Description
অজ্ঞাত পাথরে মধ্যশ্রাবণ দাগ কেটে
কহিল, তোমাকে চিনি,
আগের জন্মে তুমি ছিলে মৃত্তিকার সম্ভাবনা–
কুলীন পলি।
অবোধ্য কালস্রোতে ভেসে যায় আয়ু
পাথরকুচি আঁকড়ে ধরে কাঁকরগর্ভা মাটি।
(কবিতা–১৬, হেঁটে গেছ উল্টো স্রোতে)
$ 1.32 $ 1.76
অজ্ঞাত পাথরে মধ্যশ্রাবণ দাগ কেটে
কহিল, তোমাকে চিনি,
আগের জন্মে তুমি ছিলে মৃত্তিকার সম্ভাবনা–
কুলীন পলি।
অবোধ্য কালস্রোতে ভেসে যায় আয়ু
পাথরকুচি আঁকড়ে ধরে কাঁকরগর্ভা মাটি।
(কবিতা–১৬, হেঁটে গেছ উল্টো স্রোতে)
Weight | 0.200 kg |
---|---|
Published Year |
লেখক পরিচিতি :
শঙ্করী দাস। জন্ম: ৮ই মে, ১৯৫৮ সনে নিজ জেলা জামালপুরে। কবি প্রকাশিত অন্যান্য গ্রন্থগুলোÑ গল্প: ‘প্রতিবিম্ব ও অন্যান্য গল্প’ ‘জলমাটির গল্প’ ও ‘রাহুর চন্দ্রগ্রাস’। কবিতাÑ ‘ঘাসবোনা গ্রাম তাঁতবোনা গ্রাম’। স্মৃতিচারণমূলকÑ ‘গণমানুষের স্মৃতিতে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ’। গল্পের জন্যে পেয়েছেন পাক্ষিক ঐকতান (বর্ধমান) পত্রিকা পদক। শিশু কবি রকি সাহিত্য পুরস্কার ও নক্ষত্র সাহিত্য পুরস্কার।
বিহান বেলার ঈশ্বর
লেখক পরিচিতি :
নিখিল নওশাদ। জন্মসন: ১৯৮৯ইং। বড়িয়া, ধুনট, বগুড়া, বাংলাদেশ। ‘বিরোধ, ‘নিওর’ ও ‘নীড়’ পত্রিকার সম্পাদনা পরিষদের সাথে যুক্ত। এটি লেখকের প্রথম প্রকাশিত বই। এছাড়া ছোটগল্প বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছেন।
এটি একটি চিৎকার
সিদ্দিক প্রামানিক। জন্ম: ২১শে আগস্ট ১৯৭৯, কুস্টিয়ার কুমারখালী থানার চরভবানীপুরগ্রামে। বাংলা সাহিত্যে মাস্টার্স শেষ করে বর্তমানে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন এবং বাম প্রগতিশীল সংগঠনের সক্রিয় সংগঠক ও সংস্কৃতকর্মী। প্রথম বই ‘হাঙরের সমুদ্রে মননশীল মাছ’।
উন্মাদের কনসার্ট
ডালিয়া চৌধুরী। তোলারাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্স মাস্টার্স শেষ করেছেন। কবিতার প্রতি ভালোবাসা থেকে কবিতা লেখার সূত্রপাত। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ, ‘অনুভবে সুখ’ ‘মেঘময় নিকুঞ্জে রধুন‘ ও ‘জলজ কামনা’।
নীল গোধূলি
সৈয়দ সাইফুর রহমান সাকিব। জন্ম: ১৯৭৮ সালে বরিশাল জেলা সদরে করিমকুটির নামক স্থানে। তার লেখার বিষয় মূলতঃ কবিতা। সময় নাট্যদলের সাথে একযুগ পার করেছেন। গানও লিখতেন কিন্তু বন্ধুবরের প্রয়ানে, অভিমানে আর সেপথ মারাননি। বর্তমানে অর্থ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত থাকলেও নিজেকে একজন কবিতার শতরঞ্জি মোড়ানো শ্রমিক বলেই মনে করেন। এটি কবির প্রথম বই।
