Additional information
Weight | 0.225 kg |
---|---|
Published Year |
$ 1.13 $ 1.88
ভূমিকা-
ভেতরটা খালি, গল্পের অভাব, যুতসই প্লট পাচ্ছি না- এমন অবস্থায় সচরাচর বাইরে বের হই। হাঁটতে থাকি। সামনের মোড়টা পার হলেই বিশাল হাইওয়ে। এই হাইওয়ে দিয়ে চাইলে যেকোনো জায়গায় যাওয়া যায়। আমারও ইচ্ছা, যাই।
একা একা বেশিক্ষণ হাঁটা যায় না। একটু আগাতেই, কয়েকগুচ্ছ আলো এসে ভিজিয়ে দেয় অন্ধকারের শরীর। আগ্রহ নিয়ে ঘাড়টা ঘোরাতেই দেখি দুটি যান্ত্রিক চোখ। গাড়িটা আমাকে পাশ কাটিয়ে চলে যায়।
এরই মধ্যে টের পাই আমার সাথে আরেকজন। সেও হাঁটছে। ল্যাম্পোষ্টের আলোর সাথে সাথে পাল্টে যাচ্ছে তার শরীর। বুঝতে পারি, তার কিছু বলার আছে। তবুও থামতে ইচ্ছা করে না। নিজের ছায়ার সাথে আমার কথা হয় না, বহুদিন!
সামনে থাকা অনেক কিছুই ইশারা করে! রাতের নিষিদ্ধ সেই সব ডাক, না শুনে পারি না। বৃদ্ধ পাইকর গাছ, একটা চিঠির লাল বাক্স, পাশে ড্রেন, সেখানে জোড় হারানো একপাটি স্যান্ডেল উল্টে পড়ে আছে। আমি ওদের কাছে যাই। নেড়ে চেড়ে পরখ করি, ভেতরে গল্প আছে কী না।
Weight | 0.225 kg |
---|---|
Published Year |
মির্জা মুজাহিদ। পেশাগতভাবে বিজ্ঞাপন শিল্পের সাথে জড়িত। জন্মেছেন নড়াইল শহরে। এখন ঢাকায় থাকেন। চেষ্টা করে যাচ্ছেন নিয়মিত ‘কথা’র শিল্পী হতে।
বিপ্রতীপ
শাশ্বত নিপ্পন। জন্ম: মেহেরপুর, মে ১৮, ১৯৭০। পেশা: শিক্ষকতা ও সাংবাদিকতা। এবং সংস্কৃতিকর্মী ও নাট্যকর্মী। তার আরো দুটি প্রকাশিত গ্রন্থ রয়েছেÑ অনতিক্রম (২০১৩), পুনরুত্থান (২০১৪)।
অশনির ছন্দ
১০০ অণুগল্প
হাসান মাহবুব। জন্ম ১৯৮১ সালের ৭ নভেম্বর, ঢাকায়। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার সময় তিনি বুঝেছিলেন এ জায়গা তার জন্য নয়। চলে আসেন
আনন্দভ্রম
ভাস্কর চৌধুরী মূলত গল্প ও উপন্যাস লেখক। কবি হিসেবেও তার সমান খ্যাতি। লেখার মূল বিষয়বস্তু বরেন্দ্র অঞ্চলের মাটি ও মানুষ। জন্ম- চাঁপাইনবাবগঞ্জ। শিক্ষাজীবন কেটেছে রাজশাহী শহরে। কর্মজীবনে চলে আসেন ঢাকায়। আশির দশক থেকে তার লেখা প্রকাশিত হতে থাকে। মাঝে দশ বছর দীর্ঘবিরতির পর আবার লেখালেখিতে ফিসে আসেন। রক্তপাতের ব্যাকরণ তার প্রথম গল্পগ্রন্থ। এ পর্যন্ত বিশটিরও অধিক বই লিখেছেন। এর মধ্যে উপন্যাস ধনসা মাতি ও তার জীবনবৃক্ষ, গল্পÑ কৃষ্ণপুরাণ, গন্তব্যহীন যাত্রা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
গল্পের বনসাই
অপু শহীদ। ১ লা ফাল্গুন ১৯৭১ সাল। গর্ভের অন্ধকার থেকে পৃথিবীর অন্ধকারে বসবাসের শুরু। পুরোনো ঢাকার নারিন্দার- বেগমগঞ্জ লেনের গাড়ি না ঢোকা সরু গলির শেষ মাথার একতলা ঘরে জন্ম। চুন-সুরকির খসে পড়া দেয়াল ধরে ধরে বেড়ে ওঠা। স্কুলজীবন নারিন্দা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। পরবর্তিতে অনিচ্ছাসত্ত্বেও বন্ধুর অনুরোধে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন।
জীবন ধারণের জন্য দাসত্ব না মানায় কেবলই এক থেকে আরেক অনিশ্চিত জীবনে প্রবেশ। বিদ্যমান সমাজব্যবস্থার সাথে আজন্ম বিরোধ। এখনও স্বপ্ন দেখেন কপর্দকশূন্য ভবঘুরে হওয়ার।
আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে বাহাদুরশাহ পার্কের ছাউনিতে বসে লেখালেখির শুরু। এই সময় থেকেই থিয়েটারের সঙ্গে সম্পর্ক। অভিনয়-নির্দেশনা-নাট্য রচনায় সক্রিয় অস্তিত্ব। আক্ষরিক অর্থেই খাদ্যাভ্যাসে সর্বভূক। পঠন-পাঠনেও সর্বভূক। পাঠের মধ্য দিয়েই একা একা নির্জন গভীর পথের সন্ধান করেন। জীবনের গভীরে ডুব দিয়ে তুলে আনেন স্মৃতির কোলাজ। লেখার সময় ঘোরের মধ্যে থাকেন। অথবা ঘোরের মধ্যেই লেখেন। প্রায়শই লেখা হারিয়ে ফেলেন।
ধর্ম-অধর্ম প্রথা-বিদ্রোহ কিংবা ভবঘুরেশাস্ত্র কোনও কিছুর জন্যই আর অস্থিরতা নেই। নিগূঢ় ধ্যানমগ্ন হয়ে সময়কে প্রিজমে ফেলে বহুবর্ণ কাচের ভেতর দিয়ে দেখেন। সেখান থেকেই খুঁজে নেন গল্প-কবিতা-নাটক। কোনও তত্ত্বে-তথ্যে বাস্তবিকই কোনও আস্থা নেই আর। নেই ঈশ্বর থেকে ঈশ্বরী কোনও কিছুতেই বিশ্বাস। নেই অবিশ্বাসও। একে ঠিক সংশয়বাদ বলে কিনা তা নিয়েও আছে সংশয়।
নগর জীবনের সাজানো মূল্যবোধ দাঁতাল যন্ত্রণা ক্লান্তি-বিকার ধরা পড়ে তাঁর লেখায়।
সার্বজনীন নিরবতা চুক্তি
সুলতানা শাহরিয়া পিউ, জন্ম ২ অক্টোবর। লেখালেখি, আবৃত্তি ও সংগীত চর্চা করেন। অনুপ্রাণন সম্পাদনা পরিষদের সাথে যুক্ত। শিক্ষকতা করেন। তার প্রকাশিত অন্যান্য গ্রন্থ- মেঘের সাথে কথা (কাব্যগ্রন্থ), ইংরেজী কাব্যগ্রন্থ ‘ট্রান্সকুইল সেরেনেইড এর অনুবাদ ‘নিমগ্র জলধারা’। বাংলা গীতিকবিতার অনুবাদ ‘অচিন’ দঁহশহড়হি’.
এ্যালবাম- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেলপ্রাপ্ত ংড়হম ড়ভভবৎরহমং থেকে আবৃত্তি ‘ভয়েজ টু দ্যা ইটারনাল হোম’ পঞ্চকবির গানের সমবেত কণ্ঠে ‘পঞ্চপ্রভা’।
মেঘের দেশে ফিরে যাবার গল্প
শামীম সাঈদ, কবি ও গল্পকার। জন্মÑ ১০ জানুয়ারি ১৯৭৯। কলসনগর, লালপুর নাটোর। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থÑ এই কথা বৃষ্টিবাচক, এভাবে খুলবে না আঁচলের খুঁট, সদা ভাগতেছে ভববান।
কুঁড়িকাল ও যুগযাপনের গল্প
জন্ম ১৯৮৭, পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে। পড়াশোনার পাশাপাশি ফটোগ্রাফির সাথে যুক্ত। প্রকৃতি আর মানুষ এই দুই নিয়েই তার পথচলা। নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রয়েছে
প্রেম হলো প্রেমের মতো
সোলায়মান সুমনÑ জন্ম ১মে ১৯৭৯, চাঁপাই নবাবগঞ্জ। তরুণ বয়সে লেখালেখি শুরু। বর্তমানে ঢাকায় বসবাস। পেশায় শিক্ষক। ত্রৈমাসিক অনুপ্রাণন প্রকাশনের সাথে যুক্ত।
ছায়াগুলো জেগে থাকে
বিলাল হোসেন। জন্ম ১লা জানুয়ারি ১৯৭৪। মাদারিপুর জেলার রাজারচর কাজীকান্দি গ্রামে। প্রথম প্রকাশিত বই বিরুপা’র শুঁড়িবাড়ি, সেরা ১০০ অণুগল্প। গল্প সংকলনÑ পঞ্চাশ। অণুগল্পের বিষয়-বৈচিত্র্যের অনুসন্ধান। ‘কালজয়ী পঙক্তিমালা’ নামক অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক।
মহাপ্রভু ও অন্যান্য অণুগল্প
হাসান অরিন্দম। বাংলাদেশের একজন প্রাবন্ধিক ও গল্পকাররূপে পরিচিত। কথাসাহিত্যই তার সৃষ্টি ও আগ্রহের প্রধান ক্ষেত্র। জন্ম ২৭ এপ্রিল ১৯৭২। শিক্ষাজীবনÑ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বাংলার লোকজীবন ও আবু ইসহাকের কথাসাহিত্য বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
