Additional information
Weight | 0.200 kg |
---|---|
Published Year |
$ 1.41 $ 1.88
এতো মানুষ অথচ বনের বৃক্ষ ধরেই একদিন খুব কেঁদেছিলাম
মানুষ হয়ে গাছের কাছেই বলেছিলাম আরেকজন মানুষের দেওয়া
আমার অযাচিত নষ্ট হওয়া অফুরান কষ্টের কথা
বোবা বৃক্ষ চোখের থৈ-থৈ জল বুকের অন্ধগলির দ্বন্দ্ব আঁধার
সেদিন মুছে দিতে পারেনি তবুও প্রায় ছুটে যেতাম বৃক্ষের কাছে
সমস্ত মনস্তাপ ক্রুশবিদ্ধ স্বপ্নিল রামধনু তথা সুখে অসুখে
সেই বৃক্ষই ছিলো আমার একান্ত আপন সহচর;
জীবনভর কতশত-বার ফিসফিস শব্দে বুকে জাবের বলেছি মনের কথা
স্থির কোন পরিত্রাণ পাইনি, কিন্তু কোনদিন বলেনি
আর কখনো এসো না আমি বনের বৃক্ষমাত্র মানুষজাতের ভাষা বুঝি না
চোখের সামনে আমার সহচর বৃক্ষটি তিলে তিলে মরে যাচ্ছে দেখে
আজ আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে অনেক কাঁদলাম;
তুমি অকাল প্রয়াত হতে পার না কিন্তু হতে যাচ্ছ আমারই কারণে
আমার ব্যথার ভার তোমাকেও ব্যথাতুর করেছে মনে প্রাণে
তুমি বনের বৃক্ষ হয়েও আমাকে ধারণ করেছ বুকে
অথচ মানুষ হয়ে মানুষের ভাষা বোঝে না অনেক মানুষ আছে এ সংসারে।
Weight | 0.200 kg |
---|---|
Published Year |
লেখক পরিচিতি :
মোহাম্মদ হোসাইন। জন্ম: ৩১শে অক্টোবর। বিএসসি ও এমএসসি’র শিক্ষা সমাপন শেষে এখন শিক্ষকতার পেশায় নিয়োজিত আছেন। লেখকের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ মোট ১১টি। ‘ভালোবাসা নির্বাসনে গেছে’ ‘মেঘগুলো পাখিগুলো’ ‘অরণ্যে যাবে অস্তিত্বে পাপ’ উল্লেখযোগ্য বইয়ের শিরোনাম।
অনুদিত রোদের রেহেল
তুহিন দাস, কবি ও লিটলম্যাগ কর্মী। জন্ম: ১১ জানুয়ারি ১৯৮৫, জল ও কবিতার শহর বরিশালে। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখি শুরু করেন। প্রথম কবিতার শিরোনাম ‘সমাধিপৃষ্ঠা’। ২০০০ সালে ‘আরণ্যক’ সাহিত্যপত্র সম্পাদনা শুরু করেন। সম্পাদনার জন্যে ২০১১ সালে ‘চিহ্ন সন্মাননা’ পেয়েছেন। বর্তমানে ‘আরক’ পত্রিকা ও প্রকাশনায় কর্মরত আছেন। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ছয়, ‘বনসাই প্রকল্পের মানুষ’ ‘অসুখময় দিনরাত্রি’ ‘বিষাদনীলঘোড়া’ ‘কাজল বিক্রেতার স্বপ্ন’ ‘বাগান সিরিজ’ ও ‘দূরের পাড়া কাছের বাড়ি’।
কাঠের মুখ
ফারহানা খানম। জন্ম: ১৯শে এপ্রিল ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী এলাকায়। গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দীপে। ‘ভুগোল ও পরিবেশ’ বিষয়ে স্নাততোত্তর ডিগ্রী অর্জন করে ব্যাংকে চাকুরি শুরু করলেও বর্তমানে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত। নয় ভাই-বোনের মাঝে সবার ছোট বলেই আদরও পেয়েছেন বেশি। প্রথম প্রকাশিত বই, ‘ইছামতি’ (কলকাতা থেকে প্রকাশিত)।
