Additional information
Weight | 0.245 kg |
---|---|
Published Year |
$ 1.48 $ 2.47
“আমি শুরু থেকেই জানতাম, এরা যেকোন মূল্যে টাইম মেশিনটা তৈরি করেই ছাড়বে!” ক্রিটন তার আর্মচেয়ারে গা এলিয়ে দিতে দিতে বলল, “যেদিন নিকি আমাকে খবর দিলো যে ওরা তথ্যকেন্দ্রে মন্টক প্রজেক্ট সম্পর্কিত তথ্য নিয়ে ঘাটাঘাটি করছে, সেদিন থেকেই আমি ওদেরকে আর হালকাভাবে নিই নি। এরপর আমাদের গুপ্তচর রিগা যখন ক্যাপ্টেন নিমোর সাথে ওদের কথোপকথন শুনে আমাকে জানালো যে বিজ্ঞানী ছোকড়াটার মাথায় সময় পরিভ্রমণের চিন্তা খেলেছে পুরনো আমলের একটা চলচ্চিত্রের খুবই সাধারণ একটা দৃশ্য দেখে, তখনই আমি বুঝে গিয়েছিলাম যে এই ছোকড়ার দ্বারা সবকিছুই সম্ভব। কেন জানো ক্লড?”
“কেন প্রভু ক্রিটন?”
ক্রিটন ক্লডের দিকে তাকিয়ে গম্ভীর গলায় বলল, “কারণ আমি এই ছোকড়ার মাঝে আমার স্রষ্টা ডক্টর লির ছায়া দেখতে পেয়েছিলাম। ডক্টর লিও এরকমই ছিলেন, অনেক তুচ্ছ থেকে তুচ্ছ জিনিসের মাঝেও তিনি অসাধারণ কিছু খুঁজে পেতেন। তিনিও এক অসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছিলেন আমাকে তৈরি করে। ডক্টর লির মত মানুষেরা যেমন আমাদের গড়তে পারে, ঠিক তেমনি শত প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও আমাদের গুঁড়িয়ে দেয়ারও ক্ষমতা রাখে, সে আমরা যতই আধুনিক এবং শক্তিশালী হই না কেন। এধরনের মানুষ কোটিতে বড়জোর একজন হয়। কিন্তু যতদিন পর্যন্ত পৃথিবীতে মানবজাতি টিকে থাকবে, ততদিন পর্যন্ত এধরনের মানুষ জন্মাবার সম্ভাবনা থেকেই যাবে!”
Weight | 0.245 kg |
---|---|
Published Year |
রোবট শিশুর পিতা-মাতা
লেখকের কথা
প্রতিটি মানুষের জীবনেই রয়েছে অজস্র গল্প। গল্প ছাড়া মানুষের জীবন হতেই পারে না! আর সেইসব গল্প বাস্তবতার- আদৌ কল্পনার নয়। মানুষের সঙ্গে মানুষের নানা রকম সম্পর্ক গড়ে ওঠে শৈশব থেকে মৃত্যু পর্যন্ত। গল্পগুলো সেই সম্পর্কজাত। যা জীবদ্দশায় ভুলে যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। যারা লিখতে পারেন তারা চেষ্টা করেন সেইসব জীবনস্মৃতির গল্পগুলোকে জনসম্মুখে তুলে ধরতে লেখনীর মাধ্যমে। আর যারা লেখায় অভ্যস্ত নন, তারা নিভৃতে মনের ভেতরে সেসব লালন করেন এবং সময়-সুযোগ পেলে অন্যকে বলেন। অনেক লেখক আছেন যারা বিভিন্ন সময় নানা চরিত্রের মানুষের কাছ থেকে তাদের জীবনে অর্জিত অম্ল-মধুর অভিজ্ঞতার গল্প, দুঃখ-বেদনার গল্প, হাসি-খুশির ঘটনা, বিয়োগান্তক কাহিনী ইত্যাদি শুনে উপন্যাস বা গল্পে রূপ দেন।
সাধারণ মানুষ বলি আর বিশিষ্টজন বলি; লেখক বলি আর শিল্পী বলি- তাদের জীবনের গল্পগুলো সাধারণ গল্প নয় বলেই গণমাধ্যমে বা পাঠ্যপুস্তকে সেগুলো প্রকাশিত হয়ে থাকে। শিক্ষামূলক গল্পের যেমন শেষ নেই তেমনি প্রেম-ভালোবাসা, ব্যর্থতা, আশা-নিরাশা, বিচ্ছেদ, লড়াইমুখর গল্পেরও সীমা-পরিসীমা নেই। সেসব জীবনস্মৃতির গল্প পড়ে আমরা বিচিত্র চরিত্র, চিন্তা ও মন মানসিকতার মানুষকে চিনতে, জানতে পারি। এর মধ্যে অনেক গল্পই আছে সাহিত্যরসে টইটুম্বুর- রোমান্টিক, ভাবনার উদ্রেককারী এবং শিক্ষামূলক।
