Additional information
Weight | 0.200 kg |
---|---|
Published Year |
$ 1.41 $ 1.88
ভূমিকা
‘ভাঙনের ডাক’ উপন্যাসটি ভাঙন কবলিত গ্রাম বাংলার প্রতিচ্ছবি। উপন্যাসটিতে গ্রামের কৃষক জীবন, সবুজে ঢাকা গ্রাম নদী ভাঙনের ফলে কিভাবে তার সক্রিয়তা হারায়, সেই সাথে উঠে এসেছে ঐতিহাসিক একটি বাজারের বর্ণনা ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের আর্তনাদ।
‘ভাঙনের ডাক’ উপন্যাস নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রম বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। এখানে গ্রাম্য বধূর সবিস্তার কাহিনী সরলার চরিত্রের মাধ্যমে রূপায়িত হয়েছে। তাছাড়া করিম শেখ ও অন্তুর কাহিনীও এখানে প্রযুক্ত হতে দেখা যায়। বেজগাঁও গ্রামে রাজা রাজবল্লভের বাড়ি, দিঘলী বাজার, কদম পাগলের মাজার ঘিরে মেলা এখানে বর্ণিত হয়েছে।
‘ভাঙনের ডাক’ উপন্যাসে সত্যিকার অর্থেই ভাঙনের একটা সচিত্র ছড়িয়ে রয়েছে। এর মধ্যে আবেগ, কৌতূহল, স্বপ্ন আকস্মিকতা উৎকণ্ঠা বজায় রয়েছে। যা পাঠক সাধারণের মনকে একটা সন্মোহ সীমানায় ধরে রাখতে সক্ষম। তাছাড়া এই উপন্যাসে সমাজ মানসের কিছু বিশ্বস্ত চিত্রগাথা পরিস্ফুট উঠার সুযোগ পায়। যা শুধু এদেশীয় সংস্কৃতির আদলে গড়ে ওঠেছে। যেমন ভেলা ভাসানি, বৈশাখী মেলা, কদম পাগলের বার্ষিক মেলা, বৃষ্টি প্রার্থনার জন্য মেঘরানী উৎসব। সেই সাথে ফুটে উঠেছে একটি কৃষক পরিবারের অভাব-অনটন ও প্রকৃতির বৈরিতা। পদ্মার ভাঙন আর ঝড়ে নিঃস্ব হওয়া মানুষের আর্তনাদ, যা পাঠ করে অনাস্বাদিত জগতের উপমিত আস্বাদন করা সম্ভব।
Weight | 0.200 kg |
---|---|
Published Year |
একাত্তরের কথকতা
জন্ম ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার সুরাশ্রম গ্রামে। পিতামহের প্রতিষ্ঠিত নিজ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শুরু। তারপর নান্দাইল রোড হাই স্কুল, আঠাবাড়ি ডিগ্রি কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়া শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকল্যাণ ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন। এরপর চাকরিজীবনে বি.এড ও এম.এড ডিগ্রি লাভ করেন।
লেখালেখির শুরুটা খুব পরিকল্পিত না হলেও চাকরিজীবনের বেঁচে যাওয়া সময়ে কঠিন অধ্যবসায় ও অবিরাম লেখালেখির অভ্যাসটি জোরালেভাবেই তৈরি হয়েছে। বহুমাত্রিক এই লেখকের সাহিত্যের প্রায় প্রতিটি শাখাসহ একাডেমিক গ্রন্থ নিয়ে মোট ৯৫ গ্রন্থ ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে।
ঘূর্ণিবায়ূ ও ধূসর কাবিন
ভূমিকা
লেখালেখি আমার কোনো পেশা নয়, এমন কি নেশাও নয়। তাহলে লিখি কেন? আসলে এখনও পর্যন্ত আমি একজন জীবিত মানুষ। এই সমাজ-সংসারের আরও দশ জন মানুষের একজন। তাদের মতো আমারও ক্ষুধা-তৃষ্ণা আছে। সুখ-দুঃখ আছে। হাসি-কান্না আছে। তাদের মতো আমারও কিছু বলার আছে। তাই কিছু বলতে চাই আমি। যেহেতু আমার অদৃষ্ট আমাকে নির্ধারণ করে দিয়েছে যে, আমি একজন গল্প লিখিয়েই হবো, তাই আমার বলতে চাওয়া কথাগুলো হবে কিছুটা গল্পের মতো। কিন্তু এই গল্প কাকে বলবো? নিশ্চয়ই আমার চার পাশের আর দশ জনকেই বলতে হবে কথাগুলো। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমি কোনো নেতা নই, কোনো বক্তা নই। শব্দ যন্ত্রের সামনে দাঁড়িয়ে বলতে গেলে আমার কথা কেউ শুনবে না। কারণ, আমি নিতান্তই নিরীহদের একজন। তাই কাগজ-কলমই আমার সম্বল। সুতরাং কোনো শব্দযন্ত্র ছাড়াই বলতে হবে নীরবে। কিন্তু তবু আমাকে বলতে হবে, যা আমি বলতে চাই। বলতে না পরলে হয়তো দম বন্ধ হয়ে আমি মারা যাবো। হয়তো কান দিয়ে শুনতে পাবেন না কথাগুলো, তবে চোখের আলোয় পড়তে পারবেন কাগজে মুদ্রিত কালো অক্ষরে।
জিয়াউল হক
গাইবান্ধা।
ধু-ধু বালুচর