তৃষ্ণার্ত বালুতট
মেঘ অদিতি। কবি ও গল্পকার হিসেবে ‘দু’বাংলাতে পরিচিত। জন্ম: ৪মে, জামালপুর। বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কর্মরত। প্রকাশিত গ্রন্থ: ‘জলডুমুরের ঘুম (কাব্য)’ ‘অস্পষ্ট আলোর ঘোড়া (গল্প)’ ‘অদৃশ্যতা হে অনিশ্চিতি (কাব্য)’ এবং ‘সময় শূন্যতার বায়োস্কোপ (মুক্তগদ্য)।
প্রবেশিধকার সংরক্ষিত
অয়ন্ত ইমরুল। জন্ম: ১২ই এপ্রিল ১৯৮৭ইং, মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার আজিমনগর গ্রামে। পদ্মা নদীর ভয়াল গ্রাসে শৈশবেই ঠিকানার পরিবর্তন ঘটে বর্তমানে সাভার আশুলিয়ায় বসবাসরত। এটি লেখকের প্রথম প্রকাশিত বই।
ছায়াসমুদ্র
রঞ্জনা বিশ্বাস। জন্ম: ১০ডিসেম্বর, ১৯৮১। গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের বাগবাড়ি গ্রামে খ্রিস্টিয়ান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ‘ভুলস্বপ্নে ডুবে থাক আদিবাসী মন’ ও ‘আমি তিনবেলা বৃষ্টিতে ভিজি’ কাব্যগ্রন্থ দু’টি কবির প্রকাশিত কাব্যফসল। এছাড়া কবি কবিতাচর্চার পাশাপাশি ফোকলোরচর্চাকেও ব্রত হিসাবে নিয়েছেন। নৃ-তাত্ত্বিক ও গবেষণাধর্মী কবির আরও বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে। কবি বাংলা একাডেমির ‘তরুণ লেখক প্রকল্প’ ও ‘লোকজ সংস্কৃতির বিকাশ’ প্রকল্পে কাজ করছেন। এছাড়া এখন ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বিভাগে কর্মরত আছেন।
বেদনার পাথর ও প্রান্তিক দীর্ঘশ্বাস
লেখক পরিচিতি :
শারমিন রাহমান। জন্ম: ১৬ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৩। দ্ইু সন্তানের জননী। বাংলাদেশের স্বনামধন্য স্কুলগুলোতে দীর্ঘ ১৫ বছর শিক্ষকতা শেষ করে বর্তমানে চট্টগ্রাম আর্ট সেন্টার ‘ধ্যান’ এর পরিচালক। বিশেষ আগ্রহ আছে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে। এটি কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
অপ্রাকৃত কবচ
সিদ্দিক প্রামানিক। জন্ম: ২১শে আগস্ট ১৯৭৯, কুস্টিয়ার কুমারখালী থানার চরভবানীপুরগ্রামে। বাংলা সাহিত্যে মাস্টার্স শেষ করে বর্তমানে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন এবং বাম প্রগতিশীল সংগঠনের সক্রিয় সংগঠক ও সংস্কৃতকর্মী। প্রথম বই ‘হাঙরের সমুদ্রে মননশীল মাছ’।
উন্মাদের কনসার্ট
লেখক পরিচিতি :
