Additional information
Weight | 0.200 kg |
---|---|
Published Year |
$ 1.41 $ 1.88
সচৈতন্যের শূন্যবাদ অস্তিত্বাশ্রয়ী যে ভাবনা রয়েছে গহনে প্রবিষ্ট তাকে উজ্জ্বল চেতনার রূপ দেবো ভাষার হাত ধরে— সর্বতোমান্য আবেগে কাব্যকে লক্ষ্যভেদী করার সে সাধনা আমার অর্জিত হয়নি। ভাবনাকে আবেগতাড়িত ও আবেগকে ভাবনাতাড়িত করার ধীমতি উপপাদ্য সুদূরের কুয়াশায় ধূসরিত হৃদয়ের মন্থনদণ্ড উজ্জ্বলতা হারায় মানসিক পরিশ্রমে। সুশিক্ষিত কাব্যকে ঘিরে জ্বালাতে চাই তবু বিদগ্ধ দীপাবলী। সকল ব্যথিত বাঁধনের যে মহাছন্দ অসীম শূন্যের অলঙ্ঘ্য নিয়মপথে তরঙ্গিত হয়, সে উন্মত্ত রাগিনী নিয়ত ছুটে চলছে যে অমোঘ আলোর পথে, সে পথে তপতীর ছায়ার মত থেকে যেতে চাই কবিতার বুকে নিভৃতনিলয় সুখে। আমার চিন্ময় প্রকৃতির গভীরে অনুরণিত হয় যে কম্পিত সুর, সে সুরের বন্ধনহীন বারতা সুহৃদের সাথে ভাগ করে নিতে চাই “যে সুর বাজে গহীনপুরে” কবিতাগ্রন্থের মধ্য দিয়ে।
অবিরাম এই যে ছুটে চলি মাঠে-পথে, হাওয়ায়-শূন্যে, জলে-ডাঙায়, উপরে-নিচে, আকাশে-দিগন্তে—এই পরিক্রমায় সারা পথজুড়ে আমাকে যারা জড়িয়ে আছে অনুভাবুক হয়ে—রতন কুমার ঢালী- আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন, চন্দ্রাত্মজ ঢালী—যার গভীরে আমি ডুবে যেতে চাই, রিখিয়া ঢালী—যার ভালবাসা আমার জীবনকে অর্থবহ করেছে, সন্তোষ কুমার শীল—যে আমাকে কাব্য জগতে আহ্বান জানিয়েছে, এছাড়া ড. অশোক মিস্ত্রী, নির্জন মজুমদারসহ আমার সকল প্রিয়জন যারা আমাকে কাছে বা দূরে থেকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন—তাদের সকলের প্রতি রইল আমার গভীর কৃতজ্ঞতা।
Weight | 0.200 kg |
---|---|
Published Year |
রাজন্য রুহানি। পরিবারের দেওয়া সনদসাক্ষ্য নাম মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। জন্ম: ২রা নভেম্ভর ১৯৮০, জামালপুর জেলা শহরের হাটচন্দ্রায়। কলেজে পা দেবার সাথে সাথেই সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত হয়ে পড়েন। স্থানীয় কয়েকটি দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকার বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। মফস্বল সাংবাদিকতার পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না পেরে বারবার কবিতার কছেই ফেরা। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং। ১৯৯৮ থেকে কবিতার ভাঁজপত্র শব্দদূত সম্পাদনার সাথে যুক্ত। ঐ বছরই অন্যান্য লেখক সহযোগে আলোচনাগ্রন্থ- ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ; আতিয়ার রহমানের ৭টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এটি লেখকের প্রকাশিত এককবই।
গল্প সমাপ্তির গান
সাঈদা মিমি। জন্ম: ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৮। বরিশালে। শৈশবের পুরোটাই এবং অর্ধেক কৈশোর কেটেছে পদ্মাপাড়ে, মানিকগঞ্জের ঘোনাপাড়া গ্রামে। লেখালেখির শুরু ছাত্রজীবনে। প্রথম প্রকাশিত হয় ইত্তেফাকে। ফ্রীল্যান্স সাংবাদিকতা, স্কুল মাস্টারিং, বায়িং হাউজের এডমিন, হাউজিং কোম্পানির এক্সিকিউটিভ ইত্যাদি বিচিত্র কর্মজীবন মেষে অতঃপর গৃহিণী। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘সব নিয়ে গেছে এক সময়ের লুটেরা বাতাস’ ‘ফারাও কুমারী’ ও ই-বুক ‘কীর্তনখোলা’।
