রকাশ থেকে ‘শুশুনিয়া পাহাড়’।
ঔরঙ্গজেবের নীল ঘোড়া
প্রবন্ধ এমন এক সাহিত্যকর্ম, যার রস পাঠকমনে তীরের মতো অথবা বুলেটের মতো বিদ্ধ হয়। হেঁয়ালিহীন এই সাহিত্যকর্ম পাঠককে চালিত করে জ্ঞানের পথে। ক্রমশ পেছনের দিকে হাঁটতে থাকা বর্তমান বাংলাদেশে প্রবন্ধ-সাহিত্য খানিকটা শক্তিহীন। লেখকরা অজ্ঞাত কারণে সাহিত্যের এই শাখার প্রতি উদাসীন। ফলে এর পাঠকও কমেছে আগের তুলনায়। মানবিক পৃথিবী নির্মাণে মূর্খতার অন্ধকার তাড়াতে যাঁরা শিল্পের প্রদীপ জ¦ালিয়েছেন, যাঁরা নিজ নিজ কর্মে হয়ে উঠেছেন প্রদীপতুল্য, তাঁদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ, হকিং, মেরি শেলী, নাইপল, বব ডিলান, ইশিগুরো প্রমুখ নিঃসন্দেহে অগ্রগামী। তাঁদের শিল্পকর্মের গভীরে ডুব দিয়ে অবগাহন করেছেন প্রাবন্ধিক উদয় শংকর দুর্জয়। দক্ষ ডুবুরির মতো তুলে এনেছেন তাঁদের বহুমাত্রিক চিন্তার নির্যাস। টুকরো টুকরো সব নির্যাসকে একত্র করে তিনি যে মালা গেঁথেছেন, তার নাম দিয়েছেন প্রবন্ধ সংগ্রহ। এসব প্রবন্ধে কঠিন বিষয়ের মর্মভেদ করতে তাঁর সরল বয়ান পাঠককে আকৃষ্ট করে, আন্দোলিত করে; জন্ম দেয় এক নতুন চিন্তার। প্রবন্ধ-সাহিত্যের এই দুর্দিনের দুর্জয়ের প্রবন্ধ সংগ্রহ হয়ে উঠবে সুখপাঠ্য, ফিরিয়ে আনতে পারে এই সাহিত্যের সুদিন।
স্বকৃত নোমান
২০.১১.২০২০
প্রবন্ধ সংগ্রহ
ফারহানা খানম। জন্ম: ১৯শে এপ্রিল ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী এলাকায়। গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দীপে। ‘ভুগোল ও পরিবেশ’ বিষয়ে স্নাততোত্তর ডিগ্রী অর্জন করে ব্যাংকে চাকুরি শুরু করলেও বর্তমানে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত। নয় ভাই-বোনের মাঝে সবার ছোট বলেই আদরও পেয়েছেন বেশি। প্রথম প্রকাশিত বই, ‘ইছামতি’ (কলকাতা থেকে প্রকাশিত)।
তৃষ্ণার্ত বালুতট
শহীদ ইকবাল। প্রাবন্ধিক ও উপন্যাসিক। জন্ম ১৩ আগস্ট, ১৯৭০ রংপুর জেলার পীরগঞ্জে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর এবং এখানেই শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন। প্রকাশিত অসংখ্য গ্রন্থ রয়েছেÑ কথাশিল্পী আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, মুখশ্রীর পটে, কবিতা: মনন ও মনীষা প্রভৃতি। লিটলম্যাগ ‘চিহ্ন’ এর সম্পাদক।
হয়নাকো দেখা
সিদ্দিক প্রামানিক। জন্ম: ২১শে আগস্ট ১৯৭৯, কুস্টিয়ার কুমারখালী থানার চরভবানীপুরগ্রামে। বাংলা সাহিত্যে মাস্টার্স শেষ করে বর্তমানে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন এবং বাম প্রগতিশীল সংগঠনের সক্রিয় সংগঠক ও সংস্কৃতকর্মী। প্রথম বই ‘হাঙরের সমুদ্রে মননশীল মাছ’।
উন্মাদের কনসার্ট
জন্ম ১৯৮৭, পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে। পড়াশোনার পাশাপাশি ফটোগ্রাফির সাথে যুক্ত। প্রকৃতি আর মানুষ এই দুই নিয়েই তার পথচলা। নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রয়েছে
প্রেম হলো প্রেমের মতো
অয়ন্ত ইমরুল।
জন্ম ১২ ই এপ্রিল ১৯৮৭ ইং মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার অন্তর্গত আজিম নগর গ্রামে।পিতা— শাজাহান মিয়া ছিলেন একজন ব্যাবসায়ী।২০০১ সালের মার্চ মাসে তিনি হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
মা— বিউটি বেগম একজন গৃহিণী। ডিগ্রী পরিক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার ফলে পুনরায় আর পরিক্ষা দেয়া হয়নি।বর্তমানে চাকুরীজীবি।দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা এবং সমকাল পত্রিকা লেখা ছাপালেও বর্তমানে কোন প্রিন্ট মিডিয়ায় লেখা দিচ্ছি না।তবে
