Additional information
Weight | 0.200 kg |
---|---|
Published Year |
$ 1.13 $ 1.88
Weight | 0.200 kg |
---|---|
Published Year |
লেখক পরিচিতি :
তানভীর আহমেদ হৃদয়। জন্ম: ৩ডিসেম্বর, ১৯৮৫ইং। মুন্সিগঞ্জ, বিক্রমপুর। প্রকাশিত গ্রন্থের তালিকায় আছে কবিতা, গল্প, উপন্যাস, ছড়া। এছাড়া সম্পাদিত গ্রন্থের তালিকায় আছে কবিতা ও গল্প। লেখকের লেখা প্রতিনিয়ত দেশে ও বিদেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে।
অচেনা রৌদ্রের রঙ
রঞ্জনা বিশ্বাস। জন্ম: ১০ডিসেম্বর, ১৯৮১। গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের বাগবাড়ি গ্রামে খ্রিস্টিয়ান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ‘ভুলস্বপ্নে ডুবে থাক আদিবাসী মন’ ও ‘আমি তিনবেলা বৃষ্টিতে ভিজি’ কাব্যগ্রন্থ দু’টি কবির প্রকাশিত কাব্যফসল। এছাড়া কবি কবিতাচর্চার পাশাপাশি ফোকলোরচর্চাকেও ব্রত হিসাবে নিয়েছেন। নৃ-তাত্ত্বিক ও গবেষণাধর্মী কবির আরও বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে। কবি বাংলা একাডেমির ‘তরুণ লেখক প্রকল্প’ ও ‘লোকজ সংস্কৃতির বিকাশ’ প্রকল্পে কাজ করছেন। এছাড়া এখন ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বিভাগে কর্মরত আছেন।
বেদনার পাথর ও প্রান্তিক দীর্ঘশ্বাস
বাবুল হোসেইন। জন্ম: তেঘরিয়া, সৈয়দপুর, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ।
আত্মমুগ্ধ শিকল
রাজন্য রুহানি। পরিবারের দেওয়া সনদসাক্ষ্য নাম মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। জন্ম: ২রা নভেম্ভর ১৯৮০, জামালপুর জেলা শহরের হাটচন্দ্রায়। কলেজে পা দেবার সাথে সাথেই সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত হয়ে পড়েন। স্থানীয় কয়েকটি দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকার বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। মফস্বল সাংবাদিকতার পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না পেরে বারবার কবিতার কছেই ফেরা। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং। ১৯৯৮ থেকে কবিতার ভাঁজপত্র শব্দদূত সম্পাদনার সাথে যুক্ত। ঐ বছরই অন্যান্য লেখক সহযোগে আলোচনাগ্রন্থ- ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ; আতিয়ার রহমানের ৭টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এটি লেখকের প্রকাশিত এককবই।
গল্প সমাপ্তির গান
