Additional information
Weight | 0.210 kg |
---|---|
Published Year |
$ 1.32 $ 1.76
Weight | 0.210 kg |
---|---|
Published Year |
মুর্শিদা জামান। জন্ম: ১৯৮৩ সনে বর্তমান বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি জেলায়। শৈশব ও বেড়ে ওঠা দক্ষিণের খুলনা শহরে। বাংলায় অনার্স সহ এমএ করেন ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখির সূত্রপাত। কবিতা লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন ছোট কাগজ ও সাহিত্য বিষয়ক মাসিক পত্রিকাতে ছোটগল্প প্রকাশিত হয়েছে। প্রকৃতি ও পশু-পাখির প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও সখ্যতা রয়েছে। বর্তমানে তিনি লেখালেখি নিয়েই ব্যস্ত।
অদৃশ্য ছায়ার প্রজাপতি
সাঈদা মিমি। জন্ম: ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৮। বরিশালে। শৈশবের পুরোটাই এবং অর্ধেক কৈশোর কেটেছে পদ্মাপাড়ে, মানিকগঞ্জের ঘোনাপাড়া গ্রামে। লেখালেখির শুরু ছাত্রজীবনে। প্রথম প্রকাশিত হয় ইত্তেফাকে। ফ্রীল্যান্স সাংবাদিকতা, স্কুল মাস্টারিং, বায়িং হাউজের এডমিন, হাউজিং কোম্পানির এক্সিকিউটিভ ইত্যাদি বিচিত্র কর্মজীবন মেষে অতঃপর গৃহিণী। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘সব নিয়ে গেছে এক সময়ের লুটেরা বাতাস’ ‘ফারাও কুমারী’ ও ই-বুক ‘কীর্তনখোলা’।
একজন মৃতের ডাইরি
দেবাশীষ ধর। জন্ম: ৫ই জানুয়ারি, ১৯৮৯। চট্টগ্রাম। কবিতার ছোটকাগজ ‘বাঙাল’ এর সম্পাদক। কবির এটি প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
ফসিলের কারুকাজ
আবু জাঈদ। জন্ম: ২২শে জুলাই ১৯৮৩, ঢাকা। পড়াশুনা অসমাপ্ত রেখে একসময় কবি বাউণ্ডুলে জীবনের এলোমেলো আলপথে নেমে যান বেঁচে থাকার প্রয়োজনে, তাই বলে কাব্যচর্চা থেমে থাকেনি। এক সন্তানের জনক। এটি লেখকের প্রথম প্রকাশিত বই।
মানচিত্রের ফাঁসি চাই
মেঘ অদিতি। কবি ও গল্পকার হিসেবে ‘দু’বাংলাতে পরিচিত। জন্ম: ৪মে, জামালপুর। বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কর্মরত। প্রকাশিত গ্রন্থ: ‘জলডুমুরের ঘুম (কাব্য)’ ‘অস্পষ্ট আলোর ঘোড়া (গল্প)’ ‘অদৃশ্যতা হে অনিশ্চিতি (কাব্য)’ এবং ‘সময় শূন্যতার বায়োস্কোপ (মুক্তগদ্য)।
প্রবেশিধকার সংরক্ষিত
রাজন্য রুহানি। পরিবারের দেওয়া সনদসাক্ষ্য নাম মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। জন্ম: ২রা নভেম্ভর ১৯৮০, জামালপুর জেলা শহরের হাটচন্দ্রায়। কলেজে পা দেবার সাথে সাথেই সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত হয়ে পড়েন। স্থানীয় কয়েকটি দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকার বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। মফস্বল সাংবাদিকতার পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না পেরে বারবার কবিতার কছেই ফেরা। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং। ১৯৯৮ থেকে কবিতার ভাঁজপত্র শব্দদূত সম্পাদনার সাথে যুক্ত। ঐ বছরই অন্যান্য লেখক সহযোগে আলোচনাগ্রন্থ- ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ; আতিয়ার রহমানের ৭টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এটি লেখকের প্রকাশিত এককবই।