পেশায় অধ্যাপক। ‘একজন মানুষের সম্ভাবনা’, ‘বিদ্যাছায়াবিদ্যা ও অন্যান্য গল্প’, ‘দুরবিনে দেখা কতিপয় দৃশ্য’সহ আরো অনেক বই প্রকাশিত হয়েছে।
আমাদের দৃষ্টিসীমায় কোন বাতিঘর ছিলো না
লেখক পরিচিতি :
আহমেদ মেহেদী হাসান নীল। জন্ম: ১১ই নভেম্বর, ১৯৯১ইং। দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায়। বেড়ে ওঠা বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্থলবন্দর হিলিতে। বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে অধ্যায়নরত। এটি লেখকের প্রথম বই।
কষ্টের আধুনিক হিমাগার
কবি ও প্রাবন্ধিক স্বপঞ্জয় চৌধুরীর দ্বিতীয় প্রবন্ধের বই “শিল্প সাহিত্যের নিবিড় অনুসন্ধান ও পাঠ বিশ্লেষণ: নিভৃত ভাবনার জলযান” মূলত তাঁর দীর্ঘদিনের পাঠাভ্যাস ও চিন্তার প্রকৃষ্ট ফসল। এ গ্রন্থে তিনি মোট ২৪ টি নিবন্ধ সংযোজন করেছেন। যাতে তিনি আলোকপাত করার চেষ্টা করেছেন কবিতা, সাহিত্য, দর্শন, ও চলচ্চিত্রসহ শিল্পকলার বিভিন্ন মাধ্যমের দিকে। কবিতা ও কথাসাহিত্যের নন্দনতাত্তি¡ক ভেতরবাড়ির আনাচকানাচ পর্যবেক্ষণ করে তা তুলে ধরার পাশাপাশি তিনি চলচ্চিত্র ও লিটলম্যাগ নিয়েও প্রয়াস চালিয়েছেন তাঁর নিবন্ধের বইটিতে। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কবি সাহিত্যিকদের বিভিন্ন লেখাকে তিনি পাঠ পরবর্তী বিশ্লেষণের মাধ্যমে এক ভিন্ন শিল্পরূপে দাঁড় করিয়েছেন যা সত্যিই প্রশংসনীয়। গদ্যসাহিত্যের বিকাশমান ধারায় তাঁর এ গ্রন্থটি সিরিয়াস ও মনোযোগী পাঠকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ স্থান পাবে বলে আশাকরি।
– আহমেদ শিপলু।
কবি ও নন্দনতাত্ত্বিক, সম্পাদক – ‘মগ্নপাঠ’
Shilpo sahityer Nibir Anusondhan O Path Bislation - Nibir Vabonar Jalzan - Swapanjoy Chowdhury
লেখকের কথা
জাপানের প্রাতঃস্মরণীয় মনীষী শিল্পাচার্য ওকাকুরা (কাকুজোও) তেনশিন বলেছিলেন, জাপান এশিয়ার জাদুঘর। আমি বলি, জাপান একটি বৈশ্বিক দর্পণ। বিশ্বের চতুর্দিক তথা চারটি মহাদেশের ছবি এই দর্পণে প্রতিফলিত হয়ে আসছে হাজার বছর ধরে। বিশ্বের প্রায় সব সংস্কৃতিরই ধারা এসে মিলিত হয়েছে জাপানের মূলধারার সঙ্গে। বিশেষ করে ধর্ম ও সংস্কৃতির অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছে এই দেশের জনধারায়। সন্দেহ নেই যে, চীন ও ভারতের প্রভাব অত্যন্ত গভীর। মধ্য যুগ পর্যন্ত ক্রমাগত জাপান প্রভাবিত হয়েছে প্রাচীন চীন ও ভারতের ধর্ম, দর্শন, ইতিহাস, পুরাণদ্বারা। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন জাতি, গোষ্ঠী, গোত্রের মানুষ প্রাচীনকালেই প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপবর্তী জাপানের ভূখণ্ডে এসে স্থানীয়দের সঙ্গে মিলেমিশে গেছে। যে কারণে জাপানিরা সংকর জাতির লোক। আর এর ফলেই জাপান হয়ে উঠেছে সংস্কৃতির মনোরম বৈচিত্র্যপূর্ণ একটি দেশ। যার তুলনা খুঁজে পাওয়া যায় না। যে সংস্কৃতির টানে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পাঁচবার ভ্রমণ করেছেন জাপান। প্রতিবারই তিনি জাপানকে নতুন করে আবিষ্কার করেছেন।