সুলতানা শাহরিয়া পিউ। জন্ম: ২রা অক্টোবর। লেখালেখি, আবৃত্তি ও সঙ্গীতচর্চা তার শখ। অনুপ্রাণন সম্পাদনা পর্ষদ এর সদস্য, বর্তমানে দীপ্ত টেলিভিশনের স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসেবে কর্মরত আছেন। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: ‘মেঘের সাথে কথা’। অনুবাদ কাব্যগ্রন্থ: ‘নিমগ্ন জলধারা’। স্ক্রিপ্ট সঙ্কলন: ‘আমরা করব জয়’। গীতিকবিতার অনুবাদ: ‘অচিন’। গল্প সংকলন: ‘মেঘের দেশে ফিরে যাবার গল্প’।
আমার দিনগুলো রইলো অসম্পূর্ণ
লেখক পরিচিতি :
শঙ্করী দাস। জন্ম: ৮ই মে, ১৯৫৮ সনে নিজ জেলা জামালপুরে। কবি প্রকাশিত অন্যান্য গ্রন্থগুলোÑ গল্প: ‘প্রতিবিম্ব ও অন্যান্য গল্প’ ‘জলমাটির গল্প’ ও ‘রাহুর চন্দ্রগ্রাস’। কবিতাÑ ‘ঘাসবোনা গ্রাম তাঁতবোনা গ্রাম’। স্মৃতিচারণমূলকÑ ‘গণমানুষের স্মৃতিতে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ’। গল্পের জন্যে পেয়েছেন পাক্ষিক ঐকতান (বর্ধমান) পত্রিকা পদক। শিশু কবি রকি সাহিত্য পুরস্কার ও নক্ষত্র সাহিত্য পুরস্কার।
বিহান বেলার ঈশ্বর
বাবুল হোসেইন। জন্ম: তেঘরিয়া, সৈয়দপুর, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ।
আত্মমুগ্ধ শিকল
রাজন্য রুহানি। পরিবারের দেওয়া সনদসাক্ষ্য নাম মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। জন্ম: ২রা নভেম্ভর ১৯৮০, জামালপুর জেলা শহরের হাটচন্দ্রায়। কলেজে পা দেবার সাথে সাথেই সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত হয়ে পড়েন। স্থানীয় কয়েকটি দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকার বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। মফস্বল সাংবাদিকতার পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না পেরে বারবার কবিতার কছেই ফেরা। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং। ১৯৯৮ থেকে কবিতার ভাঁজপত্র শব্দদূত সম্পাদনার সাথে যুক্ত। ঐ বছরই অন্যান্য লেখক সহযোগে আলোচনাগ্রন্থ- ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ; আতিয়ার রহমানের ৭টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এটি লেখকের প্রকাশিত এককবই।
গল্প সমাপ্তির গান
আত্মক্ষয়ের এক সমীক্ষণ এই ম্যানিকুইন। বিজ্ঞানমনষ্ক, শিল্পচর্চায় নিবেদিত এই উপন্যাসের কথক নিজ শিল্পসামগ্রী নিয়ে বাজারে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতে অনাগ্রহী। এটা তার হীনমন্যতার স্মারক। কিন্তু চর্চা তার অবিরত।
যে নারীকে সে ভালোবাসতো, তার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে পাঁচ বছর কিন্তু তাকে ভুলতে পারে না। তার পছন্দের একটি নীল শাড়ি সে কিনে ফেলে এই আশায় যে যদি কোনদিন ফিরে আাসে।
আসেনি।
তার অন্য কোন নারীর সঙ্গে সম্পর্কও হয়নি। সে কল্পনায় বিজ্ঞানী এরভিন শ্রয়েডিঙ্গারের সংগে কথা বলে, হাজির করে নচিকেতা, পুলক এবং মানবেন্দ্রকে তার একাকী নিবাস চিলেকোঠায় এক চন্দ্রালোকিত রাতে যখন সে দেখে সেখানে ফুটেছে চন্দ্রমল্লিকা।