রূপোর দ্যুতি
রাজন্য রুহানি। পরিবারের দেওয়া সনদসাক্ষ্য নাম মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। জন্ম: ২রা নভেম্ভর ১৯৮০, জামালপুর জেলা শহরের হাটচন্দ্রায়। কলেজে পা দেবার সাথে সাথেই সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত হয়ে পড়েন। স্থানীয় কয়েকটি দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকার বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। মফস্বল সাংবাদিকতার পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না পেরে বারবার কবিতার কছেই ফেরা। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং। ১৯৯৮ থেকে কবিতার ভাঁজপত্র শব্দদূত সম্পাদনার সাথে যুক্ত। ঐ বছরই অন্যান্য লেখক সহযোগে আলোচনাগ্রন্থ- ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ; আতিয়ার রহমানের ৭টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এটি লেখকের প্রকাশিত এককবই।
গল্প সমাপ্তির গান
লেখক পরিচিতি :
তানভীর আহমেদ হৃদয়। জন্ম: ৩ডিসেম্বর, ১৯৮৫ইং। মুন্সিগঞ্জ, বিক্রমপুর। প্রকাশিত গ্রন্থের তালিকায় আছে কবিতা, গল্প, উপন্যাস, ছড়া। এছাড়া সম্পাদিত গ্রন্থের তালিকায় আছে কবিতা ও গল্প। লেখকের লেখা প্রতিনিয়ত দেশে ও বিদেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে।
অচেনা রৌদ্রের রঙ
দেবাশীষ ধর। জন্ম: ৫ই জানুয়ারি, ১৯৮৯। চট্টগ্রাম। কবিতার ছোটকাগজ ‘বাঙাল’ এর সম্পাদক। কবির এটি প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
ফসিলের কারুকাজ
কাজী রহমান। পরবাসী লেখক নিজের পছন্দ মতো বাঁচতে দু-যুগ আগে মার্কিন মুলুকে চলে আসেন স্ত্রী ও প্রথম শিশুকন্যা সাথে নিয়ে। বড় হয়েছেন পুরনো ঢাকার গেন্ডারিয়া’য়। জ্ঞান হবার পরপরই নিজেকে আবিষ্কার করেছেন ঘরের পাশের গ্রন্থাগারে, বিভিন্ন শিশু সংগঠন আর সমাজসেবামূলক সংগঠনের আলোছায়ায়। মুক্তিযুদ্ধের সময়কার দুরন্ত কিশোর স্বাধীনতার যুদ্ধ দেখেছেন কাছ থেকে আর আতঙ্কের দিন গুনেছেন সারাক্ষণ মুক্তিযোদ্ধা দু’ভাইয়ের ঘরে ফেরার অপেক্ষায়। গ্রাজুয়েশন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কর্মজীবন কেটেছে বিদেশী এয়ার লাইন্সের কর্মকর্তা হিসেবে।
তারাধুলো জল ও নস্টালজিয়া
লেখক পরিচিতি :
মোহাম্মদ হোসাইন। জন্ম: ৩১শে অক্টোবর। বিএসসি ও এমএসসি’র শিক্ষা সমাপন শেষে এখন শিক্ষকতার পেশায় নিয়োজিত আছেন। লেখকের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ মোট ১১টি। ‘ভালোবাসা নির্বাসনে গেছে’ ‘মেঘগুলো পাখিগুলো’ ‘অরণ্যে যাবে অস্তিত্বে পাপ’ উল্লেখযোগ্য বইয়ের শিরোনাম।