গল্প সাধারণত দুধরনের বলা যায়, এক হচ্ছে, বানানো গল্প বা কল্পলোকের গল্প। দুই হচ্ছে, জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনার বাস্তব গল্প। বানানো গল্পগুলোর চেয়ে জীবনস্মৃতির গল্পগুলো বেশি নাড়া দেয় মানুষ তথা পাঠককে। কারণ সেইসব গল্প অনেক মানুষের জীবনের গল্প। বানানো গল্প যেভাবে সুন্দর ভাষা ও অলঙ্কারে আদর্শ চিত্রকলার মতো করে প্রকাশ করা হয়, জীবনস্মৃতির বাস্তব গল্পগুলো সেই রঙে আঁকা সম্ভব হয় না। এতে করে গল্পের প্রাণ হারিয়ে যায়, সংবেদনশীলতা শীতল হয়ে পড়ে। হারিয়ে যায় আকর্ষণও। বানানো গল্প মনে থাকে না, যদি না তাতে বাস্তবতার নোনাজলের ধারা প্রবাহবান থাকে।
মানুষ হিসেবে আমিও ব্যতিক্রম নই। জ্ঞান হওয়ার পর থেকে আমার এই ষাট ছুঁইছুঁই বয়সে বহু ঘটনার সঙ্গে বেড়ে উঠেছি, অর্জিত হয়েছে বিস্তর অভিজ্ঞতা। কত চরিত্রের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ ঘটেছে তার হিসেব নেই। সেইসব ঘটনা অমূল্য স্মৃতি এবং অকাট্য সম্পর্ক। এই সম্পর্ক এতই অম্ল-মধুর যে, পড়ন্ত বেলায় এসে যতই ভাবি ততই নিজেকে ফিরে ফিরে দেখার সাধ জাগে, নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করে যুগপৎ আনন্দিত এবং বিষণ হই। জীবনস্মৃতির সেইসব অজানা গল্পগুলোই পড়ে অনেকে নিজের সঙ্গে মিলিয়ে নেন। যুগ যুগ ধরে এটাই সাহিত্যে চলে আসছে। এভাবে কালজয়ী, রসোত্তীর্ণ গল্পও আমরা অনেক পেয়েছি। ভবিষ্যতেও পাব।
জীবনস্মৃতির এই গল্পগুলো ‘সম্পর্ক’ শিরোনামে একটি গল্পসংকলনে পত্রস্থ করে স্বনামধন্য প্রকাশনা সংস্থা ‘অনুপ্রাণন প্রকাশন’ ঢাকা প্রকাশ করে আমাকে চিরঋণী করেছেন। আশা করি গল্পগুলো পাঠককে গভীরভাবে নাড়া দেবে।
‘অনুপ্রাণন’কে জানাই অন্তঃস্থল থেকে অজস্র ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
প্রবীর বিকাশ সরকার, টোকিও.জাপান, ৭, অক্টোবর, ২০১৭
জীবনস্মৃতির গল্প সম্পর্ক
মানুষের কখন যে কী হয়―তা হিসাব করে কেউ কখনো বলতে পারে না! হঠাৎ করেই মানুষ অন্যরকম হয়ে ওঠে। এই যে শফিকের সঙ্গে একই অফিসে কতদিন একসঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা কাজ করেছে নমিতা―কোনোদিন তাকে এত মনোযোগ দিয়ে দেখেনি শফিক। কিন্তু আজ যে তার কী হলো!
নমিতা আজ খুব সুন্দরভাবে একটা শাড়ি পরে অফিসে এলো। আর আজই শফিকের খুব ভালো লেগে গেল নমিতাকে। তাই, অফিস-ছুটির পর সে তাকে রেস্টুরেন্টে চা-কফির আমন্ত্রণ জানায়। কিন্তু নমিতা তাকে জানালো, আজ তার হাতে একদম সময় নেই। আজ তাকে পাত্রপক্ষ দেখতে আসবে বাসায়। আর তাকে, তাদের পছন্দ হলে আজই বিয়ে হয়ে যেতে পারে!
নমিতা একরকম বাধ্য হয়ে চলে যায় শফিককে পাশ কাটিয়ে। কিন্তু শফিকের খুব মনখারাপ হয়। আর বাসায় ফিরতে ইচ্ছে করে না তার। মনটা তার ভীষণ উতলা হয়ে ওঠে নমিতার জন্য। সে একমুহূর্তে কেমন যেন হয়ে যায়! নমিতাকে কিছুতেই সে ভুলতে পারে না।
সে নমিতাকে খুব ভালোবেসে ফেলেছে। আর ভাবে―নমিতাকে ছাড়া তার চলবে না। আজ নমিতাকে খুব ভালো লেগেছে তার। ভাবতে-ভাবতে নমিতার জন্য শফিক যেন একেবারে পাগল হয়ে যায়! কিন্তু নমিতার যে আজই বিয়ে হয়ে যেতে পারে!