গান এবং লেখা তার সাধনার বিষয়। এদিকে তার স্বরযন্ত্রে সমস্যা দেখা দেয়। পরীক্ষা করে দেখা যায় সেখানে কর্কটরোগ দানা বেঁধেছে। তার জগত বদলে যায়। আলমারি থেকে নীল শাড়িটি বের করে সে বাজার থেকে কিনে আনা ম্যানিকুইনে পড়াতে থাকে। সে ভাবে ম্যানিকুইনের অপ্রাণ নারীটিই তার ফিরে আসা ভালোবাসার নারী…
Maniqueen - Ahsan Habib
জন্ম ২ জানুয়ারি ১৯৮৩ নোয়াখালীতে। ২০০০ সালের মাঝামাঝিতে লেখালেখিতে সচেতনভাবে মনোযোগী হন। সিরিয়াস লেখার পাশাপাশি রম্য রচনাও করেছেন। পেশায় পা-ুলিপি সম্পাদক এবং সাংবাদিক।
গল্পকথায় ৩৫ গল্পকার
জারিফ আলমের কবিতায় একধরনের মুগ্ধতা আছে। এ মুগ্ধতা কবিতার বিষয় নির্বাচন, শব্দচয়ন এবং উপস্থাপনার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে যা পাঠের মধ্য দিয়েই পাঠকমনকে আলোড়িত করে। এই কাব্যে যাপিত জীবনের নানা অনুষঙ্গ কবির ব্যক্তি জীবনেরই যেন ছবি। প্রকৃতি ও প্রেমের অপূর্ব সমন্বয় আছে বলেই কাব্যের মধ্যে ভাবনা ও আবেগের ভারসাম্য লক্ষ করা য়ায়। এই কাব্যে তীব্র বেদনাবোধ যেমন আছে আনন্দেরও বার্তা আছে। ছন্দকে মেখে খেয়ে যে রসায়ন তিনি তৈরি করেন তাতেই তার কবিতাকে চিহ্নিত করা যায়। সেই চিত্রই অমার দেখি বর্তমান কাব্যে।
-মাহমুদ কামাল।
মুখোশ বদলে গেলে - Mukhosh Bodle Gele
মিলু শামসের নির্ভার গদ্যভাষার সঙ্গে পাঠককে নতুন করে পরিচয় করানোর কিছু নেই। বিষয়ের যুক্তিগ্রাহ্য বিশ্লেষনের সঙ্গে প্রকাশ ভঙ্গির সাবলীলতাকে তিনি এমনভাবে মিশিয়ে দেন যা পাঠককে এক নিশ্বাসে শেষ লাইন পর্যন্ত পড়ে যেতে বাধ্য করে। জীবন ও জগতকে দেখার তাঁর নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির কারণে প্রতিটি লেখা হয়ে ওঠে স্বতন্ত্র। প্রখর ব্যক্তিত্বময় দৃঢ় একটি স্বর অণুরনিত হয় পাঠক মননে।
দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশিত তাঁর নিয়মিত কলামের নির্বাচিত কিছু কলাম নিয়ে সাজানো হয়েছে এই বইয়ের লেখাগুলো।
Sangbadiker Kalam By Milu Shams
১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ এই সময়কালের মধ্যে সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে ইতিহাসে বিশ্বাসঘাতকতা ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জেল হত্যাকাণ্ড, মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ, কর্নেল তাহের, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, মেজর জেনারেল মঞ্জুর, এবং সেনাবাহিনীর অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জেল হত্যাকাণ্ডের বিচার হলেও আজ পর্যন্ত অন্যান্য হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি। সামরিক আদালতে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হত্যার জন্য প্রহসনের বিচারে সামরিক বাহিনীর অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়। যাকে আইনের দৃষ্টিতে কিছুতেই বিচার বলা যাবে না।
১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ সকল রাজনৈতিক হত্যাকা নিয়ে একই মলাটে তেমন কোন গ্রন্থ রচিত হয়েছে বলে জানা নেই। স্বাধীনতা লাভের মাত্র ছয় বছরে যত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে সে’সব হত্যাকাণ্ড নিয়ে মাহবুবুল আলম-এর লেখা বই “বাংলাদেশে বিশ্বাসঘাতকতা ও হত্যার রাজনীতি ১৯৭৫-১৯৮১”। গবেষণামূলক এই গ্রন্থটি উৎসুক পাঠক, গবেষক ও ইতিহাসের ছাত্রদের কাজে আসবে বলে আমাদের একান্ত বিশ্বাস। তাই আমাদের প্রকাশনী থেকে গ্রন্থটি প্রকাশে উদ্যোগী হয়েছি। গ্রন্থটি পাঠকপ্রিয় হলে লেখকের পাশাপাশি আমরাও আনন্দিত হবো।
Bangladeshey Biswasghatokata O Hattar Rajniniti By Mahbubul Alam
নাহিয়ান ফাহিম। জন্ম: ২৩শে মার্চ, ১৯৮৪। ময়মনসিংহ জেলা। ঢাকাতে বেড়ে ওঠা। মূলতঃ পাঠক, ফলতঃ লেখক। সাহিত্য পত্রিকা ‘জলমাঝি’র সম্পাদক। মার্কেংটিং বিভাগে স্নাতকোত্তর। পেশাগত জীবনে একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ভিনদুপুরের নোটবই’।
মধ্যবিত্ত কবিতা
তমসা অরণ্য নামের ভেতরে যেন খুব ক্রূর, বিকারগ্রস্ত, নিকষকালো অন্ধকার এক বনাঞ্চলের বাস। সেখানে বেঁচে থাকার জন্য প্রতিটা প্রাণী প্রতিনিয়ত কামড়াকামড়ি করছে আর অন্ধকার বনাঞ্চল নিজে সেই কামড়াকামড়ি উপভোগ করছে। আমাদের সমাজও এ দশার ব্যতিক্রম নয়; এখানে ব্যক্তি নানান সমস্যায় জেরবার আর সমাজ সেই টানাপোড়েন দেখে যাচ্ছে নির্বিকারে। অবশ্য লেখক এ বইয়ে তাঁর গল্পগুলোয় সমাজ ও ব্যক্তিকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়ে এক ধরনের চিৎকার কিংবা ধিক্কার, বদল কিংবা কোন্দল তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছেন।
জীবন, মানুষ ও সমাজকে দেখার ব্যাপারে লেখকের নিজস্ব দর্শনের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে গল্পগুলোয়। দক্ষ শিল্পীর হাতের সামান্য কাজও যেমন ফেলনা হয় না, তেমনি পরিশ্রমী ও নিবেদিত লেখকের লেখা বরাবরই পাঠককে সমৃদ্ধ করে। তাই একজন কবি যখন গল্পের জাদু ছড়িয়ে দেন, আমরা পাঠকেরা সেই জাদু দেখে মুগ্ধ হই। শেষ পৃষ্ঠায় পৌঁছুতে পৌঁছুতে জাদু লেগে থাকে আমাদের চোখে, আঙ্গুলে। যেহেতু তমসা অরণ্যের লেখার নিজস্ব একটা ধরণ আছে, আশা করা যায় তিনি সেখানে টাইপড না হয়ে বহুমাত্রিক সৃজনশীলতার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হবেন। এখন দেখার বিষয়- এ বইয়ে লেখকের চিন্তার গভীরতা, দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতা এবং প্রাসঙ্গিক মেটাফোর পাঠককে কতটা নাড়া দিতে পারে।