একজন মৃতের ডাইরি
লেখক পরিচিতি :
নিখিল নওশাদ। জন্মসন: ১৯৮৯ইং। বড়িয়া, ধুনট, বগুড়া, বাংলাদেশ। ‘বিরোধ, ‘নিওর’ ও ‘নীড়’ পত্রিকার সম্পাদনা পরিষদের সাথে যুক্ত। এটি লেখকের প্রথম প্রকাশিত বই। এছাড়া ছোটগল্প বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছেন।
এটি একটি চিৎকার
লেখক পরিচিতি :
তানভীর আহমেদ হৃদয়। জন্ম: ৩ডিসেম্বর, ১৯৮৫ইং। মুন্সিগঞ্জ, বিক্রমপুর। প্রকাশিত গ্রন্থের তালিকায় আছে কবিতা, গল্প, উপন্যাস, ছড়া। এছাড়া সম্পাদিত গ্রন্থের তালিকায় আছে কবিতা ও গল্প। লেখকের লেখা প্রতিনিয়ত দেশে ও বিদেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে।
অচেনা রৌদ্রের রঙ
সিদ্দিক প্রামানিক। জন্ম: ২১শে আগস্ট ১৯৭৯, কুস্টিয়ার কুমারখালী থানার চরভবানীপুরগ্রামে। বাংলা সাহিত্যে মাস্টার্স শেষ করে বর্তমানে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন এবং বাম প্রগতিশীল সংগঠনের সক্রিয় সংগঠক ও সংস্কৃতকর্মী। প্রথম বই ‘হাঙরের সমুদ্রে মননশীল মাছ’।
উন্মাদের কনসার্ট
আলী রেজা। জন্ম: ১৯৫৭। মুক্তিযুদ্ধে আলোড়িত কবি, সত্তর দশকে মূলত ছোটকাগজে লেখালেখি শুরু করেন। সদ্য অবসরে যাওয়া একটি রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠানের বিপণন ব্যবস্থাপক। এটি কবির প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ।
আলী রেজা
অয়ন্ত ইমরুল। জন্ম: ১২ই এপ্রিল ১৯৮৭ইং, মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার আজিমনগর গ্রামে। পদ্মা নদীর ভয়াল গ্রাসে শৈশবেই ঠিকানার পরিবর্তন ঘটে বর্তমানে সাভার আশুলিয়ায় বসবাসরত। এটি লেখকের প্রথম প্রকাশিত বই।
ছায়াসমুদ্র
ফারহানা খানম। জন্ম: ১৯শে এপ্রিল ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী এলাকায়। গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দীপে। ‘ভুগোল ও পরিবেশ’ বিষয়ে স্নাততোত্তর ডিগ্রী অর্জন করে ব্যাংকে চাকুরি শুরু করলেও বর্তমানে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত। নয় ভাই-বোনের মাঝে সবার ছোট বলেই আদরও পেয়েছেন বেশি। প্রথম প্রকাশিত বই, ‘ইছামতি’ (কলকাতা থেকে প্রকাশিত)।
তৃষ্ণার্ত বালুতট
দেবাশীষ ধর। জন্ম: ৫ই জানুয়ারি, ১৯৮৯। চট্টগ্রাম। কবিতার ছোটকাগজ ‘বাঙাল’ এর সম্পাদক। কবির এটি প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
ফসিলের কারুকাজ
লেখক পরিচিতি :
হামীম ফারুক। পুরো নাম: গোলাম ফারুক হামীম। জন্ম: ২৪শে অক্টোবর, ১৯৬৩, ঢাকা। প্রথম তারুণ্যে কাজ করেছেন ইংরেজি পত্রিকা নিউ নেশন-এ। সাংবাদিকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করে এখন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। মূলস্রোতের সাহিত্য পত্রিকাগুলোতে একটানা লিখেছেন ১৯৮৭ পর্যন্ত। মাঝখানে বিরতি দিয়ে পুনরায় আগমন প্রথম কবিতার বই ‘রোদ ও ক্রোধ, মাঝখানে সাঁকো’ দিয়ে। একটি ই-বুক আছে, ‘নক্ষত্রের চিরকূট’। এটি লেখকের তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ।