শফিক রাস্তায় হাঁটতে থাকে উদভ্রান্তের মতো। সে কি আজ বাসায় ফিরতে পারবে? শেষ পর্যন্ত কী হয়েছিল―তা জানতে হলে পড়তে হবে এই অনবদ্য একটি বালিকার গল্প।
এটি ১০০% রোম্যান্টিক প্রণয়োপাখ্যান।
একটি বালিকার জন্য
ঢাকা-শহর থেকে কিছুটা দূরে ধামরাইয়ে নিজের বিলাসবহুল বাড়িতে খুন হলেন একজন প্রবীণ ও সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক। শুরুতেই একটি স্বার্থান্বেষীমহল ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র করতে থাকে। এজন্য তারা অধ্যাপকসাহেবের খুনের দায়ে গ্রেফতার করে তাঁর আপন-ভাগ্নে আজাদ কালামকে। কিন্তু এটা মেনে নিতে পারে না আজাদ কালামের আপন ছোটভাই আজাদ রায়হান। সে ভাইকে বাঁচাতে ই-মেইলে অনুরোধবার্তা পাঠায় তুখোড় গোয়েন্দা লালভাইয়ের কাছে। আজাদ রায়হানের অনুরোধক্রমে কেসটা হাতে নেন গোয়েন্দা লালভাই।
শুরুতেই লালভাই কেসটার মূলঘটনা-অনুসন্ধানে মনোনিবেশ করেন। তিনি এই খুনের মোটিভ ও প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করার জন্য একেবারে উঠেপড়ে লাগলেন। কিন্তু এতে প্রবলভাবে বাদ সাধে স্থানীয় থানার ওসি গোলাম মওলা। সে লালভাই ও তার সহকারীদের একরাতের মধ্যে ক্রসফায়ারে হত্যা করার হুমকিধমকি দিয়ে কেসটার তদন্ত-কাজ থেকে তাদের দূরে সরিয়ে দিতে চায়! শেষ পর্যন্ত কি লালভাই পারবেন এই কেসটার মূলরহস্য-উদ্ধার করতে?…আর মাত্র আড়াই দিনের মধ্যে লালভাই কেসটার এমন একটি সত্যউদ্ধার করলেন যাতে আরও বেশি হিং¯্র হয়ে উঠলো ওসি গোলাম মওলা! শেষ পর্যন্ত কী হয়েছিল—জানতে হলে পড়–ন ‘গোয়েন্দা লালভাই’ সিরিজের অনবদ্য প্রথম বই।
গোয়েন্দা লালভাই
শহীদ ইকবাল। প্রাবন্ধিক ও উপন্যাসিক। জন্ম ১৩ আগস্ট, ১৯৭০ রংপুর জেলার পীরগঞ্জে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর এবং এখানেই শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন। প্রকাশিত অসংখ্য গ্রন্থ রয়েছেÑ কথাশিল্পী আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, মুখশ্রীর পটে, কবিতা: মনন ও মনীষা প্রভৃতি। লিটলম্যাগ ‘চিহ্ন’ এর সম্পাদক।
হয়নাকো দেখা
রোবটদের গল্প
লেখকের কথা:
বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী “রু” আমার প্রথম প্রকাশিত বই হলেও আমার লেখা প্রথম উপন্যাস ছিল এই “প্রজেক্ট পাই”, যেটা আমি লিখেছিলাম দুই হাজার পনেরো সালে, অর্থাৎ আজ থেকেও আরো প্রায় চার বছর আগে। কিন্তু নানা কারণে এই উপন্যাসটা আর প্রকাশ করা হয়ে ওঠেনি। তবে কোথাও প্রকাশ না করলেও উপন্যাসটার কথা আমার মাথায় সবসময়ই ছিল। এ-কারণে প্রায়ই “প্রজেক্ট পাই”-এর ফাইলটা বের করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চোখ বুলাতাম। এ-রকম করতে করতেই একদিন হঠাৎ মাথায় চলে এলো “রু”-এর প্লট। লেখা শুরুও করে দিলাম আমার দ্বিতীয় উপন্যাস “রু”। মাঝখানে অনিবার্য কারণবশত নেয়া একটা লম্বা বিরতিসহ প্রায় দুই বছরের মতো সময় লাগলো “রু” লিখে শেষ করতে। লেখা শেষ হবার বেশ কয়েক মাস পর আমার লেখা দ্বিতীয় উপন্যাসটি অনুপ্রাণন প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হলো আমার প্রথম বই হিসেবে। বইটি অনুপ্রাণনের সে বছরের বেস্টসেলারও হলো। “রু”-এর পর এবার আমার মাথায় এলো আমার প্রথম সন্তান, অর্থাৎ আমার লেখা প্রথম উপন্যাস “প্রজেক্ট পাই”-এর কথা, যে কিনা গত চার বছর ধরে ঘরবন্দী হয়ে আছে। ভাবলাম, এবারে যে তাকেও মুক্তি দিতে হয়!
