খোশবু জান্নাত

খোশবু জান্নাত সহজ শব্দমালার একজন তরুণ কবি, শৈশব থেকেই লেখালেখির প্রতি অনুরক্ত। বন্ধুদের অনুরোধে শিক্ষকদের অনুপ্রেরণায় এ যাত্রা শুরু। আষাঢ় মাসের কোনো একদিন বৃষ্টির টাপুর-টুপুর শব্দের মধ্যে এ কবির জন্ম। তাইতো আবহাওয়াগত কারণে ভালো লাগে বৃষ্টি-বর্ষা- রবীন্দ্রনাথ-নজরুল আর কদম ফুলকে; প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কবি জীবনানন্দ দাশের প্রেমে মুগ্ধ হয়েই কবিতাতে অনুপ্রবেশ।
পৈত্রিক নিবাস ওপার বাংলার মালদা জেলায় হলেও জন্মসূত্রে এপার বাংলার পদ্মার পাড়ে স্থায়ী বসবাস; বর্তমানে পাবনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিভাগে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত। মা, মাটি ও স্বদেশের প্রতি ভালোবাসার টানে এখনো কলম ছুটে চলে প্রতিনিয়ত। বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ পদ্মার পাড়ের প্রত্যেকটি মানুষের প্রতি–যাদের নিয়ে লেখা এই কবিতাগুলো… ‘তারুণ্যের জয়গান’। পাঠকদের এই কাব্যগ্রন্থটি হৃদয় ছুঁয়ে যাবে প্রত্যাশা করি। প্রথম কাব্যগ্রন্থ গত একুশে বইমেলায় প্রকাশিত ‘রক্তের ঘ্রাণ ও পাখির কবিতা’ সকলের কাছে সমাদৃত।

খোশবু জান্নাত

Showing the single result

Show:
Filter

তারুণ্যের জয়গান

Highlights:

কবিতা ভাবনা

সোনারতরী কাব্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলার যে রূপ-সৌন্দর্যের কথা বলেছেন, তা তো সত্যিই বিস্ময়কর, জীবনানন্দ-বিষ্ণু দে-অমিয় চক্রবর্তী-বুদ্ধদেব বসু-সুধীন্দ্রনাথ দত্ত-জসীমউদদীন থেকে শামসুর রাহমান, তারপর এতোটা পথ, আছে আল মাহমুদ-শহীদ কাদেরী-ওমর আলী-জয় গোস্বামী, বাংলা কবিতা শাখাটিকে করেছেন সমৃদ্ধ, সেখানে দাঁড়িয়ে আর কি নতুন লেখার আছে, তারপরও কেন জানি মনে হয়, ভালোবাসা তো বিভিন্নজনের বিভিন্নভাবে আসে, আমি কেন নতুনভাবে ভাবতে পারবো না, আমারও তো একটা মন আছে, সে মনটা না হয় অন্যভাবে প্রকৃতি-মাটি-মানুষকে অনুধাবন করবে, ভালোবাসবে শীতের কোমল সকালের ঘাসে পড়া শিশিরকণার মতো, আমি কেন নদী হতে পারবো না, কেন আকাশ হবো না, কেন মেঘমল্লা বা বৃষ্টিমেয়ে, আমারও তো ইচ্ছে করে প্রজাপতির ডানায় আবির হয়ে ছড়িয়ে যাই সর্বত্র, দিগন্তে আমার সমস্ত ভালোবাসা ছড়িয়ে দিয়ে নীড়ে ফেরা গোধূলি সন্ধ্যের পাখি হয়ে কবিতার দেশে হারিয়ে যায়।
কেন আমি নীলনদের মতো ভালোবাসা বুকে নিয়ে পিরামিডের বুক ছুঁতে পারবো না, আমি তো বিন্দু-বিন্দু রক্ত দিয়ে পৃথিবীটাকে জয় করে ভালোবাসার মন্ত্রে দীক্ষিত হতে চাই, আর হতে চাই রাজহংসী, হতে চাই ধান শালিকের দেশের বনটিয়া, সত্যিই কি আমি আর আমিতে আছি, আমার মধ্যে বসত করে নদীর দেশের ভাটিয়ালী-জারি আর সারিগান, আর সে গানে নিজেকে তোলপাড় করে ভালোবাসতে চাই বাংলাদেশকে, বাংলার মাটি মানুষ আর মাকে, যার ভেতর দিয়ে আমি একটু-একটু করে প্রবহমান নদীর মতো বড় হয়েছি, বিকশিত হয়েছি আর বাংলার রঙ-ঘ্রাণ আর মানুষের সান্নিধ্যে নিজেকে রজনীগন্ধার মতো ফুটিয়ে তুলেছি, জানি না আমি কি আর আমাতে আছি।

খোশবু জান্নাত
বৈশাখ, ১৪২৬ বঙ্গাব্দ

তারুণ্যের জয়গান

Scroll To Top
Close
Close
Shop
Sidebar
Sale
0 Wishlist
1 Cart
Close

My Cart