প্রকৃতি পুরাণ
তুহিন দাস, কবি ও লিটলম্যাগ কর্মী। জন্ম: ১১ জানুয়ারি ১৯৮৫, জল ও কবিতার শহর বরিশালে। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখি শুরু করেন। প্রথম কবিতার শিরোনাম ‘সমাধিপৃষ্ঠা’। ২০০০ সালে ‘আরণ্যক’ সাহিত্যপত্র সম্পাদনা শুরু করেন। সম্পাদনার জন্যে ২০১১ সালে ‘চিহ্ন সন্মাননা’ পেয়েছেন। বর্তমানে ‘আরক’ পত্রিকা ও প্রকাশনায় কর্মরত আছেন। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ছয়, ‘বনসাই প্রকল্পের মানুষ’ ‘অসুখময় দিনরাত্রি’ ‘বিষাদনীলঘোড়া’ ‘কাজল বিক্রেতার স্বপ্ন’ ‘বাগান সিরিজ’ ও ‘দূরের পাড়া কাছের বাড়ি’।
কাঠের মুখ
মুর্শিদা জামান। জন্ম: ১৯৮৩ সনে বর্তমান বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি জেলায়। শৈশব ও বেড়ে ওঠা দক্ষিণের খুলনা শহরে। বাংলায় অনার্স সহ এমএ করেন ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখির সূত্রপাত। কবিতা লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ছোট কাগজ ও সাহিত্য বিষয়ক মাসিক পত্রিকাতে ছোটগল্প প্রকাশিত হয়েছে। প্রকৃতি ও পশু-পাখির প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও সখ্যতা রয়েছে। বর্তমানে তিনি লেখালেখি নিয়েই ব্যস্ত।
অদৃশ্য ছায়ার প্রজাপতি
মৃত্যু সংবাদ এমনই একটা বিষয় মুহূর্তে পৃথিবীর গতি স্তব্ধ করে দেয়। পরিচিত বা কাছের জনের মৃত্যু হলে তা আরও ভারী বোধহয়। মনে হয় যেন নিজেরই একটা অংশ মরে গেছে। এত সুন্দর মায়াময় প্রভাতটা নিমেষের মধ্যে অর্থহীন, শ্রীহীন হয়ে যায়।
একটি স্বেচ্ছামৃত্যু ও কিছু রসিকতা
মননশীল সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠার সুবাদে কৈশোরের আঙিনা থেকেই কথাশিল্পের সঙ্গে জোৎস্নালিপির সখ্য। শিশুবেলা থেকেই পারদর্শিতা দেখিয়েছেন ধারাবাহিক গল্পবলা, একক অভিনয় এবং আবৃত্তিতে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ছোটগল্প লিখে জিতেছেন পুরস্কার। তখন থেকেই ছোটগল্প লিখে এবং লিটল ম্যাগ ‘ধ্রুব’ সম্পাদনায় বেশ পরিচিতি পান। এরপর জাতীয় দৈনিকগুলোতেও ছোটগল্প, প্রবন্ধ, গবেষণামূলক লেখা শুরু করেন। হঠাৎই একদিন লিখে ফেললেন একটি শিশুতোষ গল্প। ছাপা হলো সংবাদের শিশুসাহিত্য পাতা খেলাঘরে। এরপর নিয়মিত শিশুদের জন্য লিখতে থাকলেন এবং তা প্রকাশিত হতে থাকল দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিকগুলোসহ লিটল ম্যাগাজিন এবং শিশুসাহিত্য পত্রিকায়। তার বর্তমান মনোনিবেশের বেশির ভাগ এখন শিশুসাহিত্যে। দৈনিক সংবাদের শিশুসাহিত্য পাতা ‘খেলাঘর’ ও দৈনিক দেশবাংলার ‘ডানপিটেদের আসর’ দীর্ঘদিন সম্পাদনা করেছেন। গবেষণা, সাংবাদিকতা এবং সাহিত্য রচনার পাশাপাশি তিনি একজন তথ্যচিত্র নির্মাতা। প্রাতিষ্ঠানিক অবস্থান থেকে জ্যোৎস্নালিপি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের ছোটগল্প নিয়ে গবেষণা করে। এ ছাড়া, সাংবাদিকতায় রয়েছে তার একটি ডিগ্রি ও দুটি ফেলোশিপ। গণমাধ্যমবিষয়ক ত্রৈমাসিক ‘মুক্তপ্রকাশ’-এর সম্পাদক, ‘দৈনিক সংবাদ’-এর ফিচার সম্পাদক এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘প্রান্তজন’-এর নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিতি ও প্রেত্নি মিস