Nai Santaner Janani - Tomosha Aronny
লেখক পরিচিতি :
সরসিজ আলীম। জন্ম: ৩রা ভাদ্র ১৩৭৪, ১৭ই আগস্ট ১৯৬৭। ঢাকায় বসবাস। পেশা হিসেবে লেখালেখি প্রথম আগ্রহ। সম্পাদনা করছেন ‘ভনে’Ñ একটি গ্রন্থচিন্তার কাগজ। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থগুলো- ‘পাতাটি যতই মেজাজ দেখাক’ ‘একঝাঁক পাখি ডাকাডাকি’ ‘বাঙালি আর বাউল পরান থৈথৈ জল’ ‘ঝমঝমানো’ ও ‘ঘোড়দৌড়’।
কুমীরের ডিমবসতি
কবিতাই তাঁর একমাত্র সাধনা। পরম আশ্রয়। আড়াল, প্রতীক, নিহিত শূন্যতা, প্রেম, দ্রোহ তার কবিতার মূল উপজীব্য বিষয়। অন্তর্জাত বেদনাকে রঙের মিশেলে, শব্দের গাঁথুনিতে তুলে আনেন অপরিসীম দক্ষতায়। তিনি কবি মোহাম্মদ হোসাইন। জন্ম সুনামগঞ্জ জেলায় ০১ অক্টোবর ১৯৬৫। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন শাস্ত্রে স্নাতকোত্তর (১৯৮৯)। তিনি স্ত্রী ও তিন কন্যা নিয়ে সিলেটে বাসবাস করছেন। দীর্ঘ ৪৩ বছর যাবৎ কবিতার ধ্যান ও জ্ঞানে অতিবাহিত করছেন। তিনি একজন আপাদমস্তক কবি।
কখনো মেঘগুলো-পাখিগুলো নিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন, কখনো বা বৃষ্টির গান মায়াবাস্তবতা নিয়ে দাঁড়িয়ে দেখছেন চারপাশ। প্রগতির চাকায় ভর করে, রূপ প্রকৃতির বিনম্র চিঠি বিলি করছেন কবিতার মুসাফির হয়ে। জলের গ্রাফিতি কিংবা রক্তাক্ত পেরেকের গান তাঁকে সারাক্ষণ নিমগ্ন রাখে। ছবি ও চেনাগন্ধের মেটাফর তাঁকে অন্যলোকে নিয়ে যায়। তখন তিনি তুমুল বাজিয়ে চলেন অন্ধকার। কবি মোহাম্মদ হোসাইন নির্বিবাদী, দেশপ্রেমে উদ্বেলিত একজন কবি। তিনি নিরহংকার ও আধুনিক মননের একজন উদার মানুষ। এ পর্যন্ত তাঁর ২০টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
Ochena Kalkut By Mohammed Hossain
গল্পগ্রন্থের নাম-করোনা ভাইরাস ও অন্যান্য জীবাণু। এই নামকরণ বলে দেয় আমরা কত রকক জীবাণুর সাথে বসবাস করছি! করোনা-জীবাণুর তান্ডব তো সাম্প্রতিক! জীবন ঘনিষ্ঠ নাকি জীবন-অন্বিষ্ট গল্পকার স্বাতী চৌধুরী! দুটোই সমান প্রাসঙ্গিক; চাইলে তৃতীয় কোনো অভিধা আবিষ্কারও সম্ভব। দৃষ্টি থাকলেই সব দেখা যায় না, যদি না যুক্ত হয় মেধা-প্রজ্ঞার মিশেল। তৃতীয় চোখ তথা অন্তর্দৃষ্টিও জরুরি। স্বাতীর ত্রিনয়ন প্রখর– গেঁথে যেতে পারেন মানুষের প্রত্যক্ষ ও