সৈয়দ সাইফুর রহমান সাকিব। জন্ম: ১৯৭৮ সালে বরিশাল জেলা সদরে করিমকুটির নামক স্থানে। তার লেখার বিষয় মূলতঃ কবিতা। সময় নাট্যদলের সাথে একযুগ পার করেছেন। গানও লিখতেন কিন্তু বন্ধুবরের প্রয়ানে, অভিমানে আর সেপথ মারাননি। বর্তমানে অর্থ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত থাকলেও নিজেকে একজন কবিতার শতরঞ্জি মোড়ানো শ্রমিক বলেই মনে করেন। এটি কবির প্রথম বই।
রূপোর দ্যুতি
অয়ন্ত ইমরুল। জন্ম: ১২ই এপ্রিল ১৯৮৭ইং, মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার আজিমনগর গ্রামে। পদ্মা নদীর ভয়াল গ্রাসে শৈশবেই ঠিকানার পরিবর্তন ঘটে বর্তমানে সাভার আশুলিয়ায় বসবাসরত। এটি লেখকের প্রথম প্রকাশিত বই।
ছায়াসমুদ্র
সিদ্দিক প্রামানিক। জন্ম: ২১শে আগস্ট ১৯৭৯, কুস্টিয়ার কুমারখালী থানার চরভবানীপুরগ্রামে। বাংলা সাহিত্যে মাস্টার্স শেষ করে বর্তমানে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন এবং বাম প্রগতিশীল সংগঠনের সক্রিয় সংগঠক ও সংস্কৃতকর্মী। প্রথম বই ‘হাঙরের সমুদ্রে মননশীল মাছ’।
উন্মাদের কনসার্ট
লেখক পরিচিতি :
হান্নান হামিদ, লেখক নাম কালের লিখন। জন্ম: আগস্ট, ১৯৮৪। জামালপুর। ‘বিশ্বাস শুধুই নিঃশ্বাস’ লেখকের প্রথম বই।
বিশ্বাস শুধুই নিঃশ্বাস
লেখক পরিচিতি :
শারমিন রাহমান। জন্ম: ১৬ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৩। দ্ইু সন্তানের জননী। বাংলাদেশের স্বনামধন্য স্কুলগুলোতে দীর্ঘ ১৫ বছর শিক্ষকতা শেষ করে বর্তমানে চট্টগ্রাম আর্ট সেন্টার ‘ধ্যান’ এর পরিচালক। বিশেষ আগ্রহ আছে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে। এটি কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
অপ্রাকৃত কবচ
হাসানআল আব্দুল্লাহ। জন্ম: ১৪ই এপ্রিল, ১৯৬৭। গোপালগঞ্জ জেলার গোপিনাথপুর গ্রামে। তিনি প্রবর্তন করেছেন নুতনধারার সনেট। তার মৌলিক কাব্যগ্রন্থর সংখ্যা দশ। বিশ্বের বিভিন্ন ভাষার কবিতার অনুবাদে প্রকাশ করেছেন বিশ্ব কবিতার কয়েকছত্র। অন্যান্য প্রকাশিত গ্রন্থ- সনেটগুচ্ছ ও অন্যান্য কবিতা, আঁধারের সমান বয়স, এক পশলা সময় প্রভৃতি। ২০০৭ ও ২০১৫ সালে নিউইয়র্কের কুইন্স শহরের পোয়েট লরিয়েট ফাইনালিস্টের সন্মান পেয়েছেন।
বৃত্তের কেন্দ্রেও কবিতার মুখ
কাজী রহমান। পরবাসী লেখক নিজের পছন্দ মতো বাঁচতে দু-যুগ আগে মার্কিন মুলুকে চলে আসেন স্ত্রী ও প্রথম শিশুকন্যা সাথে নিয়ে। বড় হয়েছেন পুরনো ঢাকার গেন্ডারিয়া’য়। জ্ঞান হবার পরপরই নিজেকে আবিষ্কার করেছেন ঘরের পাশের গ্রন্থাগারে, বিভিন্ন শিশু সংগঠন আর সমাজসেবামূলক সংগঠনের আলোছায়ায়। মুক্তিযুদ্ধের সময়কার দুরন্ত কিশোর স্বাধীনতার যুদ্ধ দেখেছেন কাছ থেকে আর আতঙ্কের দিন গুনেছেন সারাক্ষণ মুক্তিযোদ্ধা দু’ভাইয়ের ঘরে ফেরার অপেক্ষায়। গ্রাজুয়েশন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কর্মজীবন কেটেছে বিদেশী এয়ার লাইন্সের কর্মকর্তা হিসেবে।