অবশেষে “প্রজেক্ট পাই”ও মুক্তি পেলো। প্রজেক্ট পাই সম্পর্কে আমি আমার পাঠকদের আগে থেকে তেমন কিছুই বলব না। শুধু এটুকুই বলব, “রু” যেমন আমার এবং আমাদের গল্প ছিল, “প্রজেক্ট পাই”ও ঠিক তেমনি আমার এবং আমাদের গল্প। এখান থেকে আমাকে এবং আমাদেরকে খুঁজে নেয়া এবং আমাদের মাঝখানে নিজেদেরকেও খুঁজে নেয়ার দায়িত্ব আমি আমার পাঠকদের ওপরই ছেড়ে দিচ্ছি।
Ñতানভীর আহমেদ সৃজন
আগস্ট ২০১৯
প্রজেক্ট পাই
ভূমিকা-
১৯৭১সাল। তখন আমি খুবই ছোট।চারিদিকে অবিরাম গুলাগুলির শব্দ।নারকেল গাছের মাথা ছুঁয়ে উড়ে যাচ্ছে যুদ্ধ বিমান।বড়দের কাছে শুনেছি- শেখসাবকে বন্ধি করে পাকিস্তান নিয়ে গেছে।শান্তি প্রিয় বাঙ্গালিরা সেদিন- যতটাই না হয়েছিলো আতঙ্কিত!ততবেশিই হয়েছিলো ক্ষুব্ধ এবং অপ্রতিরোধ্য। চাপা ক্ষোভে ছিলো দাবানলের তীব্রতা।
মাঝে মাঝে বাতাসে ভেসে আসছে- অগ্নি সংযোগ,ধর্ষণ লুন্ঠন আর বিবর্ষ অত্যাচারের গন্ধ।আর রক্তহিম করা মানুষের করুণ চিৎকার! । চারিদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।বাতাসে কান পাতলেই শোনা যায়- অসহায় মানুষের অসহায় হাহাকার! শক্ত মনেও ধরেছিলো,মাঘের কাঁপুনি। মানসিকভাবে অনেকেরই ভেঙে পড়েছিলো সেদিন।মান আর প্রাণ বাঁচাতে লক্ষ লক্ষ মানুষ,বাধ্য হয়েছিলো,দেশ ছাড়তে।কারণ সেদিন দেশের কিছু সংখ্যক মানুষ, দেশের সাথে এবং দেশের মানুষের সাথে বেইমানি করেছিলো।তারা বিশেষ এক সম্প্রদায়কে টার্গেট করে,চালাছিলো-তাদের অপারেশন ব্লু-প্রিন্ট।
সেদিনের আতঙ্কগ্রস্থ দিনগুলোর ঘটানারই একটা সরল চিত্র, এই লেখার উপকরণ। যা আমারই চোখের সামনে ঘটেছে।সেদিন যেমনটা দেখেছিলাম- তেমনটাই বলার চেষ্টাই-এই লেখার প্রেক্ষাপট।বিবেকের তাড়নাই- আমাকে এই লেখা লিখতে প্উৎসাহ যোগিয়েছে।
আজ যাদের অনুপ্রেরণা আর আত্মিক প্রচেষ্টায় এই লেখাটা আলোর মুখ দেখতে প্রয়াস পেয়েছে! তাদের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ।আর তারা হলেন- আমারই অতি প্রিয় বোন লিনা ফেরদৌস।আরো আছেন- মনির ভাই।যাঁরা আমাকে উৎসাহ ও সাহস যোগিয়ে এগিয়ে আসতে অনুপ্রানিত করেছেন।পরিচয় করিয়েছেন-অনুপ্রাননের কর্ণধার আবু,ম ইউনুস ভাইয়ের সাথে।তাঁর কাছে আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।আজ তাঁর আত্মিক উৎসাহেই আমার লেখা জীবন পেলো।
আরো অনেকের কাছেই আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।যারা সর্বদা আমার পাশে থেকেছেন,সাহস যোগিছেন।ভরসা দিয়েছেন।তারা যে আমার কতটা আত্মীয়! এবং আপনার আর আপন জন! প্রকাশের ভাষা নেই।সকলকেই আমি কৃতজ্ঞ চিত্তে স্বরণ করছি।এই লেখা কারো মনে একটুও দাগ ফেলতে পারলেই- মনে করবো,আমার লেখা কিছুটা হলেও সার্থক হয়েছে।পরিশেষে সকল পাঠকদের প্রতি থাকলো- আমার শুভেচ্ছা ও আন্তরিক ভালোবাসা।
— লেখক
৭১ এর এক সন্ধ্যায়
ভূমিকা
লোকমান তাজ রচিত লাশপুরীর লাশের গল্প কিশোর উপযোগী রহস্যময় উপন্যাস। সমকালীন অনেক লেখক এ জাতীয় রচনা সৃষ্টিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। সাইন্স ফিকশন, রম্য কথা, ভৌতিক থ্রিলিং ইত্যাদি ব্যবহার করে প্রচুর লেখালেখি অব্যাহত রয়েছে। কারো কারো বেলায় ব্যাপক জনপ্রিয়তাও লক্ষণীয়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব লেখা অনির্দেশ্য বায়বীয় ভাব ভাবনায় সমর্পিত।