অপ্রত্যক্ষ কাহিনি। মানবিকতার আখ্যান রচনার কুশল ও চাতুর্যে সংবেদী পাঠককে চমকে উঠতে হয় ক্ষণে ক্ষণে। গল্পকার স্বদেশ-সমকাল ও সমাজ-বাস্তবতার অগ্রসর দর্শক। তার ভাষ্যে ঈগলের শ্যেনদৃষ্টি যেমনউচ্চকিত, ডানাভাঙা পাখির উড়ে আসা পালকও আন্দোলিত করে। লেখকের অন্তর্জমিন সততই ক্ষত-বিক্ষত– চৌচির। জাগতিক নানাবিধ রঙ্গ-তামাশায় ধ¦সে পড়ে তাঁর স্বপ্ন-প্রাচীর, উল্টেপাল্টে যায় মানসভূগোল। তাই বলে সেখানে ফুলের সৌরভ, নদীর কলতান, তৃণ কিংবা লতাগুল্মের কোলাহল থাকে না? অচ্যুত জীবনের কথাকার স্বাতী নিস্পৃহভাবে বুনে যান উদ্বাস্তু জীবনের গল্প, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর টিকে থাকার রকমারি মকশো’র ইতিবৃত্ত
দুর্বলের উপর সবলের আগ্রাসী মনোভাব অন্ধকার-প্রাচীন। দাবিয়ে রাখার অপকৌশলের বিপরীতে সংকট মোকাবেলা করে লাঞ্ছিত-বঞ্চিত মানুষের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টা লক্ষণীয়। জীবন-শিল্পীর গল্পে খিন্ন জীবনের মুক্তি-প্রচেষ্টা দ্যুতি ছড়ায়। চিনিয়ে দেন সর্বহারার শক্তি-সামর্থ্যরে জায়গা; অস্তিত্বের প্রশ্নে কীভাবে জ্বলে ওঠে দ্রোহের দাবানল! স্বাতী গল্প লেখেন নাকি সমাজতাত্ত্বিকের মতো গ্রাফ আঁকেন! গল্পের শরীরে ক্লেদাক্ত জীবনের নড়াচড়া না থাকলে সাংবাদিকের ‘অনুসন্ধানী প্রতিবেদন’ হিসেবেও চালিয়ে দেওয়া যেত অনায়াসে! প্রচার ও খ্যাতির ডামাডোলের বহু দূরে অবস্থান করেও মূর্ত করে চলেছেন অবাক বাংলার মানুষের মুখ ও মুখশ্রী। কয়েকটি রেখাচিত্রে স্কেচ এঁকে দেওয়া ‘শ্রী’ ও ‘বিশ্রী’র সামনে দাঁড়িয়ে পাঠক অস্বস্তি বোধ করে, পথ খোঁজে পালানোর! লেখকের ক্ষুরধার বয়ান চাবুক হয়ে তাড়া করে। শেষপর্যন্ত ‘অপরাধী’ পাঠক পথ খুঁজে পায় কি! এখানেই স্বাতী চৌধুরীর সার্থকতা, অনন্যতা।
শফিক হাসান
সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক
করোনা ভাইরাস ও অন্যান্য জীবাণু
“সৃজনশীলতা, কল্পনাশক্তি, বিজ্ঞানী আইনস্টাইন, পিংক ফ্লয়েড, এনাদার ব্রিক ইন দ্যা ওয়াল, এনাদার ফাকিং ব্রিক ইন দ্যা ওয়াল! দরোজা ভাঙো, শেকল ছেঁড়ো, দেয়াল ভাঙো, এই এডুকেশন সিস্টেম তোমাকে বিকলাঙ্গ করে দিয়েছে। তোমরা এর নেপথ্য কারিগর হে চতুষ্পদ এবং আলখাল্লা। তোমাদের কারণে আজ তাতিন কলা অনুষদে পড়ে শর্টকার্টে রকেট সায়েন্স শেখার মওকা খোঁজে। আজ একটা হেস্তনেস্ত হবে’
চমৎকার শোনা গেলো এখন দেখা যাক প্রতিপক্ষ কী উত্তর দেয়,
“দুধ দিয়ে আনারস খাওয়ার কারণে শত শত শিশু মারা যাচ্ছে।
সাবধান!
ব্রিজে শত শত শিশুর কাটা মাথা আর রক্তপি- পড়ে আছে
সাবধান!
এইখানে পাপ, ঐখানে পাপ, এইটা করলে গুনা, বুঝলা আমার সুনা?
সাবধান!