তারাধুলো জল ও নস্টালজিয়া
লেখক পরিচিতি :
প্রজ্ঞা মৌসুমী। জন্ম: এক শরতে দাদুবাড়ি কুমিল্লায়, বেড়ে ওঠা সুনামগঞ্জে। ঊনিশ বছর থেকে পড়াশুনার জন্যে প্রবাস জীবন। এক এসাইনমেন্টের জন্যে প্রথম ইংরেজি কবিতা লিখার শুরু। প্রথম জীবনের কবিতাগুলো ইংরেজিতেই লেখা, কিন্তু মন আঁকুপাঁকু করে বাংলায় লিখতে; তারই ফলশ্রুতিতে আজকের প্রথম কবিতা ফসল ‘পৌরাণিক রোদ এবং অতিক্রান্ত কাঠগোলাপ’। লেখক কবিতা ও গল্প লিখে পেয়েছেন অনেক পুরস্কার তাই বাংলা সাহিত্যের অত্যুজ্জল আলোয় নিজেকে উদ্ভাসিত করার স্বপ্ন দেখেন অহর্নিশ।
পৌরাণিক রোদ এবং অতিক্রান্ত কাঠগোলাপ
ভূমিকা
‘ভাঙনের ডাক’ উপন্যাসটি ভাঙন কবলিত গ্রাম বাংলার প্রতিচ্ছবি। উপন্যাসটিতে গ্রামের কৃষক জীবন, সবুজে ঢাকা গ্রাম নদী ভাঙনের ফলে কিভাবে তার সক্রিয়তা হারায়, সেই সাথে উঠে এসেছে ঐতিহাসিক একটি বাজারের বর্ণনা ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের আর্তনাদ।
‘ভাঙনের ডাক’ উপন্যাস নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রম বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। এখানে গ্রাম্য বধূর সবিস্তার কাহিনী সরলার চরিত্রের মাধ্যমে রূপায়িত হয়েছে। তাছাড়া করিম শেখ ও অন্তুর কাহিনীও এখানে প্রযুক্ত হতে দেখা যায়। বেজগাঁও গ্রামে রাজা রাজবল্লভের বাড়ি, দিঘলী বাজার, কদম পাগলের মাজার ঘিরে মেলা এখানে বর্ণিত হয়েছে।
‘ভাঙনের ডাক’ উপন্যাসে সত্যিকার অর্থেই ভাঙনের একটা সচিত্র ছড়িয়ে রয়েছে। এর মধ্যে আবেগ, কৌতূহল, স্বপ্ন আকস্মিকতা উৎকণ্ঠা বজায় রয়েছে। যা পাঠক সাধারণের মনকে একটা সন্মোহ সীমানায় ধরে রাখতে সক্ষম। তাছাড়া এই উপন্যাসে সমাজ মানসের কিছু বিশ্বস্ত চিত্রগাথা পরিস্ফুট উঠার সুযোগ পায়। যা শুধু এদেশীয় সংস্কৃতির আদলে গড়ে ওঠেছে। যেমন ভেলা ভাসানি, বৈশাখী মেলা, কদম পাগলের বার্ষিক মেলা, বৃষ্টি প্রার্থনার জন্য মেঘরানী উৎসব। সেই সাথে ফুটে উঠেছে একটি কৃষক পরিবারের অভাব-অনটন ও প্রকৃতির বৈরিতা। পদ্মার ভাঙন আর ঝড়ে নিঃস্ব হওয়া মানুষের আর্তনাদ, যা পাঠ করে অনাস্বাদিত জগতের উপমিত আস্বাদন করা সম্ভব।
ভাঙনের ডাক
মুঠো জীবনের কেরায়া
শৌখিন ফটোগ্রাফার শুভ্র। তার পৃথিবী মমতাহীন শূন্যতায় ভরা। একে একে কাছের মানুষদের প্রস্থান তার জীবনকে ক্যামেরার ক্লিকের সাথে বন্দি করে ফেলে। এক সময় তার নিঃসঙ্গ জীবনে আসে দুঃখ ভাগ করে নেওয়ায় আগ্রহী মানুষেরা। হয়তো তারা একই মানুষ। ভিন্ন তাদের নাম। তারা সেতু-ঋতু-রূপা অথবা স্বাতী। যারা শুভ্রর মনস্তাত্ত্বিক ভাবনা-যৌন বিশ্বাস-উড়ন্ত নেশা ও বিপন্ন ক্ষতের সাথে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় জড়িয়ে যায়। অথবা তারা কেউ না। শুধু শুভ্র। শুধু নিঃসঙ্গ একজন মানুষ। নিজস্বতায় নিমগ্ন। যে ক্রমশ ঢুকে যায় অচেনা এক জগতে! নিষিদ্ধ ভাষা ও চিঠির ভাঁজে…