গল্প সমাপ্তির গান
আলতাফ হোসেন-এর জন্ম ২৭ অক্টোবর ১৯৪৯। পৈতৃক নিবাস কিশোরগঞ্জ। বাবার চাকরিসূত্রে শৈশব কৈশোর কেটেছে পাটনা, কলকাতা, চাটগাঁ, করাচি ও ঢাকায়। ১৯৬৪ থেকে পুরোপুরিভাবে ঢাকায় বসবাস। অনার্স ও এমএ করেছেন বাংলায়। আলিয়ঁস ফ্রঁসেস, ঢাকা থেকে দু-বছর ফরাসি ভাষা শিখে সনদ পেয়েছেন।
কফি জেগে থাকে
অরণ্যক তপু। জন্ম: ১৯৯৪ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর, ঢাকার ঝিগাতলা। পৈত্রিক নিবাস বরিশালের পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি উপজেলায়। বর্তমানে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত। এটি লেখকের প্রথম প্রকাশিত বই।
ব্যথিত ভায়োলিন
লেখক পরিচিতি :
হান্নান হামিদ, লেখক নাম কালের লিখন। জন্ম: আগস্ট, ১৯৮৪। জামালপুর। ‘বিশ্বাস শুধুই নিঃশ্বাস’ লেখকের প্রথম বই।
বিশ্বাস শুধুই নিঃশ্বাস
সৈয়দ সাইফুর রহমান সাকিব। জন্ম: ১৯৭৮ সালে বরিশাল জেলা সদরে করিমকুটির নামক স্থানে। তার লেখার বিষয় মূলতঃ কবিতা। সময় নাট্যদলের সাথে একযুগ পার করেছেন। গানও লিখতেন কিন্তু বন্ধুবরের প্রয়ানে, অভিমানে আর সেপথ মারাননি। বর্তমানে অর্থ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত থাকলেও নিজেকে একজন কবিতার শতরঞ্জি মোড়ানো শ্রমিক বলেই মনে করেন। এটি কবির প্রথম বই।
রূপোর দ্যুতি
আলী রেজা। জন্ম: ১৯৫৭। মুক্তিযুদ্ধে আলোড়িত কবি, সত্তর দশকে মূলত ছোটকাগজে লেখালেখি শুরু করেন। সদ্য অবসরে যাওয়া একটি রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠানের বিপণন ব্যবস্থাপক। এটি কবির প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ।
আলী রেজা
নাহিয়ান ফাহিম। জন্ম: ২৩শে মার্চ, ১৯৮৪। ময়মনসিংহ জেলা। ঢাকাতে বেড়ে ওঠা। মূলতঃ পাঠক, ফলতঃ লেখক। সাহিত্য পত্রিকা ‘জলমাঝি’র সম্পাদক। মার্কেংটিং বিভাগে স্নাতকোত্তর। পেশাগত জীবনে একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ভিনদুপুরের নোটবই’।
মধ্যবিত্ত কবিতা
কিছু একটা বলাটাই যখন বাধ্যবাধকতাÑবাহুল্য এবং আপেক্ষিক বাতুলতা বাদ রাইখা মাহবুব লীলেন থাইকা ধার কইরা বলতে হয়Ñ ‘আনফিট মিসফিট হইয়া হামাগুড়ি দিয়া হাঁটি, আর রাত্তিরে ক্যালেন্ডারের পাতায় দাগ টাইনা চিক্কুর দিয়া কইÑ যাহ শালা বাঁইচা গেলাম আরও একটা দিন।’
এইটা বড়োবেশি জৈবিক বাঁচা
মানবিক বাঁচনের স্বপ্নও দেখি না বহুদিন
বড়ো তরাসে আছি
বড়ো বেশি চাইপা আছি, নিজের গলা নিজে।
দ্বান্দ্বিক দ্বন্দ্ব বিষয়ক আজাইরা প্রলাপ
জীবন গল্পের মতো? নাকি গল্পটাই জীবন?- কারো কারো ক্ষেত্রে হয়ত দুটোই ঠিক। গল্পেই জীবন খুঁজে ফেরেন কিনা অহনা নাসরিন, তা নিশ্চিত নয়। নিশ্চিত হওয়ার দরকারও নেই। কারণ নানা নাটকীয়তায় ভরা জীবন তো গল্পের মতোই। জীবনের কোন বাঁকে কী দাঁড়িয়ে আছে কে জানে!