অবশ্য এর প্রতিবিধান আছে। তাবিজ কবজ এবং দুয়া-দুরূদ। আপনারা আলোর পথে আসুন। আপনাদের চোখে শক্তিশালী টর্চলাইট মারা হবে। এ দে দিনি ঐডে হেনে”।
আমরা দেখতে পাচ্ছি আলখাল্লা পরিহিত প্রাণীটির হাতে একটি শক্তিশালী টর্চলাইট। তিনি আলো ফেলছেন দুই এলিয়েনের চোখে। চমৎকার একটি আক্রমণ। প্রতিপক্ষকে বেশ মুষড়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে। এদিকে চতুষ্পদ প্রাণীটি সন্তুষ্ট হয়ে ডাকছে তার নিজের মোটা সুরে। খেলার এ পর্যায়ে পানি পানের বিরতি।
ছহি রকেট সায়েন্স শিক্ষা
মোঃ জিয়াউল হক; জন্ম : ১৯৮১ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি, গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার গোবিন্দী গ্রামে। পিতা- মোঃ নাছির উদ্দীন, মাতা- মোছাঃ জাহানারা বেগম। পড়াশোনা : এম.এ (রাষ্ট্রবিজ্ঞান)। পেশা : দীর্ঘ এক যুগ ‘গ্রাফিক ডিজাইনার’ ও ‘পেইন্টার’ হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করার পর, বর্তমান পেশা শিক্ষকতা।লেখালেখির হাতে খড়ি হয় ১৯৯৫ সালে। লেখালেখির শুরুটা মফস্বল এলাকার নাট্যপ্রেমী ছেলেদের জন্য মঞ্চ নাটকের কাহিনি রচনার মধ্য দিয়ে স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় কবিতা ও ছড়া লেখার চেষ্টা, বহুদিন। সেই চেষ্টা থেকেই ২০০০ সালে প্রকাশিত ‘দৈনিক ঘাঘট’ পত্রিকায় ‘আঁড় চোখে দেখা’ শিরোনামে বিদ্রুপাত্মক ছড়া নিয়মিত লেখালেখি। এই সময় সাহিত্যপ্রেমী বন্ধুদের সাথে নিয়ে ‘অগ্নিরথ’ নামক একটি অনিয়মিত মাসিক সাহিত্য ম্যাগাজিন সম্পাদনা ও প্রকাশনা কাজেও যুক্ত। কিন্তু ইতিমধ্যে রুটিরুজির জীবনযুদ্ধ শুরু হলে কবিতা-ছড়া বিলিন হয়ে যায় জীবন থেকে।
অন্তর্দাহ
সমাজের উচ্চবিত্ত শ্রেণির বিত্তশালী নারী সাবরিনা যে কিনা নিজেও এক সময় পতিতাবৃত্তি করে বিপুল ধনসম্পদের মালিক হয়েছে এবং নিজের বিলাশবহুল ফ্ল্যাটে নানা কৌশলে-প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে দালালদের মাধ্যমে সুন্দরী তরণীদের নিজের ফ্ল্যাটে রেখে প্রভাবশালীদের মনোরঞ্জন করে। তারই ফাঁদে পড়ে হতদরিদ্র পরিবারের কিশোরী পুষ্প আপন ভগ্নিপতির প্রলোভনে ঢাকায় এসে সাবরিনার বাসাবন্দি হয়ে যৌনকর্মী হতে বাধ্য হয়। পুষ্প ও সাবরিনাকে কেন্দ্র করে এই উপন্যাসে বর্ণচোরাদের চরিত্র উন্মোচিত করে উপন্যাসটি নির্মিত। এক সময় পুষ্প গ্যাং রেপড হলে প্রতিহিংসার আগুনে সে দগ্ধ হয়ে নওয়াব আলীর ওপর প্রতিশোধ নিতে চায়। পুষ্পর জীবন হয়ে ওঠে আরও দুর্বিষহ। এরপরও একটু ভরসা ও স্বপ্নের স্থান: পুষ্পর যৌনবৃত্তির কথা জেনেও সাবরিনার ফ্ল্যাটের দারোয়ান যে কিনা অত্যন্ত পড়ুয়া আবদুল কাদের তাকে ভালোবাসে। এতটুকুন মিষ্টি প্রেম কারারুদ্ধ জীবনে পুষ্পর জন্য যেন নিশ্বাস নেওয়ার সতেজ অম্লজান…
ফাঁদ
Get access to your Orders, Wishlist and Recommendations.
There are no reviews yet.