গুহা
একটি মেয়ে, জন্ম থেকে বোধ করি আলাদা ব্যতিক্রমী ভাবনায় গড়ে উঠেছে। দেশভাগের পর, নানান টানা-পোড়েনে বেড়ে ওঠা তাদের পরিবার। এক একটা ঘটনা হয়তো তুচ্ছ, অতি তুচ্ছ। সেই সময় তার কাছে বিশাল বিস্ময় হয়ে উঠেছিল। এক একটা আঘাত প্রতিনিয়ত তাকে সৃষ্টি করতে সাহায্য করেছে। জীবনের মধ্যপ্রান্তে ক্লান্ত ‘বিকেলের আলোয়’ সে সবকিছুই দেখতে পায়। সেই সব হারানো না ফিরে পাওয়া দিনগুলো। সেই সব দিনগুলো আজো খুঁজে বেড়ায়। আজো বেলিফুলের তীব্র ঘ্রাণ নাকে আসে বাতাসের সাথে। শেষ প্রহরের সিনেমা ভাঙা গান আজো বাজে। ট্রেনের হুইসেলের শব্দে আজো যেনো ঘুম ভেঙ্গে যায়।
ভালো লাগবে আশা করি প্রিয় পাঠকের।
বিকেলের আলোয়
কামরুল ইসলাম
জন্ম: কুষ্টিয়ার ফিলিপ নগর গ্রামের গোলাবাড়ি পাড়ায়। পেশা: অধ্যাপনা (ইংরেজির অধ্যাপক)। বর্তমানে এইচ এস টি টি আই, রাজশাহীতে পরিচালক পদে ( প্রেষণে) কর্মরত আছেন। নব্বইয়ের দশকে চ‚ড়ান্তভাবে কবিতার জগতে প্রবেশ। তিনি একজন দ্বি-ভাষিক কবি। শালুক, একবিংশ, কবিতাপত্র, উলুখাগড়া, চিহ্ন, কালি ও কলম, অনুপ্রাণনসহ বিভিন্ন লিটল ম্যাগ ও সাহিত্য পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি করে থাকেন। এছাড়াও বাক, শব্দকুঞ্জ, শিল্পচিন্তা, ঐহিক, তীরন্দাজসহ বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের অনেক ওয়েব ম্যাগাজিনেও তার লেখা প্রকাশিত হয়েছে।
তার ইংরেজিতে লেখা কবিতা পৃথিবীর নানা দেশের ওয়েব ম্যাগাজিন ও অ্যান্থলজিতে প্রকাশিত হয়ে আসছে। ভারত ভিশন, অতুনিস পোয়েট্রি, ওয়ার্ল্ডপোয়েট্রি ম্যাগাজিন, পোয়েটস আনলিমিটেড, টাইফাস, কালচারাল রেভারেন্স, স্টার কাউন্টার ম্যাগাজিনসহ অনেক আন্তর্জাতিক প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকায় তার কবিতা নিয়মিত প্রকাশিত হয়ে আসছে। স্প্যানিশ, ফরাসি, ইতালীয় ও রোমানীয় ভাষায় অন‚দিত হয়েছে তার অনেক কবিতা ।
প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ-
দ্বিধাান্বিত সুখে আছি যমজ পিরিতে (১৯৯৯), ঘাসবেলাকার কথা (২০০১), যৌথ খামারের গালগল্প (২০০৬)
সেইসব ঝড়ের মন্দিরা (২০০৮), চারদিকে শব্দের লীলা (২০১০) অবগাহনের নতুন কৌশল (২০১১),
মন্ত্রপড়া সুতোর দিকে হাওয়া, (২০১৪)।
প্রবন্ধগ্রন্থ-
কবিতার বিনির্মাণ ও অন্যান্য (২০০৯), রবীন্দ্রনাথ: বিচিত্রের দ‚ত (২০১৩)
কবিতার স্বদেশ ও বিশ্ব