অহনা নাসরিন, কবি ও কথাসাহিত্যিক। টিভি নাটকও লেখেন। তবে সবকটি মাধ্যমেই তিনি চরিত্রকে বাস্তবের মাঝে খুঁজে ফেরেন বক্তব্যকে তুলে ধরবার প্রত্যয়ে। বিশেষত খুঁজে ফেরেন নারীর ভেতরের আসল মানুষটাকে। যে কিনা সমাজ কর্তৃক তৈরি করা শৃঙ্খলে আবদ্ধ নয়। চিরচেনা বাস্তবতা তার লেখায় মাত্রিকতা পায়। তার লেখায় প্রতিবাদ আসে, কখনও জোরেশোরে, কখনও রয়ে সয়ে। এই যেমন চাবুকের ইতিহাস বলতে গিয়ে নিজেই যেন চাবুক তুলে নেন সমাজের স্টেরিওটাইপ ভাবনার বিপরীতে। বেগম রোকেয়ার সুলতানার স্বপ্নের সুলতানা যেন অহনা নাসরিনের গল্পেও উপস্থিত হয় সমাজের অসঙ্গতিকে তুলে ধরে নারীর মনোজগতের মানুষটাকে জাগিয়ে তুলতে।
একজন আগন্তুক ও একটি সানগ্লাস- অহনা নাসরীনের দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ, কিন্তু ভাব এবং ভাবনার বিস্ফোরণে তিনি বেশ পরিণত। এক ডজন গল্পের এ বইয়ের সংকলনের গল্পগুলোর ভাষাশৈলীতে যতটা না চাতুরতা বক্তব্যকে প্রকাশের আকাঙ্খা যেন তারচে বেশি। এ বইয়ের গল্পগুলো হলো- রোবট, চাবুকের ইতিহাস, একজন আগন্তুক ও একটি সানগ্লাস, আদালতের একটি রায়, অতঃপর.., ফুগোর সুইসাইড, ঢেউয়ের পর ঢেউ, ঘ্রাণ, জবানবন্দি,বেলাশেষে ফিরে এলে, ভেজা শ্রাবণে জোসনা হাসে, এক রাতের গল্প এবং একটি ভ্রুণ হত্যার নেপথ্যে। গল্পের নামগুলোও বেশ চমকপ্রদ।
শত-শত এক ঘেয়েমি বইয়ের ভিড়ে যেসব পাঠক ভিন্ন স্বাদের এবং প্রথাগত ধারা ভঙ্গকারী বই পড়তে আগ্রহী তারা নির্দ্বিধায় এ বই পড়ে আনন্দ পাবে।
একজন আগন্তুক ও একটি সানগ্লাস
লেখক পরিচিতি :
কবির য়াহমদ। জন্ম: ৩০শে ডিসেম্বর। চন্দরপুর, আলীনগর, বিয়ানীবাজার, সিলেট। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: ‘রাত আর ঘুমের কৃষ্ণপাঠ’ ‘আমাদের ঈশ্বরের এ্যাপয়েনমেন্ট দরকার’ ও ‘নিরবচ্ছিন্ন পাখিসমূহ’। গদ্য: ‘জাগরণের পূর্বাপর’। এটি লেখকের চতুর্থ কাব্যগ্রন্থ।
আগুনজলে ভূকম্প
মঞ্জু সরকার বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত কথাশিল্পী। ছোটগল্প, উপন্যাস ও শিশু-সাহিত্য রচনায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য ১৯৯৮ সালে পেয়েছেন বাংলা একাডেমী পুরস্কার। এছাড়াও ফিলিপস, ব্যাংক, আলাওল ও অগ্রণীব্যাংক-শিশু একাডেমী শিশুসাহিত্য পুরস্কারসহ পেয়েছেন অনেক সম্মাননা। ২০০৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়ার ইন্টারন্যাশনাল রাইটিং প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছেন।