জাপানে যারা আসেন প্রথমে তাদের কাছে সবকিছুই অদ্ভুত প্রতিভাত হয়। কেননা জাপানিদের জীবনধারাটাই স্বাতন্ত্রিক। কিন্তু দীর্ঘদিন এ দেশে বসবাস করলে পরে তাদের আর বুঝতে বাকি থাকে না যে, তারা সঠিক দেশেই এসে পড়েছেন! এখানে জীবনযাপন যেমন খুব বাস্তব ও কঠিন তেমনি স্বপ্নের বাস্তবায়ন বা ইচ্ছেপূরণের সমূহ সম্ভাবনাও বিদ্যমান। বিদ্যমান সামাজিক নিরাপত্তা। কাজের দেশ জাপান, ইচ্ছে করলে কাজ জোগাড় করা কঠিন কিছু নয়। আর রয়েছে উচ্চশিক্ষার বিস্তর সুযোগ। তবে, অবশ্যই জাপানিদের নিয়মনীতি মেনে চলা প্রথম ও শেষ শর্ত। কেননা, যতোই তারা বহির্বিশ্বের প্রভাব গ্রহণ করে একটি সর্বজনীন সংস্কৃতি ও বাতাবরণ নির্মাণ করে থাকুন না কেন, জাপানিরা কিন্তু মনেপ্রাণে ও আদর্শে জাপানিই। “জাপানিজম” বা “জাপানিত্ব” তাদের মধ্যে সর্বক্ষণ সর্বক্ষেত্রে জাগরুক। শান্তি ও বিশ্বাস এই দেশের মূল ভিত্তি। বিশ্বাস হারালে জাপানে আর বসবাস সম্ভবপর নয়, শান্তি বিঘিœত হওয়ার মতো কাজ জাপানিরা প্রশ্রয় দেন না। আস্থা, বিশ্বাস, কঠোর পরিশ্রম, মহাধৈর্যগুণ, অনুচ্চকণ্ঠ, সময়ানুগ, প্রতিবেশী-সম্প্রীতি, সহমর্মিতা, সমবায়মনস্কতা, অনুসন্ধিৎসা জাপানিদের চারিত্রিক পরিচয়। আর এইসব গুণাগুণ জাপানি সংস্কৃতি, সৃজনশীলতা ও কর্মকাণ্ডের মধ্যে নিহিত আছে।
জাপান প্রবাসের চার দশক হতে চললো। এই দীর্ঘ সময়ে জাপানকে দেখা, জানা ও পড়ার মধ্য দিয়ে যে ধারণা ও অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়েছে তারই প্রতিফলন রয়েছে এই গ্রন্থের ২৫টি ছোটবড় প্রবন্ধের পরতে পরতে। প্রবন্ধগুলো ২০১৫ থেকে ২০০২১ পর্যন্ত বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার উপসম্পাদকীয়, সাহিত্য সাময়িকী, সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন এবং সাহিত্য সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। সংকলনভুক্ত করার তাগিদে নতুন করে তথ্য-উপাত্ত সংশোধিত ও সংযোজিত করার প্রয়াস নিয়েছি। আশা করি পাঠক বহুকিছু জানতে পারবেন এই প্রবন্ধগুলো থেকে যা বাঙালির ব্যক্তিজীবন ও সমাজজীবনকে উন্নত করার জন্য শিক্ষণীয় বলে বিশ্বাস করি। সেইসঙ্গে জানা যাবে বাংলাদেশ ও জাপান সম্পর্কবিষয়ক তথ্যসমূহ যা দুর্লভ বলেই বিবেচিত।
উদীয়মান “অনুপ্রাণন প্রকাশন” কর্তৃপক্ষ এর আগে “জানা অজানা জাপান” ৩য় খণ্ড প্রকাশ করে আমাকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করেছেন। এবারও ৪র্থ খণ্ড প্রকাশ করে আমাকে চিরঋণী করছেন। এজন্য জানাই আনত ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। যেহেতু প্রবন্ধগুলো গবেষণামূলক, তাই ভুলভ্রান্তি যেমন থাকবে, তেমনি লেখকের মতামতের সঙ্গে পাঠকের মতভিন্নতা থাকাই স্বাভাবিক। তার জন্য সকল দায়দায়িত্ব লেখকেরই, প্রকাশকের নয়।
Jana Ajana Japan Part-4 By Probir Bikash Sarkar
তুহিন দাস, কবি ও লিটলম্যাগ কর্মী। জন্ম: ১১ জানুয়ারি ১৯৮৫, জল ও কবিতার শহর বরিশালে। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখি শুরু করেন। প্রথম কবিতার শিরোনাম ‘সমাধিপৃষ্ঠা’। ২০০০ সালে ‘আরণ্যক’ সাহিত্যপত্র সম্পাদনা শুরু করেন। সম্পাদনার জন্যে ২০১১ সালে ‘চিহ্ন সন্মাননা’ পেয়েছেন। বর্তমানে ‘আরক’ পত্রিকা ও প্রকাশনায় কর্মরত আছেন। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ছয়, ‘বনসাই প্রকল্পের মানুষ’ ‘অসুখময় দিনরাত্রি’ ‘বিষাদনীলঘোড়া’ ‘কাজল বিক্রেতার স্বপ্ন’ ‘বাগান সিরিজ’ ও ‘দূরের পাড়া কাছের বাড়ি’।