আজকাল কবিতা চর্চার অনেক মাধ্যম আছে। ফেসবুক, ব্লগ, অনলাইন পত্রিকা থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগের সব মাধ্যমেই কবিতা চর্চা হয়। কিন্তু নীরবে কাব্যচর্চায় তেমন কেউ নিমগ্ন হয় না। কবি নুরুন্নাহার মুন্নির এই বইয়ের কবিতাগুলো পড়ে মনে হয়েছে, তিনি নীরবে-নিভৃতে কবিতাচর্চা করেন এবং তা করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। আর দশজন তরুণ কবির মতো বই প্রকাশের জন্য তেমন কোনও তাড়াহুড়ো না করে কবিতা লিখে চলেছেন দশকের পর দশক। তাই তো কবি খ্যাতি পাওয়ার লোভ সংবরণ করে এতদিন পর এসে প্রথম কাব্য প্রকাশে আগ্রহী হয়েছেন। দীর্ঘদিন সাধনা ও চর্চার পর তার কবিতার ভাষা যে পরিণত হয়েছে তার আভাস পাওয়া যায়। তার কবিতায় মস্তিষ্কের সঙ্গে অন্তর্জগৎ, হৃদয়-আত্মা, মনের ব্যাকুলতা, বুদ্ধি, আকাঙ্ক্ষা, আসক্তি, মানবতাবোধ, স্মৃতিগত-সংস্কার, শ্বাশত আবেগের অনন্য উপলব্ধি ও সমাজজীবনের বহুরূপী চিত্রকল্প অনুভূত হয়। তিনি শব্দচয়ন, উপমা প্রয়োগ ও চিত্রকল্পের ব্যবহারে বেশ সচেতন আর তাতেই তার কবিতায় ভিন্নস্বর ও সতন্ত্র কাব্যভাষ্য পরিলক্ষিত হয়। প্রথম বই হলেও কবিতাগুলোতে আছে পরিণত কবিদের কবিতার মতো গভীরতা।
আধখোলা জানালার আলাপ - Adhkhola Janalar Alap
সিদ্দিক প্রামানিক। জন্ম: ২১শে আগস্ট ১৯৭৯, কুস্টিয়ার কুমারখালী থানার চরভবানীপুরগ্রামে। বাংলা সাহিত্যে মাস্টার্স শেষ করে বর্তমানে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন এবং বাম প্রগতিশীল সংগঠনের সক্রিয় সংগঠক ও সংস্কৃতকর্মী। প্রথম বই ‘হাঙরের সমুদ্রে মননশীল মাছ’।
উন্মাদের কনসার্ট
স্বপ্নহীন চোখ বসন্ত খোজে না
প্রশিক্ষণ পরিচিতি:
প্রশিক্ষণ পরিচিতি বইটিকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার আর প্রয়োজন নেই হয়তো। ইতোমধ্যে এই বইয়ের তৃতীয় সংস্করণ ও চতুর্থ মুদ্রণ শেষ হয়েছে। কিন্তু প্রায় পাঁচ বছর আগে চতুর্থ মুদ্রণ শেষ হলেও বিভিন্ন কারণে চতুর্থ সংস্করণ ও পঞ্চম মুদ্রণ দীর্ঘ সময় লেগে গেল।
বাংলাদেশে বাংলা ভাষায় প্রশিক্ষণ পরিচিত একমাত্র বই যেটি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষকগণ ১৯৯৮ সাল থেকে ব্যবহার করে আসছেন। আরও আনন্দের বিষয় যে, এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নন-ফরম্যাল এডুকেশন বিষয়ের জন্য পাঠ্য এবং কয়েকটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে রেফারেন্স বই হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। দেশের প্রায় সবগুলো প্রশিক্ষণ একাডেমিতেও এই বইয়ের ব্যবহার ও অন্তর্ভুক্তি রয়েছে।
কী আছে এই বইয়ে?