পেশাগত জীবনে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের চাকরি ছাড়ার পর দুটি জাতীয় দৈনিকে সহকারী সম্পাদক হিসেবে এক দশক সাংবাদিকতা করেছেন। বর্তমানে স্বাধীন ও সার্বক্ষণিক লেখক। প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা প্রায় এক শত।
উলেখযোগ্য কিছু গ্রন্থ – উপন্যাস: লেখক, অচল ঘাটের আখ্যান, অন্তর্দাহ, বরপুত্র, আবাসভ‚মি, দাম্পত্য বিলাস, দাঁড়াবার জায়গা, প্রতিমা উপাখ্যান, সিন্দুকের চাবি, যমুনা, নগ্ন আগন্তুক ও তমস । ছোটগল্প: অবিনাশী আয়োজন, মৃত্যুবাণ, উচ্ছেদ উচ্ছেদ খেলা, অপারেশন জয়বাংলা, রূপান্তরের গল্পগাথা, অগস্ত্যযাত্রা ও অন্যান্য গল্প। শিশু-সাহিত্য: ছোট্ট এক বীরপুর”ষ, নান্টুর মেলা দেখা, মস্ত বড়লোক, যুদ্ধে যাওয়ার সময়, ডিজিটাল দীপু ও মুক্তিযোদ্ধা দাদু।
মঞ্জু সরকারের জন্ম ১ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৩, রংপুরে
রাজনৈতিক গল্প
স্বপঞ্জয় চৌধুরী মূলতঃ কবি, তিনি যখন গদ্য লেখেন কাব্যিক উপস্থাপনাগুণে ভাষা হয়ে ওঠে সতত সঞ্চরণশীল নদীর মতোই উপভোগ্য ও গতিময়। প্রতিভাবান এ তরুণ লেখকের পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত অসংখ্য লেখা থেকে সাহিত্য সন্দর্শন, কবিতা ও শিল্পকলার নন্দন, নীতিশাস্ত্র, দর্শন, চলচ্চিত্রসহ বহুবিচিত্র বিষয় সুনির্বাচিত আটাশটি নিবন্ধ সমন্বয়ে তার প্রথম প্রবন্ধ সঙ্কলন ” নিগুঢ় শিল্পের কথাচিত্র “-এ প্রাগুক্ত ভাষিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি প্রাসঙ্গিক মূল্যবান তথ্যের সন্নিবেশ এবং যুক্তিনির্ভর সূক্ষ্মদর্শী পর্যালোচনা অত্যন্ত চমৎকারভাবে উঠে এসেছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস সুলিখিত গ্রন্থটি লেখক, গবেষকসহ সবশ্রেণির সাহিত্যমোদি পাঠকের প্রয়োজন মিটিয়ে তাদের অনুসন্ধিৎসু মনে নতুন চিন্তার খোরাক জোগাবে ।
মাহফুজ আল-হোসেন
কবি ও প্রাবন্ধিক
নিগুঢ় শিল্পের কথাচিত্র
শীতের সকালে হুট করেই সবচেয়ে নিকটের বন্ধু ও ছোট ভাই হাসানের নিকট কিম্ভূতকিমাকার পোষাকে উপস্থিত সুমন ভাই। তার ফোনালাপে সদ্য গড়ে উঠা প্রেমিকা মুমুর বিয়ে ভাঙতে যেতে হবে নোয়াখালী। যেই মেয়েকে কখনোও তিনি দেখেননি। কিন্তু নোয়াখালীতে পা রাখতে না রাখতেই শুরু হয় একের পর এক বিপত্তি ও হাস্য-রসাত্মক সব ঘটনা। কখনোও বিপত্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় তার প্রেমিকার বড় ভাই ও বড় ভাইর চ্যালা-প্যালারা, কখনোবা তিন বিটকেল কালাম, মাসুম ও জহির। এছাড়াও ঝামেলা পাঁকাতে সদা প্রস্তুত সুমন ভাইরই আপন মামাতো ভাই।
এই সকল নাটকীয়তার মাঝেই উপন্যাসের বাঁকে বাঁকে চলতে থাকে পাঁচ বন্ধুর বিচিত্র উদ্ভট সব কাণ্ডকারখানা। চলতে থাকে নির্মল ভালোবাসা-বাসি সুমন ভাই ও মুমুর মাঝে। শেষ পর্যন্ত কি ভালোবাসার বিজয় হয়? সুমন ভাই কি শেষ পর্যন্ত সফল হতে পেরেছিলেন? জানতে হলে পড়তে হবে “অপারেশন নোয়াখালী”।