ল-লি-তা; গত শতকের নিষিদ্ধ উপন্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি নাম। একইসাথে বিগত শতাব্দীর সেরা উপন্যাসগুলোর একটি। বিখ্যাত রুশ ঔপন্যাসিক ভøাদিমির নবোকভের (১৮৯৯-১৯৭৭) এক অনবদ্য সৃষ্টি ‘ললিতা’। উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশ পায় ১৯৫৫ সালে প্যারিসে ইংরেজি ভাষায়, এরপর ১৯৫৮ সালে নিউ ইউর্ক সিটিতে এবং ১৯৫৯ সালে লন্ডনে। প্রকাশের কিছুকাল পরেই যৌন বিষয়বস্তুর অসুস্থ উপস্থাপনা বলে আখ্যায়িত করে উপন্যাসটিকে বিভিন্ন স্থানে নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর ১৯৬৭ সালে ভ্লাদিমির নবোকভ নিজেই রাশিয়ান ভাষায় উপন্যাসটি অনুবাদ করেন।
বাংলা ভাষায় আমার অনুবাদের ক্ষেত্রে সাবলীল পাঠযোগ্যতার খাতিরে আক্ষরিক অনুবাদের স্থলে ভাবানুবাদই বেছে নিতে হয়েছে। মূল উপন্যাসে অনেক ফ্রেঞ্চ লাইন ছিল। পাঠকের সুবিধার্থে সেগুলোকে বাংলায় তর্জমা করা হয়েছে। রাশিয়ান ভাষায় অনূদিত ‘ললিতা’র সাহায্যও নিতে হয়েছে। আমেরিকার ভূগোল নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে হয়েছে। তাই সহায়িকা হিসেবে আমেরিকান বিভিন্ন ভূগোল বইয়ের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
ললিতা উপন্যাসটি কেবল নিষিদ্ধ প্রেম, প্রণয় বিষয়ক নয়। বরং এটি আদর্শ মনস্তাত্বিক গবেষণাগ্রন্থ হিসেবেও স্বয়ংসম্পূর্ণ। শিল্পে কখনো অশ্লীলতা থাকে না, অশ্লীলতা থাকে আমাদের মগজে। অপরদিকে স্রেফ অশ্লীলতাকেও আমি শিল্প বলতে রাজি নই। সেই হিসেবে বইটি নোংরামিমুক্ত। এবং ভøাদিমির নবোকভের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে তাঁর অমর সৃষ্টি ললিতাকে পাঠকের হাতে তুলে দিতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।
ললিতা
১০০ অণুগল্প
জীবনের অন্য নাম প্রকৃতি, প্রকৃতি জন্ম দেয় অন্তর্গত ভাবাবেগকে,এই ভাবাবেগই লেখায় কবিতা। যে কবিতা জীবন পাতার শিরায় শিরায় ঘটায় আলোক সংশ্লেষণ! জীবনকে নতুন পাতার মত সতেজ করে, সবুজ করে। কবিতা মুখে নিয়ে জন্ম আমার। ঘুম ভাঙলেই দেখতাম মা পায়চারি করছেন আর কবিতা আওড়াচ্ছেন, হে মোর চিত্ত পূণ্য তীর্থ জাগোরে ধীরে অথবা আমি হব সকাল বেলার পাখী…
নির্ঘুম দুুপুরে ছিল আমার মেঘের সাথে কথা চলাচলি! এমনি করে কবিতা আর প্রকৃতি মিলেমিশে এক হয়ে যেত। ক্রমশ তা হৃদগভীরে আরও প্রস্থিত হতে থাকল মৌন প্রকৃতির মৌনতাতে মুগ্ধ হতে হতে কি এক অসীম রহস্যের হাতছানিতে ছুটে চলল মন! টের পেলাম জীবনের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রকৃতি কেমনে নীরবে তার কাজ করে যায়। তাইতো ছায়া বললে বৃক্ষের কথা মনে আসে। আর বৃক্ষ মনে করিয়ে দেয় পিতা বা মাতাকে।