শহীদ ইকবাল। প্রাবন্ধিক ও উপন্যাসিক। জন্ম ১৩ আগস্ট, ১৯৭০ রংপুর জেলার পীরগঞ্জে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর এবং এখানেই শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন। প্রকাশিত অসংখ্য গ্রন্থ রয়েছেÑ কথাশিল্পী আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, মুখশ্রীর পটে, কবিতা: মনন ও মনীষা প্রভৃতি। লিটলম্যাগ ‘চিহ্ন’ এর সম্পাদক।
হয়নাকো দেখা
মানুষের জীবন তো গল্পময়। গল্প ছাড়া জীবন হয় না। কেউ সে গল্প অপরকে শুনিয়ে তৃপ্তি পায়। কেউ নিজের মধ্যে গল্প পুষে রেখে জীবনকে ভোগ করে। কোনো একজনকে গল্প শুনাতে ইচ্ছে ছিল। সে গল্পের মধ্যে ডুব দেওয়া আর হয়নি। সে গল্পটা সামনাসামনি শুনাতেও পারিনি ।
তবে শুরুটা করেছিলাম গল্প শোনানোর জন্য, সেই শুরুটা নেশাতে পরিণত হয়ে গেছে। সেই কোনো একজন তো চোখের আড়ালে থাকে, মনের আড়াল হয়নি। তাই গল্প শুনাই আড়ালে-আবডালে- অন্তরালে।
গল্পের কথা বলার কারণ, আমি আসলে গল্পই লিখি। লিখতে লিখতে গল্পটি উপন্যাসে রূপ নেবে কিনা, সেটাও আমার জানা নেই। উপন্যাস তো বৃহৎ পরিসরের বিষয়। তাই এক্ষেত্রে আমি শিশুই। একটি কথা জোর দিয়েই বলতে পারি, অভিজ্ঞতার বাইরে আমি লিখতে পারি না। যেভাবেই হোক অভিজ্ঞতাটা তার জায়গা দখল করে নেয়। অর্থাৎ বলতে চাচ্ছি, বাস্তবতার বাইরে আমার লেখাতে কাল্পনিক বলে কিছু নেই। যদি আগেই বুঝতাম গল্প দিয়ে জীবন চলে তাহলে হয়তো লিখতাম ঘণ্টার পর ঘণ্টা, আষাঢ়ে বৃষ্টি পড়ার মত।
আমার গল্প প্রকাশ হবে, ছড়িয়ে যাবে, এমন ভাবনা মাথায় ছিল না। শিল্প-সাহিত্যের ত্রৈমাসিক ‘অনুপ্রাণন’ গল্প প্রকাশের মধ্য দিয়ে আমার চেতনাকে জাগ্রত করে দিয়েছে। গল্প লিখতে লিখতে তিনটি উপন্যাসও লিখে ফেলেছি।
“স্বপ্ন জলে জ্যোৎস্না” তৃতীয় উপন্যাস। পাণ্ডুলিপি পাঠিয়ে বিমুখ হইনি। বরং বুকভরা আনন্দ পেয়েছি। কৃতজ্ঞতা জানাই অনুপ্রাণন প্রকাশকের স্বত্বাধিকারী শ্রদ্ধেয় আবু এম ইউসুফ ভাইকে।
মফস্বলে থেকে লেখক হয়ে, বই প্রকাশ করা বড়ই কঠিন কাজ। অথচ সেই কঠিন কাজটা অনেক অনেক সহজ করে দিয়েছে অনুপ্রাণন প্রকাশন। আবারও অসংখ্য ধন্যবাদসহ ও কৃতজ্ঞতা জানাই অনুপ্রাণন প্রকাশনের সাথে জড়িতে সকলকে।
স্বপ্ন জলে জ্যোৎস্না
হুমায়ুন কবির।
জন্ম ১৯৫৯ সালে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার দেউটি গ্রামে। বাবা জালাল আহমেদ ও মা জফুরা বেগম। লেখালেখির শুরু ছাত্রাবস্থায়। মাঝে দীর্ঘ বিরতি। আবারও ফিরে এসেছেন লেখালেখিতে। কবিতা, উপন্যাস, গল্পগ্রন্হসহ তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা আটটি। ইতোপূর্বে প্রকাশিত তার উপন্যাস ‘ কানফুল, আনছার আলীর গৃহত্যাগ এবং কবিতা অন্তহীন দীর্ঘশ্বাস পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। সাহিত্যকর্মে অবদানের জন্য জিগীষা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ তাকে জিগীষা সাহিত্য সম্মাননা -২০১৯ প্রদান করেছে।
সাবেক সরকারি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বর্তমানে দৈনিক বাংলার সাহিত্য সম্পাদক। তিনি সালমা ফৌজিয়া সুমি, ডা. শারমিন ফৌজিয়া ও সাইফুল কবির সোয়েবের বাবা। স্ত্রী নাজমুন নাহার লক্ষ্মী গৃহিণী।
প্রকাশিত বই সমুহঃ-
কবিতা-
আমি তাকে ফিরছি খুঁজে
অন্তহীন দীর্ঘশ্বাস
উপন্যাস-
দায়
কানফুল
মেঘনাপারের শেফালী
আনছার আলীর গৃহত্যাগ
গল্পগ্রন্থ-
শাহজাদী উপাখ্যান
আমিও ডিকশনারি দেখেছি কিন্তু পাইনি।
জ্বিনকন্যা নার্গিসের প্রেম
আবু তাহের সরফরাজ। সবার মাঝে থেকেও সে আলাদা। দৃশ্যের ভেতরও অদৃশ্য। বেঁচে থাকতে চান লেখালেখির মাঝে।
যখন আঁধার যখন কুয়াশা
কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর (১৯৬৩-২০১৫)। চিকিৎসা বিজ্ঞানে একাডেমিক পড়াশুনা করেন চট্টগ্রামে। লেখালেখি ছিল তার কাছে অফুরন্ত সর্ব আনন্দ ব্যাকুল এক জীবনপ্রবাহের নাম। কথাসাহিত্যের ছোটকাগজ ‘কথা’র সম্পাদক ছিলেন। তার অন্যান্য প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে স্বপ্নবাজি, পদ্মাপাড়ের দ্রৌপদী, গল্পের গল্প ইত্যাদি।
হৃদমাজার
প্রেম শ্বাশত। একটি পবিত্র প্রেম একজন মানুষের জীবনে মহীরূহ স্বরূপ। যা তাকে সারাকাল সুখের আচ্ছাদনে সমৃদ্ধ করে। বুকের ভেতর লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন তার অধিকার। আমাদের চলমান সমাজ ব্যবস্থায়, তৃতীয় ব্যক্তি নামে একটি পক্ষ আছে। এই তৃতীয় পক্ষ যখন, একটি মধুর সম্পর্কের মধ্যে ঢুকতে চেষ্টা করে? তখন কতো যে ব্যত্যয় ঘটে, তা কম বেশী সকলের জানা। সুখী সমৃদ্ধশালী জীবনটা তখন, নিমিষেই তাসের ঘরের মতোন হয়ে যায়। নিকষ আঁধারে ঢেকে যায় প্রেমের সূর্যতোরণ।
এ উপন্যাসে মুন আর মনন দম্পতির মধুর সম্পর্কের মধ্যে, এই তৃতীয় পক্ষের সক্রিয় আগমন ঘটার চেষ্টা বিদ্যমান। ওদের স্বাভাবিক জীবন বোধ টালমাটাল অবস্থায় পড়ার উপক্রম। মুন ও মননের সংসারে যেনো অথই সাগরে সুখের অবগাহন। তৃতীয় পক্ষের গাত্র দাহ! তো এখানেই? তাদের সন্তান মম কে পেয়ে ওরা বুঝি সত্যিকারভাবে “সুখ পাখি” টা কে হাতে পায়? আর এতেই হয়তো বা ওরা, সেই ব্যক্তির দুষ্টু নয়নের শ্যেন দৃষ্টির শিকার হতে চলেছে? ওদের সুখের সংসারে অশুভ ইঙ্গিতের হাতছানি, দেখা দেয়ার চেষ্টা চলছে ক্রমাগত। শেষ পর্যন্ত সফল কে হবে? ওরা দু’জন? না কি তৃতীয় কোন পক্ষ? সকলকে ধন্যবাদ।
-লেখিকা
তোমায় চেয়েছি বলে
জহিরুল হক বাপি। জন্ম ১৯৭৯ সালে নোয়াখালির এক মফস্বলী ঝড়ো সন্ধ্যায়।
চলচ্চিত্র শিক্ষায় স্নাতক। ব্লগার ও গণজাগরণ কর্মী।
লেখকের প্রকাশিত অন্যান্য বই:
ঈস্রাফীলের শিঙ্গা বাজছে (উপন্যাস)
শোকগাথা’৭১ (উপন্যাস)
আমি আমাকে খেয়ে বেঁচে আছি (কবিতা)
মাটির বাকসো লড়োচড়ো
শাহিনুর, যাত্রাদলের এক সুন্দরী নর্তকী। বিধবা এ মেয়েটি ভিন্ন জাতের এক গানওয়ালার প্রেমে পড়লে ধর্ম ও সমাজ থেকে ছিটকে পড়ে। তার নাচ দেখতে এসে প্রেমে পড়ে যায় কিশোর বদি। শাহিনুরও এই কিশোরের প্রেমে হারিয়ে ফেলে জীবনের খেই। একসময় ভেঙে যায় ‘দি মাঝি অপেরা’। হারিয়ে যায় শাহিনুর। পর্দার আড়ালে থেকে এই নর্তকী তার প্রেমিকার প্রতিষ্ঠা পেতে অবদান রাখে। দীর্ঘ তেরো বছর পর জীবনের মঞ্চে আবার শাহিনুরের আবির্ভাব।
‘কৃষ্ণপক্ষের আলো’ নদী তীরবর্তী প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর এক অসাধারণ আলেখ্য। ঔপন্যাসিক আশ্চর্য কুশলতায় উঠিয়ে এনেছেন আবহমান বাঙলার অন্ত্যজ শ্রেণির শিল্প, সাহিত্য, ধর্ম, রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা। সুনিপুণভাবে চিত্রিত হয়েছে বাঙালি জাতির মহান অর্জন মুক্তিযুদ্ধের প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির সূক্ষ্ম দিকসমূহ। ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িকতা, পুরুষতান্ত্রিকতার নগ্ন থাবা লেখকের ক্ষুরধার তীর্যক আঁচড়ে অতি চমৎকাররূপে বাঙময় হয়ে উঠেছে।
বিয়োগাত্মক এ গল্পে কেন্দ্রীয় চরিত্র শাহিনুর পতিত শ্রেণির এক বঞ্চিতা নারী। গল্পকার তার মুনসিয়ানা দিয়ে বাস্তবসম্মতভাবে পতিত এ নারীকে পাঠকের কাছে উপস্থাপন করেন মহীয়সী রূপে।
শিল্পের সব ধারায় কাজ করলেও আনোয়ার হোসেন বাদল মূলত এক শক্তিমান কবি ও কথাশিল্পী। তার প্রকাশিত প্রত্যেকটি উপন্যাস নিঃসন্দেহে শিল্পগুণসমৃদ্ধ এবং সুখপাঠ্য। কৃষ্ণপক্ষের আলো বাংলাসাহিত্যে এক অমূল্য সম্পদ হয়ে থাকবে প্রত্যাশা রইলো।
সৈয়দ মাজহারুল পারভেজ
বহুমাত্রিক লেখক ও সাহিত্যজন
কৃষ্ণপক্ষের আলো
‘প্রতিদিন একটি খুন’ তরুণ লেখক শফিক হাসানের প্রথম গল্পগ্রন্থ। এতে ৮টি গল্প আছে। নতুন যে-প্রজন্মের জীবনযাত্রা, ভাবনাচিন্তা এবং কথাবার্তার প্রকাশ এ-গল্পগুলিতে ঘটেছে, তার সঙ্গে আমার তেমন পরিচয় নেই। তাই অনেকটা কৌতূহল ও বিস্ময় নিয়ে আমি সেগুলো পড়েছি। অনেকগুলি গল্পেই ছোটোগল্পোচিত রহস্যময়তা বা চমক আছে, তবে লেখকের শিক্ষানবিশির ছাপও আছে।