কাঠের মুখ
গদ্যের খটখটে শিলাময় আস্তর বিদীর্ণ করে তারই গর্ভ থেকে উঠে আসে কবিতার কম্প্র সবুজ। জীবনের বিস্তৃত দৃশ্যমান ভ‚গোলে গদ্যের সংক্রাম যত প্রবল, তত তীব্র দ্রোহে জেগে ওঠে কবিতার প্রাণ-প্রতিবাদ। অনিকেত সুর-এর কবিতা ব্যক্তির একান্ত অনুভবজগতের দলছুট খেয়ালি বিমূর্ত লীলাচার নয়, আমাদের সামষ্টিক ও সাধারণ বস্তু-অভিজ্ঞতার সে স্বতঃস্ফ‚র্ত সরল প্রতিভ‚। বাংলা কবিতার ছিন্নপথে উন্মার্গচারিতার খেচর হতে তিনি নারাজ। প্রতীচ্য পন্থার আত্মরহিত অনুকরণে ‘আধুনিক’ গড্ডলিকা স্রোতের যাত্রীও তিনি নন। এই গ্রন্থে ধৃত তাঁর কাব্যপ্রচেষ্টা স্থানিক কৌম সমাজের চর্চিত জীবন, তার আলো ও আঁধি এবং ব্যক্তির আত্মনিমগ্ন ধ্যানজগতকে বাংলা কাব্যধারার নিজস্ব সহজ গীতল ধর্মে একটি একক অবিভাজ্য ভারসম দেহসমগ্রে জুৎসই মিলিয়ে দিয়েছে।
Ghurisokha, Tore Sathe - A Collectin of Poems - Aniket Sur
মননশীল সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠার সুবাদে কৈশোরের আঙিনা থেকেই কথাশিল্পের সঙ্গে জোৎস্নালিপির সখ্য। শিশুবেলা থেকেই পারদর্শিতা দেখিয়েছেন ধারাবাহিক গল্পবলা, একক অভিনয় এবং আবৃত্তিতে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ছোটগল্প লিখে জিতেছেন পুরস্কার। তখন থেকেই ছোটগল্প লিখে এবং লিটল ম্যাগ ‘ধ্রুব’ সম্পাদনায় বেশ পরিচিতি পান। এরপর জাতীয় দৈনিকগুলোতেও ছোটগল্প, প্রবন্ধ, গবেষণামূলক লেখা শুরু করেন। হঠাৎই একদিন লিখে ফেললেন একটি শিশুতোষ গল্প। ছাপা হলো সংবাদের শিশুসাহিত্য পাতা খেলাঘরে। এরপর নিয়মিত শিশুদের জন্য লিখতে থাকলেন এবং তা প্রকাশিত হতে থাকল দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিকগুলোসহ লিটল ম্যাগাজিন এবং শিশুসাহিত্য পত্রিকায়। তার বর্তমান মনোনিবেশের বেশির ভাগ এখন শিশুসাহিত্যে। দৈনিক সংবাদের শিশুসাহিত্য পাতা ‘খেলাঘর’ ও দৈনিক দেশবাংলার ‘ডানপিটেদের আসর’ দীর্ঘদিন সম্পাদনা করেছেন। গবেষণা, সাংবাদিকতা এবং সাহিত্য রচনার পাশাপাশি তিনি একজন তথ্যচিত্র নির্মাতা। প্রাতিষ্ঠানিক অবস্থান থেকে জ্যোৎস্নালিপি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের ছোটগল্প নিয়ে গবেষণা করে। এ ছাড়া, সাংবাদিকতায় রয়েছে তার একটি ডিগ্রি ও দুটি ফেলোশিপ। গণমাধ্যমবিষয়ক ত্রৈমাসিক ‘মুক্তপ্রকাশ’-এর সম্পাদক, ‘দৈনিক সংবাদ’-এর ফিচার সম্পাদক এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘প্রান্তজন’-এর নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিতি ও প্রেত্নি মিস
আমি কী আর জন্মেছিলাম মানুষ হিশেবে?
জন্মেছিল আবু তাহের, এই লোকটা কে?
মুখ চিনি না তবু মুখের আদল ধরে হাঁটি
শরীর খুলে বাইরে এসে ছায়ায় পরিপাটি।
আমি হয়তো ছায়ার মানুষ, শরীর আরেকজন
তার শরীরেই আড়াল হয়ে বাঁচার আয়োজন।
কার সে জীবন আমার কাঁধে, আমি-ই যে হায় কার
একই সাথে খাচ্ছি-দাচ্ছি ঘুমোচ্ছি আবার।
আমার যে, সে কোথায় থাকে? কোথায় বাড়িঘর?
তার সাথে কী বদলেছে এই আমার টিনের ঘর?