অপারেশন নোয়াখালী
ঢাকা-শহর থেকে কিছুটা দূরে ধামরাইয়ে নিজের বিলাসবহুল বাড়িতে খুন হলেন একজন প্রবীণ ও সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক। শুরুতেই একটি স্বার্থান্বেষীমহল ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র করতে থাকে। এজন্য তারা অধ্যাপকসাহেবের খুনের দায়ে গ্রেফতার করে তাঁর আপন-ভাগ্নে আজাদ কালামকে। কিন্তু এটা মেনে নিতে পারে না আজাদ কালামের আপন ছোটভাই আজাদ রায়হান। সে ভাইকে বাঁচাতে ই-মেইলে অনুরোধবার্তা পাঠায় তুখোড় গোয়েন্দা লালভাইয়ের কাছে। আজাদ রায়হানের অনুরোধক্রমে কেসটা হাতে নেন গোয়েন্দা লালভাই।
শুরুতেই লালভাই কেসটার মূলঘটনা-অনুসন্ধানে মনোনিবেশ করেন। তিনি এই খুনের মোটিভ ও প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করার জন্য একেবারে উঠেপড়ে লাগলেন। কিন্তু এতে প্রবলভাবে বাদ সাধে স্থানীয় থানার ওসি গোলাম মওলা। সে লালভাই ও তার সহকারীদের একরাতের মধ্যে ক্রসফায়ারে হত্যা করার হুমকিধমকি দিয়ে কেসটার তদন্ত-কাজ থেকে তাদের দূরে সরিয়ে দিতে চায়! শেষ পর্যন্ত কি লালভাই পারবেন এই কেসটার মূলরহস্য-উদ্ধার করতে?…আর মাত্র আড়াই দিনের মধ্যে লালভাই কেসটার এমন একটি সত্যউদ্ধার করলেন যাতে আরও বেশি হিং¯্র হয়ে উঠলো ওসি গোলাম মওলা! শেষ পর্যন্ত কী হয়েছিল—জানতে হলে পড়–ন ‘গোয়েন্দা লালভাই’ সিরিজের অনবদ্য প্রথম বই।
গোয়েন্দা লালভাই
লেখক পরিচিতি :
আহমেদ মেহেদী হাসান নীল। জন্ম: ১১ই নভেম্বর, ১৯৯১ইং। দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায়। বেড়ে ওঠা বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্থলবন্দর হিলিতে। বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে অধ্যায়নরত। এটি লেখকের প্রথম বই।
কষ্টের আধুনিক হিমাগার
ছবি ও চেনাগন্ধের মেটাফর
কবি ফিরোজ আহমেদ এর জন্ম ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দের ১ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ জেলার টুংগীপাড়া থানার অন্তর্গত গিমাডাংগা গ্রামে। পিতা শেখ আব্দুর সাত্তার ও মা সুফিয়া বেগমের পাঁচ সন্তানের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহনের পর তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং একটি পুত্র সন্তানের জনক। ছোটবেলা থেকেই তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন। প্রাথমিক পথ চলার পর ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ” গহীনে