আমি শফিক হাসানের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
ড. আনিসুজ্জামান
জাতীয় অধ্যাপক
প্রতিদিন একটি খুন
অলীক ভবিষ্যতে নির্জন অতীত
একদিন হয়তো নিতান্তই খেয়ালের বশে
মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে আত্মহারা হবো
উল্লাসে উদ্ভাসিত মন তখন আরবী ঘোড়া
দিক্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে ছুটে যাবে অলীক ভবিষ্যতে।
আমার যত গান সুর হারিয়ে কাঁদবে
তার বেদনার মর্মধ্বনি বাজবে না কারো বুকে
বাণীগুলো তখন আবেদনহীন এতিম সন্তান
কোথায় গিয়ে আত্মাহুতি দিতে গিয়ে লাঞ্ছিত হবে।
ওজনের স্তর কমে গিয়ে যেদিন আকাশ বিবর্ণ হবে
সেদিন তো খোঁজ করে পাবে না আর
কোনো বিফল কবির মৃত আত্মাকে
তার চেয়ে বরং নির্জন অতীতেই করুক বসবাস।
০৬.০৭.২০১৯
অলীক ভবিষ্যতে নির্জন অতীত
সৈয়দ রায়হান বিন ওয়ালী। লেখক নাম: সৈয়দ ওয়ালী। জন্ম: ১৭ই জানুয়ারি ১৯৬৭। জন্মস্থান: পুরাতন ঢাকা। পিতা: সৈয়দ ওয়ালী হোসেন সুলতান। মাতা: সোহেলি ফেরদৌসী। পৈত্রিক ভিটে: কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলার ইসলামপুর গ্রাম।
বেড়ে উঠা: সৈয়দ ওয়ালীর শৈশবের প্রথম কয়েক বছর কাটে পুরাতন ঢাকার বংশালে। তবে দেশ স্বাধীন হবার বছর খানেক পর পারিবারিক আর্থিক সংকটের কারণে পিতার নানী-বাড়ি গাজীপুরের কালিয়াকৈর-জমিদার- বাড়ির গ্রামীণ পরিবেশে কাটে শৈশব ও কৈশোরের পরবর্তী কয়েক বছর। যার সুবাদে সে শহর ও গ্রামের দ্বৈত জীবনের অভিজ্ঞতায় বেড়ে উঠার সুযোগ পায়। যে দ্বৈত-জীবনের অভিজ্ঞতার বিবিধ বৈশিষ্ট তার বিভিন্ন কবিতায় গদিয়ান। শিশুকাল থেকে সাহিত্যের অন্যান্য মাধ্যমের প্রতি তীব্র টান অনুভব করলেও মূলত যৌবনে এসেই সৈয়দ ওয়ালী ধীরে ধীরে কবিতা জগতের প্রতি মুগ্ধ হতে থাকে এবং নিজের কবিতা সৃজনের তৃষ্ণা নিজের ভেতর অনুভব করতে থাকে, যে তৃষ্ণা পরিশেষে তাকে কবিতা চর্চায় নিমগ্ন করে; সৃষ্টিশীলতা শুরুর বছর বিচারে যা ইংরেজি বর্ষপঞ্জির ১৯৮৯/১৯৯০। সেই থেকেই সৈয়দ ওয়ালী কবিতার ভাব ভাষা ছন্দ ও শৈলী নিয়ে বিচিত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা করা ও এইসব উপাদানের যথাযথ সমন্বয়ের মাধ্যমে সৃজন করে চলেছেন তার কবিতার নিজস্ব ও স্বতন্ত্র এক জগৎ, যা আজ অবধি চলমান।
প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ ‘তুমি ও তোমাদের হাত ছুঁয়ে ছুঁয়ে’, ‘বিনত খসড়া’।
……………………………
জলজ স্বাক্ষর
মননশীল সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠার সুবাদে কৈশোরের আঙিনা থেকেই কথাশিল্পের সঙ্গে জোৎস্নালিপির সখ্য। শিশুবেলা থেকেই পারদর্শিতা দেখিয়েছেন ধারাবাহিক গল্পবলা, একক অভিনয় এবং আবৃত্তিতে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ছোটগল্প লিখে জিতেছেন পুরস্কার। তখন থেকেই ছোটগল্প লিখে এবং লিটল ম্যাগ ‘ধ্রুব’ সম্পাদনায় বেশ পরিচিতি পান। এরপর জাতীয় দৈনিকগুলোতেও ছোটগল্প, প্রবন্ধ, গবেষণামূলক লেখা শুরু করেন। হঠাৎই একদিন লিখে ফেললেন একটি শিশুতোষ গল্প। ছাপা হলো সংবাদের শিশুসাহিত্য পাতা খেলাঘরে। এরপর নিয়মিত শিশুদের জন্য লিখতে থাকলেন এবং তা প্রকাশিত হতে থাকল দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিকগুলোসহ লিটল ম্যাগাজিন এবং শিশুসাহিত্য পত্রিকায়। তার বর্তমান মনোনিবেশের বেশির ভাগ এখন শিশুসাহিত্যে। দৈনিক সংবাদের শিশুসাহিত্য পাতা ‘খেলাঘর’ ও দৈনিক দেশবাংলার ‘ডানপিটেদের আসর’ দীর্ঘদিন সম্পাদনা করেছেন। গবেষণা, সাংবাদিকতা এবং সাহিত্য রচনার পাশাপাশি তিনি একজন তথ্যচিত্র নির্মাতা। প্রাতিষ্ঠানিক অবস্থান থেকে জ্যোৎস্নালিপি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের ছোটগল্প নিয়ে গবেষণা করে। এ ছাড়া, সাংবাদিকতায় রয়েছে তার একটি ডিগ্রি ও দুটি ফেলোশিপ। গণমাধ্যমবিষয়ক ত্রৈমাসিক ‘মুক্তপ্রকাশ’-এর সম্পাদক, ‘দৈনিক সংবাদ’-এর ফিচার সম্পাদক এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘প্রান্তজন’-এর নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিতি ও প্রেত্নি মিস