গোধূলির জাদুকর
তন্ময় ও সুস্ময় নামের দুই জমজ ভাইয়ের কার্যকলাপ নিয়েই “আলোকিত মানুষ ” গল্পটি সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে। এই দুভাই পড়ালেখায় বেশ মনোযোগী কিন্তু তাদের শিক্ষক পড়ালেখার পাশাপাশি তাদেরকে সামাজিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার তাগিদ দেন। এক ঈদে তিনি তার শিক্ষার্থী দের প্রত্যেককে এমন এক একটা ভালো কাজ করতে বলেন, যে কাজের উজ্জ্বলতার রেশে তাদের চারপাশ আলোকিত হবে এবং তারা আলোকিত মানুষ হিসাবে পরিগণিত হবে।
সেই স্যারের আদেশমতো তারা আলোকিত মানুষ হওয়ার প্রচেষ্টা হিসাবে সমাজের অবহেলিত সমবয়সি রোজকার ময়লা নিতে আসা ছেলে রাজা আর টোকাই বাদশাকে ঈদের দিন তাদের বাসায় দাওয়াত দেয়। দুই ভাই তাদের প্রিয় লোভনীয় স্পেশাল খাবারের একটা মেন্যু তৈরি করে যেগুলো এই সুবিধাবঞ্চিত শিশুগুলো কখনো টাটকা খায়নি। দোকানের শোকেসের কাচের বাইরে থেকে শুধুই চেয়ে চেয়ে দেখেছে। এই দুই জমজ ভাই তাদেরকে সেই খাবার চেখে দেখাবার প্রয়াস নেয়। এই মেন্যু ও খাবার স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ঘরে তৈরী করতে খুশিমনে এগিয়ে আসেন তাদের মা। সুস্ময় আগত সমবয়সি প্রত্যেক শিশুকে নতুন জামা, বই, খাতা, স্কুলব্যাগ আর তন্ময় তাদের অতি প্রয়োজনীয় জুতা ও স্যান্ডেল উপহার দেওয়ার পরিকল্পনা করে।
তাদের এসব পরিকল্পনা শুনে ও দেখে তাদের প্রিয় দাদু নাতিদের কাছে এই শুভকাজে নিজে অংশ গ্রহণ করার সুযোগ চান। তিনি রাজার মাকে তন্ময় ও সুস্ময়ের মায়ের সেলাই শেখার স্কুলে কাজ শেখানোর সুযোগ দেওয়র প্রস্তাব রাখেন। তিনি মনে করেন, রাজার মা ভালোভাবে কাজ শেখার পরে তাকে নতুন সেলাই মেশিন কিনে দিলে সে স্বনির্ভরতার পথে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। আর তরকারির ফেরিওয়ালা বাদশার বাবাকে তরকারির ফেরি করার সুবিধার্থে ভ্যানগাড়ি কিনে দিতে চান। এতে কষ্ট করে তাকে ঝুড়ি মাথায় নিয়ে ঘুরে বেড়াতে হবে না।
তন্ময় ও সুস্ময়ের পরিবারের মতো বাংলাদেশের প্রতিটি পরিবার যদি এগিয়ে আসে বাংলাদেশের ঘরে ঘরে সুবিধাবঞ্চিতদের মুখে হাসি ফুটবে। পরিশেষে লেখিকার এই গল্পে বর্ণিত মানুষ গড়ার কারিগর সেই শিক্ষাককে স্যেলুট যিনি তার শিক্ষার্থীদের মাঝে আলোকিত মানুষ হবার অনুপ্রেরণা বেশ সফলভাবে জাগিয়ে তুলেছেন এবং সামাজিক উন্নয়ন কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের উদ্বুদ্ধ করতে সফল হয়েছেন। আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যত। সেই শিশুদেরকে আলোকিত মানুষ হওয়ার অনুপ্রেরণা দিয়ে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন পরিবারের পাশাপাশি তাদের শিক্ষকরা। এই গল্পে সেটাই লেখিকা অত্যন্ত সুন্দর ও প্রাঞ্জলভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
আলোকিত মানুষ - Alokito Manush
“ও ঘুমায়
আমার ত্বকের নিচে সারাদিন
রাতে
ওকে ডেকে তুলি
আমি বাঁচি
আমার কুকুরগুলোর জন্য
ওরা
অশান্ত হয়ে উঠেছে
ওরা
আমার ত্বক
চেটে
ফুটো করে ফেলবে”
Girls of Hongkong, A collection of Bangla Poems By Shishir Azam
তমসা অরণ্য নামের ভেতরে যেন খুব ক্রূর, বিকারগ্রস্ত, নিকষকালো অন্ধকার এক বনাঞ্চলের বাস। সেখানে বেঁচে থাকার জন্য প্রতিটা প্রাণী প্রতিনিয়ত কামড়াকামড়ি করছে আর অন্ধকার বনাঞ্চল নিজে সেই কামড়াকামড়ি উপভোগ করছে। আমাদের সমাজও এ দশার ব্যতিক্রম নয়; এখানে ব্যক্তি নানান সমস্যায় জেরবার আর সমাজ সেই টানাপোড়েন দেখে যাচ্ছে নির্বিকারে। অবশ্য লেখক এ বইয়ে তাঁর গল্পগুলোয় সমাজ ও ব্যক্তিকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়ে এক ধরনের চিৎকার কিংবা ধিক্কার, বদল কিংবা কোন্দল তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছেন।