শূন্যতা” প্রকাশিত হয় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান শোভা প্রকাশ থেকে। তারপর নিয়মিত তার কবিতা প্রকাশ হতে থাকে নানা প্রকাশ মাধ্যমে। সাহিত্যের ছোট কাগজগুলোতে তার কবিতা নিয়মিত প্রকাশ পাচ্ছে। “ঘাসফুল” নামক সাহিত্য সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। বর্তমানে তিনি বহুল প্রচারিত সাপ্তাহিক পত্রিকা “স্বদেশ খবর” এর সাহিত্য সম্পাদচকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি দুই বাংলার মুখপত্র ” পূর্বপশ্চিম” পত্রিকার উপসম্পাদক হিসেবেও কাজ করে যাচ্ছেন।
কবির প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থসমূহঃ
১। গহীনে শূন্যতাÑ একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৩ Ñশোভা প্রকাশ।
২। দ্বীপের সবুজÑ একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫ Ñঘাসফুল প্রকাশনী।
৩। জলবাড়িÑ একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫ Ñঘাসফুল প্রকাশনী।
৪। নির্বাসনের আগেÑ একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৬ Ñশোভা প্রকাশ।
৫। নিষিদ্ধ সুন্দরÑ একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৬ Ñকালজয়ী প্রকাশ।
প্রকাশিতব্য গ্রন্থসমূহঃ
১। জীবনের পদাবলি
২। মধুমতির তীরে
৩। উত্তরাধুনিক ছায়াবাড়ি
জল ও মাটির গল্প
যে জীবন মানুষের সে জীবনও কখনো পশুর মতো ধুঁকে ধুঁকে বাঁচে যখন মানুষই মানুষের উপর জেঁকে বসে। চিন্তা শুভবুদ্ধি আর বিবেকের ধার কমে গেলে মানুষ অমানুষ হয়ে উঠে। তাছাড়া, পুরুষতন্ত্র, সামন্ততান্ত্রিক মনোভঙ্গী বোধশক্তি যখন তার আত্মশক্তির উদ্বোধনের নাগাল পায় না তখন তা মারাত্মক আকারে নেমে আসে আসেপাশের সব মানুষের উপর এমনকি স্ত্রী-সন্তানের উপর। মানুষ যখন হয়ে উঠে পরজীবী তখন তা গোপনে নিঃশেষ করে তার প্রাণ-শক্তি-সাধ-আহ্লাদ। ধ্বংস হয় স্বাভাবিক জীবনাচরণ। কখনো কখনো তার মরণও ডেকে আনে। চারপাশের মানুষের সাথে সম্পর্কগুলা যখন হয়ে উঠে পুরাপুরি জৈবিক। আসলে জৈবিক অর্থ কি! জীবন সম্পর্কিত যা কিছু তাই তো জৈবিক হবার কথা। তাই না! তবু, অকর্মণ্যতা-বিচারবুদ্ধিহীনতা-প্রজ্ঞাহীন জীবনদর্শন-জিদ-লোভ এসবই মানুষকে ঠেলে দেয় স্বার্থপরতার দিকে। দিকে-দিকে ঘরে-ঘরে দেশে-দেশে জাতিতে-জাতিতে ধর্মে-ধর্মে নেমে আসে তখন মাটি নিয়ে কাড়াকাড়ি, সম্পদের উপর আগ্রাসন। চলে সাম্রাজ্যবাদ, চলে ঠকবাজি, কেড়ে নেওয়া, কেড়ে খাওয়া, চাপিয়ে দেয়া, ভোগ করা, জ্বালিয়ে দেওয়া, পুড়িয়ে দেওয়া, হত্যা, লুঠ, যুদ্ধ, ধর্ষণ। তার সবেচেয়ে বড় আঘাতটা গিয়ে পড়ে