বাঙালির ইতিহাসে, বাঙালির জীবনে গর্ব করার মত যত অধ্যায় আছে, তার মধ্যে সবচে বড় অধ্যায় ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির অহঙ্কার, মাথা উঁচু করে চলার দৃপ্ত অঙ্গীকার। সৌভাগ্যক্রমে আমার জন্ম হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের ছয় বছর পূর্বে, তাই ছয় বছর বয়সে আমিও হতে পেরেছিলাম মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন অংশীদার।
আমার অনেকদিনের ইচ্ছে, আমাদের শৈশব কৈশোরের দিনলিপি নিয়ে ‘চোখ যায় যদ্দুর’ নামে তিন পর্বে বই লিখবো। তিন পর্বে থাকবে মুক্তিযুদ্ধ পূর্বকাল, মুক্তিযুদ্ধকাল ও মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীকাল।
মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল ১৯৭১ সালে, ঊনপঞ্চাশ বছর পেরিয়ে গেছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, বাঙালির অহঙ্কারের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্ম খুব বেশি কিছু জানে না। আজও তারা বিভ্রান্ত হয় মুক্তিযোদ্ধা আর রাজাকার শব্দ দুটো নিয়ে। কারণ কে মুক্তিযোদ্ধা কে রাজাকার, সেই তালিকা আজও নির্ণিত হয়নি।
বর্তমান প্রজন্ম জানে, মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা ছিল, পাকবাহিনী ছিল, রাজাকার ছিল, মিত্রবাহিনী ছিল।
বর্তমান প্রজন্ম জানে না, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মুক্তিযোদ্ধা আর রাজাকার ছাড়াও রিফিউজি নামে আরেকটি শ্রেণির সৃষ্টি হয়েছিল। রিফিউজিদের কথা কেউ আলাদা করে বলেনি, রিফিউজিদের কথা কেউ আলাদা করে লিখে না। তাই বর্তমান প্রজন্ম রিফিউজি শ্রেণির সাথে পরিচিত নয়।
রিফিউজি কারা ছিল, কেন তারা রিফিউজি হয়েছিল! কেমন ছিল রিফিউজিদের জীবন! রিফিউজি হওয়া কি স্বস্তির নাকি বেদনার! ভয়াবহ যুদ্ধ চলাকালে রাজাকারের চোখ এড়িয়ে, পাকসেনাদের গুলি বাঁচিয়ে বন বাদাড়, মাঠঘাট, নদী নালা পেরিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে পৌঁছে নিজেকে রিফিউজি ঘোষণা করা যে কী নিদারুণ কষ্টের আত্মসমর্পণ, অন্যের দয়ায় দিনাতিপাত করা কতখানি গ্লানিকর তা অতীত বর্তমান কোনো প্রজন্মই অনুধাবন করতে পারবে না।
অতীত এবং বর্তমান প্রজন্ম রিফিউজি সম্পর্কে জানে না, কিন্তু ভবিষ্যত প্রজন্ম জানুক রিফিউজিদের কথা।
মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বয়স ছিল সাড়ে ছয় বছর, বড়দা ছিল কিশোর, মেজদা বালক, ছোট ভাই চার বছর বয়সের শিশু।
না, আমরা কেউ বন্দুক হাতে মুক্তিযুদ্ধ করিনি। চারটে ছেলেমেয়ে যুবতী স্ত্রী বৃদ্ধা মাকে পাকবাহিনীর গোলার মুখে ফেলে বন্দুক হাতে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার মত দুঃসাহস আমাদের বাবার ছিল না। বাবা তাই সবাইকে নিয়ে প্রাণ বাঁচাতে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পৌঁছে রিফিউজি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কেউ সাধ করে আশ্রিতের জীবন বেছে নেয় না।
এক দিনে আমরা ভারতে পৌঁছাইনি, দীর্ঘ পনের দিন লেগেছে নারায়ণগঞ্জ থেকে আগরতলা হয়ে কলিকাতা পৌঁছাতে। সেই যাত্রাপথ কেমন ছিল, কি কি ঘটেছিল, অথবা কি কি ঘটতে পারতো, কলিকাতা পৌঁছে আমরা কেমন ছিলাম, কলিকাতাবাসী আমাদের প্রতি কতখানি আন্তরিক ছিল, এসব সত্য যদি লিপিবদ্ধ না থাকে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পূর্ণ হবে না।