সঠিক কোনো জীবনবোধ বা আদর্শ অন্বেষার বালাই নেই। দিকভ্রান্ত কাহিনী চরিত্রের মোহমুগ্ধ ঘনঘটা একটা আবেশ ছাড়িয়ে দেয়।
এ অবস্থায় লোকমান তাজ এর লাশপুরীর লাশের গল্প নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রম বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। এখানে গাছতলা গ্রামের সবিস্তার কাহিনী সাব্বির, মাহি ও মেহেক চরিত্রের মাধ্যমে রূপায়িত হয়েছে। তাছাড়া আরো কিছু শাখা কাহিনীও এখানে প্রযুক্ত হতে দেখা যায়। যেখানে মীরাকে কেন্দ্র করে ছাত্রীনিবাসের এক মর্মান্তিক কাহিনী এখানে বর্ণিত হয়েছে। গল্পের প্রধান চরিত্র সাব্বিরই পুরো ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করেছে।
লাশপুরীর লাশের গল্পে সত্যিকার অর্থেই গল্পের একটা মুগ্ধতা ছড়িয়ে রয়েছে। এর মধ্যে অপরিসীম আবেগ, কৌতূহল, স্বপ্ন আকস্মিকতা উৎকণ্ঠা বজায় রয়েছে। যা পাঠক সাধারণের মনকে একটা সম্মোহ সীমানায় ধরে রাখতে সক্ষম। তাছাড়া এর কাহিনী চরিত্রে বরাবরই একটা আদর্শবোধ ব্যাপ্ত আছে। এ সুবাদে সেখানে সমাজ মানসের কিছু বিশ্বস্ত চিত্রগাথা পরিস্ফুট উঠার সুযোগ পায়। যা শুধু এদেশীয় সংস্কৃতির আদলে গড়ে ওঠেছে। যেমন মীরা কেন্দ্রিক সারিনা জামান এর ঘটনাটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। মেয়েটির আত্মহত্যা ও এর আনুপূর্বিক ঘটনা যে কাউকে ছুঁয়ে যেতে সক্ষম। সংসারের অভাব-অনটন, বন্ধুবান্ধবীদের নিগ্রহ-নিপীড়ন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবজ্ঞা, অবহেলা-সবমিলিয়ে মেয়েটির জীবন বিষিয়ে তোলে। এছাড়া সাব্বিরের দাদিবাড়ি গাছতলা গ্রামের নানাবিধ ঘটনা এ গল্পের আড়ম্বরের সাথে বনিত হয়েছে। যা পাঠ করে অনাস্বাদিত জগতের উপমিত আস্বাদন করা সম্ভব। আমি লাশপুরীর লাশের গল্প ও এর লেখক লোকমান তাজ এর পর্যায়ক্রমিক সমুন্নতি কামনা করছি।
-ড. মুহাম্মদ জমির হোসেন
লাশপুরীর লাশের গল্প
কলকাতার স্মৃতিকথা
উপন্যাসটি যখন আরম্ভ করি তখন মনে এই ইচ্ছে ছিল যে, মহেশখালীর ট্রলারের মালিকদের কাছ থেকে কাজের বিনিময়ে শামুক ও ঝিনুকের শুঁটকি বানিয়ে একজন ব্যবসায়ী কিভাবে কোটিপতি হতে পারে সেটি নিয়ে গল্প সাজাব। গল্প যে লেখককে তার ইচ্ছে থেকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে, ‘স্বপ্নজাল’ উপন্যাসটি লিখতে গিয়ে আমি টের পেলাম যখন আমি ধীরে ধীরে আমার অভিজ্ঞতা, পঠন, ভ্রমণ ও কল্পনা মিশিয়ে লিখতে লিখতে যেন নিজেকেই লিখে ফেললাম। এখন পর্যন্ত যতটুকু লিখেছি, হাজার পৃষ্ঠা ছাড়িয়ে যাবে। তাই আরেকটি উপন্যাসের জন্যে কিছু রেখে ‘স্বপ্নজাল’ উপন্যাসে অনেক সম্পাদনা করে এটুকু আপনাদের সামনে হাজির করলাম। উপন্যাসে সময় এবং ঘটনার বিস্তার এতোটাই ঘটেছে যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ থেকে পরবর্তী অনেক ঘটনা এসে গেছে। এভাবে ভারত, থাইল্যান্ড, ইথিওপিয়া, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া, আলজেরিয়াসহ মালয়েশিয়া, সৌদি আরবের মানুষ ও রাজনীতি ও অর্থনীতিও উপন্যাসে ঢুকে গেছে।