নারীর উপর। মনস্বিতা সেই, জ্বলন্ত-সত্যের মতো মিথ্যা হয়ে জ্বলে আছে সবটা উপন্যাসে। যে নির্যাতিত স্বামীর দ্বারা। যে ঠকে যায় প্রেমিকের লোভের কাছে। একজন মুসলমান নারী বলে একজন জাতভেদ প্রথায় বিশ্বাসী সনাতন প্রেমিক পুরুষের কাছে যেথানে আত্মার পবিত্র দান অর্থহীন হয়ে পড়ে। যে পুয়ালচাপা পড়ে আছে এই সামাজিক প্রথায়। যে নির্যাতিত তার পরিণত মেধাশক্তির উদ্বোধনের কারণে। যার মন মরে পড়ে আছে কেবল একটা দেহ নিয়ে এই সংসারে। যে আয় করতে পারে, যে নিজের ভালোলাগা ভালোবাসার চেয়ে অনেক উঁচুতে ধরে রাখতে চায় পারিবারিক মূল্যবোধ, যে পায়ের নিচে পড়ে থেকেও ভাবে পায়ে পিষেফেলা মানুষটির একাকীত্ব নিঃসঙ্গতা আর অসহায়ত্বের কথা। তাতে কি শেষ রক্ষা হয়! হয় না। অন্যদিকে জীবনের প্রত্তুষে যে পুরুষ ছিল প্রেমিক সে হয়ে উঠে অবিশ্বাসী-রাজনীতিবিদ-যোদ্ধা। যে সংসারী যে পিতা যে স্বামী নীরবে মুখ বুজে সয়ে যায় জীবন জীবন ধরে বাড়ির আর সবার চাওয়া পাওয়ার খড়গ অনেকের মধ্যে থেকেই সে একা। যাপন করে বিরহী জীবন। দেশান্তরী হয়। আবার ফিরে আসে দেশে। ফিরে আসে যুদ্ধে ফিরে আসে ঘরে ফিরে আসে জলপাইগুড়ি-তরাই-নকশালবাড়ি ছেড়ে সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে। ছোটভাই আর তার ছেলের পেতে রাখা মৃত্যুফাঁদের মাঝখানে ঝুলে থাকে স্ত্রী-পুত্রসহ তার জীবন। জন্মের পর যে বিশ্বাসে গড়ে উঠেছিল তার নিজের পারিবারিক আইন ফিরে আসে তারই মাঝে। অশান্ত-অস্থির, প্রত্যাশার সাথে পাওয়ার অমিল-বেমিল সব গিয়ে উপনীত হয় একটি জায়গায় যাতে সুখ যাতে শান্তি যাতে আত্মার অমলিন স্পর্শ পাওয়া যায়। তাই মনস্বিতা নামের মরে যাওয়া মেয়েটির পূণর্জন্ম হয় তমালকৃষ্ণের কন্যা-বিয়োগ ব্যথাতুর মনে। মনস্বিতা জৈবিক সম্পর্কগুলার মধ্যে পড়ে যায়। তবু মরিয়া সে, মাতৃত্বের হাহাকার তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায় তাকে যা একই সাথে জৈবিক ও আধ্যাতিক।
ধর্মীয় বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের টানাহ্যাচড়া, জাতভেদে আত্মম্ভর মানুষমন, মানব মানবীর জটিল জৈবিক সম্পর্ক, নকশালবাড়ি আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের অজস্র সত্যের মতো কাহিনী ও চরিত্র জড়িয়ে ভরিয়ে দুই খন্ডে গড়ে উঠেছে ‘সম্পর্কটা শুধুই জৈবিক’ উপন্যাসের বিশাল আখ্যান। যার এক একটি চরিত্র ধারণ করেছে নানা সত্য ঘটনা কিন্তু চরিত্রগুলার বেশির ভাগই লেখকের মনোবেদনায় কিবা মনোহরণে নির্মিত।
Somporkota Shudhui Joibik
Get access to your Orders, Wishlist and Recommendations.
There are no reviews yet.