ইতিহাস সৃষ্টি হয় সত্যের ওপর ভর দিয়ে, ইতিহাস দাঁড়ায় সত্যের ভিত্তির ওপর। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ মিছে নয়, মুক্তিযুদ্ধ বানানো কাহিনি নয়, মুক্তিযোদ্ধা আর রাজাকার নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ নয়, সেখানে রিফিউজি নামে মুক্তিযুদ্ধের যে নীরব সাক্ষী আছে, সেই রিফিউজিরাও মুক্তিযুদ্ধের অংশ, তারাও মুক্তিযোদ্ধা।
শিশুরা মিথ্যা বলে না, শিশুরা মিথ্যা দেখে না। শিশুরা ছল চাতুরী জানে না, আদালতে শিশুরা মিথ্যে সাক্ষ্য দেয় না। মাঝে মাঝে শিশুরাই হতে পারে ন্যায় বিচারক।
একাত্তরে আমরা ছিলাম শিশু বালক বালিকা, আমরাই হয়েছিলাম রিফিউজি, আমরাই ছিলাম মুক্তিযুদ্ধের সত্যদর্শী সাক্ষী। রিফিউজিদের কথা যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জানতে পারে, সেই দায় মাথায় নিয়ে আমাদের বাল্যকালের সত্যনিষ্ঠ স্মৃতিভান্ডার থেকে কুড়িয়ে যতটুকু সত্য আহরণ করতে পেরেছি, সেটুকুই ‘চোখ যায় যদ্দুর’র মুক্তিযুদ্ধকাল পর্ব ‘একাত্তরের বালক বালিকা’ খণ্ডে লিপিবদ্ধ করে রাখতে চেয়েছি। একাত্তরের বালক বালিকা পর্বটি সত্যদর্শী বালক বালিকার সত্য বয়ানের লিপিবদ্ধ রূপ।
Chokh Zay Joddur - চোখ যায় যদ্দুর (একাত্তরের বালক বালিকা) - দ্বিতীয় মুদ্রণ
প্রশিক্ষণ পরিচিতি:
প্রশিক্ষণ পরিচিতি বইটিকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার আর প্রয়োজন নেই হয়তো। ইতোমধ্যে এই বইয়ের তৃতীয় সংস্করণ ও চতুর্থ মুদ্রণ শেষ হয়েছে। কিন্তু প্রায় পাঁচ বছর আগে চতুর্থ মুদ্রণ শেষ হলেও বিভিন্ন কারণে চতুর্থ সংস্করণ ও পঞ্চম মুদ্রণ দীর্ঘ সময় লেগে গেল।
বাংলাদেশে বাংলা ভাষায় প্রশিক্ষণ পরিচিত একমাত্র বই যেটি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষকগণ ১৯৯৮ সাল থেকে ব্যবহার করে আসছেন। আরও আনন্দের বিষয় যে, এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নন-ফরম্যাল এডুকেশন বিষয়ের জন্য পাঠ্য এবং কয়েকটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে রেফারেন্স বই হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। দেশের প্রায় সবগুলো প্রশিক্ষণ একাডেমিতেও এই বইয়ের ব্যবহার ও অন্তর্ভুক্তি রয়েছে।
কী আছে এই বইয়ে?
প্রায় সাড়ে ছয় শত পৃষ্ঠার বইটিতে প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট ষোলোটি অধ্যায় রয়েছে। একজন প্রশিক্ষক কীভাবে নিজেকে তৈরি করবেন, কীভাবে দক্ষতা বাড়িয়ে শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলবেন তার কলাকৌশল সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা রয়েছে। এই বইয়ে রয়েছে ৭৫টি প্রশিক্ষণ পদ্ধতিসহ বিভিন্ন কনসেপ্টের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ। যেমন- প্রশিক্ষণ, ফ্যাসিলিটেশন, শিখন, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ চাহিদা নিরূপণের কলাকৌশল, প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল/মডিউল প্রণয়নের তাত্ত্বিক ও ব্যাবহারিক ধারণা, যোগাযোগ, উপস্থাপন, প্রশিক্ষণ মূল্যায়নের তাত্ত্বিক ও ব্যাবহারিক ধারণা। প্রশিক্ষক কীভাবে একটি প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালনা করবেন এবং প্রশিক্ষণ কোর্সের পর প্রতিবেদন লেখার কলাকৌশলেরও বিশদ বর্ণনা এই বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সর্বশেষে রয়েছে ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কিত একটি সমৃদ্ধ পরিভাষা।
প্রশিক্ষণ পরিচিতি - Proshikkhon Parichiti