প্রায় সাড়ে ছয় শত পৃষ্ঠার বইটিতে প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট ষোলোটি অধ্যায় রয়েছে। একজন প্রশিক্ষক কীভাবে নিজেকে তৈরি করবেন, কীভাবে দক্ষতা বাড়িয়ে শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলবেন তার কলাকৌশল সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা রয়েছে। এই বইয়ে রয়েছে ৭৫টি প্রশিক্ষণ পদ্ধতিসহ বিভিন্ন কনসেপ্টের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ। যেমন- প্রশিক্ষণ, ফ্যাসিলিটেশন, শিখন, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ চাহিদা নিরূপণের কলাকৌশল, প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল/মডিউল প্রণয়নের তাত্ত্বিক ও ব্যাবহারিক ধারণা, যোগাযোগ, উপস্থাপন, প্রশিক্ষণ মূল্যায়নের তাত্ত্বিক ও ব্যাবহারিক ধারণা। প্রশিক্ষক কীভাবে একটি প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালনা করবেন এবং প্রশিক্ষণ কোর্সের পর প্রতিবেদন লেখার কলাকৌশলেরও বিশদ বর্ণনা এই বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সর্বশেষে রয়েছে ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কিত একটি সমৃদ্ধ পরিভাষা।
প্রশিক্ষণ পরিচিতি - Proshikkhon Parichiti
ইলিয়াস ফারুকী একজন ভিন্নস্বাদের লেখক। যেমন অদ্ভুত তার প্রেমের ধরণ, তেমনি অদ্ভুত তার প্রতিবাদের ধরণ। বইটির নাম গল্পে প্রেমকে তিনি চিত্রিত করেন এভাবে “নিজস্ব অদ্ভুত এই দোলাচলের চিন্তা আমাকে অস্থীর করে তুললো। আমি গভিরভাবে অনুভব করতে পারছি যে আমার জীবনে পিতা, মাতা, ভাই বোনের ভালোবাসা ছাড়াও
আরো একটা ভালোবাসার প্রয়োজন রয়েছে, যেটা নিয়ম পঞ্জির মধ্যে পড়বে না। সেখানে আরো কিছু বেশি থাকবে। সেখানে আদিমতা থাকবে, কাম থাকবে, দেহজ দান-দক্ষিনা থাকবে। যারা পূর্বে আমাকে ত্যাগ করেছে হয়ত তাদের ভেতরে আরো আকাঙ্ক্ষা ছিল, যা আমি পূরন করতে পারি নাই।”
একটি প্রাক বিবাহ সাক্ষাৎকার গল্পে একজন পাত্র বিচিত্র ভাবে তার কনেকে নির্বাচন করে “বিবাহের সাক্ষাৎকারের সাথে এই বলধা গার্ডেনের কী সম্পর্ক জানো? তোমার সাথে দেখা করার আগে এই বলধা গার্ডেনে আমি নিয়মিত এসেছি। সাথে আমার উদ্ভিদ বিদ্যার এক বন্ধুকে নিয়ে। আজ আমি এই যে দুই ঘন্টারও অধিক সময় যে পাণ্ডিত্য দেখালাম তা আসলে ওই সাত দিনের ফলাফল। আমি ঠিক করে রেখেছিলাম যে মেয়ে আমার সাথে জীবন কাটাতে রাজি হবে তাকে আমি প্রথমেই কোন একটি বিষয় নিয়ে বিরক্ত করবো। যদি সে আমার এই বিরক্তি সহ্য করতে পারে তাহলেই আমার ঘর সংসার সম্ভব, তা নাহলে না।” জলরঙ ও টিয়া পাখি তার একটি দূর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদি গল্প। “অজিতের বন্ধুরা এবং আপনজনেরা যখন তার পাগলামি সহ্য করে নিয়েছে ঠিক তখনই এক সুন্দর সকালে শহরের লোকজন চমকে উঠল। শহরের গুরুত্বপূর্ন অফিস আদালতের প্রধান ফটকে দুটো করে টিয়া পাখি এবং কিছু জলরঙে বাংলার প্রাকৃতিক চিত্র আঁকা কাগজ সাঁটানো, নিচে লেখা ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।’ পায়ে সুতলি দিয়ে বাঁধা টিয়া পাখি মানুষজন দেখলেই বলছে ‘ছি: ছি: করছোটা কী, ভালো হয়ে যাও’।