অনুদিত রোদের রেহেল
লেখক পরিচিতি :
শারমিন রাহমান। জন্ম: ১৬ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৩। দ্ইু সন্তানের জননী। বাংলাদেশের স্বনামধন্য স্কুলগুলোতে দীর্ঘ ১৫ বছর শিক্ষকতা শেষ করে বর্তমানে চট্টগ্রাম আর্ট সেন্টার ‘ধ্যান’ এর পরিচালক। বিশেষ আগ্রহ আছে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে। এটি কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
অপ্রাকৃত কবচ
ফারহানা খানম। জন্ম: ১৯শে এপ্রিল ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী এলাকায়। গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দীপে। ‘ভুগোল ও পরিবেশ’ বিষয়ে স্নাততোত্তর ডিগ্রী অর্জন করে ব্যাংকে চাকুরি শুরু করলেও বর্তমানে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত। নয় ভাই-বোনের মাঝে সবার ছোট বলেই আদরও পেয়েছেন বেশি। প্রথম প্রকাশিত বই, ‘ইছামতি’ (কলকাতা থেকে প্রকাশিত)।
তৃষ্ণার্ত বালুতট
ভূমিকা-
ঘুরে বেড়ানোর স্বভাবটা ছোটবেলা থেকেই ছিলো। এ অভ্যাসটা বাবা‘ই করিয়েছেন। মায়েরও মনে হয় প্রছন্ন প্রশ্রয় ছিলো। যখন যেখানে সুযোগ পেয়েছি ঘুরে দেখার চেষ্টা করেছি। এরপর পেশাটাও বেছে নিয়েছি ঘুরে বেড়ানোর। এ ঘুরে বেড়ানোর মাধ্যমে মানুষকে নানাভাবে জানার সুযোগ হয়েছে। ভিড়ের মধ্যে দুরে বসে মানুষ দেখতে আমার বেশ লাগে। প্রতিদিনের নতুন অভিজ্ঞতা থেকে আজো প্রকৃতি, পরিবেশ, সমাজ, সংসার থেকে জানার চেষ্টা করছি। মানুষের মনসতত্ত্ব আমাকে বেশ ভাবায়। একজন মানুষের বহুরকম ভাবনা। সে থেকে যদি কিছু অর্জন করে থাকি তা কলমের ভাষায় বলবার এক ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।
অন্যজীবন
বাউল শিরোমণি লালন শাহ্
রবীন্দ্র-গল্পগুচ্ছে নারী বিষয়ক গ্রন্থটি একটি এম.ফিল গবেষণা-অভিসন্দর্ভ। ১৯৮৮ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে যার ডিগ্রি অর্জিত হয়। অর্থাৎ প্রায় একত্রিশ বছর আগে এর রচনাকাল। এটা অবিসংবাদিত যে, রবীন্দ্রনাথই বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ছোটগল্পকার। তাঁর পঁচানব্বইটি গল্প-সংকলনের নাম গল্পগুচ্ছ। সমগ্র গল্পগুচ্ছ এক বিশাল চরিত্রশালার অন্তঃরাজ্য। গল্পগুলো তাঁর অন্যান্য রচনাবলি থেকে ব্যতিক্রম এজন্যে যে, এখানে আছে ‘মাটির কাছাকাছি’ মানুষের জীবন-যাপন। নিম্নবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত Ñ এসব সাধারণ মানুষের জীবনের সমস্যা, সামাজিক সমস্যা, রাষ্ট্রীয় সংঘাত, মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব, রক্ষণশীলতার সঙ্গে প্রগতিশীলতার সংঘর্ষ, এমনকি সমাজের পতিত নারীর জীবন-চিত্রণও এখানে বাদ যায় নি। ‘শাস্তি’-র দুখি-ছিদাম-রাধা-চন্দরা বা ‘সমাপ্তি’-র মৃন্ময়ী, ‘দিদি’ গল্পের দিদি অথবা ‘বিচারক’-এর রক্ষিতা ক্ষিরোদাকে রবীন্দ্র-সাহিত্যের আর কোথাও পাওয়া যাবে না। তবে এটা ঠিক যে, গল্পগুচ্ছে আছে নারী-চরিত্রের প্রাধান্য। পুরুষ-চরিত্রের চেয়ে নারীচরিত্রগুলো অনেক বেশি উজ্জ্বল, অনেক বেশি শক্তিশালী ও জীবনঘনিষ্ঠ। ক্ষেত্র-বিশেষে নারীচরিত্রগুলো উপন্যাসের নারীচরিত্রের চেয়েও অধিক তাৎপর্যপূর্ণ ও ব্যঞ্জনাময়। ‘হৈমন্তী’ গল্পের হৈমন্তী, ‘স্ত্রীর পত্র’-এর মৃণাল, ‘নষ্টনীড়’-এর চারুলতা, ‘পয়লা নম্বর’-এর অনিলা, ‘রবিবার’-এর বিভা এবং ‘ল্যাবরেটরি’-র সোহিনী একেকটি যুগের একেকটি স্মারক। অভিসন্দর্ভটিতে সমকালীন জীবন ও সমাজকে যেমন বিশ্লেষণ করা হয়েছে, তেমনি চরিত্রগুলোকেও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আলোকপাত করা হয়েছে। আশা করা যায়, পাঠক এবং গবেষক উভয়েই এর দ্বারা উপকৃত হবেন।
রবীন্দ্র-গল্পগুচ্ছে নারী
লেখক পরিচিতি :
রেজওয়ান তানিম। কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধ লিখেন। সম্পাদনা করছেন সাহিত্যের ছোটকাগজ: ‘লিপি’। প্রথম কাব্যগ্রন্থ: ‘মৌনমুখর বেলায়’।
শাদা পরচুল অন্ধকার
লেখক পরিচিতি :
কুহক মাহমুদ। জন্ম: ৬ই সেপ্টেম্বর, ঢাকা। পুরানো ঢাকায় স্থায়ী বসবাস আর বেড়ে ওঠা যৌথ পরিবারে। কবি কবিতাকে ভালোবেসে কখন যে সংসারের মায়া ত্যাগ করেছেন তা নিজেও জানেন না। কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ: ‘গোধূলির প্রস্থানে জ্বালাও পূর্ণিমা’।
নামানুষ
সোলায়মান সুমনÑ জন্ম ১মে ১৯৭৯, চাঁপাই নবাবগঞ্জ। তরুণ বয়সে লেখালেখি শুরু। বর্তমানে ঢাকায় বসবাস। পেশায় শিক্ষক। ত্রৈমাসিক অনুপ্রাণন প্রকাশনের সাথে যুক্ত।
ছায়াগুলো জেগে থাকে
একটি মেয়ে, জন্ম থেকে বোধ করি আলাদা ব্যতিক্রমী ভাবনায় গড়ে উঠেছে। দেশভাগের পর, নানান টানা-পোড়েনে বেড়ে ওঠা তাদের পরিবার। এক একটা ঘটনা হয়তো তুচ্ছ, অতি তুচ্ছ। সেই সময় তার কাছে বিশাল বিস্ময় হয়ে উঠেছিল। এক একটা আঘাত প্রতিনিয়ত তাকে সৃষ্টি করতে সাহায্য করেছে। জীবনের মধ্যপ্রান্তে ক্লান্ত ‘বিকেলের আলোয়’ সে সবকিছুই দেখতে পায়। সেই সব হারানো না ফিরে পাওয়া দিনগুলো। সেই সব দিনগুলো আজো খুঁজে বেড়ায়। আজো বেলিফুলের তীব্র ঘ্রাণ নাকে আসে বাতাসের সাথে। শেষ প্রহরের সিনেমা ভাঙা গান আজো বাজে। ট্রেনের হুইসেলের শব্দে আজো যেনো ঘুম ভেঙ্গে যায়।