কিন্তু হঠাৎ একদিন জানলাম এই মৌনই নীরবতা ভেঙে ফুঁসে উঠতে পারে মানুষের অপকর্মের প্রতিবাদে- বজ্রপাত, সাইক্লোন, জলোচ্ছাস, আগ্নেয়গিরির অগ্নুপাত, বন্যা, তুষারঝড়ের রুপে। এই প্রকৃতি আমাদের প্রতিবাদী হতে যুদ্ধবাজ হতে শেখায়। আবার নম্রতার থেকে শেখায় ধ্যানমগ্ন হতে, অসীম সহ্যক্ষমতার অধিকারী হতে। ছোটবেলায় সেদিন প্রথম গেলাম শহীদ মিনারে প্রভাত ফেরীতে সেদিন শুনলাম একুশের প্রথম কবিতা- জানলাম রমনার ঊর্ধ্বমুখী কৃষ্ণচূড়ার কথা- জানলাম বাংলার সবুজ জমিনে লাল সূর্যের কথা! আস্তে আস্তে বুঝতে পারলাম প্রকৃতি আমাকে কবিতা লেখাচ্ছে। অনুভব করলাম ভালোবাসি প্রকৃতিকে, প্রেমে পড়েছি! আমার লেখার মূল উপজীব হয়ে উঠেছে প্রকৃতি প্রেম। প্রকৃতি নাই আসলে ঈশ্বর বন্দনটি অথচ সবকিছু ছাপিয়ে মনের ভেতর যে ক্ষরণ টের পাই- তার একটাই জিজ্ঞাসা- যীশুখৃষ্টের জন্মস্থানে পঞ্চাশ হাজার গর্ভবতী মায়েরা কি নির্বিঘ্নে প্রসব বেদনা ভুলবে? বিশ্ব শান্তির পক্ষে কি নবজাতকেরা গেয়ে উঠবে গান? কেমন পৃথিবী চিনবে ওরা? ওদের প্রাণে কি জাগবে নতুন পাতা, সবুজ গাথা? নতুন বছওে ওদের কানে কি পৌঁছুবে আমার কবিতা?
Tar Nam Chayar Moton
হুমায়ুন কবির।
জন্ম ১৯৫৯ সালে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার দেউটি গ্রামে। বাবা জালাল আহমেদ ও মা জফুরা বেগম। লেখালেখির শুরু ছাত্রাবস্থায়। মাঝে দীর্ঘ বিরতি। আবারও ফিরে এসেছেন লেখালেখিতে। কবিতা, উপন্যাস, গল্পগ্রন্হসহ তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা আটটি। ইতোপূর্বে প্রকাশিত তার উপন্যাস ‘ কানফুল, আনছার আলীর গৃহত্যাগ এবং কবিতা অন্তহীন দীর্ঘশ্বাস পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। সাহিত্যকর্মে অবদানের জন্য জিগীষা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ তাকে জিগীষা সাহিত্য সম্মাননা -২০১৯ প্রদান করেছে।
সাবেক সরকারি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বর্তমানে দৈনিক বাংলার সাহিত্য সম্পাদক। তিনি সালমা ফৌজিয়া সুমি, ডা. শারমিন ফৌজিয়া ও সাইফুল কবির সোয়েবের বাবা। স্ত্রী নাজমুন নাহার লক্ষ্মী গৃহিণী।
প্রকাশিত বই সমুহঃ-
কবিতা-
আমি তাকে ফিরছি খুঁজে
অন্তহীন দীর্ঘশ্বাস
উপন্যাস-
দায়
কানফুল
মেঘনাপারের শেফালী
আনছার আলীর গৃহত্যাগ
গল্পগ্রন্থ-
শাহজাদী উপাখ্যান
আমিও ডিকশনারি দেখেছি কিন্তু পাইনি।
জ্বিনকন্যা নার্গিসের প্রেম
মৌসন্ধ্যা। বিস্তৃত পটভূমির এক উপন্যাস। এর কাহিনিতে নারী-পুরুষের চিরন্তন প্রেম যেমন এসেছে, তেমনি এসেছে কাছে আসার গল্প। প্রেম ছাড়া জীবন যেমন অসম্পূর্ণ, তেমনি প্রতিশ্রুতি ছাড়া প্রেম প্রতারণার নামান্তর। বিশ্বাস, ভালোবাসা, ত্যাগ ও মূল্যবোধের গল্প মৌসন্ধ্যা। প্রেম, কাম, যৌনতা, প্রতারণা, লালসা, সামাজিক অসংগতি আর রোমান্টিক থ্রিলারের গল্প মৌসন্ধ্যা। এই উপন্যাস সমকালকে ধারণ করে হয়ে উঠেছে চিরকালীন। নিতি, রাধা, রিমি, রাখি, মিলি, শোভা’র মতো মেয়েদের জীবনের গল্প, যৌবনের গল্প, মান ও অভিমানের গল্প চিত্রিত হয়েছে এখানে। মলাটবদ্ধ হয়েছে প্রেম ও অপ্রেমের সংঘাত!