প্রেম অপ্রেম এবং বিভ্রম
সত্যি কথা বলতে গেলে রূঢ় এবং অসঙ্গত শোনাবে। তারপরও সত্য কখনো মূল্য হারায়না, সেই বিশ্বাসেই বলছি- যে অনুর্বর সামাজিক বলয়ে জন্ম থেকে বেড়ে ওঠা, সাহিত্য সৃষ্টির মত মহান ব্রত সেখানে স্বপ্নেরও অগোচর। তবু সেই স্বপ্ন আমায় দুঃসাহসী করে তুলল। সাধারণের উপহাস তুচ্ছ জ্ঞান করে দুঃস্বপ্নের হাতছানি ভরা পথে চলতে গিয়ে কখন যেন এই দুর্গম পথের পথিক হয়ে উঠি। পথ ভালবেসে চলায় ছন্দ আসে। অন্তরের গভীরে নিভৃত এক সংকল্প জাগে- “সৃষ্টিশীলতায় নিমগ্ন হয়ে থাকাই আমার সাধনা। এর মধ্যে দিয়েই আমি জগৎ, জীবন এবং পরমেশ্বরের আনন্দ উপলব্ধি করার চেষ্টা করব।’’ একনিষ্ঠা ধরে রাখতে পারিনি- হয়তো দৃঢ় মনোবলের অভাবে কিন্তু পথভ্রষ্ট হবার ভয়কে জয় করেছি। জীবনে এর চেয়ে উৎকৃষ্ট কোন কাজের সন্ধান জানা নেই। তাই সাহিত্য সাধনাই আমার একমাত্র সুন্দরের উপাসনা। তার ধারাবাহিকতায় “রবীন্দ্রনাথের বাবা স্বপ্ন দেখেছিলেন’’ ষষ্ঠ গল্প সঙ্কলন হিসেবে গ্রন্থিত হয়ে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। লেখক মাত্রই পাঠক প্রিয়তার প্রত্যাশা করেন। আত্মপ্রকাশের ক্ষেত্রে শঙ্কিত এ দূরাশা রইলই আগামীকালের জন্য।
পরিশেষে একথাটুকু না বললে বোধকরি সত্যের অপলাপ হবে- এই বন্ধুর পথ একেবারেই সঙ্গীবিহীন ছিল না। বন্ধু হয়ে, প্রেরণা হয়ে কেউ কেউ এসেছে মনের কাছে। ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের ছোট করার স্পর্ধা আমার নেই। প্রতিনিয়ত পরামর্শ দিয়ে কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করেছেন শ্রদ্ধাষ্পদ ড. অশোক মিস্ত্রী। প্রকাশনার কাজে সহধর্মীনী শ্রীমতি জয়া বিশ্বাস-এর সহযোগিতা না থাকলে বই প্রকাশ দুরূহ হত। ভুল-ভ্রান্তি যথা সম্ভব পরিহারের চেষ্টা সত্ত্বেও অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি-বিচ্যুতির জন্য ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি কামনা করছি।
রবীন্দ্রনাথের বাবা স্বপ্ন দেখেছিলেন
নিজস্ব অন্ধকার থেকে ছড়িয়ে যাচ্ছে ঢেউ—চারিদিকে অনাহুত স্বপ্নের প্রলাপ। তুমুল তীব্রতায় প্রবাহিত স্বপ্নের মতন হাজির হয় আর্য-অনার্যের প্রতিবিম্ব। মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকে অসমাপ্ত সিঁড়ি। সেখান থেকেই শুরু হয় ‘অনার্যের সাইকেল’। চলতে থাকে। চলতেই থাকে। সহস্র অশ্বখুর আর মায়ার বাঁধন কেটে নিজস্ব আয়নার দিকে। এমন বিসর্জন কিংবা আত্মআবিষ্কারের প্রলোভন নিয়ে হাজির হয়েছে বাংলা অঞ্চলের পুরাতীর্তি ও সাগরীয় সনেটের কাক্সিক্ষত একগুচ্ছ সিঁড়ি। নির্দ্বিধায় উড়াল দেয়া যায় সে পথে—ফেলে আসা ঠিকানার দিকে কিংবা সমসাময়িক তৈলচিত্রের অভ্যন্তরে। প্রস্তুুতি পর্ব পেরিয়ে আসা অগ্রসর ক্ষুধার পথিককে এই সচেতন নির্মাণের তীব্র দহন ও সাইকেলের রূপ-রস আরো উজ্জ্বল করে তুলবে।