জীবন, মানুষ ও সমাজকে দেখার ব্যাপারে লেখকের নিজস্ব দর্শনের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে গল্পগুলোয়। দক্ষ শিল্পীর হাতের সামান্য কাজও যেমন ফেলনা হয় না, তেমনি পরিশ্রমী ও নিবেদিত লেখকের লেখা বরাবরই পাঠককে সমৃদ্ধ করে। তাই একজন কবি যখন গল্পের জাদু ছড়িয়ে দেন, আমরা পাঠকেরা সেই জাদু দেখে মুগ্ধ হই। শেষ পৃষ্ঠায় পৌঁছুতে পৌঁছুতে জাদু লেগে থাকে আমাদের চোখে, আঙ্গুলে। যেহেতু তমসা অরণ্যের লেখার নিজস্ব একটা ধরণ আছে, আশা করা যায় তিনি সেখানে টাইপড না হয়ে বহুমাত্রিক সৃজনশীলতার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হবেন। এখন দেখার বিষয়- এ বইয়ে লেখকের চিন্তার গভীরতা, দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতা এবং প্রাসঙ্গিক মেটাফোর পাঠককে কতটা নাড়া দিতে পারে।
Nai Santaner Janani - Tomosha Aronny
“সৃজনশীলতা, কল্পনাশক্তি, বিজ্ঞানী আইনস্টাইন, পিংক ফ্লয়েড, এনাদার ব্রিক ইন দ্যা ওয়াল, এনাদার ফাকিং ব্রিক ইন দ্যা ওয়াল! দরোজা ভাঙো, শেকল ছেঁড়ো, দেয়াল ভাঙো, এই এডুকেশন সিস্টেম তোমাকে বিকলাঙ্গ করে দিয়েছে। তোমরা এর নেপথ্য কারিগর হে চতুষ্পদ এবং আলখাল্লা। তোমাদের কারণে আজ তাতিন কলা অনুষদে পড়ে শর্টকার্টে রকেট সায়েন্স শেখার মওকা খোঁজে। আজ একটা হেস্তনেস্ত হবে’
চমৎকার শোনা গেলো এখন দেখা যাক প্রতিপক্ষ কী উত্তর দেয়,
“দুধ দিয়ে আনারস খাওয়ার কারণে শত শত শিশু মারা যাচ্ছে।
সাবধান!
ব্রিজে শত শত শিশুর কাটা মাথা আর রক্তপি- পড়ে আছে
সাবধান!
এইখানে পাপ, ঐখানে পাপ, এইটা করলে গুনা, বুঝলা আমার সুনা?
সাবধান!
অবশ্য এর প্রতিবিধান আছে। তাবিজ কবজ এবং দুয়া-দুরূদ। আপনারা আলোর পথে আসুন। আপনাদের চোখে শক্তিশালী টর্চলাইট মারা হবে। এ দে দিনি ঐডে হেনে”।
আমরা দেখতে পাচ্ছি আলখাল্লা পরিহিত প্রাণীটির হাতে একটি শক্তিশালী টর্চলাইট। তিনি আলো ফেলছেন দুই এলিয়েনের চোখে। চমৎকার একটি আক্রমণ। প্রতিপক্ষকে বেশ মুষড়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে। এদিকে চতুষ্পদ প্রাণীটি সন্তুষ্ট হয়ে ডাকছে তার নিজের মোটা সুরে। খেলার এ পর্যায়ে পানি পানের বিরতি।
ছহি রকেট সায়েন্স শিক্ষা
বিজ্ঞানের যে কোনও বিষয়ে আমি খুবই কৌতূহল বোধ করি ! আমি একজন মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার! আমি কয়েক দশক ধরে মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে সামরিক বাহিনীতে কাজ করি। আমার ব্যাকগ্রাউন্ডের ইতিবৃত্ত বিশ্লেষণ করতে আমি যথেষ্ট পরিমানে সীমাবদ্ধতা বজায় রাখি ! এখানে আমার কাজ হলো এন্ড-টু-এন্ড বিশ্লেষণ এবং কিরকিসিয়া যুদ্ধে মূলত মিলিশিয়া এবং জয়েন্টফোর্সের মধ্যে লড়াইয়ের খুঁটিনাটি তোলে ধরা। তার আগে সাইবার হামলা নিয়ে চালু একটি জোকসটি বলে আমি যুদ্ধের বর্ণনায় যেতে চাই । মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সাথে পারমানবিক চুক্তি থেকে সরে গিয়ে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার বিরুদ্ধে “আক্রমণাত্মক” সাইবার হামলার অনুমোদন দিলেন ।অনুমোদন দেওয়ার কয়েক ঘন্টা পরে তিনি তার জেনারেলদের ফোন করলেন ।জেনারেলের দিকে চিৎকার করে বললেন ,”আক্রমনের খবর কি?”
জেনারেল বললেন,”আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি স্যার।”
ট্রাম্প ক্ষেপে গিয়ে বললেন, “আপনি কি বলতে চাচ্ছেন আমরা সৈন্য পাঠাচ্ছি না?”
জেনারেল বললেন, “কিন্তু..কিন্তু…স্যার, এটা সাইবার স্পেসের মাধ্যমে একটি আক্রমণ..”