বর্ণিত বিষয়গুলো আমার স্মৃতি, ভ্রমণ ও অভিজ্ঞতা থেকে এসেছে। আমি লেখা থামাতে পারিনি। ফলে একালে এতো বড় ঘটনাবহুল একটি উপন্যাস আপনাদের সামনে হাজির করতে হল। স্বপ্ন, প্রেম, আশ্রয় ও প্রয়োজন মানুষের জীবনে আসলে কী হতে পারে, মানুষের অসীম শক্তি কী করতে পারে কিন্তু করে না, সেটাই ভাবনার বিষয়। এই উপন্যাসের মূলকথা সেটিই।
পাঠকের বিচারের অপেক্ষায় কাঠগড়ায় দাঁড়ালাম।
বইটি প্রাণ লাগিয়ে যিনি সম্পাদনা করেছেন, শুধু কৃতজ্ঞতা দিয়ে তাঁর ঋণ শোধ হবে না। আর প্রকাশক আমাকে উপন্যাসটি প্রকাশের সাহস না দিলে আমি এটি লিখতে পারতাম না। প্রকাশক ও সম্পাদকের কাছে ঋণী রইলাম।
শুভকামনা রইল।
ভাস্কর চৌধুরী।
অমিয়ধারা
শ্যামলী, ঢাকা।
Shopnojal
ল-লি-তা; গত শতকের নিষিদ্ধ উপন্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি নাম। একইসাথে বিগত শতাব্দীর সেরা উপন্যাসগুলোর একটি। বিখ্যাত রুশ ঔপন্যাসিক ভøাদিমির নবোকভের (১৮৯৯-১৯৭৭) এক অনবদ্য সৃষ্টি ‘ললিতা’। উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশ পায় ১৯৫৫ সালে প্যারিসে ইংরেজি ভাষায়, এরপর ১৯৫৮ সালে নিউ ইউর্ক সিটিতে এবং ১৯৫৯ সালে লন্ডনে। প্রকাশের কিছুকাল পরেই যৌন বিষয়বস্তুর অসুস্থ উপস্থাপনা বলে আখ্যায়িত করে উপন্যাসটিকে বিভিন্ন স্থানে নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর ১৯৬৭ সালে ভ্লাদিমির নবোকভ নিজেই রাশিয়ান ভাষায় উপন্যাসটি অনুবাদ করেন।
বাংলা ভাষায় আমার অনুবাদের ক্ষেত্রে সাবলীল পাঠযোগ্যতার খাতিরে আক্ষরিক অনুবাদের স্থলে ভাবানুবাদই বেছে নিতে হয়েছে। মূল উপন্যাসে অনেক ফ্রেঞ্চ লাইন ছিল। পাঠকের সুবিধার্থে সেগুলোকে বাংলায় তর্জমা করা হয়েছে। রাশিয়ান ভাষায় অনূদিত ‘ললিতা’র সাহায্যও নিতে হয়েছে। আমেরিকার ভূগোল নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে হয়েছে। তাই সহায়িকা হিসেবে আমেরিকান বিভিন্ন ভূগোল বইয়ের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
ললিতা উপন্যাসটি কেবল নিষিদ্ধ প্রেম, প্রণয় বিষয়ক নয়। বরং এটি আদর্শ মনস্তাত্বিক গবেষণাগ্রন্থ হিসেবেও স্বয়ংসম্পূর্ণ। শিল্পে কখনো অশ্লীলতা থাকে না, অশ্লীলতা থাকে আমাদের মগজে। অপরদিকে স্রেফ অশ্লীলতাকেও আমি শিল্প বলতে রাজি নই। সেই হিসেবে বইটি নোংরামিমুক্ত। এবং ভøাদিমির নবোকভের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে তাঁর অমর সৃষ্টি ললিতাকে পাঠকের হাতে তুলে দিতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।
ললিতা
উজ্জ্বল বোতামের মত উজ্জ্বল উদয় শংকর দুর্জয়। পরিশ্রমী, বিনয়ী এবং উপকারী। তেরোটি চমৎকার উজ্জ্বল প্রবন্ধ দিয়ে সাজানো ওর বই – প্রবন্ধ সংগ্রহ-২। এই গ্রন্থের প্রথম প্রবন্ধ ‘বই সৃজনশীল মননের চিরকালীন সঙ্গী।’ সেখানে ও বলেছে বই কেন পড়বো, কবে থেকে পড়ছি, এবং কেন কেউ কেউ বই পড়েনা। এখানে আছে লেখক ও কবির কথা। তাদের নানা দিক। যেমন আছেন আবদুলরাজাক গুরনাহ, তেমনি আছেন মধ্য প্রাচ্যের দারবিশ। আছেন আবদুল মান্নান সৈয়দ এবং আমাদের ভালোবাসা সত্যজিত রায়। বই সম্পর্কে জে কে রোলিংএর মন্তব্য “বই পড়তে তোমার যদি ভালো না লাগে তাহলে বুঝতে হবে তুমি ঠিক বই পাওনি।” তার মানে বই পড়তে ভালোলাগা আমাদের রক্তপ্রবাহের ভেতর থাকে। থাকে মননে ও মস্তিষ্কে। দুর্জয়ের প্রবন্ধ সেই মনন ও মস্তিষ্কে অনু-রণন সৃষ্টি করার মতো। দুর্জয়ের বর্তমান বই সকলেরই ভালো লাগবে এই আমার বিশ্বাস। এ বই হবে আমাদের বন্ধু। ঠিক দীর্ঘদিন ধরে উদয় শংকর দুর্জয় যেমন এই বৃদ্ধার বন্ধু।