অনার্যের সাইকেল
রামিশা বিয়ের পরই মাহীকে কেবল ভালোবাসেনি মাহীও রামিশাকে ভালোবেসে ছিলো। ডাক্তার মাহী বছর দুয়েক পর হঠাৎ স্কলারশিপ পেয়ে রাশিয়ায় পি.এইচ.ডি. করার জন্য চলে যায়। তখন রামিশা দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা। প্রতিদিনই কথা হতো ইন্টারনেটে, কথা না হলে যেনো দু’জনার কারো ঘুম হতো না। হঠাৎ করেই দু’বছর যেতে না যেতেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলো। মানুষের জীবনের বিশ্বাসী ভালোবাসার গল্পগুলো কখনো কখনো বড় অদ্ভুত। গতবাঁধা জীবনে কষ্টের ভিন্নতার গল্প কখনো মনে হয় একই রকম। কখন যে হারিয়ে যায় জীবনে সুখের গানগুলো তা কেই-বা বলতে পারে। প্রেম ভালোবাসা যেনো নিত্য নিকানো উঠানে ঘিরে থাকা স্মৃতি। বদলে যায় প্রণয়ের রীতিনীতি। অথচ রামিশার মনজগত ছিলো এতোটাই প্রখর আর স্বচ্ছ সে পারেনি সর্ম্পক ছিন্ন করে সুহাসকে নিয়ে বাবার বাড়িতে ফিরে যেতে। সন্তানের পিতৃ পরিচয় আর এক দিকে বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়ীকে একা ফেলে স্বার্থপরের মতো চলে যেতে পারেনি। তাছাড়া মাহীতো ডিভোর্স দেইনি। তাই জীবনে নতুন কোনো ভোরের প্রত্যাশা করেনি। এই চিঠি লেখার ভিতর বাস্তবতার ছোঁয়া অজান্তে থেকে গেলেও যেতে পারে। তবুও একতরফা ভালোবাসার ত্যাগ, সন্তানের পরিচয় তাকে পৃথিবীর আলো দেখানোর জন্য, সন্তান যেনো জানে তার বাবা আছেন। তাই সব কিছুই গোপন করে রামিশা। লড়াই ছিলো তার একার তাই সব সময় একতরফা ভালোবাসায় মাহীকে চিঠি লিখে যেতো। এতো ভালোবাসার সম্পর্কের ভিতর একটি নারীর একাকীত্বের সাথী ছিলো এই চিঠি, আর কল্পনায় ঘেরা তার আর্তনাদের ভিতর স্বপ্ন সে বুনে যেতো অবিরাম…
ভালো থেকো ভালোবাসা
নিজেকে বিক্রি করতে পারা কিংবা বিক্রি করার চেষ্টা করা অথবা নিজের বিরুদ্ধে নিজেকে দাঁড় করিয়ে বিশ্লেষণ করা এই সময়ের মুখচ্ছবি। সেখানে বাস্তব কিংবা কাল্পনিক চরিত্ররা একেকটি বিস্ময়! অন্ধকার ফুটপাত থেকে উঁচু মুখের থাবায় চলে যায় অন্ধ রেলগাড়ি। আর অতিরিক্ত ঘ্রাণে জড়িয়ে যায় মুদি থেকে গোরস্তান। মৃত্যুস্রোত ও গহীনের আলো আনন্দকে ডুবিয়ে দেয় চেহারার ঘনত্ব। তারপরও রক্তভ্রম, আহত কি-বোর্ড, শীতবইয়ের শর্তসমূহ ঘেউমারা পড়শি চোখের যাদুতে জেগে থাকে দীর্ঘপথ। পাশাপাশি হাঁটতে থাকা ছায়াগুলো কানে-মুখে ঢুকে যায়। আবার বেরিয়েও যায় উচ্চতায়, নিজস্বতায় অথবা নানা পরিচ্ছেদে। গল্পের বয়ানে উহ্য আছে এমন অনেক গোপন সাঁকো। পথ জুড়ে শর্তের ভেতরের চোখকে আবিষ্কার করার চেষ্টায় চারপাশে তৈরি হয়েছে খণ্ড খণ্ড দৌড়। ‘লাবণ্য দাশের সাথে দেখা হওয়ার পর’ গল্পগ্রন্থটি এমনই দশটি গল্প কিংবা দশটি পরিচ্ছেদে দাঁড়িয়ে আছে।
লাবণ্য দাশের সাথে দেখা হওয়ার পর
Get access to your Orders, Wishlist and Recommendations.
There are no reviews yet.