প্রকৃতিতে যখন সন্ধ্যা নামে, তখন দিনের আলো নিভে গিয়ে গ্রাস করে রাতের আঁধার। সন্ধ্যা যেন সন্ধিক্ষণ। আলো-আঁধারের মিলন হয় সন্ধ্যায়। পরস্পর বিপরীত দুটি অস্তিত্বের সন্ধিক্ষণ সন্ধ্যা। জীবনের সন্ধিক্ষণে মৌ লোভী পতঙ্গের মতো পুরুষ এখানে আবদ্ধ হয়েছে কামের ফাঁদে, প্রেমের প্রতারণায়। আবার সেখান থেকেই পুরুষ দিয়েছে শাশ্বত প্রেম, নিটল নির্ভরতা। জ্ঞান ও অজ্ঞানের, সত্য ও মিথ্যার, বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের মিলন হয়েছে মৌসন্ধ্যার আলো-আঁধারে। মানুষের জীবনের পূর্ণাঙ্গ রূপ চিত্রিত হয়েছে এই উপন্যাসের সাগর সৈকতে।
Mousandha By Amit Kumar Kundu
‘আপাদমস্তক তোমাকে অনুধাবন করি/নবান্নের ধানের গোলা থেকে বেরিয়ে আসা/ভাপের মতন সে অনুভব/এ আমার অনুভ‚তিকাল’, এই অনুধাবনই নূরুন্নাহার মুন্নির বড় শক্তি। মুন্নি তার কবিতায় সবশুদ্ধ একটি ছবি আঁকতে আগ্রহী, যা কখনো কখনো আসল নাও হতে পারে। কিন্তু দৃশ্যমান সেই ছবিÑ তা যেই তার কবিতা পড়ুক, অনুভব করবেন। তার কবিতায় আরও নজরে আসে শব্দের ব্যবহার। কি নিখুঁতভাবে দেশি-বিদেশি, পরিচিত-অপরিচিত, ব্যবহৃত-অব্যবহৃত শব্দকে সেঁটে দেওয়া যায়, কেমন আশ্চর্যভাবে গেঁথে দেওয়া যায়-তা তিনি দেখান প্রায় প্রতিটি রচনায়।
সমসাময়িকদের সঙ্গে তার তফাৎ বোঝার জন্য অন্য আরেকটি দিকে আলো ফেলা যায়, মুন্নি খুব সাধারণ ঘটনাকেও কবিতার বিষয় করে তোলেন। তার কবিতায় আবেগ আছে, কল্পনা আছে, আছে আলোছায়ার খেলা। কিন্তু প্রকৃত ভাবটিকে প্রকাশের ক্ষেত্রে তা লক্ষ্যচুত হয় না। পাঠককে অল্পবিস্তর সূত্র ধরিয়ে দিয়ে মুন্নি বোকা বানাতে চান না বলেই তার লেখার ভেতরে বেঁচে থাকার তুমুল উত্তেজনা অনুভূত হয়। তার কবিতা ছিন্নভিন্ন, বিপর্যস্ততার ভেতর থেকে প্রাণের সন্ধান করে, সুন্দরের সন্ধান করে, দরদভর্তি কণ্ঠে মানুষের আর্তিকে তুলে ধরে। ‘কেউ থাকে অন্ধকারে’ দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থের ভেতর দিয়ে নির্মম, নিষ্ঠুর সময়ের দিকে নুরুন্নাহার মুন্নির যে যাত্রা, তা কেবল অন্তর্র্দৃষ্টিসম্পন্নের পক্ষেই সম্ভব।
মামুন রশীদ
কবি, সাংবাদিক
১৫ জানুয়ারি, ২০২৪
Kew Thake Andhokare - Nurunnahar Munni
‘পিকাসো হইলো পেইন্টিংয়ের গড’- ক্লাসে কতোবার যে বলিছেন উনি
আমার রাগও হইছে
হাসিও পাইছে
তাইলে আপ্নে আমার কী
-গডেস
-এ্যাঞ্জেল
-জোয়ান অব আর্ক
-না
আপ্নে আমার কবিতা
আপ্নেরে নিয়া কবিতা লিখুম