ছোটদের যেমন বড় হতে ইচ্ছে করে, বড়দেরও তেমন ছোট হতে ইচ্ছে করে। আসলে প্রতিটি বড় মানুষের মাঝেই ছোট একটি মানুষ থাকে। কিন্তু বড় মানুষেরা সহজে তাদের ভেতর থাকা সেই ছোট মানুষটাকে বাইরে আনতে চায় না। তবে একটি পরিবেশে পড়ে গেলে ঠিকই বড় মানুষের ভেতরের ছোট মানুষটি অবলীলায় বাইরে চলে আসে। বিশেষ করে বড়রা যখন ছোটদের কাছে আসে। তখন তাদের মনে হয়, আবার সবকিছু ছোটদের চোখে দেখতে! ছোটদের চোখে দেখা এই পৃথিবীটা যেমন নির্মল, তেমনি স্বচ্ছ আর রঙিন। মনে হয় ছোটদের চোখের দৃষ্টিটা ধরে রাখতে পারলে পৃথিবীটা অনেক সুন্দর লাগত। বড়রা চাইলে নিজের জীবন থেকে ছুটি নিয়ে চলে যেতে পারে ছোটদের জীবনে। বলতে গেলে বড়দের জন্যেই এই বইটি! তবে বইটি পড়ে ছোটরাও আনন্দ পেতে পারে, যদি বইটি পড়ার সময় ওর পাশে বড় কেউ থাকে। আরো ভালো হয়, যদি বড় কেউ বইটা পড়ে ছোটদের শোনায়, তখন চাইলে গল্পগুলো নিজের মত করে ছোটদের বুঝিয়েও দিতে পারে।
আমাদের মিনু - Amader Minu
মেঘ অদিতি। কবি ও গল্পকার হিসেবে ‘দু’বাংলাতে পরিচিত। জন্ম: ৪মে, জামালপুর। বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কর্মরত। প্রকাশিত গ্রন্থ: ‘জলডুমুরের ঘুম (কাব্য)’ ‘অস্পষ্ট আলোর ঘোড়া (গল্প)’ ‘অদৃশ্যতা হে অনিশ্চিতি (কাব্য)’ এবং ‘সময় শূন্যতার বায়োস্কোপ (মুক্তগদ্য)।
প্রবেশিধকার সংরক্ষিত
লেখক পরিচিতি :
ফকির ইলিয়াস। মূলত: কবি। এছাড়া অবাধ যাতায়াত আছে প্রবন্ধ ও গ্রন্থসমালোনায়। সাংবাদিক হিসাবেও ব্যাপক পরিচিতি আছে। প্রবাসে বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি-লালন ও চর্চায় তিনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। এযাবৎ প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা তেরটি। বিভিন্ন দেশের সাহিত্য পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে নিয়মিত লেখা ছাপা হচ্ছে। ‘ঠিকানা শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ পুরস্কার’ ‘ফোবানা সাহিত্য পুরস্কার’সহ আরও অনেক পুরস্কারে তিনি ভূষিত হয়েছেন দেশে ও বিদেশে। বর্তমানে স্বপরিবারে নিউইয়র্কে বসবাস করছেন।
গৃহীত গ্রাফগদ্য
অনুভূতির পরাগ মাখানো প্রজ্ঞা নিয়ে মানব স্বঅবয়ব, দেশ, পৃথিবী ও জগতের
ঘটমানতাকে প্রত্যক্ষ করে। সেও ধর্মবিশ্বাসের আদলে আদম-হাওয়ার মিথের মত
খুঁজে পেতে চায় কার্য-কারনের একটি আদিম যুগোল। ভূমি ধ্বস, উষ্ণতা, মহামারি
বা একজন শাসক মানবের অস্তিত্বে যে সম্পন্নতা-বিপন্নতা সৃষ্টি করে তার বিশ্লেষণে
কার্য-কারনের ক্রোমোজোমের শিকল ধরে ধরে পৌঁছাই প্রাগৈতিহাসে, সংলগ্ন থাকি
ইতিহাসে, পৌছুতে চাই ভবিষ্যতে। এই কালিক-ধাবনে প্রজ্ঞার উচিয়ে থাকা রৌদ্রাকাঙ্খি
শাখা-প্রশাখা থেকে উড়তে থাকে জন্মান্তরের ক্ষমতা সম্পন্ন অনুভূতির বিস্ফোরক পরাগ,
ঝরে পরে মানবের পথ-পরিক্রমার মানচিত্রে। কবিতার ডালায় কুড়িয়ে নিলেই তা কবিতা
বা নিহিতার্থে রাজনৈতিক কবিতা।
একটি কাব্যিক নীরবতা
কামরুল ইসলাম
জন্ম: কুষ্টিয়ার ফিলিপ নগর গ্রামের গোলাবাড়ি পাড়ায়। পেশা: অধ্যাপনা (ইংরেজির অধ্যাপক)। বর্তমানে এইচ এস টি টি আই, রাজশাহীতে পরিচালক পদে ( প্রেষণে) কর্মরত আছেন। নব্বইয়ের দশকে চ‚ড়ান্তভাবে কবিতার জগতে প্রবেশ। তিনি একজন দ্বি-ভাষিক কবি। শালুক, একবিংশ, কবিতাপত্র, উলুখাগড়া, চিহ্ন, কালি ও কলম, অনুপ্রাণনসহ বিভিন্ন লিটল ম্যাগ ও সাহিত্য পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি করে থাকেন। এছাড়াও বাক, শব্দকুঞ্জ, শিল্পচিন্তা, ঐহিক, তীরন্দাজসহ বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের অনেক ওয়েব ম্যাগাজিনেও তার লেখা প্রকাশিত হয়েছে।
তার ইংরেজিতে লেখা কবিতা পৃথিবীর নানা দেশের ওয়েব ম্যাগাজিন ও অ্যান্থলজিতে প্রকাশিত হয়ে আসছে। ভারত ভিশন, অতুনিস পোয়েট্রি, ওয়ার্ল্ডপোয়েট্রি ম্যাগাজিন, পোয়েটস আনলিমিটেড, টাইফাস, কালচারাল রেভারেন্স, স্টার কাউন্টার ম্যাগাজিনসহ অনেক আন্তর্জাতিক প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকায় তার কবিতা নিয়মিত প্রকাশিত হয়ে আসছে। স্প্যানিশ, ফরাসি, ইতালীয় ও রোমানীয় ভাষায় অন‚দিত হয়েছে তার অনেক কবিতা ।