অনলাইন ভিত্তিক ওয়েবজিন—অংশুমালী,কালিমাটি,অপরজন পত্রিকা,ওয়াকিং ডিস্ট্যান্স সহ আরো দু একটা পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখী করছি।প্রকাশিত বই চারটি—
“ছায়া সমুদ্র” অনুপ্রাণন প্রকাশন—২০১৬
“বুদ্ধের ভায়োলিন “তিউড়ি প্রকাশন—২০১৮
” সাদা ধূলির দূরত্বে “ইতিকথা পাবলিকেশন—কলকাতা থেকে ২০২০
এবং ” স্বৈর হাওয়ার হরিণী”পরিবার পাবলিকেশন ২০২০ ঢাকা বইমেলা।
কিসমত আলী অথবা শূন্য
রোজনামচা বা দিনলিপি কেন পড়ে মানুষ? কী দরকারে আসে এই দিনপঞ্জীপাঠ? স্যামুয়েল পেপিস (১৬৩৩-১৭০৩) কেন বিখ্যাত হয়ে গেলেন কেবলমাত্র ডায়েরি লিখে? কেননা তাঁর ডায়েরি তৎকালীন লন্ডনে (১৬৬৫) ছড়িয়ে পড়া মহামারী প্লেগ ও চারদিন (২রা-৬ই সেপ্টেম্বর, ১৬৬৬) ধরে চলা লন্ডন শহরকে পুড়িয়ে খাক করে দেওয়া বিধ্বংসী অগ্নিকা-ের অনুপুঙ্খ বিবরণ তাঁর ডায়েরিতে ধরেছেন পেপিস। যা আজ ইতিহাসের মর্যাদা পেয়েছে। কিংবা ধরুন, লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি’-র ‘নোটবুক’ বা পাবলো নেরুদার ‘মেমোয়্যার্স’ আমাদের কাছে আকর্ষণীয় কেন? না, যে যুগ আমরা পেরিয়ে এসেছি আর কোনোদিন যাওয়া যাবে না সেখানে, দিনপঞ্জী আমাদের নিয়ে যায় সে মুহূর্তক্ষণে! চিলেকোঠায় অথবা বহুদিন বন্ধ থাকা তোরঙ্গের গর্ভান্ধকার থেকে খুঁজে পাওয়া কোনো ডায়েরি এক অপরিসীম আনন্দে মন ভরায়, দেয় আবিষ্কারের আনন্দ-মূর্ছনা!
রবীন্দ্রনাথের ‘জীবনস্মৃতি’-র যে অংশে কবি নানান মানুষের স্নান করার দৃশ্যের বর্ণনা দিচ্ছেন, সে ছবি রচনার মধ্যে সেই পুরোনো কলকাতার যে স্কেচ উঠে আসে, তা আর কোনোদিন ফিরে আসবে না, অথচ কী আশ্চর্য চিত্রময় লিপ্যাঙ্কন। মনের ভেতর ছবি হয়ে বেঁচে আছে শতাব্দী পেরিয়ে। এও তো সেই রোজনামচাই! কবিগুরুর অজস্র চিঠিতে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য তাৎক্ষণিকতা, ‘হে ক্ষণিকের অতিথি’ হিসেবে নানান দৃশ্যকল্প, ছবি সে-ও সেই দিনপঞ্জীর কথাই মনে করায়। পুরোনো দিন, পুরোনো সম্পর্ক সবই ধরা থাকে প্রকৃত শিল্পীর কলমে। সে কারণেই একজন শক্তিমান লেখকের লেখা রোজনামচা বা দিনলিপি আমাদের সাগ্রহবস্তু। যে দিন চলে গেছে, যাকে ধরে রাখতে পারিনি, সে সন্ধানে ডুব দিতে পারি ইচ্ছে করলেই। মনে করতে পারি, ‘বন্ধু কী খবর বল, কতদিন দেখা হয়নি!’
এ-কারণেই ‘রোজনামচা’-র বহুল প্রচার আশা করি।
সিদ্ধার্থ দত্ত
৮.১০.১৮
রোজনামচা
লেখক পরিচিতি :
চৌধুরী ফাহাদ। জন্ম: ৩০শে সেপ্টেম্বর, কক্সবাজার জেলায়। জীবনের প্রথম পাঠ এবং বেড়ে ওঠা সেই জল-পাহাড়ের বুকে। লেখালেখিতে নবীন হলেও পড়–য়া বাবার হাত ধরে সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ সেই ছোটবেলায়। কবিকে বাবাই প্রথম দেখিয়েছিলেন দৃশ্যমান জগতের বাইরে একটা জগত আছে এবং তারপর তার সাথেই পথচলা। কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘চিলেঘুড়ি’।
কবি কোনো চরিত্রে নাই
মিরা ফুল্লরা ও অন্যান্য গল্প
মৃত্যু সংবাদ এমনই একটা বিষয় মুহূর্তে পৃথিবীর গতি স্তব্ধ করে দেয়। পরিচিত বা কাছের জনের মৃত্যু হলে তা আরও ভারী বোধহয়। মনে হয় যেন নিজেরই একটা অংশ মরে গেছে। এত সুন্দর মায়াময় প্রভাতটা নিমেষের মধ্যে অর্থহীন, শ্রীহীন হয়ে যায়।
একটি স্বেচ্ছামৃত্যু ও কিছু রসিকতা
Get access to your Orders, Wishlist and Recommendations.
There are no reviews yet.