কথাসাহিত্যিক সালেহা চৌধুরী
লন্ডন
Probondho Songraho- 2 - প্রবন্ধ সংগ্রহ- ২
পাঠ প্রতিক্রিয়া বা মতামত
দশকধারণার বাহিরে প্রায় অনাবিষ্কৃত শক্তিমান কবি সৈয়দ ওয়ালী’র ছাইরঙা নথির বয়ানে এক শব্দ-জাদুকর।ভাবনায়-বিশ্বাসে-কর্মে দশকের গণ্ডিতে আটকে না যাওয়া একজন পুরোদস্তুর কবি; আর হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর চর্যাপদ আবিষ্কারের জের ধরলে একজন চির-আধুনিক বাঙালী কবি। তাঁর আসন্ন কাব্যগ্রন্থ ‘ছাইরঙা নথির বয়ান’এর পাণ্ডুলিপি পড়তে বসে প্রথমেই লক্ষ্য করি (এই কবির)নিজস্বতা বজায় রেখে বিভিন্ন আঙ্গিকে কবিতা লিখতে পারার পারদর্শীতায়।বইটি চার সর্গে বিভক্ত; সর্গেই তাঁর কবিতারা বলিষ্ঠ। অনবদ্য সব বোধের খেলায় মেতে ওঠার সোনালি মুহূরতগুলির প্রাণান্ত ফসল এই বইটি;যা তাঁর শিল্পরসের নান্দনিক স্বাক্ষর ধারণ করে আছে।বইটি যে কাব্যপিপাসু পাঠকের কাছে একটি সমকালীন মাণিক্য হয়ে ধরা দেবে এই আশাটুকু অমূলক নয়।
–কবি সাজ্জাদ সাঈফ
পাণ্ডুলিপিটি আমি দু’বার পড়েছি- দিনের আলোর কোলাহলে, মধ্যরাতের নির্জনতায়। অভিজ্ঞতাকে দ্বিখণ্ডিত করে যেভাবে পৃথিবী আমাদের উপলদ্ধি করে, কবিতাকে উপলদ্ধি করতে হয় সেভাবেই। একজন দক্ষ কারিগরের হাতের কাজের প্রতিটি বাঁকে থাকে শেখার উপাদান, সেখানে মুখ্য বিষয় সৃজনশীলতা কতটা উপভোগ্য। সেখানে আঙুল নত হতে শেখে। ‘ছাইরঙা নথির বয়ান’ আনাড়ির ছাপে তৈরি নয়। কবিতার প্রতি কবির ভালোবাসা, সাধনা, আর পরিশ্রমটা ঠিক বুঝা যায়। তাই শব্দে, উপমায়, ছন্দে আমাদের চারপাশটাকে মথিত করে ভালোলাগার মানদণ্ডে ‘ছাইরঙা নথির বয়ান’ উতরে যায় অনায়াসেই। আর রেশ থেকে যায়Í সৃষ্টিশীল মানুষের শেষ ইচ্ছে তো এই। কবি তাঁর নিজস্ব চিহ্ন রেখে যাক, রেখে যাক রেশ- এই শুভকামনা।
–কবি ও গল্পকার প্রজ্ঞা মৌসুমি
“আলাদা বেহালার কবিতা থেকে জল-মশালের ভাষার শেষ কবিতা একটি বহুমাত্রিক জার্নি…; যেখানে বিভিন্ন রং মিলে গেছে এক মহাকাব্যিক কোলাজ ক্যানভাসে ওভারল্যাপহীন; যাতে পর্যায়ক্রমিক এক অদ্ভূত ছন্দ আছে, যে ছন্দের জাদুতে মনে হয় পথটি ভীষণ চেনা; আবার এই চেনা পথের নানা বাঁকে আছে নানা অচেনা রহস্যও; যা চেনা- অচেনার মেল-বন্ধনের-এক-গভীর-ঘোরে পাঠককে ধরে রাখে। আমি পাণ্ডুলিপিটি টানা পড়েছি; আমার বিশ্বাস, পাঠক এই বইটির মাঝের বিভিন্ন পর্বগুলো একই গতিতে পড়তে পারবেন। একবার পড়ার পর যেমন অনেক বই দ্বিতীয় পাঠ দাবিই করে না, এ বইটি তার ব্যতিক্রম। আর এটা বারবার বললেও কম বলা হয় যে, আমি কখনও ‘সৈয়দ ওয়ালী’র কবিতার বোধ ও বাঁধনের কাছে, কখনও সংকেত ও সংযমের কাছে, প্রকৃতে তার কবিতার আত্মার সীমাহীন ঘোরের কাছে পূর্বের ন্যায় এবারও নত হলাম’।
– কবি নীলাদ্রি দেব