ভালো লাগবে আশা করি প্রিয় পাঠকের।
বিকেলের আলোয়
‘আপনি আগের মতো আমাকে‘তুমি’ বললে খুশি হবো। আপনি আপনি বলতে-শুনতে, ভালো লাগছে না। কানে বড্ড বেসুরা লাগছে। মনে হচ্ছে অনেক দূরের কেউ কথা বলছে।
রায়না একটু থেমে আবার বলে, আর রিফাতের সামনে বলতে অসুবিধা হলে, আমরা যখন দু’জন থাকব, তখন বলবেন। প্লিজ, আমার এ কথাটা রাখবেন।’ এ বইয়ে, এমনই সৈয়দ নূরুল আলমের গদ্য।
ঊনিশশ’ ছিয়াশিতে সৈয়দ নূরুল আলম এর প্রথম গ্রন্থ যুদ্ধের ছবি’র ভূমিকায় আব্দুল মান্নান সৈয়দ লিখেছিলেন,‘স্বাধীনতা উত্তর যে নতুন জগৎ বাংলাদেশে তৈরী হয়েছে, তারই জলরঙ ছবি আলম এঁকেছেন। সজল। সরল। সাবলীল। ইশারা-কুশল। মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত, নিম্ন বিত্তের পৃথিবীকে তিনি জানেন। ছোটো গল্পের বিশিষ্ট শিল্প কুশলতাও তাঁর আয়ত্ত।’
আজ এতবছর পরে সৈয়দ নূরুল আলম এর লেখায় কি উত্তরণ ঘটেছে বা কেমন তাঁর গদ্যভাষা, ‘নৈঃশব্দের বিকেল’ উপন্যাস পড়লে সেটা জানা যাবে।
উপন্যাসটা উচ্চ মধ্যবৃত্ত পরিবারের গল্প। সমসাময়িক ঘটনা, কয়েকটি অতিচিনা চরিত্রের মাধ্যমে গল্পের বিস্তার। গতিময়তার কারণে পড়া শুরু করলে, শেষ না করে ওঠা কঠিন হবে। বন্ধু মানে বিশ্বাস- এটাকে কেন্দ্র করে কাহিনী আবর্তিত।
নৈঃশব্দ্যের বিকেল - Noishabder Bikel
প্রবন্ধ এমন এক সাহিত্যকর্ম, যার রস পাঠকমনে তীরের মতো অথবা বুলেটের মতো বিদ্ধ হয়। হেঁয়ালিহীন এই সাহিত্যকর্ম পাঠককে চালিত করে জ্ঞানের পথে। ক্রমশ পেছনের দিকে হাঁটতে থাকা বর্তমান বাংলাদেশে প্রবন্ধ-সাহিত্য খানিকটা শক্তিহীন। লেখকরা অজ্ঞাত কারণে সাহিত্যের এই শাখার প্রতি উদাসীন। ফলে এর পাঠকও কমেছে আগের তুলনায়। মানবিক পৃথিবী নির্মাণে মূর্খতার অন্ধকার তাড়াতে যাঁরা শিল্পের প্রদীপ জ¦ালিয়েছেন, যাঁরা নিজ নিজ কর্মে হয়ে উঠেছেন প্রদীপতুল্য, তাঁদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ, হকিং, মেরি শেলী, নাইপল, বব ডিলান, ইশিগুরো প্রমুখ নিঃসন্দেহে অগ্রগামী। তাঁদের শিল্পকর্মের গভীরে ডুব দিয়ে অবগাহন করেছেন প্রাবন্ধিক উদয় শংকর দুর্জয়। দক্ষ ডুবুরির মতো তুলে এনেছেন তাঁদের বহুমাত্রিক চিন্তার নির্যাস। টুকরো টুকরো সব নির্যাসকে একত্র করে তিনি যে মালা গেঁথেছেন, তার নাম দিয়েছেন প্রবন্ধ সংগ্রহ। এসব প্রবন্ধে কঠিন বিষয়ের মর্মভেদ করতে তাঁর সরল বয়ান পাঠককে আকৃষ্ট করে, আন্দোলিত করে; জন্ম দেয় এক নতুন চিন্তার। প্রবন্ধ-সাহিত্যের এই দুর্দিনের দুর্জয়ের প্রবন্ধ সংগ্রহ হয়ে উঠবে সুখপাঠ্য, ফিরিয়ে আনতে পারে এই সাহিত্যের সুদিন।