হ কবিতাই লিখুম ভাইবেন্না কিউট সেক্সুয়াল ফেটল্স
বা জাস্ট ওরিয়েন্টাল মেটাফর
ভাইবেন যা হোক
কবিতায় কিন্তু আপ্নের লগে আমার কাইজ্জা আছে
আপ্নে আমারে কি কম কষ্ট দিছেন্নি
সরকারি কবিতা
এই জন্মটা দলিল করেছি তোমার নামে
গল্পগ্রন্থের নাম-করোনা ভাইরাস ও অন্যান্য জীবাণু। এই নামকরণ বলে দেয় আমরা কত রকক জীবাণুর সাথে বসবাস করছি! করোনা-জীবাণুর তান্ডব তো সাম্প্রতিক! জীবন ঘনিষ্ঠ নাকি জীবন-অন্বিষ্ট গল্পকার স্বাতী চৌধুরী! দুটোই সমান প্রাসঙ্গিক; চাইলে তৃতীয় কোনো অভিধা আবিষ্কারও সম্ভব। দৃষ্টি থাকলেই সব দেখা যায় না, যদি না যুক্ত হয় মেধা-প্রজ্ঞার মিশেল। তৃতীয় চোখ তথা অন্তর্দৃষ্টিও জরুরি। স্বাতীর ত্রিনয়ন প্রখর– গেঁথে যেতে পারেন মানুষের প্রত্যক্ষ ও অপ্রত্যক্ষ কাহিনি। মানবিকতার আখ্যান রচনার কুশল ও চাতুর্যে সংবেদী পাঠককে চমকে উঠতে হয় ক্ষণে ক্ষণে। গল্পকার স্বদেশ-সমকাল ও সমাজ-বাস্তবতার অগ্রসর দর্শক। তার ভাষ্যে ঈগলের শ্যেনদৃষ্টি যেমনউচ্চকিত, ডানাভাঙা পাখির উড়ে আসা পালকও আন্দোলিত করে। লেখকের অন্তর্জমিন সততই ক্ষত-বিক্ষত– চৌচির। জাগতিক নানাবিধ রঙ্গ-তামাশায় ধ¦সে পড়ে তাঁর স্বপ্ন-প্রাচীর, উল্টেপাল্টে যায় মানসভূগোল। তাই বলে সেখানে ফুলের সৌরভ, নদীর কলতান, তৃণ কিংবা লতাগুল্মের কোলাহল থাকে না? অচ্যুত জীবনের কথাকার স্বাতী নিস্পৃহভাবে বুনে যান উদ্বাস্তু জীবনের গল্প, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর টিকে থাকার রকমারি মকশো’র ইতিবৃত্ত
দুর্বলের উপর সবলের আগ্রাসী মনোভাব অন্ধকার-প্রাচীন। দাবিয়ে রাখার অপকৌশলের বিপরীতে সংকট মোকাবেলা করে লাঞ্ছিত-বঞ্চিত মানুষের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টা লক্ষণীয়। জীবন-শিল্পীর গল্পে খিন্ন জীবনের মুক্তি-প্রচেষ্টা দ্যুতি ছড়ায়। চিনিয়ে দেন সর্বহারার শক্তি-সামর্থ্যরে জায়গা; অস্তিত্বের প্রশ্নে কীভাবে জ্বলে ওঠে দ্রোহের দাবানল! স্বাতী গল্প লেখেন নাকি সমাজতাত্ত্বিকের মতো গ্রাফ আঁকেন! গল্পের শরীরে ক্লেদাক্ত জীবনের নড়াচড়া না থাকলে সাংবাদিকের ‘অনুসন্ধানী প্রতিবেদন’ হিসেবেও চালিয়ে দেওয়া যেত অনায়াসে! প্রচার ও খ্যাতির ডামাডোলের বহু দূরে অবস্থান করেও মূর্ত করে চলেছেন অবাক বাংলার মানুষের মুখ ও মুখশ্রী। কয়েকটি রেখাচিত্রে স্কেচ এঁকে দেওয়া ‘শ্রী’ ও ‘বিশ্রী’র সামনে দাঁড়িয়ে পাঠক অস্বস্তি বোধ করে, পথ খোঁজে পালানোর! লেখকের ক্ষুরধার বয়ান চাবুক হয়ে তাড়া করে। শেষপর্যন্ত ‘অপরাধী’ পাঠক পথ খুঁজে পায় কি! এখানেই স্বাতী চৌধুরীর সার্থকতা, অনন্যতা।