“অনুচ্চস্বর ধারণ করেও যে শক্ত এবং যথার্থ কথাটা শৈল্পিকভাবে ব্যক্ত করা যায়, তার উদাহরণ কবি সৈয়দ ওয়ালী। আরও স্পষ্ট করে বললেÍ কবিতা লেখাই যদি কবির কাজ হয়, তবে নিজের ঢঙে তিনি সেই কাজটুকু করে যাচ্ছেন। কবিতায় তিনি উচ্চকণ্ঠধারী নন কিন্তু বলিষ্ঠ। নিজের সময়কে ধারণ করাই প্রকৃত কবির কাজ, তবে সেটা অতীত বিচ্ছিন্ন, উন্মুল হয়ে নয়। সৈয়দ ওয়ালীর কবিতার ভেতর প্রোথিত রয়েছে তার বিশ্বাস, রাজনৈতিক চিন্তা, প্রকৃতিবাদ, সমাজ, সময় এবং মানুষ। তিনি প্রত্নতাত্ত্বিকের মত অনুসন্ধিৎসু, বিশ্বের তাবৎ কিছু নিয়ে তার কবিতার কারবার; আবার একই সাথে তিনি আপন মাটির খুব সংলগ্ন। কৃষকের মতো মাটিতে কান পেতে তিনি শুনতে পান বীজের স্ফুটনের শব্দ। যাকে নিজের ভাষায় আমি বলি, প্রত্ন-আধুনিক। ‘ছাইরঙা নথির বয়ান’ এর পরতে পরতে রয়েছে এসবেরই প্রত্যায়িত স্বাক্ষর।
– কবি শামশাম তাজিল
“কোনো যন্ত্রী যখন সঙ্গীত পরিবেশন করেন, আমরা দেখি তার আগে তিনি যন্ত্রটিকে সালাম বা প্রণাম করছেন। সঙ্গীত, নৃত্যকলাসহ অপরাপর মাধ্যমে এই ধরনের রেওয়াজ মূলত আর কিছু নয় ওই শিল্পমাধ্যমের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাবোধ ও নিবেদনের অভিব্যক্তি। সাহিত্যও এর বাইরে নয়। কবিতাকে মানুষের মহৎ সৃজন মনে করেন সৈয়দ ওয়ালী। ফলে তিনি যখন কবিতার কাছে যান, যান সেই শ্রদ্ধাবোধ থেকেই। কবিতার শরীর নির্মাণ, প্রকরণ, ছন্দ ও সুরসিদ্ধিতে তার কঠোর অধ্যবসায় আমাদের সে কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। এরই গুণে তার লেখায় প্রথাগত ছন্দের বাইরে আরো এক ছন্দ ও সুরের প্রবাহ আমাদের নজরে পড়ে। এ ছন্দ আঁটসাঁট বাঁধনও নয়, আবার নিতান্তই ছন্দহীনতার স্বেচ্ছাচারও নয়, বরং দুইয়ের মধ্যবর্তী ভারসাম্য। প্রথার উজানে যাত্রা না করে আপাত সাদামাটা বিষয়বস্তুর পাথরখণ্ডকেই ভাষ্কর্যরুপী কবিতা নির্মাণের জন্য বেছে নেন তিনি। কঠোর পরিশ্রমে সেই পাথরখণ্ডেই প্রবাহিত করেন স্বেদ ও দীর্ঘশ্বাস। ধীরে ধীরে পাথরটির গায়ে ফুটে ওঠে ইতিহাস ও রাজনীতি চেতনা, বিষাদ আর স্মৃতিকাতরতা”।
– কবি হিজল জোবায়ের
Chaironga Nathir Boyan
সাঈদা মিমি। জন্ম: ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৮। বরিশালে। শৈশবের পুরোটাই এবং অর্ধেক কৈশোর কেটেছে পদ্মাপাড়ে, মানিকগঞ্জের ঘোনাপাড়া গ্রামে। লেখালেখির শুরু ছাত্রজীবনে। প্রথম প্রকাশিত হয় ইত্তেফাকে। ফ্রীল্যান্স সাংবাদিকতা, স্কুল মাস্টারিং, বায়িং হাউজের এডমিন, হাউজিং কোম্পানির এক্সিকিউটিভ ইত্যাদি বিচিত্র কর্মজীবন মেষে অতঃপর গৃহিণী। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘সব নিয়ে গেছে এক সময়ের লুটেরা বাতাস’ ‘ফারাও কুমারী’ ও ই-বুক ‘কীর্তনখোলা’।
একজন মৃতের ডাইরি
রোবট শিশুর পিতা-মাতা
Get access to your Orders, Wishlist and Recommendations.
Ali Noor Khan –
এক কথায় অসাধারণ একটি বই! এরকম বইয়ের জন্যে পাঁচ তারকাও কম হয়ে যায়।
লেখকের কল্পনাশক্তি এবং লিখনশৈলী থ্রিলার সাহিত্যের অনেক বড় বড় রথী মহারথীদেরও হার মানায়।
অপেক্ষায় রইলাম লেখকের পরবর্তী বইয়ের জন্য।
Abu M Yousuf –
কোন বইয়ের কথা বলছেন?