ট্রাম্প বললেন, “আপনি কি মনে করেন আমি স্টুপিড প্রেসিডেন্ট??” ………
সাইবার যুদ্ধের পাগলা ঘোড়া
অয়ন্ত ইমরুল।
জন্ম ১২ ই এপ্রিল ১৯৮৭ ইং মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার অন্তর্গত আজিম নগর গ্রামে।পিতা— শাজাহান মিয়া ছিলেন একজন ব্যাবসায়ী।২০০১ সালের মার্চ মাসে তিনি হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
মা— বিউটি বেগম একজন গৃহিণী। ডিগ্রী পরিক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার ফলে পুনরায় আর পরিক্ষা দেয়া হয়নি।বর্তমানে চাকুরীজীবি।দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা এবং সমকাল পত্রিকা লেখা ছাপালেও বর্তমানে কোন প্রিন্ট মিডিয়ায় লেখা দিচ্ছি না।তবে
অনলাইন ভিত্তিক ওয়েবজিন—অংশুমালী,কালিমাটি,অপরজন পত্রিকা,ওয়াকিং ডিস্ট্যান্স সহ আরো দু একটা পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখী করছি।প্রকাশিত বই চারটি—
“ছায়া সমুদ্র” অনুপ্রাণন প্রকাশন—২০১৬
“বুদ্ধের ভায়োলিন “তিউড়ি প্রকাশন—২০১৮
” সাদা ধূলির দূরত্বে “ইতিকথা পাবলিকেশন—কলকাতা থেকে ২০২০
এবং ” স্বৈর হাওয়ার হরিণী”পরিবার পাবলিকেশন ২০২০ ঢাকা বইমেলা।
কিসমত আলী অথবা শূন্য
‘আপাদমস্তক তোমাকে অনুধাবন করি/নবান্নের ধানের গোলা থেকে বেরিয়ে আসা/ভাপের মতন সে অনুভব/এ আমার অনুভ‚তিকাল’, এই অনুধাবনই নূরুন্নাহার মুন্নির বড় শক্তি। মুন্নি তার কবিতায় সবশুদ্ধ একটি ছবি আঁকতে আগ্রহী, যা কখনো কখনো আসল নাও হতে পারে। কিন্তু দৃশ্যমান সেই ছবিÑ তা যেই তার কবিতা পড়ুক, অনুভব করবেন। তার কবিতায় আরও নজরে আসে শব্দের ব্যবহার। কি নিখুঁতভাবে দেশি-বিদেশি, পরিচিত-অপরিচিত, ব্যবহৃত-অব্যবহৃত শব্দকে সেঁটে দেওয়া যায়, কেমন আশ্চর্যভাবে গেঁথে দেওয়া যায়-তা তিনি দেখান প্রায় প্রতিটি রচনায়।
সমসাময়িকদের সঙ্গে তার তফাৎ বোঝার জন্য অন্য আরেকটি দিকে আলো ফেলা যায়, মুন্নি খুব সাধারণ ঘটনাকেও কবিতার বিষয় করে তোলেন। তার কবিতায় আবেগ আছে, কল্পনা আছে, আছে আলোছায়ার খেলা। কিন্তু প্রকৃত ভাবটিকে প্রকাশের ক্ষেত্রে তা লক্ষ্যচুত হয় না। পাঠককে অল্পবিস্তর সূত্র ধরিয়ে দিয়ে মুন্নি বোকা বানাতে চান না বলেই তার লেখার ভেতরে বেঁচে থাকার তুমুল উত্তেজনা অনুভূত হয়। তার কবিতা ছিন্নভিন্ন, বিপর্যস্ততার ভেতর থেকে প্রাণের সন্ধান করে, সুন্দরের সন্ধান করে, দরদভর্তি কণ্ঠে মানুষের আর্তিকে তুলে ধরে। ‘কেউ থাকে অন্ধকারে’ দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থের ভেতর দিয়ে নির্মম, নিষ্ঠুর সময়ের দিকে নুরুন্নাহার মুন্নির যে যাত্রা, তা কেবল অন্তর্র্দৃষ্টিসম্পন্নের পক্ষেই সম্ভব।
মামুন রশীদ
কবি, সাংবাদিক
১৫ জানুয়ারি, ২০২৪
Kew Thake Andhokare - Nurunnahar Munni
সুজন হাজারী-
জন্ম :- ১৫ মে, ১৯৫৩
জন্মস্থান :- উজল, হিলি দক্ষিণ দিনাজপুর, পশ্চিম বাংলা, ইন্ডিয়া; মাতুলালয়।
শিক্ষা :- ব্যচলার অফ আর্টস।
বৈবাহিক তথ্য :- বিবাহিত।
স্ত্রীর নাম :- মোসাম্মৎ নাসরিন আখতার।
সন্তানদের নাম :- সুবর্ণ সম্ভার, সুদিপ্ত সম্ভার, সুহিত সম্ভার।
ভাইবোন :- চার ভাই, এক বোন।
সিদাম পাহান
Get access to your Orders, Wishlist and Recommendations.
There are no reviews yet.