স্বকৃত নোমান
২০.১১.২০২০
প্রবন্ধ সংগ্রহ
Nirbachito Golpo
কবিতার মিথকে অগ্রাহ্য না করেও, পরম্পরাকে কবিতায় সন্দেহ না করেও কবি চঞ্চল নাঈম কবিতার অন্তঃস্থলের নিরূপিত একরৈখিক ভাবনাকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে চলেছেন। দুর্বোধ্যতার অর্থ ওঁর কবিতায় দূরবোধ্যতা। সুদূরের বোধ ওঁর কবিতায় নতুন ভাষার জন্ম দিয়েছে। আমরা সাধারণভাবে বাংলা কবিতার যে আবহমান ভাষার সঙ্গে অতি পরিচিত, সেই ভাষাকে ছাড়িয়ে যায় কবি চঞ্চল নাঈমের কবিতা। এই গ্রন্থের প্রতিটি কবিতায় যেন রয়েছে এক ভাষা বিদ্রোহ। ‘চুপ’ থাকার বিষয়টিকে ওই বিদ্রোহের জন্যই হয়তো কবি সম্মান করছেন ক্ষণিক অবসরে। কবির অবসর আর পাঁচটা মানুষের অবসরের সঙ্গে তুলনীয় হয় না কখনোই। কারণ ভাষার ভিতরে লুকিয়ে থাকা অন্য ভাষা, বিষয়ের ভিতরে লুকিয়ে থাকা অন্য বিষয় সন্ধান করেন কবি। চঞ্চল নাঈমের ‘নুন আর মশলার ঘ্রাণ’ কবিতাগ্রন্থটি দুটি অংশে বিভক্ত। প্রথম অংশের নাম ‘ধু ধু মুহূর্ত’ আর দ্বিতীয় অংশ ‘উৎস পাঠ’। ’নুন আর মশলার ঘ্রাণ’ নামকরণে কবিতাটি এই গ্রন্থের সামগ্রিক চিহ্নকে ধারণ করে আছে। বাংলা কবিতার আধুনিক প্রবাহ এবং একই সঙ্গে অতীত ঐতিহ্যের প্রতি প্রবল টান চঞ্চল নাঈমের এই গ্রন্থের সকল কবিতাকে বিশেষায়িত করছে। দুই তিন চার পাঁচ পংক্তির কবিতায় তীক্ষ্মতা, একেবারে গদ্যের চলনে মনের সংকেতগুলোকে প্রকাশ আর আধুনিক স্মার্টনেস এইসব কবিতাকে স্বাতন্ত্র্যে চিহ্নিত করে।
অলোক বিশ্বাস
পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
নুন ও মশলার ঘ্রাণ - Nun AAR Moshlar Graan
জন্ম: ১ জানুয়ারি, ১৯৭৪।
জন্মস্থান- মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার রাজারচর কাজিকান্দি গ্রামে।
প্রকাশিত বই-
১. কাব্যগ্রন্থ- বিরুপা’র শূঁড়িবাড়ি(২০১৪)
২. অণুগল্প সংকলন- পঞ্চাশ(২০১৫)
৩. মহাপ্রভু ও অন্যান্য অণুগল্প(২০১৬)
৪. কাব্যগ্রন্থ- একজ্বলাপঙক্তি(২০১৬)
অণুগল্পের অস্তিত্ব আছে
শাশ্বত নিপ্পন। জন্ম: মেহেরপুর, মে ১৮, ১৯৭০। পেশা: শিক্ষকতা ও সাংবাদিকতা। এবং সংস্কৃতিকর্মী ও নাট্যকর্মী। তার আরো দুটি প্রকাশিত গ্রন্থ রয়েছেÑ অনতিক্রম (২০১৩), পুনরুত্থান (২০১৪)।
অশনির ছন্দ
Get access to your Orders, Wishlist and Recommendations.
There are no reviews yet.