প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ-
দ্বিধাান্বিত সুখে আছি যমজ পিরিতে (১৯৯৯), ঘাসবেলাকার কথা (২০০১), যৌথ খামারের গালগল্প (২০০৬)
সেইসব ঝড়ের মন্দিরা (২০০৮), চারদিকে শব্দের লীলা (২০১০) অবগাহনের নতুন কৌশল (২০১১),
মন্ত্রপড়া সুতোর দিকে হাওয়া, (২০১৪)।
প্রবন্ধগ্রন্থ-
কবিতার বিনির্মাণ ও অন্যান্য (২০০৯), রবীন্দ্রনাথ: বিচিত্রের দ‚ত (২০১৩)
কবিতার স্বদেশ ও বিশ্ব
কিটস্ বলেছেন, যে ভালোবাসা পেল না, যে কাউকে ভালোবাসতে পারল না, সংসারে তার মতো হতভাগা কেউ নেই।
আমাদের অত্যন্ত স্বল্প এই জীবনে প্রায় সবাই ভালোবাসতে চায়, ভালোবাসা পেতে চায়। আবার কেউ সারাজীবন প্রিয়তমার ভালোবাসা না পেয়েও একতরফা ভালোবেসে যায়। কেউ বা হারিয়ে ফেলা মানুষটাকেই ফিরে পেতে চায়।
পারিবারিকভাবে বিয়ের আলাপ ধার্য হওয়া যুবক-যুবতী হুট করেই প্রেমে পড়ে যেতে চায়! যান্ত্রিক জীবনে সর্বক্ষণ ব্যস্ত থাকা স্বামীর স্ত্রী চায়, তার স্বামী ফুল নিয়ে ঘরে ফিরুক।
নব বিবাহিত দম্পতি চায় তারা নতুক করে প্রেমে পড়তে। বেকারত্বের কারণে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়া প্রিয়তমাকে অতীত ভুলে ভালোবাসতে চায় প্রতিষ্ঠিত সেই যুবক।
এমনই ভালোবাসাবাসির আকাঙ্ক্ষা নিয়েই ভিন্ন স্বাদের ভালোবাসার মোট এগারোটি গল্প নিয়ে সুলেখক নাঈম হাসানের পঞ্চম একক গল্প সঙ্কলন–এখন তো সময় ভালোবাসার।
বইটি পাঠকের প্রত্যাশা পূরণে সমর্থ হবে, সেই আশা আমরা করতেই পারি।
Ekhon To Somoy Valobasar - এখন তো সময় ভালোবাসার
কিরণ আকরামুল হক এর “অহেতুক মানুষ” বইয়ের কবিতাগুলি আমাকে পড়তে হয়েছে নানকারণে। প্রথম বই প্রকাশের পর দু’বছর বিরতি দিয়ে কবি নিজেকে প্রস্তুত করেছেন। কবিতার ভেতরের শিল্পকে বুঝতে চেষ্টা করেছেন। রূপক, উপমার সেলাই শিখেছেন। সাথে প্রগতিশীলতার চর্চা থাকায়, ‘অহেতুক মানুষ’ গ্রন্থের প্রায় প্রতিটি কবিতাই কবিতা হয়ে উঠেছে। সমকালীন চিন্তা, বিষয় ভাবনা, আর পরিমিত নির্বাচিত শব্দ-প্রয়োগে অহেতুক মানুষ গ্রন্থের কবিতাগুলিকে কবি কিরণ আকরামুল হক এর ভাবনার পরিণত বুনন বলা যায়। গ্রন্থখানার দারুণ পাঠকপ্রিয়তা আশা করছি।
-ফিরোজ আহমেদ
অহেতুক মানুষ
আজকাল কবিতা চর্চার অনেক মাধ্যম আছে। ফেসবুক, ব্লগ, অনলাইন পত্রিকা থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগের সব মাধ্যমেই কবিতা চর্চা হয়। কিন্তু নীরবে কাব্যচর্চায় তেমন কেউ নিমগ্ন হয় না। কবি নুরুন্নাহার মুন্নির এই বইয়ের কবিতাগুলো পড়ে মনে হয়েছে, তিনি নীরবে-নিভৃতে কবিতাচর্চা করেন এবং তা করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। আর দশজন তরুণ কবির মতো বই প্রকাশের জন্য তেমন কোনও তাড়াহুড়ো না করে কবিতা লিখে চলেছেন দশকের পর দশক। তাই তো কবি খ্যাতি পাওয়ার লোভ সংবরণ করে এতদিন পর এসে প্রথম কাব্য প্রকাশে আগ্রহী হয়েছেন। দীর্ঘদিন সাধনা ও চর্চার পর তার কবিতার ভাষা যে পরিণত হয়েছে তার আভাস পাওয়া যায়। তার কবিতায় মস্তিষ্কের সঙ্গে অন্তর্জগৎ, হৃদয়-আত্মা, মনের ব্যাকুলতা, বুদ্ধি, আকাঙ্ক্ষা, আসক্তি, মানবতাবোধ, স্মৃতিগত-সংস্কার, শ্বাশত আবেগের অনন্য উপলব্ধি ও সমাজজীবনের বহুরূপী চিত্রকল্প অনুভূত হয়। তিনি শব্দচয়ন, উপমা প্রয়োগ ও চিত্রকল্পের ব্যবহারে বেশ সচেতন আর তাতেই তার কবিতায় ভিন্নস্বর ও সতন্ত্র কাব্যভাষ্য পরিলক্ষিত হয়। প্রথম বই হলেও কবিতাগুলোতে আছে পরিণত কবিদের কবিতার মতো গভীরতা।
আধখোলা জানালার আলাপ - Adhkhola Janalar Alap
Get access to your Orders, Wishlist and Recommendations.
There are no reviews yet.