শফিক হাসান
সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক
করোনা ভাইরাস ও অন্যান্য জীবাণু
সৌন্দর্য আশ্রিত ব্যক্তিস্বাতন্ত্রবাদী চেতনার মানবিক স্বাধীনতার নাম রোমান্টিসিজম। যেখানে ক্রিয়াশীল থাকে উদ্বেগ ও ভয় : সেইসাথে অসম্ভবের গোয়ার্তুমি : একাধারে মনোরোগ ও প্রশান্তি। এই মনোরোগ আর প্রশান্তির নাম ‘মাথার এপ্রোন’- যে এপ্রোন নিজেই নিজের সাথে কথা বলছে স্বন্মোচিত আবেগ আর স্বগতকথনের আড়াল থেকে। প্রকৃত প্রস্তাবে এইগুলান হইল সানাউল্লাহ সাগরের ভাষিক ‘প্ররোচনা’ : এমনকি ইহা হয় ‘প্যারাডক্স’ : এইগুলান বাদ দিয়া একজন জন্মজাত কবি স্ফূর্তি লাভ করতে পারে না : পারে না রাজকীয় নকশার আড়ালে আউশের বাক্য গুছিয়ে নিয়ে হাতে হাতে কৈশোর বিলানো ব্যথা উচ্চারণ করতে।
‘ওই যে এপ্রোনগার্ল
তার চশমা
ওখানে ঢেউ জমা রেখেছ
– এই জমা রাখা ঢেউয়ের মর্মপাঠই তার কবিতা : যাকে ঠিক ভাষার ভিতর আটকিয়ে রাখা যায় না : যা এতটাই সূক্ষ্ম প্ররোচনা যে যাকে চিন্তা ও শব্দ দিয়ে ধরতে গেলে ফাঁক ফোকর গলে পালিয়ে যায়। ভাষা-অতিরিক্ত এই পালিয়ে যাওয়া অনুভবের প্রিফেক্স ‘মাথার এপ্রোন’।
শিমুল মাহমুদ
Mathar Apron by Sanaullah Sagor
এতো মানুষ অথচ বনের বৃক্ষ ধরেই একদিন খুব কেঁদেছিলাম
মানুষ হয়ে গাছের কাছেই বলেছিলাম আরেকজন মানুষের দেওয়া
আমার অযাচিত নষ্ট হওয়া অফুরান কষ্টের কথা
বোবা বৃক্ষ চোখের থৈ-থৈ জল বুকের অন্ধগলির দ্বন্দ্ব আঁধার
সেদিন মুছে দিতে পারেনি তবুও প্রায় ছুটে যেতাম বৃক্ষের কাছে
সমস্ত মনস্তাপ ক্রুশবিদ্ধ স্বপ্নিল রামধনু তথা সুখে অসুখে
সেই বৃক্ষই ছিলো আমার একান্ত আপন সহচর;
জীবনভর কতশত-বার ফিসফিস শব্দে বুকে জাবের বলেছি মনের কথা
স্থির কোন পরিত্রাণ পাইনি, কিন্তু কোনদিন বলেনি
আর কখনো এসো না আমি বনের বৃক্ষমাত্র মানুষজাতের ভাষা বুঝি না
চোখের সামনে আমার সহচর বৃক্ষটি তিলে তিলে মরে যাচ্ছে দেখে
আজ আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে অনেক কাঁদলাম;
তুমি অকাল প্রয়াত হতে পার না কিন্তু হতে যাচ্ছ আমারই কারণে
আমার ব্যথার ভার তোমাকেও ব্যথাতুর করেছে মনে প্রাণে
তুমি বনের বৃক্ষ হয়েও আমাকে ধারণ করেছ বুকে
অথচ মানুষ হয়ে মানুষের ভাষা বোঝে না অনেক মানুষ আছে এ সংসারে।
কবিতা বুক ব্যান্ডেজ করে
Get access to your Orders, Wishlist and Recommendations.
There are no reviews yet.